তৈগা

তাইগা পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল। উত্তর আমেরিকায়, তাইগা কানাডার এবং আলাস্কার ভূপৃষ্ঠজুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর অংশেও তাইগা বনাঞ্চল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটি নর্থউড নামে পরিচিত। তাইগা সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ের উত্তরাংশ, রাশিয়ার সাইবেরিয়া, কাজাখস্থানের উত্তরাংশ, মঙ্গোলিয়ার উত্তরাংশ এবং জাপানের উত্তরাংশ জুড়েও বিস্তৃত। পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ বৃক্ষ তাইগা বনাঞ্চলে রয়েছে।[১]

আলাস্কাতে তাইগা বনাঞ্চল

জলবায়ু ও ভূগোল

তাইগার অধিকাংশ অঞ্চল রাশিয়া ও কানাডাতে অবস্থিত। বিশ্বের বনাঞ্চলসমূহের মধ্যে তাইগার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন। শীতকালে তাইগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুন্দ্রা অঞ্চলের তাপমাত্রারও নিচে নামে। রাশিয়ার উত্তরাংশে তাইগা বনাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধারণ করা হয়েছে। এই বনাঞ্চলের সুমেরুবৃত্তীয় জলবায়ু রয়েছে, তবে ঋতুভেদে এখানে তাপমাত্রার পার্থক্য অনেক বেশি। তাইগা শীতপ্রধান অঞ্চল। এখানে গ্রীষ্ম এক থেকে তিন মাসের মত অবস্থান করে। তবে কখনোই চার মাসের বেশি স্থায়ী হয় না। সাধারণত তাপমাত্রা -৫ °C থেকে ৫°C এর মধ্যে থাকে।[২] তবে সাইবেরিয়ার পূর্বে ও আলাস্কার মধ্যাঞ্চলে তাইগা বনাঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা -১০°C এ পৌছে।[৩][৪] তাইগা বনাঞ্চলে বৃষ্টি ও তুষারপাত তুলনামূলকভাবে কম। এখানে বার্ষিক ২০০-৭৫০ মিলিমিটার বর্ষণ হয়ে থাকে। তবে কোথাও কোথাও এর পরিমাণ ১০০০ মিমি। গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি এবং শীতকালে তুষার এবং কুয়াশা পড়ে। নিম্নাঞ্চলের দিকে কুয়াশার পরিমাণ বেশি। গ্রীষ্মের সময়েও তাইগাতে সূর্যরশ্মির তীব্রতা খুব বেশ হয় না। বছরের অধিকাংশ সময় বাষ্পীভবনের পরিমাণ খুব কম, ফলে বর্ষণের পরিমাণ বাষ্পীভবনের চেয়েও বেশি হয়। ফলে এখানে উদ্ভিদ প্রচুর পরিমাণে জন্মে। তাইগার উত্তরাঞ্চলে তুষার মাটিতে নয় মাস পর্যন্ত থাকে।[৫]

মাটি

তাইগার মাটি তুলনামূলকভাবে কম পুষ্টিসমৃদ্ধ। বিষুবীয় অঞ্চলের বনসমূহে যেরকম উর্বর, পুষ্টিসমৃদ্ধ মাটি থাকে, তাইগাতে সেরকম মাটি নেই। এর প্রধান কারণ এখানকার শীতপ্রধান জলবায়ু, যা উদ্ভিদের বর্ধনকে বাধাপ্রাপ্ত করে এবং উদ্ভিদের মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে। ঝরা পাতা এবং শৈবাল তাইগার মাটিতে দীর্ঘকাল পড়ে থাকে, ফলে তা মাটিতে শোষিত হতে পারে না এবং জৈবিক অবদান রাখতে পারে না। এসিড এবং অন্যান্য উপাদানও একইভাবে মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শোষিত হয় না।[৬] পাইন গাছের পাতা অত্যধিক পরিমাণে এখানে মাটিতে পড়ে থাকে, একারণে মাটি অম্লীয় হয়। তাই মাটিতে শুধু ছত্রাক এবং শৈবাল জন্মে। তবে বনের যেখানে গাছপালার পরিমাণ বেশি এবং উদ্ভিদের বৈচিত্র্য রয়েছে, সেখানে তৃণগুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের প্রাপ্যতা বেশি।[৭]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ