গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যান

গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যান মালয়েশিয়ার সারাওয়াকের বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান।[৩] ৫২,৮৬৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই উদ্যানটি ইউনেস্কোর অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান যা এর কার্স্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।[৪][৫]

গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যান
দূর থেকে মুলু পর্বতের দৃশ্য
মানচিত্র গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
মানচিত্র গুনুং মুলু জাতীয় উদ্যানের অবস্থান দেখাচ্ছে
Gunung Mulu
অবস্থানমারুদি জেলা, মিরি বিভাগ, সারাওয়াক, মালয়েশিয়া
আয়তন৫২৮.৬৪ বর্গকিলোমিটার (২০৪.১১ বর্গমাইল)
স্থাপিত১৯৭৪
পরিচালক
  • সারাওয়াক ফরেস্ট্রি কর্পোরেশন[১]
  • Borsarmulu Park Management Sdn Bhd[২]
ওয়েবসাইটmulupark.com
প্রাতিষ্ঠানিক নামগুনুং মুলু জাতীয় উদ্যান
ধরনপ্রাকৃতিক
মানকvii, viii, ix, x
অন্তর্ভুক্তির তারিখ2000 (24th session)
রেফারেন্স নং1013
রাষ্ট্রমালয়েশিয়া
অঞ্চলএশিয়া-প্রশান্ত

ইতিহাস

১৯৭৪ সালে মুলু পর্বত ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলোকে সারাওয়াক সরকার জাতীয় উদ্যান হিসেবে উল্লেখপূর্বক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। ১৯৭৮ সালে রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি মুলু জাতীয় উদ্যানে একটি অভিযাত্রী দল প্রেরণের আয়োজন করে। অভিযানটি ১৫ মাসব্যাপী স্থায়ী হয় এবং এতে ৫০ কিলোমিটার গুহা আবিষ্কার করা হয়েছিল। তখন মুলুতে কোন বিমানবন্দর এবং কোন প্রবেশ পথ পাওয়া যায়নি। তাই লং পালাতে একটি বেস ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল।[৬]

ভূগোল

উদ্যানটিতে তিনটি পর্বতই সবচেয়ে লক্ষ্যণীয়: মুলু পর্বত (২,৩৭৬ মিটার), অপি পর্বত (১,৭৫০ মিটার) এবং বানারাত পর্বত (১,৮৫৮ মিটার)।[৭] এগুলোর মধ্যে মুলু পর্বত বালুপাথর-বিশিষ্ট এবং আপি ও বানারাত পর্বতমালা চুনাপাথর-বিশিষ্ট।[৮][৯] জাতীয় উদ্যানে তিনটি উল্লেখযোগ্য গুহা রয়েছে: সারাওয়াক চেম্বার, ডীর গুহা এবং ক্লিয়ারওয়াটার গুহা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দীর্ঘতম গুহা প্রণালী)।[১০] চেম্বারটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভূগর্ভস্থ কক্ষ যা ৭০০ মিটার (২,৩০০ ফুট) লম্বা, ৩৯৬ মিটার (১,২৯৯ ফুট) চওড়া এবং কমপক্ষে ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) উঁচু। ডীর গুহা বিশ্বের বৃহত্তম গুহাগুলির মধ্যে একটি।

আবহাওয়া

মুলু জাতীয় উদ্যানের জলবায়ু উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (ডিসেম্বর থেকে মার্চ) এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (মে থেকে অক্টোবর) দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাগানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪,০০০ মিলিমিটার (১৬০ ইঞ্চি) থেকে ৫,০০০ মিলিমিটার (২০০ ইঞ্চি) পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।

উদ্ভিদ ও প্রাণী

উদ্যানটিতে ৮ টি বিভিন্ন ধরনের জঙ্গল রয়েছে এবং ৫২,৮৬৪ হেক্টরজুড়ে সতেরোটি বৃক্ষাঞ্চল রয়েছে, যাতে প্রায় ৩,৫০০ প্রজাতির ভাস্কুলার উদ্ভিদের বসবাস। মুলুর বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ৭৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৬২ প্রজাতির পাখি, ২৫ প্রজাতির সাপ, ৭৪ প্রজাতির ব্যাঙ, ৪৭ প্রজাতির মাছ, ২৮১ প্রজাতির প্রজাপতি এবং ৪৫৮ প্রজাতির পিঁপড়ে।[১১]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ