ঈসা গুহ
ঈসা গুহ (ইংরেজি: Isa Guha; জন্ম: ২১ মে, ১৯৮৫) তিনি একজন ইংলিশ ক্রিকেট ভাষ্যকার, টেলিভিশন এবং রেডিও ক্রিকেট সম্প্রচারক এবং ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার যিনি ২০০৫ বিশ্বকাপ এবং ২০০৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। [১] তবে ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ জয়েই তার ক্যারিয়ারের উল্লেখ যোগ্য ঘটনা।[২]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ঈসা তারা গুহ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হাই উইকম্বে, বাকিংহামশায়ার, ইংল্যান্ড | ২১ মে ১৯৮৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩৭) | ১৪ অগাস্ট ২০০২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জানুয়ারী ২০১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ১০ অগাস্ট ২০০১ বনাম স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২১ অক্টোবর ২০১১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮-৯৯ | থেমস উপত্যকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০–বর্তমান | বার্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: CricketArchive, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ |
শৈশবকাল
১৯৭০ সালে, ঈসার বাবা-মা কলকাতা থেকে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন [৩] এবং ঈসার জন্ম ইংল্যান্ডের হাই ওয়াইকম্বতে হয়েছিল। প্রায় চার বছর বয়স থেকে ঈসা তার বড় ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলেন [৩] এবং মাত্র তের বছর বয়সে 'ডেভলপমেন্ট ইংল্যান্ড' দলের হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৪] তার পড়াশুনো শুরু হয়েছিল উইকম্বে হাই স্কুলে, যা একটি রাষ্ট্র ব্যাকরণ স্কুল।[৫] তারপরে তিনি জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিজ্ঞানে স্নাতক হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ লন্ডন থেকে নিউরোসায়েন্সে এমফিল অর্জন করেন।[৬][৭]
খেলোয়াড়ী জীবন
২০০২ সালে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১৭ বছর বয়সে একজন ডান হাতের ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসাবে ঈসা টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন [৮] এবং তিনি এশিয়ার প্রথম মহিলা যিনি ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন।[৯]
পরবর্তীকালে, তিনি বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক স্পোর্টস পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ারের খেতাব পান।[১০] তিনি মোট ৪৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলাছিলেন, যার মধ্যে ২০০৪ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার সেরা বোলিং ছিল ১৪ রানে দিয়ে ৫ টি উইকেট।[১১] ২০০১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তিনি আইসিসি মহিলা ওয়ানডে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের একজন বোলার হিসাবে শীর্ষস্থানীয় স্থান পেয়েছিলেন। [উদ্ধৃতি প্রয়োজন] ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাউরালের, ব্র্যাডম্যান ওভালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার সপ্তম টেস্ট ম্যাচে, তার ক্যারিয়ার সেরা ৪০ রানে দিয়ে ৫ টি উইকেট নিয়েছিলেন, ম্যাচে মোট নয়টি উইকেট নিয়েছিলেন এবং ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের শিরপা জিতেছিলেন [১২] যার ফলে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ বজায় রাখার সক্ষম হয়েছিল।[১৩] ২০১২ সালে, মার্চ মাসে, ঈসা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা করেন, যদিও তিনি বলেছিলেন যে তিনি বার্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন। [১৪]
লিনসে অ্যাস্কিউয়ের সাথে ঈসার ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের নবম উইকেটের ৭৩ রানের বিশ্ব রেকর্ডের অংশীদার আজও অচূর্ণিত আছে।[১৫][১৬]
উদার দানশীলতা
ঈসা স্পোর্টিং ইকুয়ালস [১৭] এবং ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের [১৮][১৯] একজন রাষ্ট্রদূত (বা "সমর্থক")।[২০]
ব্যক্তিগত জীবন
২০১৮ সালের, সেপ্টেম্বরে, ঈসা তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক, ব্যান্ড ব্রাদার অ্যান্ড বোন্সের সংগীতশিল্পী, রিচার্ড থমাসকে বিয়ে করেন।[২১]