ডমিনো তত্ত্ব

আন্তর্জাতিক সম্পর্কে 'ডমিনো তত্ত্ব' বহুল প্রচলিত একটা তত্ত্ব। যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চাশের দশকে প্রথমবারের মতো এই তত্ত্বের কথা প্রচার করেছিল। পঞ্চাশের দশকে ইন্দোচীনে যখন সমাজতন্ত্রীরা একের পর এক রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন হচ্ছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র এই 'ডমিনো তত্ত্ব'র কথা প্রচার করেছিল।এর উদ্দেশ্য ছিল একটাই, সমাজতন্ত্রীদের ঠেকাতে সামরিক হস্তক্ষেপ। ডমিনো তত্ত্বে বলা হয়েছে, কোনো একটি রাষ্ট্রে যদি সমাজতন্ত্রীরা ক্ষমতাসীন হয়, তাহলে পাশের রাষ্ট্রটিও সমাজতন্ত্রীদের দখলে চলে যাবে। অনেকগুলো তাস যদি দাঁড় করিয়ে রাখা যায়, একটিকে টোকা দিয়ে ফেলে দিলে এক এক করে পাশের তাসগুলোও পড়ে যাবে। এটাই হচ্ছে ডমিনো তত্ত্বের মূল কথা। এর অর্থ পরিষ্কার, সমাজতন্ত্রের প্রসার ঠেকাও! ভিয়েতনাম যুদ্ধ(১৯৫৫-১৯৭৫) এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময়ও যুক্তরাষ্ট্র এই ডমিনো তত্ত্ব প্রয়োগ করেছিল।

ডোমিনো তত্ত্বের একটি উদাহরণ যেমনটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ১৯৫৪ সালের ৭ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্দোচিনে কমিউনিজমের কথা উল্লেখ করার সময় তত্ত্বটি বর্ণনা করেছিলেন:

অবশেষে, আপনার বিস্তৃত বিবেচনার বিষয় রয়েছে যা আপনি "পতনশীল ডমিনো" নীতিটিকে অনুসরণ করতে পারেন। আপনার কাছে ডোমিনোদের একটি সারি রয়েছে, আপনি প্রথমটির উপর চাপ দিচ্ছেন এবং শেষটির কী হবে তা নিশ্চিত যে এটি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং আপনি একটি বিচ্ছেদের সূচনা করতে পারেন যার সবচেয়ে গভীর প্রভাব থাকবে।[১]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ