গামা রশ্মি

তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ

গামা রশ্মি বা গামা বিকিরণ (প্রতীক γ) একপ্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। ইহা বিভিন্ন সাব-এটমিক কণার মিথষ্ক্রিয়া, যেমন ইলেক্ট্রন-পজিট্রন অবলুপ্ত প্রক্রিয়া, পাইয়ন অবক্ষয়,তেজস্ক্রিয় অবক্ষয়, ফিউশন বিক্রিয়া, ফিশন বিক্রিয়া, বিপরীত কম্পটন বিচ্ছুরণ ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি হয়। গামা রশ্মির কম্পাংক সাধারণত ১০১৯ হার্জের উপরে, তাই এর শক্তি ১০০ কিলো ইলেকট্রন-ভোল্ট উপরে এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ পিকোমিটার বা ০.০১ ন্যানোমিটার এর থেকে ছোট, যা প্রায়শ অণুর আয়তনের তুলনায় অনেক ছোট। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিসর ০.০০০৫ ন্যানোমিটার - ০.০১ ন্যানোমিটার। ফরাসি রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী পল ভিলার্ড ১৯০০ সালে রেডিয়াম বিকিরণ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় গামা রশ্মি আবিষ্কার করেন। ইতঃপূর্বে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আলফা রশ্মি এবং বিটা রশ্মি নামের দুই প্রকার বিকিরণ ১৮৯৯ এবং ১৯০৩ সালে আবিষ্কার কারেন। রাদারফোর্ড ভিলার্ডের এই নতুন আবিষ্কৃত বিকিরণের নাম দেন গামা রশ্মি।

শিল্পীর কল্পনায় একটি পারমাণবিক নিউক্লিয়াস থেকে গামা বিকিরণ।

জীবদেহে প্রভাব

গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক থাকার কারণে এটা জীবদেহের ভেতরে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে (যেমন: বিকিরণজনিত অসুস্থতা, ক্যান্সার ইত্যাদি)।

ব্যবহার

চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে গামা রশ্মির নানাবিধ ব্যবহার আছে। সিটি স্ক্যান, রেডিও থেরাপি, ক্যান্সার চিকিৎসায় গামা রশ্মি/ রঞ্জন রশ্মি ব্যবহৃত হয়।

আরোও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ