ইন্দোনেশিয়া-মেক্সিকো সম্পর্ক

ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকো রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

ইন্দোনেশিয়া-মেক্সিকো সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকো এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইন্দোনেশিয়া, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে মেক্সিকোকে নিজেদের কৌশলগত অংশীদার মনে করে। একইভাবে মেক্সিকো, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ইন্দোনেশিয়াকে তাদের কৌশলগত অংশীদার মনে করে।[১]

ইন্দোনেশিয়া-মেক্সিকো সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Mexico অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

মেক্সিকো

সম্প্রতি মেক্সিকো এশিয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আসিয়ান-এ ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি দেশটি, ইন্দোনেশিয়ার সাথে, অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের বিষয়ে চুক্তি সাক্ষরে আগ্রহী[২]উভয় রাষ্ট্রই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং বহুজাতিক সংগঠন, যেমন: এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপিইসি), ফোরাম অব ইস্ট এশিয়া-লাতিন আমেরিকা কো-অপারেশন, গ্রুপ অব ১৫, গ্রুপ অব ২০, জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) প্রভৃতি এর সদস্য।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মেক্সিকোর একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[৩] একইভাবে, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছ।[৪]

ইতিহাস

১৯৫৩ সালের ৬ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৫]অতি শীঘ্রই জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত মেক্সিকো দূতাবাসের নিকট, ইন্দোনেশিয়া বিষয়ক কার্যক্রমের দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয় এবং একই সাথে জাপানে নিযুক্ত মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে জাপানের পাশাপাশি, ইন্দোনেশিয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এই অবস্থা বিদ্যমান ছিল এবং ১৯৬১ সালে ইন্দোনেশিয়ায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপন করা হয়।[৫] ২০০৮ সালে এবং ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো রাষ্ট্রীয় সফরে মেক্সিকো যান। তবে ২০১২ সালে তিনি, মেক্সিকোর শহর লস কাবোস এ অনুষ্ঠিত ২০১২ এপিইসি সম্মেলনে যোগ দিতে মেক্সিকো যান।[৬][৭]

২০০৮ সালে ইয়ুধনোর সফরের সময়, দুই দেশ, শিক্ষা, কৃষি, বাণিজ্যের প্রসার এবং শক্তি সমন্বয় খাতে কয়েকটি চুক্তি সাক্ষর করে।

২০১৩ সালের মে মাসে, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এক রাষ্ট্রীয় সফরে মেক্সিকো যান। তার এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০ বছরপূর্তি উদ্‌যাপন। এই উপলক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়া এবং মেক্সিকোর ডাক বিভাগ যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। এই ডাকটিকিটে, মেক্সিকোর চিহ্ন হিসেবে জাতীয় পশু মেক্সিকান জাগুয়ার এবং ইন্দোনেশিয়ার চিহ্ন হিসেবে ইন্দোনেশিয়ান ক্লাউডেড লিওপার্ড ব্যবহার করা হয়।[৮]

রাষ্ট্রীয় সফর

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির মেক্সিকো সফর

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুশীলো বমবং ইউধোইয়োনোর, জি-২০ সম্মেলন, লস কাবোস; ২০১২

[৫][৯]

মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতির ইন্দোনেশিয়া সফর

মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি এনরিকে পেইয়া নিয়েতো, এপিইসি সম্মেলন, বালি; ২০১৩
  • রাষ্ট্রপতি অ্যাডলফো লোপেজ মাতেওস (১৯৬২)
  • রাষ্ট্রপতি কার্লোস স্যালিনাস ডি গোর্তারি (১৯৯৪)
  • রাষ্ট্রপতি এনরিকে পেইয়া নিয়েতো (২০১৩)

বাণিজ্য সম্পর্ক

২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১.৩ বিলিয়ন (১৩০ কোটি) মার্কিন ডলারের[১০]মেক্সিকোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো হল, টেক্সটাইল, রাবার, পাম তেল, সোনা প্রভৃতি। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ায় মেক্সিকোর প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, অ্যালুমিনিয়াম, রূপা, তামা, তুলা, ট্র্যাক্টর, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি।[২]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ