গজঃমদ
গজঃমদ (প্রায় ১২৯০ – প্রায় ১৩৬৪), বা জীর্ণোদ্ধার নামেও পরিচিত[৩], পুরানো জাভানীয় পাণ্ডুলিপি, কবিতা এবং শিলালিপি অনুসারে, ১৪ শতকের মজপহিতের জাভানীয় সাম্রাজ্যের একজন শক্তিশালী সামরিক নেতা এবং মহাপতি (একজন আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর আনুমানিক সমতুল্য) ছিলেন। মজপহিৎ সাম্রাজ্যকে গৌরবের শিখরে নিয়ে আসার কৃতিত্ব তাঁর।[৪]
গজঃমদ ꦓꦗꦃꦩꦢ মহাপতিঃ | |
---|---|
মহাপতিঃ মজপহিৎ সাম্রাজ্য-র | |
কাজের মেয়াদ ১৩৩১[১] – টেমপ্লেট:শেষ তারিখ | |
সার্বভৌম শাসক | জয়নগর রাজা ত্রিভুবন বিজয়তুঙ্গদেবী হয়ম্বুরুক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | প্রায় ১২৯০ |
মৃত্যু | প্রায় ১৩৬৪ |
ধর্ম | শিব-বৌদ্ধধর্ম[২][Note ১] |
সামরিক পরিষেবা | |
যুদ্ধ | সাদেং বিদ্রোহ রা কুটি বিদ্রোহ বেদাহুলু যুদ্ধ বুবাতের যুদ্ধ পাডম্পো[Note ২] |
তিনি সুম্পাহ পালাপা নামে একটি শপথ প্রদান করেন, যেখানে তিনি মাজাপাহিতের জন্য নূসান্তরের সমস্ত দক্ষিণ- পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জ জয় না করা পর্যন্ত একটি তপস্বী জীবনধারা (মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ না করে) বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।[৫] তার শাসনামলে, রামায়ণ এবং মহাভারত সহ হিন্দু মহাকাব্যগুলি জাভানীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্বদর্শনে ওয়েয়াঙ্ কুলিৎ ("চামড়ার পুতুল") শিল্পকলা প্রদর্শন করার মাধ্যমে নিবিষ্ট হয়ে ওঠে।[৬] আধুনিক ইন্দোনেশিয়ায় তাকে একজন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়,[৭] সেইসাথে তিনি দেশপ্রেম ও জাতীয় ঐক্যেরও প্রতীক। তার জীবন, রাজনৈতিক কর্মজীবন, এবং প্রশাসনের ঐতিহাসিক বিবরণ বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে, প্রধানত পররাতন ("রাজাদের পুস্তক"), নগরকৃতাগম (একটি জাভাই-ভাষার প্রশংসামূলক রচনা), এবং ১৪ শতকের মাঝামাঝি থেকে একটি শিলালিপি থেকে।