ইতেওয়ান

ইতেওয়ান হচ্ছে (Korean: 이태원, IPA [itʰɛwʌn]) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল শহরের ইতেওয়ান-দোং, ইয়ংসান-গু সংলগ্ন এলাকা। প্রায় ২২ হাজার মানুষের জনবসতি এই অঞ্চলে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য, অভিবাসী, সউল শহরের বাসিন্দাসহ বিদেশি পর্যটকদের মাঝে জনপ্রিয় সিউল শহরের এই অঞ্চল। 

ইতেওয়ান
কোরীয় ট্রান্সক্রিপশন
 • হান্‌গেউল্

 • হাঞ্জা

 • সংশোধিত রোমানীকরণ

Itaewon

 • McCune–Reischauer

It'aewŏn

ইতেওয়ানের সিউল সেন্ট্রাল মসজিদ
দেশ

দক্ষিণ কোরিয়া

নামকরণ

ইতেওয়ান নামটি এসেছে চোসান আমলের সরকারি কর্মক্ষেত্র থেকে। বর্তমানেও এলাকাটি ইতেওয়ান নামকরণের পেছনে রয়েছে চীনা অক্ষর  যার অর্থ "নাশপাতি"। অতীতে এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ নাশপাতির ফলন হতো বলেই এরকম নামকরণ।[১] প্রাচীন দলিল দস্তাবেজ অনুসারে এই অঞ্চলকে হাঞ্জা লিখনীশৈলী  李泰院李泰院, এবং 異胎院異胎院 দ্বারাও লিখা হতো।[১]

ভূগোল

ইয়োংসান-গু-এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ইতেওয়ানের প্রায় ০.৫৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তন জুড়ে প্রায় ৮ হাজার মানুষের বসবাস।[১] ইতেওয়ানের উত্তর দিকে প্রবাহিত দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় নদী হান-গাং।[২]

স্থানীয় দর্শনীয় স্থান

ইতেওয়ান রকমারি খাবারের দোকান ও রেস্তোরার জন্য বিখ্যাত। সমগ্র কোরিয়াতে সহজলভ্য নয় এরকম খাবারের সমাহার ঘটেছে এখানকার রেস্তোঁরারগুলোতে। ইতেওয়ানে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, ব্রিটিশ, জার্মানি, পর্তুগাল, মেক্সিকো, ইতালি এবং ফ্রান্সের খাবারের জন্য বিশেষায়িত রেস্তোঁরা রয়েছে।[৩] পশ্চিমা দেশের চায়না টাউনের আদলে এখানে গড়ে উঠেছে পশ্চিমা টাউন বা ওয়েস্টার্ন টাউন। 

ইনসাদোং-এর সিউল টাওয়ার এবং ইতেওয়ান একসাথে হয়ে উঠেছে সিউল শহরে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।[৪] এই পর্যটকদের কেন্দ্র করে হ্যামিল্টন হোটেল, গ্রান্ড হায়াটের মতো স্থানীয় ল্যান্ডমার্ক হোটেল এবং কয়েক ডজনের বেশি দোকান গড়ে উঠেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহত মসজিদ, সউল সেন্ট্রাল মসজিদ ইতেওয়ানে অবস্থিত। 

স্থানীয় ব্যবসা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী এখানে নিজস্ব ব্যবসা গড়ে তুলেছে। 

অনেক বিদেশির পাশাপাশি কোরিয়ার ধনী ব্যবসায়ীদের আবাসস্থল ইতেওয়ান। স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান ই-কুন হি এর মাঝে অন্যতম। 

উৎসব

  • গ্লোবাল ভিলেজ ফেস্টিভ্যাল
  • হ্যালোউইন উতসব


জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

কোরীয় গায়ক ও সঙ্গীত রচয়িতা জেওয়াইপি (পার্ক জিন-ইয়ং) এবং ইয়ু সে-ইয়ুনের হিপহপ দ্বৈত "ইতেওয়ান ফ্রিডম" ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়।[৫] গানটিতে একজন কোরীয়ের দৃষ্টিতে ইতেওয়ানের বিদেশিদের আচরণ এবং কোরিয়ান সংস্কৃতির সাথে এর ভিন্নতা ফুটে ওঠেছে।[৬] এই গানটি ততকালীন সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং ২০১৩ সালে গানটির এক ব্যাঙ্গাত্মক সংস্করণ প্রকাশ হয়। উভয় সংগীতেরই ভিডিও চিত্রের চিত্রায়ন ইতেওয়ানের বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে।[৭]

১১ সেপ্টেম্বরের হামলা পরবর্তী পরিবর্তন

বাণিজ্যিক এলাকা ইতেওয়ান কোরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইয়োংসান গ্যারিসনের নিকটবর্তী। ২০১১ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল মদের দোকান ও দেহব্যবসার জন্য পরিচিত ছিল। ৯/১১ পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয় এবং সকল সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য নির্মিত এই এলাকার পাণীয়ের দোকানগুলোতে তালা ঝুলানো হয় এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ইতেওয়ানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলস্বরূপ, ইতেওয়ানের পাণীয়ের ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন আসে। মদের দোকানের পরিবর্তে প্রচুর ক্যাফে, আধুনিক বার ব্যবসা শুরু হয়। যা সাধারণ কোরীয় ও অভিবাসীদের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়। বর্তমানে ইতেওয়ানের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে ভিন্ন সংস্কৃতির মহামিলনস্থল গাংনাম এবং ইতেওয়ান গ্লোবাল ভিলেজ ফেস্টিভ্যাল।[৮]

টীকা

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ