ইমেগো
জীববিদ্যায়, ইমেগো (ল্যাটিন ইমেজ শব্দ থেকে আগত যার অর্থ: চিত্র/ছবি) হলো একটি পতঙ্গের বৃদ্ধি ও বিকাশের সর্বশেষ ধাপ। পতঙ্গের জীবনকালে পরিপক্কতা পাওয়ার এই ধাপটি ইমেজিনাল দশা নামেও পরিচিত। এই দশায় কিট তার অপরিপক্ক অবস্থা থেকে পূর্ণ মোচন দশার মাদ্ধমে আত্মপ্রকাশ ঘটায়।[১]
কিছু পোকা, যেমন ঝিঁঝিঁ পোকা বা ঘাসফড়িং, তাদের রূপান্তর অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ, তারা শেষ পর্যায়ের নিম্ফ দশা থেকে সরাসরি পূর্ণ বয়সে পরিণত হয়। আর কিছু পোকা, যেমন প্রজাপতি বা মশা, তাদের রূপান্তর সম্পূর্ণ। তারা নিম্ফ দশা থেকে পিউপা পর্যায়ে যায়, তারপর পিউপা থেকে বের হয়ে পূর্ণ বয়সে পরিণত হয়। পিউপা থেকে বের হওয়ার পরে তাদের শেষ খোলস ছাড়ার কাজটি শেষ হয় এবং রূপান্তরও সম্পূর্ণ হয়। তবে কিছু পোকার পূর্ণ বয়সে পুরোপুরি পরিপক্ক হতে আরও কিছু সময় লাগে।[২]
ইমেগো হলো পোকার জীবনের শেষ পর্যায়, যেখানে তারা প্রজননের জন্য প্রস্তুত থাকে। ডানাওয়ালা পোকার ক্ষেত্রে, এই পর্যায়েই তাদের ডানা ঠিকমতো কাজ করে। সাধারণত আমরা এই ইমেগো পর্যায়কেই পোকারের পরিপক্ক অবস্থা বলি।[১]
মাছমাছি পোকা, যারা এফেমোপারটায়ার নামে পরিচিত, তাদের রূপান্তর একটু আলাদা। অন্যান্য অনেক পোকারের মতো তাদের পিউপা পর্যায় থাকে না। তবে, নিম্ফ দশা থেকে পূর্ণ বয়সে পরিণত হওয়ার আগে তারা একটি ছোট পর্যায় দিয়ে যায়, যাকে সাবইম্যাগো বলা হয়। এই পর্যায়ে তাদের ডানা থাকে এবং উড়তে পারে, কিন্তু তারা এখনও প্রজননের জন্য প্রস্তুত হয়নি।[১]
ল্যাটিন ভাষায় ইমেগো শব্দের বহুবচন হল ইমেজিনেস, এবং এটিই সাধারণত কীটতত্ত্ববিদরা ব্যবহার করেন। তবে, ইমেগোস শব্দটিও গ্রহণযোগ্য।[৩]