সাদি মহম্মদ
সাদি মহম্মদ (বাংলা উচ্চারণ: [sad̪i mɔɦɔmːɔd̪]; ৪ঠা অক্টোবর ১৯৫৭ – ১৩ই মার্চ ২০২৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার।[৩] তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন।[৪] ২০১৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
সাদি মহম্মদ | |
---|---|
উচ্চারণ | [sad̪i mɔɦɔmːɔd̪] |
জন্ম | সাদি মহম্মদ তকিউল্লাহ ৪ অক্টোবর ১৯৫৭ |
মৃত্যু | ১৩ মার্চ ২০২৪ | (বয়স ৬৬)
মৃত্যুর কারণ | ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা |
সমাধি | মোহাম্মদপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পেশা | |
প্রতিষ্ঠান | রবিরাগ |
কর্ম | ডিস্কোগ্রাফি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অবিবাহিত |
পিতা-মাতা | শহীদ সলিমউল্লাহ্ বেগম জেবুন্নেসা সলিমউল্লাহ্ |
আত্মীয় | শিবলী মহম্মদ (ভাই) |
পুরস্কার | চ্যানেল আই সমালোচক পুরস্কার (২০০৯) চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০১২) বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার (২০১৫)[২] |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র | |
কার্যকাল | ১৯৮২–২০২৪ |
লেবেল | কান্ট্রি মিউজিক |
শিক্ষা ও কর্মজীবন
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন সাদি মহম্মদ। [৬] তবে সেখানে পড়াশুনা চালিয়ে যান নি। পরে তিনি বৃত্তি পেয়ে ১৯৭৫ সালে সংগীত বিষয়ে শান্তিনিকেতনে পড়ার সুযোগ পান। এরপর বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেখানে শান্তিদেব ঘোষ ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গান শেখেন তিনি। [৭]
২০০৭ সালে আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[৫] ২০০৯ সালে তার শ্রাবণ আকাশে ও ২০১২ সালে তার সার্থক জনম আমার অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।[৫]
এছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৪]
পুরস্কার
২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই।[৮] ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমী তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে তার বাবা সলিমউল্লাহকে।[৯] তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়। সাদি মহম্মদের ছোট ভাই শিবলী মোহাম্মদ বাংলাদেশের একজন নৃত্যশিল্পী।[১০]
সাদি মহম্মদ অবিবাহিত ছিলেন।
মৃত্যু
সাদি মহম্মদ ২০২৪ সালের ১৩ই মার্চ আত্মহত্যা করেন। এদিন সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।[১১][১২] তার ছোট ভাই শিবলীর ভাষ্য, সাদি তার ঘরে তার তানপুরা যন্ত্রে সঙ্গীত অনুশীলন করছিলেন এবং পরে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।[৫] শিবলী আরও বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাদের মা জেবুন্নেসা সলিমুল্লাহ মারা যাওয়ার পর থেকে সাদি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন।[১৩]