অরমো ভাষা

অরমো ভাষা (/ˈɒrəm/[১] or /ɔːˈrm/;[২][৩] ইথিওপিয়ার বেশির ভাগ এলাকায় ও কেনিয়ার উত্তরাংশে প্রচলিত একটি কুশিটীয় ভাষা[৪]। এটি আফান অরমো এবং অরমিফ্‌ফা নামেও পরিচিত। এটি আফ্রিকার ৩য় সর্বাধিক ভৌগোলিক ব্যাপ্তিবিশিষ্ট ভাষা; আরবিহাউসা ভাষার পরেই এর অবস্থান।[৫] ১৬শ শতকের পর থেকে অরমো ভাষাভাষী লোকেরা ইথিওপীয় উচ্চভূমি থেকে আফ্রিকার দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিস্তার সত্ত্বেও ইথিওপিয়ার ভেতরের ও বাইরের অরমোভাষীরা সহজেই একে অপরকে বুঝতে পারেন। ফেডারেল ওয়েবসাইটসমূহের ইন্টারনেট ভাষা হিসেবে ট্রাইগ্রিনিয়ার সাথে অরোমো ভাষাও ব্যবহার করা হয়।[৬][৭]

ওরোমো
Afaan Oromoo আফান অরমো
উচ্চারণ/ʌfɑːn ɔrɔmoː/
দেশোদ্ভবইথিওপিয়া, কেনিয়া
অঞ্চলআফ্রিকা
মাতৃভাষী
প্রায় আড়াই কোটি
আফ্রো-এশীয়
  • কুশিটীয়
    • পূর্ব
      • ওরোমো
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-১om
আইএসও ৬৩৯-২orm
আইএসও ৬৩৯-৩বিভিন্ন প্রকার:
orm – অরমো (সাধারণ)
gax – বোরানা-আর্সি-গুজি
gaz – পশ্চিম কেন্দ্রীয় অরমো
ggh – গাররেহ-আজুরান
hae – পূর্ব অরমো
orc – অর্মা
ssn – সানিয়ে
অরমো ভাষাভাষী অঞ্চল

মর্যাদা

ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার প্রায় আড়াই কোটি লোকের মাতৃভাষা অরমো ভাষা। ২০শ শতকে এসে আধিপত্য বিস্তারকারী আমহারা জাতির লোকদের কাছে অরমোরা রাজনৈতিক ও সামাজিক নিপীড়নের শিকার হয়। প্রথমে হেইলে সেলাসির শাসনামলে এবং পরবর্তীতে তাকে উৎখাতকারী সমাজতান্ত্রিক শাসনের সময়েও শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং জনজীবনে অরমো ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বর্তমানে অরমোরা আবার নিজ ভাষায় কথা বলতে পারছেন। অরমোভাষী অঞ্চলগুলিতে স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অরমোর প্রচলন হয়েছে। ইথিওপিয়ার উত্তরাংশ বাদে বাকী এলাকায় অরমো একটি সার্বজনীন ভাষা বা লিংগুয়া ফ্রাংকা।

অরমোভাষীর সঠিক সংখ্যা অনির্ণীত। তবে ধারণা করা হয় ইথিওপিয়ার প্রায় অর্ধেক লোকই অরমো, যদিও ভাষাটির কোন সরকারি মর্যাদা নেই।

ধ্বনি ব্যবস্থা

স্বরধ্বনি

অরমো ভাষাতে পাঁচটি স্বরধ্বনি আছে: /i/, /e/, /a/, /o/, /u/। এগুলি হ্রস্ব বা দীর্ঘ হতে পারে। স্বরের দৈর্ঘ্যর তারতম্য অর্থের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। লেখার সময় দীর্ঘস্বরগুলিকে পরপর দুইটি স্বরবর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন laga "নদী" এবং laagaa "মুখগহ্বরের ছাদ"।

ব্যঞ্জনধ্বনি

অরমো ভাষাতে ২৪টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। b, d, dh, g, l, m, n, এবং r ধ্বনিগুলির দ্বিত্ব হতে পারে। লেখার সময় দ্বিত্বব্যঞ্জনগুলি পরপর দুইটি ব্যঞ্জন লিখে বোঝানো হয়। যেমন damee "শাখা," কিন্তু dammee "মিষ্টি আলু"। নিকট প্রতিবেশী ভাষা সোমালি ভাষার মত অরমো ভাষার স্থানীয় শব্দেও/p/,/v/, এবং/z/ধ্বনিগুলি নেই। এই ধ্বনিগুলি কেবল বিদেশী কৃতঋণ শব্দে পাওয়া যায়। কন্ঠনালীয় স্পর্শধ্বনি একটি উদ্ধৃতিচিহ্ন বা অ্যাপস্ট্রফি দিয়ে লেখা হয়।

ধ্বনিদলের আকার

অরমো ভাষার বেশির ভাগ ধ্বনিদল উন্মুক্ত, অর্থাৎ এগুলি স্বরধ্বনিতে সমাপ্ত হয়।

সুর

অরমো ভাষা একটি সুরপ্রধান ভাষা। অন্যান্য সুরপ্রধান ভাষা যেমন চীনা ভাষার চেয়ে এর সুরব্যবস্থা ভিন্ন। অরমোর সুর-স্বরাঘাত ব্যবস্থা মূলত ব্যাকরণ ও অধিবাচনিক পর্যায়ে রূপায়িত। ভিন্ন ভিন্ন সুর দিয়ে ব্যাকরণিক ক্যাটেগরি এবং তথ্য কাঠামো নির্দেশ করা হয়, শব্দের অর্থের পার্থক্য নির্দেশের জন্য সুর ব্যবহার করা হয় না। লিখন পদ্ধতিতে সাধারণত সুরগুলি চিহ্নিত থাকে না।

লিখন পদ্ধতি

১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত অরমো ভাষা ইথিওপীয় লিপিতে কিংবা লাতিন লিপিতে লেখা হত। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা ভাষাটি লেখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সামরিক শাসনের অবসানের পর ১৯৯১ সালে আবার লাতিন লিপিতে ভাষাটি লেখা শুরু হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ