এনগেরুলমুদ
এনগেরুলমুদ (ইংরেজি: Ngerulmud) প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী। ২০০৬ সালে পালাউয়ের বৃহত্তম শহর কোরোর শহরের পরিবর্তে এনগেরুলমুদকে রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। শহরটি পালাউয়ের বৃহত্তম দ্বীপ বাবেলদাওবের মেলেকেওক রাজ্যে অবস্থিত। শহরটি কোরোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং মালেকেওক শহর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।[১]
এনগেরুলমুদ | |
---|---|
নগর | |
অন্যান্য প্রতিলিপি | |
• জাপানি | ンゲルルムッド |
মেলেকেওক রাজ্যে এনগেরুলমুদের অবস্থান | |
পালাউয়ে এনগেরুলমুদের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৭°৩০′২″ উত্তর ১৩৪°৩৭′২৭″ পূর্ব / ৭.৫০০৫৬° উত্তর ১৩৪.৬২৪১৭° পূর্ব | |
দেশ (রাষ্ট্র) | পালাউ |
অঙ্গরাজ্য | মেলেকেওক |
সময় অঞ্চল | পালাউ মান সময় (পামাস) (ইউটিসি+৯) |
জিপ কোড | 96939 |
আঞ্চলিক কোড | (+680) 654 |
ইতিহাস
অতীতে কোরোর শহর পালাউয়ের অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ভূমিকা পালন করছিল। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পালাউয়ের সংবিধানে পালাউয়ের জাতীয় কংগ্রেসকে ১০ বছরের মধ্যে বাবেলদাওব দ্বীপে একটি স্থায়ী রাজধানী প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়।[২] ১৯৮৬ সালে নতুন রাজধানীর পরিকল্পনা শুরু হয় এবং হাওয়াইয়ের একটি স্থপতি প্রতিষ্ঠানকে এটি নির্মাণের ঠিকাদারি দেওয়া হয়; তারা এর আগে মাইক্রোনেশিয়া রাজ্যের রাজধানী পালিকিরের ভবন ও স্থাপনাগুলি নির্মাণ করে দিয়েছিল। কিন্তু কাজের গতি ছিল ধীর, কেননা পালাউয়ে প্রকৌশলী ও স্থপতির অভাব তো ছিলই, বেশির ভাগ নির্মাণ সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।[৩]
কেবল ২০০০-এর দশকের শুরুতে এসে এনগেরুলমুদের নির্মাণকাজে প্রাণসঞ্চার হয়। এসময় পালাউ তাইওয়ানের কাছ থেকে ২ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ গ্রহণ করে। পালাউ তাইওয়ানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক মজবুত করার জন্য এই ঋণের ব্যবস্থা করা হয়।[৪] পালাউয়ের জাতীয় সংসদ বা আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, এর প্রতিটির জন্য আলাদা করে ভবন নির্মাণ করা হয়, যেগুলি একটি কেন্দ্রীয় উন্মুক্ত চত্বরের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত। সব মিলিয়ে ভবনসমষ্টিটি নির্মাণ করতে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হয়। ২০০৬ সালের ৭ই অক্টোবর উপস্থিত ৫ হাজার ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলি উদ্বোধন করা হয়।[৫] এর কিছুদিন পরে সরকারী কার্যালয়গুলি কোরোর থেকে এনগেরুলমুদে স্থানান্তর করা হয়।[৬]
ছবিতে এনগেরুলমুদ
- পালাউয়ের জাতীয় রাজধানী ভবনসমষ্টি
- নির্বাহী বিভাগের ভবননির্বাহী বিভাগের ভবন
- বিচার বিভাগের ভবনবিচার বিভাগের ভবন
- সংসদ ভবনসংসদ ভবন
- স্থাপত্যের খুঁটিনাটি, পেছনে প্রশান্ত মহাসাগর দেখা যাচ্ছে।স্থাপত্যের খুঁটিনাটি, পেছনে প্রশান্ত মহাসাগর দেখা যাচ্ছে।
আরও দেখুন
- পরিকল্পনামাফিক নির্মিত জাতীয় রাজধানীসমূহের তালিকা