জোসেফ স্কুলিং
জোসেফ আইজ্যাক স্কুলিং (ইংরেজি: Joseph Schooling; জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৯৫) বিশিষ্ট সিঙ্গাপুরী সাঁতারু। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের সাঁতারের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে স্বর্ণপদক জয় করে বিস্ময়ের জন্ম দেন। এরফলে সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড গড়েন জোসেফ স্কুলিং।[১] এ বিষয়ে তিনি ৫০.৩৯ সেকেন্ড সময় নেন যা একাধারে অলিম্পিক, এশীয় ও জাতীয় রেকর্ডবিশেষ।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জোসেফ আইজ্যাক স্কুলিং | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | সিঙ্গাপুর | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সিঙ্গাপুর | ১৬ জুন ১৯৯৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওজন | ৭৪ কেজি (১৬৩ পা) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | সাঁতার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ধরন | বাটারফ্লাই, ফ্রিস্টাইল, মিডলে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কলেজ দল | টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
প্রারম্ভিক জীবন
জোসেফ স্কুলিং তৃতীয় প্রজন্মের সিঙ্গাপুরী।[২] তিনি ইউরেশীয় বংশোদ্ভূত।[৩] মে এবং কলিন স্কুলিং দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি।[৩] মে চীনা মালয়েশীয় বংশোদ্ভূত এবং সিঙ্গাপুরের স্থায়ী অধিবাসী। পূর্বে তিনি মালয়েশীয় রাজ্য পেরাকের পক্ষে টেনিসে প্রতিনিধিত্ব করেন।[৪] অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণকারী কলিন ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত। র্যাফলস ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেন ও হার্ডলার এবং ওয়াটারপোলোতে দক্ষ।[৪] তিনি সফটবলে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার গ্র্যান্ড আঙ্কেল লয়েড ভালবার্গ সিঙ্গাপুরের প্রথম অলিম্পিয়ান হিসেবে ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ নেন।[৪] জোসেফ স্কুলিংও সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানেই শৈশবকাল অতিবাহিত করেন।[২]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোলস স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। ঐ স্কুলেই সাঁতারে প্রশিক্ষণ নেন যা সাঁতার শেখার আদর্শ প্রতিষ্ঠান। অ্যাংলো-চীনা স্কুলে অধ্যয়ন শেষে বর্তমানে অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। সেখানে তিনি টেক্সাস লংহর্নস সাঁতার দলের সদস্য হন। এ দলটি কলেজ পর্যায়ের সাঁতার পরিকল্পনার আওতায় অন্যতম শীর্ষ দল হিসেবে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরুষ অলিম্পিক দলের দুইবারের প্রধান কোচ এডি রিজের তত্ত্বাবধানে এ পরিকল্পনাটি পরিচালিত হচ্ছে। [৫][৬]
খেলোয়াড়ী জীবন
স্কুলিং ২০১৫ সালের বিশ্ব অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশীপে ২৩.২৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ৫০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে এশীয় ও জাতীয় রেকর্ডের অধিকারী।[৭] ২০১১ সালের সী গেমসে ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে জয়লাভের ফলে প্রথমবারের মতো ২০১২ সালের অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।[৮]
যখন তার বয়স ১৩ ছিল, তখন মার্কিন সাঁতার দল বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরে প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে। সেখানেই মাইকেল ফেলপসের সাথে তার স্বাক্ষাৎ হয় যা তাকে পরবর্তীকালে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলতে ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করে।[৯] পরবর্তীতে তাকেই তিনি ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে পরাজিত করে স্বর্ণ লাভের মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা প্রদর্শন করেন।[১০][১১]