জাখসেন-আনহাল্ট

জাখসেন-আনহাল্ট[টীকা ১] (জার্মান: Sachsen-Anhalt, উচ্চারণ [ˌzaksn̩ ˈanhalt][২]) জার্মানির ষোলটি রাজ্যের একটি। এই রাজ্যের সীমানায় রয়েছে নিডারজাখসেন, ব্র্যান্ডেনবুর্গ, জাখসেন এবং থুরিনগিয়া। জাখসেন-আনহাল্টের রাজধানী মাগডেবুর্গ। রাজ্যটির আয়তন ২০,৪৪৭.৭ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২.৩৪ মিলিয়ন।

জাখসেন-আনহাল্ট
Sachsen-Anhalt (German)
জার্মানির রাজ্য
জাখসেন-আনহাল্টের পতাকা
পতাকা
জাখসেন-আনহাল্টের প্রতীক
প্রতীক
স্থানাঙ্ক: ৫১°৫৮′১৬″ উত্তর ১১°২৮′১২″ পূর্ব / ৫১.৯৭১১১° উত্তর ১১.৪৭০০০° পূর্ব / 51.97111; 11.47000
দেশ জার্মানি
রাজধানীমাগডেবুর্গ
সরকার
 • Minister-Presidentরাইনার হাসেলোফ (CDU)
 • শাসক দলসমূহCDU / SPD
 • বুনডেসরাটে ভোট4 (of 69)
আয়তন
 • মোট২০,৪৪৭.৭ বর্গকিমি (৭,৮৯৪.৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2011-12-31)[১]
 • মোট২৩,১৩,২৮০
 • জনঘনত্ব১১০/বর্গকিমি (২৯০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইডিটি (ইউটিসি+২)
আইএসও ৩১৬৬ কোডDE-ST
জিডিপি/নামমাত্র€ 52.16 বিলিয়ন (2010) [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাদাম অঞ্চলDEE
ওয়েবসাইটsachsen-anhalt.de

অর্থনীতি

জাখসেন-আনহাল্ট জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের (জিডিআর) অন্তর্গত ছিল। কমিউনিজমের পতন এবং ১৯৯০ সালের জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পরে সাবেক জিডিআর রাজ্যগুলির শিল্পের ধ্বংস হয়। এতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। ২০০০ সালে জাখসেন-আনহাল্টে বেকারত্ব জার্মান রাজ্যসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (২০.২%) ছিল।[৩]

তবে পরবর্তিতে এ অবস্থা থেকে জাখসেন-আনহাল্টের অর্থনীতিকে সফলভাবে আধুনিক বাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯০ পরবর্তি সময়ে রাজ্যটিতে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়। ফলে এখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় অনেক ব্যবসায়িক উদ্যোগের ফলে রাজ্যটির বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হয়। ১৯৯৫ সালের এখানকার শিল্প-অর্থনীতি ১৩ শতাংশ আন্তর্জাতিক আয় থেকে ২০০৮ সালে ২৬ শতাংশ আয়ে উন্নতি অর্জন করে।[৪] এছাড়া বেকারত্ব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। ২০১০ সালে জাখসেন-আনহাল্টের জিডিপি ১৯৯১ সালের জিডিপির তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি ছিল।[৫]

জাখসেন-আনহাল্টের এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে জার্মানির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবদান থাকলেও রাজ্য হিসেবে জাখসেন-আনহাল্ট দেশটির অন্যান্য রাজ্যের চেয়েও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভাল প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বেকারত্ব হ্রাসের ক্ষেত্রে রাজ্যটি জার্মানির রাজধানী ও রাজ্য বার্লিন, মেকলেনবুর্গ-ভোপোমান এবং ব্রেমেনের চেয়ে বেশি উন্নতি লাভ করেছে।[৬]

জাখসেন-আনহাল্টের রাসায়নিক শিল্পে প্রায় ২৫৫০০ মানুষ নিয়োজিত। ২০১০ সালে রাসায়নিক শিল্পসংশ্লিষ্ট ২১৪টি কারখানা ছিল।[৭] বিটারফেল্ড-ভোলফানের এসব কারখানা ও প্লান্টের অনেকগুলি অবস্থিত। পূর্ব জার্মানির অন্য যেকোন রাজ্যের চেয়ে বর্তমানে জাখসেন-আনহাল্টের বৈদেশিক বিনিয়োগ বেশি।

টীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ