হাতের লেখা

হাতের লেখা, হস্তলিপি বা হস্তলেখ বলতে হাতে কোনও লেখার উপকরণ যেমন কলম বা পেনসিল ধরে তা দিয়ে লেখার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। হাতের লেখা টানা (Cursive) কিংবা গোটা গোটা (Block) শৈলীর হতে পারে। হাতের লেখার সাথে নিয়মাবদ্ধ চারুলিপি বা মুদ্রাক্ষর ছাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিটি ব্যক্তির হাতের লেখা স্বতন্ত্র ও অনন্য, তাই হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে কোনও নথির প্রকৃত লেখকের সত্যতা যাচাই করা হতে পারে।[১] বিভিন্ন রোগের কারণে কোনও ব্যক্তির হাতের লেখা খারাপ হয়ে যেতে পারে। পরিচ্ছন্ন ও সুসংলগ্ন হাতের লেখার ক্ষমতা লোপের ব্যাপারটিকে লিখনবিকার (Dysgraphia) বলে।

ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে হাতের লেখার বিভিন্ন উদাহরণ; ঘড়ির কাঁটার দিকে উপরে বাম থেকে: ইসাইয়ার পুঁথি, দৈনিক প্রার্থনাপুস্তক (খ্রিস্টান), ভয়নিচ পাণ্ডুলিপি, সাম্যবাদী ইশতেহার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, গ্রিসের বর্ণনা

অনন্যতা

প্রতিটি ব্যক্তির তার নিজস্ব হস্তলিখন শৈলী বিদ্যমান, যা তার দৈনন্দিন লেখায় বা ব্যক্তিগত স্বাক্ষরে প্রকাশ পায়। সাংস্কৃতিক পরিবেশ এবং প্রথম যে ভাষায় ব্যক্তি লিখতে শেখে, তা তার নিজস্ব অনন্য হাতের লেখার শৈলীর উপর প্রভাব বিস্তার করে।[২] এমনকি দেখতে অবিকল একরকম ও একই বংশগত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী অভিন্ন যমজ ব্যক্তিদের হাতের লেখাও একে অপরের চেয়ে ভিন্ন হয়ে থাকে।[৩]

হাতের লেখার কিছু ধর্ম নিম্নরূপ:

  • বর্ণের নির্দিষ্ট আকৃতি, যেমন তাদের বক্রতা ও তীক্ষ্ণতা
  • বর্ণের মধ্যে নিয়মিত বা অনিয়মিত শূন্যস্থান
  • বর্ণের ঢাল
  • উপাদানসমূহের ছান্দিক পুনরাবৃত্তি বা ছন্দহীনতা (arrhythmia)
  • কাগজের উপরে লেখনীর চাপ
  • বর্ণসমূহের গড় আকার
  • বর্ণসমূহের পুরুত্ব

রোগ

শিশুর বিকাশকালীন লিখনবিকার প্রায়শই অন্য কোনও শিখন এবং/বা স্নায়ু-বিকাশমূলক রোগের (যেমন মনোযোগের অভাব/অতিসক্রিয়তা) সাথে সম্পর্কিত।[৪]

যেসব শিশুর মনোযোগের অভাব/অতিসক্রিয়তা বিদ্যমান, তাদের হাতের লেখা দুষ্পাঠ্য ও বানান ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব শিশুর লেখাতে বর্ণের আকার ও আকৃতি ও আন্তঃবর্ণ বা আন্তঃশব্দ শূন্যস্থানে বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।[৫]

হস্তলিপি-বিশ্লেষণ বিদ্যা

হস্তলিপি-বিশ্লেষণ বিদ্যা (Graphology) হল মানব মনোবিজ্ঞানের আলোকে হাতের লেখা অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণের বিদ্যা, যা কেউ কেউ ছদ্মবিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[৬][৭][৮] হস্তলিপি বিশ্লেষণ বিদ্যাকে মূলত চাকুরিতে নিয়োগদানের সময় আবেদনকারী প্রার্থীদের থেকে বাছাই করার একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যেখানে হাতের লেখার সাথে চরিত্রের সম্পর্ক ও ভবিষ্যতে চাকুরিতে কৃতকার্যতা অনুমান করা হয়। তবে হাতের লেখার সাথে এগুলির কোনও সহসম্বন্ধ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি।[৯][১০][১১]

হাতের লেখা শনাক্তকরণ

'হাতের লেখা শনাক্তকরণ' পাতাটি পাওয়া যায়নি

শিক্ষণবিজ্ঞান

শিক্ষায় হাতের লেখায় ভূমিকা

লেখকদের সংজ্ঞানীয় প্রক্রিয়ায় হাতের লেখা

প্রপঞ্চবাদ

আরও দেখুন


তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ