থাইল্যান্ডের পরিবহন ব্যবস্থা

থাইল্যান্ডে কোন একক প্রভাবশালি পরিবহনের অস্তিত্ব না থাকার দরুন এখানের পরিবহন ব্যবস্থা একইসাথে বৈচিত্র্যময় ও বিশৃঙ্খল। সাধারণত দূরবর্তী যাত্রার জন্য বাস অধিক ব্যবহার করা হয়, এবং গ্রামীণ দূরবর্তী যাত্রার জন্য কম গতি সম্পন্ন রেল যাত্রা এর ব্যবহার হয়ে থাকে যদিও উচ্চ গতি সম্পন্ন রেল লাইন এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের বৃহত্তর অঞ্চলগুলোকে এই আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, স্বাভাবিকভাবে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাই মালবাহী পরিবহনের প্রাথমিক মাধ্যম এই দেশে।

ছোট যাত্রার জন্য মোটর বাইক এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। ব্যাংকক, পাতায়া ও অন্যান্য বড় শহরে পাবলিক মোটর সাইকেল ট্যাক্সি এর ব্যবস্থা আছে, এছারাও ব্যাংককে অধিক পরিমান হলুদ ট্যাক্সির প্রচলন লক্ষণীয়। যখন ১৯৯০ সালে ব্যাংককে প্রথম দ্রুত রেল ট্রান্সিট লাইন চালু করা হয়, তখন থেকেই ব্যাংককের বিভিন্ন ট্রান্সিট লাইনে দৈনিক যাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এবং তা ৮০০,০০০ অতিক্রম করেছে, যার ফলে নতুন বহুমুখী ট্রান্সিট লাইনের কাজ ইতিমদ্ধে শুরু হয়েছে অথবা প্রস্তাবিত অবস্থায় আছে।

অতি সম্প্রতি ব্যক্তিগত মোটরগাড়ির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত পর্যটক, উচ্চবিত্ত ও প্রগতিশীল মধ্যবিত্তদের মধ্যে, যা গত দুই যুগ ধরে ব্যাংককের দুর্দমনীয় ট্রাফিক জ্যাম এর অন্যতম কারণ। থাইল্যান্ড জুড়ে একটি মোটর পথ নেটওয়ার্ক ধীরে ধীরে তৈরি করা হয়েছে, যা মুলত ব্যাংকক ও কেন্দ্রীয় থাইল্যান্ডকে আবৃত করবে।

থাই এয়ার এশিয়া ও নক এয়ার এর মত সুলভ মূল্যের পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান সেবা সম্প্রসারণের জন্য ২০১০ সাল থেকে দেশীয় আকাশ পরিবহন ব্যবস্থা জনপ্রিয়তার মুখ দেখছে, যা মুলত আগে গুটিকয়েক আকাশ পরিবহন প্রতিষ্ঠানের দখলে ছিল।

ব্যাংকক ও থাইল্যান্ডের অন্যান্য শহরে যানবাহন হিসেবে টুকটুক অন্যতম

গ্রামীণ এলাকায় সাধারনত পরিচালনাসাধ্য নদীপথে জলযান সেবা দেখা যায়, এছাড়া টুক-টুক, ভানপুল, শংঠেও, এমনকি হাতির মত উদ্ভাবনশীল যোগাযোগ মাধ্যম এর ব্যাপক প্রসার লক্ষ্য করা যায়।

রেল পরিবহন

হুয়া লাম্পং রেল স্টেশন
হুয়া লাম্পং রেল স্টেশন এ দ্বিতীয় শ্রেণীর গুমন্ত কোচ
মও চিট বি,টি,এস স্টেশন এ ব্যাংকক স্কাই ট্রেন এর বহির্ভাগ
সি লম এম,আর,টি স্টেশনে ব্যাংকক মেট্রো

থাইল্যান্ডের সকল জাতীয় রেল লাইন পরিচালনার ভার থাইল্যান্ড স্টেট রেলপথ (এস,আর,টি) এর । ব্যাংকক রেলওয়ে স্টেশন (হুয়া ল্যামপং স্টেশন) হচ্ছে সকল রেলপথের প্রধান টারমিনাস । পাওনিওথিন এবং আই,সি,ডি লাট ক্রাবাং হচ্ছে দুটো প্রধান মালবাহী রেললাইনের প্রান্তিক স্টেশন।

২০১৭ সাল পর্যন্ত, এস,আর,টি (স্টেট রেলওয়ে অফ থাইল্যান্ড) এর ৪৫০৭ কি,মি (২৮০১ মাইল) পর্যন্ত পথ ছিল যা পুরোটাই ছিল মিটার গজ শুধু এয়ারপোর্ট লিঙ্ক রোড ছাড়া, যার মধ্যে বেশিরভাগটাই (প্রায় ৪০৯৭ কি,মি) ছিল এক লেন বিশিষ্ট রাস্তা, যদিও ব্যাংককের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দুই কিংবা তিন লেনের রাস্তা দেখা যায় তবে তা যথাক্রমে ৩০৩ কি,মি এবং ১০৭ কি,মি এর বেশি নয়, তবে এগুলি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে।[১] তুলনামুলকভাবে মোট থাইল্যান্ডে ৩৯০,০০০ কি,মি (প্রায়) রাজপথ আছে।[২]

থাইল্যান্ডের জনগণ দীর্ঘদিন যাবত এস,আর,টি কে অযোগ্য এবং পরিবর্তন বিরোধী সত্তা হিসেবে চিনে আসছে, রেল অনেক সময়েই বিলম্বিত হয়, এর প্রায় সব যন্ত্রাংশ পুরানো এবং অকেজো। রাষ্ট্রায়ত্ত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এস,আর,টি কে সব থেকে অর্থনীতিকভাবে বাজে সত্তা বলে গণ্য করা হয়, কারণ এটি ববৃহৎ আকারের বিনিয়োগ এবং সরকারী বরাদ্দ সত্ত্বেও ক্রমাগত লোকসান করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে শুধুমাত্র ২০১০ সালেই অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি ৭.৫৮ বিলিয়ন ভাট লোকসান করেছে।[৩] ২০০০ সালের থেকে  এস,আর, টি এর ব্যক্তি-মালিকানাধীনকরন ও পুনর্গঠনের সরকারী প্রয়াস বারংবার ইউনিয়নের শক্ত প্রতিবাদের মুখে পড়েছে এবং এখন পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পায়নি।[৪][৫]

পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য দুটি কার্যকর রেল লাইন আছে। মালয়শিয়া যাবার রেল লাইন ও লাওস জাবার রেল লাইন একই ১০০০ মি,মি এর গজ ব্যবহার করে থাকে যা মেকং নদীর অপর থাই-লাও ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ অপর দিয়ে চলাচল করে, কেম্বডিয়ার সাথে রেল লাইনটি বর্তমানে কাজ চলছে বিধায় ব্যবহার হচ্ছে না, অন্যদিকে মায়ানমার এর সাথে রেল লাইনটি অকার্যকর অবস্থায় আছে (দেখুন মরা রেলওয়ে)। একটি নির্ধারিত বর্ধিতাংশ পুরনো পথের পুনঃ সংস্করন করবে[৬] এবং ২০১১ সালে কাঞ্ছনবুড়ি থেকে দাওেই নদীবন্দর পর্যন্ত একটি লাইন প্রস্তাবাকারে আনিত হয়।

ব্যাংককের রেল পরিবহনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে দূরবর্তী-সেবা, ডেইলি কমিউটার ট্রেন যা ভীরের সময় শহরের প্রান্তিক যোগাযোগ রক্ষা করে, যদিও যাত্রীদের সংখ্যা অতি নগণ্য, এছাড়া রাজধানিতে তিনটি র‍্যাপিড ট্রান্সিট রেল সিস্টেম আছে।

রেল র‍্যাপিড ট্রান্সিট সিস্টেম

ব্যাংকক মেট্রোপলিটান অঞ্চল

৩ টি রেল র‍্যাপিড ট্রান্সিট সিস্টেম ব্যাংকককে সেবা দিয়ে থাকে;

  • এম, আর, টি (দুই লাইন সংবলিত)
  • ব্যাংকক স্কাই ট্রেন অথবা বি,টি,এস (দুই লাইন সংবলিত)
  • সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট লিঙ্ক অথবা এ, আর, এল (এক লাইন সংবলিত)

খন কায়েন

২০১৬ সালের মার্চ মাসে, থাই সরকার প্রথমবারের মত খন কায়েন প্রদেশে বেসরকারি উদ্যোগে এল,টি,আর প্রকল্প করার অনুমোদন প্রদান করে, প্রকল্পের প্রথম দফায় ছিল ২৬ কি,মি উত্তর-দক্ষিণ রোড, যা পূর্বে একটি বাস-র‍্যাপিড ট্রান্সিট পথ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকত, উল্লেখ্য যে ট্রান্সপোর্ট এন্ড ট্র্যাফিক পলিসি অফিস একটি ৮ মাসের শিক্ষা প্রকল্প, খন কায়েন বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য হাতে নিয়েছে যার জন্য ৩৮ মিলিয়ন ভাট বরাদ্দ রেখেছে, উক্ত প্রকল্পে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (খন কায়েন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক) প্রধান বিনিয়োগকারী এবং নেটওয়ার্কের অপারেশনের জন্য দায়ী থাকবে। এই প্রকল্পটি ২০১৭ সালের প্রথম দিকে শুরু হওার কথা এবং ১-২ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা, এজন্য প্রথম ভাগের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ভাট।[৭]

অন্যান্য প্রদেশ

অন্যান্য আরও কয়েকটি র‍্যাপিড ট্রান্সিট সিস্টেমএর প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু ২০১৭ সাল অব্ধি অনুমোদন দেয়া হয়নি, যেমন চিয়াং মাই মনোরেল, পাত্তায়া এল,টি,আর এবং হাট ইয়াই মনোরেল।

সড়ক পরিবহন

থাইল্যান্ডের প্রায় ৩৯০,০০০ কি,মি  রাজপথ আছে বলে জানা যায়[২], বি,বি,সি অনুযায়ী থাইল্যান্ডের ৪৬২,১৩৩ সড়ক এবং  অনেক বহু-লেন রাজপথ আছে।২০১৭ সাল নাগাদ থাইল্যান্ডের ৩৭ মিলিয়ন তালিকাভুক্ত পরিবহন আছে, যার ২০ মিলিয়ন দুই বা তিন চাকার মোটর বাইক, এছাড়া মিলিয়ন মিলিয়ন যানবাহন আছে যা সরকারী তালিকা ভুক্ত নয়।[৮] অধিকন্তু ১ মিলিয়ন ভারী মালগাড়ী, ১৫৮,০০০ বাস, ৬২৪,০০০ অন্যান্য যানবাহন আছে।[৯] ২০১৯ এর মধ্য নাগাদ থাইল্যান্ডে তালিকাভুক্ত যানবাহনের পরিমান ৪০,১৯০,৩২৮ বেড়ে গিয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশই (২১,০৫১,৯৭৭) মোটরবাইক, এবং সাত আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত মোটরগাড়ির সংখ্যা ৯,৭১৩,৯৮০ টি।[১০]

ব্যাংককের বাস সেবার মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বি,এম,টি,এ বাস অন্যতম

সড়ক নিরাপত্তা

সাথন টরমিনাস এ ব্যাংকক বি,আর,টি বাস
ব্যাংকক এক্সপ্রেসওয়ে সিস্টেম এর একটি ম্যাপ

আরও দেখুনঃ থাইল্যান্ডে বাৎসরিক মোটরগাড়িতে মৃত্যুর তালিকা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক নিরাপদ সড়কের প্রতিবেদন ২০১৮, অনুযায়ী ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে আনুমানিক সড়ক দুর্ঘটনার হার প্রতি ১০০,০০০ মানুষে ৩২.৭ টি (সকল যানবাহন)। সড়ক দুর্ঘটনার দিক দিয়ে থাইল্যান্ডকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আছে লাইবেরিয়া; সেইন্ট লুসিয়া (জনসংখ্যা ১৭৮,০০০); বুরুন্ডি; জিম্বাবুয়ে; ডোমিনিকান রিপাবলিক; ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ভেনিজুয়েলা এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক[৯]

২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে মোটর চালিত দুই বা তিন চাকা চালিত মোটরবাইকের যাত্রী ও চালকের মৃত্যুহার  পৃথিবীতে সব থেকে বেশি গণনা করা হয় যা প্রতি ১০০,০০০ জনে ৭৪.৪ টি ছিল।[৯]

থাইল্যান্ডের সড়কে প্রতি ২২ মিনিটে ১ জন মানুষ মারা যায়[১১] , ৬৬ জন মানুষ প্রতিদিন। এদের মধ্যে ৭ জন শিশু[১২][১৩]। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের সড়ক পৃথিবীর দ্বিতীয় দুর্ঘটনা প্রবল ভয়ংকর সড়ক হিসেবে পরিচিতি পায়[১৪]। গন পরিবহনের মধ্যে যাত্রী ভ্যান, যা মাসিক গড়ে ১৯.৫ দুর্ঘটনা ঘটায় যার মধ্যে ৯.৪ জনের মৃত্যু হয়, এটি গন পরিবহন সেবার মধ্যে সব থেকে বেশি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং সব থেকে বেশি ভয়ংকর বলে পরিচিত। দ্বিতীয় স্থানে আছে নির্ধারিত পথের নিয়মিত পর্যটক বাস যা ১৪১ টি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী , যার মধ্যে ৫৬ টি মৃত্যু, এবং ১২৫২ টি আহত হয়। তৃতীয় স্থানে আছে অনিয়মিত পর্যটক বাস যা ৫২ টি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং যার মধ্যে ৫৭ টি মৃত্যু ও ৫৭৬ আহত হয়, চতুর্থ স্থানে আছে ট্যাক্সি যা ৭৭ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এবং ৭ টি মৃত্যু ও ৮৪ জনকে আহত করে, অন্যান্য সাধারন বাস ৪৮ টি দুর্ঘটনার সাথে জড়িত যাতে ১০ টি মৃত্যু ও ৭৫ আহত হয়। ২০১৬ সালের  ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ১৫৬,০৮৯ টি বৈধ তালিকাভুক্ত গন পরিবহন ছিল, যাদের মধ্যে ৪২,২০২ টি যাত্রী ভ্যান, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ১৬,০০২ টি নিয়মিত ভ্যান, ২৪,১৩৬ টি অনিয়মিত ভ্যান এবং ১,০৬৪ ব্যক্তিগত ভ্যান।[১৫]

২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল নাগাদ, গড়ে ১৭,৬৩৪ শিশু (১০-১৯ বছর) থাইল্যান্ডের সড়কে জীবন দিয়েছে, যার বেশিরভাগই মোটরবাইকের কারণে।[১৬]

থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করার জন্য সব থেকে ভয়ংকর সময় বলে দুটি পার্বণ বিশেষভাবে আলোচিত, প্রথমটি নব বর্ষ (নিউ ইয়ার) এবং পরের টি শংক্রান। ২০১৬ সালের শংক্রানে (১১-১৭ এপ্রিল) ৪৪২ জন নিহত ও ৩৬৫৬ জন আহত হয়[১৭], ২০১৭ সালের নব বর্ষে (২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬  - ৪ জানুয়ারি, ২০১৭) ৪৭৮ জন নিহত হয় যা আগের বছর (২০১৬) সালে ছিল ৩৮০ জন, এই পর্বে মোট ৪১২৮ জন প্রান হারিয়েছে।[১৮] দি সেন্টার ফর দি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিডাকশন অফ রোড এক্সিডেন্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালের সড়ক দুর্ঘটনার জনিত মৃত্যুর হার গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত দশ বছরে শুধুমাত্র নিউ ইয়ার এর সড়ক দুর্ঘটনার জনিত  মৃত্যু হার হল; ২০০৭ সালে ৪৪৯ টি, ২০০৮ সালে ৪০১ টি, ২০০৯ সালে ৩৫৭ টি, ২০১০ সালে ৩৪৭ টি, ২০১১ সালে ৩৫৮ টি, ২০১২ সালে ৩২১ টি, ২০১৩ সালে ৩৬৫ টি, ২০১৪ সালে ৩৬৬ টি, ২০১৫ সালে ৩৪১ টি, ২০১৬ সালে ৩৮০ টি। সড়ক আইনের শিথিল প্রয়োগকে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা , এর সহযোগী সংগঠন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড সেফটি প্রমোশন অনুযায়ী থাইল্যান্ডে শুধু মাত্র ২০ শতাংশ সড়ক আইন ভঙ্গকারীদের টিকেট দেওয়া হয় যার মধ্যে শুধুমাত্র ৪ শতাংশ জরিমানা প্রদান করেন।[১৯]

সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত রোধে সরকারি পদক্ষেপ বরাবরই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে, ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের সরকার ঘোষণা দিয়েছিল যে পরবর্তী দশ বছর থাইল্যান্ডের “সড়ক নিরাপত্তার পদক্ষেপ এর যুগ” হবে, যেটা ২০১২ সালকে শতকরা ১০০ শতাংশ মোটরবাইকে হেলমেট ব্যবহার এর নামকরন করেছিল, যদিও ২০১৫ সাল অবদি দেখা গিয়েছিল প্রায় ১.৩ মিলিয়ন বিদ্যালয়গামী বাচ্চারাদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ মোটরবাইক চালানোর সময় হেলেমেট পরিধান করে।[১৩] পরবর্তী ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয় যে মোটরসাইকেল চালকদের মাত্র ৫০ শতাংশ ও যাত্রীদের মাত্র ২০ শতাংশ হেলমেট পরিধান করে।[৯] ২০১৫ সালে ইন্টেরিওর মিনিস্ট্রি এর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধ অধিদপ্তর (ডি,পি,ডি,এম) এর সড়ক নিরাপত্তা সহযোগী কেন্দ্র সড়ক মৃত্যু ৮০ শতাংশ কমানোর একটি অভীষ্ট লক্ষ্য প্রকাশ করে[২০][২১][২২], যদিও ডি,পি,ডি,এম এর প্রকাশিত ইশতেহারে কোন সড়ক নিরাপত্তার বিসয় উল্লেখ করে নি, যেহেতু এ সকল বিসয়ের দায়িত্ব পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপর বর্তায়।[৮]

উল্লেখ্য যে থাইল্যান্ডে কোন যানবাহনে শিশুদের নিরাপত্তাজনিত বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করার আইন নেই।[৯]

জাতীয় গতিসীমা

থাইল্যান্ডে গ্রামীণ রাস্তায় সর্বোচ্চ গতিসীমা ৯০ কি,মি/ ঘণ্টা, এবং শহরে ৮০ কি,মি/ ঘণ্টা যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত ৫০ কি,মি/ ঘণ্টা এর অনেক ঊর্ধ্বে।[৯]

গন সেবা বাস

লোকজন, মালামাল এবং ছোটো দ্রব্য পরিবহনের জন্য বাস একটি বড় মাধ্যম, এছাড়াও এটি দূরবর্তী যাত্রার জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। ট্যুর ও ভি,আই,পি শ্রেণির বাস গুলি অনেকটা বিলাসবহুল হয়, অন্যদিকে শহর কেন্দ্রিক বাসগুলিতে অনেক রঙ্গিন বিজ্ঞাপন দেখা যায়।

থাইল্যান্ডে মূলত দুই প্রকার দূরবর্তী বাস সেবা দিয়ে থাকেঃ

  •  প্রথমটি দি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি (টি,এল,সি) যা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাস কোম্পানি,[২৩] যেটা বাও-কাও-সাও নামে পরিচিত। এই ৮০ বছরের  পুরনো কোম্পানি গঠিত হয়েছিলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের রাজধানী আসার সুযোগ করে দেবার জন্য।  টি,সি,এল বাসের উভয় দিকের বড় সোনালি চিহ্ন দেখে একে সহজেই চেনা যায়।
  •  দ্বিতীয়টি বেসরকারি বাস কোম্পানি দ্বারা চালিত, যা বিভিন্ন পথে বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে যেমন এসি, এক্সপ্রেস, লোকাল, ভিআইপি ইত্যাদি।

ব্যাংককের গন বাস সেবা

ব্যাংককে বি,এম,টি,এ (ব্যাংকক ম্যাস ট্রান্সিট অথোরিটি) ই হচ্ছে বৃহত্তর ব্যাংকক অঞ্চল এ পাবলিক ট্রান্সিট বাসের মুল সেবা প্রদানকারী। এটি এই প্রদেশের শহর ও উপশহর কেন্দ্রিক বাস এবং ভ্যান সেবা দিয়ে থাকে। যদিও ব্যাংককের বিভিন্ন রাস্তায় অনেক বেসরকারি বাস কোম্পানি সেবা দিয়ে আসছে, তবে বেশিরভাগই বি,এম,টি,এ থেকে অনুসৃত যেমন কমলা রঙের মিনিবাস ও ক্রিম-নীল রঙের বাস, এই বাস গুলি বি,এম,টি,এর চিহ্ন সংবলিত যা চালকের পার্শ্ব জানালার নিচে অবস্থিত, এই বাসগুলি বি,এম,টি,এর পথ থেকে ভিন্ন পথে চলাচল করে, অথবা একই পথে সল্প দূরত্ব অতিক্রম করে।

বর্তমানে বি,এম,টি,এ ব্যাংকক,ও এর মেট্রপলিটান অঞ্চল যেমন নন্থাবুরি,পাথুম থানি, সামুত প্রাকান, সামুত সাখন এবং নাখন পাথম এ বাস সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

লোকাল বাস ও ব্যাংকক সিটি বাস বিভিন্ন আকার, ধরন, দামে এসে থাকে যেমন ছোট, বড়, খোলা জানালা, ফ্যান, এসি ইত্যাদি।

ব্যাংককের বাস র‍্যাপিড ট্রান্সিট সিস্টেম

ব্যাংকক বি,আর,টি একটি ব্যাংককের বাস র‍্যাপিড ট্রান্সিট সিস্টেম, যদিও শুরুতে ৫ টি পথে চলার কথা ছিল, কিন্তু ২০১০ সাল থেকে বর্তমানে শুধু একটি পথেই চলাচল করছে, এই ১৬ কি,মি পথের মাঝে ১২ টি স্টেশন আছে যা যাত্রীদের বাসে উঠতে সহায়তা করে। উভয় টার্মিনাল ছং নন্সি ও তালাত ফ্লু,  বি,টি,এস, স্কাইট্রেন এর সিলম লাইনে সংযুক্ত। এখানে সকল বাস সাআনলং এস,এল,কে৬১২৫সিএনজি মডেলের এবং ভাড়া মাত্র ৫ ভাট।

হাইওয়ে নেটওয়ার্ক

মুল নিবন্ধঃ থাই হাইওয়ে নেটওয়ার্ক

থাই হাইওয়ে নেটওয়ার্ক থাইল্যান্ডের সকল অংশের সাথে সংযুক্ত, যার অধিকাংশ সড়কই মেরামতের ফলে ভাল অবস্থানে আছে, যা সড়কে বাড়তি গতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, ৪ লেনের সড়কগুলিতে জনবহুল এলাকার জন্য প্রতি ২৫০ গজ পরপর পথচারী পারপারের জন্য ক্রসি দেওয়া আছে, আর ৮ লেনের সড়কগুলিতে বেশকিছু অন র‍্যাম্প ও অফ র‍্যাম্প এর সুবিধা দেওয়া আছে, বৃহৎ সড়কগুলিতে র‍্যাম্প স্টাইলের উল্টো বাক/ইউ টার্ন এর অধিক্য লক্ষ্য করা যায়, এছাড়া অন্যান্য হাইওয়ে মেডিয়ান দ্বারা বিভক্ত এবং ইউ টার্ন এর জন্য গতিরোধক ব্যবহার করে।

অতি সম্প্রতি কিছু দুই লেনের অবিভক্ত মহাসড়ককে চার লেনের মহাসড়কে রূপান্তরিত করা হয়েছে, এবং একটি চন বুরি মোটরওয়ে (রুট ৭) নামের সড়ককে নতুন বিমানবন্দর ও পূর্ব নদীবন্দরের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

মোটরওয়ে নেটওয়ার্ক

মুল নিবন্ধঃ থাই মোটরওয়ে নেটওয়ার্ক

থাই মোটরওয়ে নেটওয়ার্ক, ব্যাংকক এর সম্রসারিত এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত একটি ছোট নেটওয়ার্ক। এই মোটরোওয়ে ব্যাংককের প্রাত্যহিক যানজট থেকে সাধারন জনগণকে অব্যাহতি প্রদান করে, উক্ত মোটরওয়ে নেটওয়ার্ক এর প্রায় ৪৫০০ কি,মি সম্প্রসারণ সহ অন্যান্য মেগাপ্রজেক্ট এ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে থাই সরকার।

এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক

মুল নিবন্ধঃ থাই এক্সপ্রেসওয়ে সিস্টেম

থাইল্যান্ডে হাইওয়ে নেটওয়ার্ক বা টোল রোড এর জন্য এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক শব্দটি ব্যবহার হয়ে থাকে, বেশিরভাগ এক্সপ্রেসওয়ে উ-পৃষ্ঠ থেকে কয়েকটি অংশে ভিতিপ্রস্থর এর মাধ্যমে দাড়িয়ে থাকে। বর্তমান এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক ব্যাংকক এবং উপশহরের বৃহদাংশ এলাকায় সেবা নিশ্চিত করে থাকে, স্বাভাবিকভাবে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যাংককের যানজট এড়িয়ে চলাচল করে সময় বাচায়, যদিও ভীরের সময় এতে কোলাহল লক্ষ্য করা যায়।

ইউটিলিটি সাইক্লিং

থাই সরকার যানবাহনের মাধ্যম হিসেবে ইউটিলিটি সাইক্লিং এর প্রসার ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে, অফিসগামীরা মনে করে বাইসাইকেল একটি খেলনা স্বরূপ, এবং সাইকেল চালনা একটি বিনোদনমুলক কাজ, এটা যে একটি পরিবহন মাধ্যম যেটি পরিবেশবান্ধব এবং একই সাথে যানজট কমাতে ভুমিকা রাখাতে পারে সে বিষয় তারা মানতে নারাজ, তাদের এই মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় ২২ সেপ্টেম্বর এর ব্যাংককের “বিশ্ব গাড়ি মুক্ত দিবস ২০১৮” তে, ওইদিন ব্যাংককের  যুগ্ম নগরাধক্ষ্য সাকল্টি পাট্টিয়াকুল তার সমর্থক নিয়ে মোটরগাড়িতে করে এসে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন, এবং পরে তিনি বাইসাইকেল এ চড়েন,[২৪] উল্লেখ্য যে এই অনুষ্ঠান টি ছিল মোটরগাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য যদিও বি,এম,এ কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানে আসার জন্য বিনামুল্যে গাড়ি পার্ক করার জায়গা বর্ধিত করার ঘোষণা দেয়।[২৫]

প্রধানমন্ত্রী প্রাউট চান-ও-চা তার প্রথম কর্মবছরে একটি সাইকেল সংশ্লিষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন, যাতে লোকজনদের সাইকেল চালাতে উৎসাহ দিয়েছিলেন, কিন্তু রাস্তার পাসের সাইকেলের লেন অনতিবিলম্বে মোটরগাড়ির জন্য পারকিং লেন হওয়ায় সরকারি বিনিয়োগ মাঠে মারা যায়।[২৬] দুরপাল্লার বা সল্পপাল্লার যাই হোক থাইল্যান্ডের সকল ট্রেনই বাইসাইকেল এর জন্য হুমকি স্বরূপ[২৪], এক্ষেত্রে সহজেই অনুমেয় যে সরকারী হস্তক্ষেপ, দিকনির্দেশনা,শিক্ষা ছাড়া জনগণ নতুন একটি এমন পরিবহন মাধ্যম এ অভ্যস্ত হওার প্রেরনা পাবে না যা বহুদিন যাবত নাগরিক উন্নয়ন পরিকল্পনার দরুন অবহেলিত পরে ছিল।[২৭]

অন্যান্য গন পরিবহন

অন্যান্য পরিবহনের মধ্যে আছে, টুক-টুক, ট্যাক্সি ইত্যাদি। ২০১৮ সালের নভেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী থাইল্যান্ডে ৮০,৬৪৭ তালিকাভুক্ত ট্যাক্সি, ভ্যান ও মিনিবাস, মোটরবাইক ও সংঠেও আছে।[২৮]

এখানে শুধু ব্যাংকক থেকেই অন্যান্য প্রদেশে প্রায় ৪,১২৫ টি গন ভ্যান সর্বমোট ১১৪ টি পথে চলাচল করে, যা দ্বিতীয় শ্রেণীর গন পরিবহন যানবাহন এবং ৩০০ কি,মি এর মধ্যে যাতায়াত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ২০১৬ সালের আগে সব বাস গুলি একটি মাত্র ভিক্টরি মনুমেন্ট নামে টারমিনাস থেকে চলাচল করত, যা পরে ৩ টি পৃথক ভূমি পরিবহন অধিদপ্তরের বাস টার্মিনাল এ সরিয়ে নিয়ে আনা হয়েছে।[২৯]

নিরাপত্তার ব্যাপারে  যাত্রী পরিবহন ভ্যান এর সেবা সন্তোষজনক নয়, ভোক্তাদের জন্য গন পরিবহন নিরাপত্তা পরিকল্পনার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালে যাত্রী পরিবহনকারী ভ্যান ৪৭ টি দুর্ঘটনার শিকার হয় যার ফলে ৪১ জন মৃত্যুবরণ করে ও ৩১৪ জন আহত হয়, ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩৩ টি মৃত্যু ও ৯০৬ টি হতাহত ঘটনা, ২০১৬ সালে ১০৫ টি মৃত্যু ও ১১০২ টি হতাহতের ঘটনা। ২০১৭ সালে যাত্রী ভ্যান মিনিবাস দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার একটি সরকারি উদ্যোগ নেয়া হয় তবে তা আগত প্রাউট প্রশাসন কত্রিক ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।[৩০][৩১]

আকাশ পরিবহন

বিমানবন্দর

মুল নিবন্ধঃ থাইল্যান্ডের বিমানবন্দরের তালিকাথাইল্যান্ডের ব্যাস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা

থাইল্যান্ডের সব থেকে ব্যাস্ততম বিমানবন্দর হচ্ছে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর, এছাড়া ২০১২ সাল অব্দি ১০৩ টি বিমানবন্দর, ৬৩ সাজানো রানওয়ে, ৬ টি হেলিপোর্ট আছে।

জাতীয় থাই এয়ার ওয়েস এর একটি বইং ৭৪৭-৪০০ বিমান
সুবর্ণভুমি বিমানবন্দর, থাইল্যান্ড

প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমুহ

  • সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর (বি,কে,কে) (নিউ ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক  কেন্দ্র)
  • ডন মুয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ডি, এম, কে) (পুরাতন ব্যাংকক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বর্তমানে সস্তা পরিবহনের কাজে ব্যবহার হয়)
  • চিয়াং মাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • মাই ফাহ লুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • হাট ইয়ায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • ফুকেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • ক্রাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • সামুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • সুরাত থানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • উডন থানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • ইউ-তাপাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বিমান পরিবহন

মুল নিবন্ধঃ থাইল্যান্ডের বিমান পরিবহন তালিকা

থাইল্যান্ডের জাতীয় বিমান পরিবহন বাহক হল থাই এয়ারওয়েস ইন্টারন্যাশনাল, যেটি ১৯৫৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। ১৯৬৮ সালে স্থাপিত ব্যাংকক এয়ারওয়েস বর্তমানে এশিয়া বুটিক এয়ারলাইন নামে পরিচিত। ২০০৩ সাল থেকে সুলভ মুল্যের আকাশ পরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়েছে যার মধ্যে থাই স্মাইল, থাই এয়ার এশিয়া, থাই এয়ার এশিয়া এক্স, থাই লায়ন এয়ার, থাই ভাইটিজেট এয়ার এবং নক এয়ার

জল পরিবহন

২০১১ সালে অব্দি থাইল্যান্ডে ৩,৯৯৯ কি,মি এর প্রধান জলপথ আছে, যার মধ্যে ৩৭০১ কি,মি এর সারা বছরব্যাপি পরিচালনাসাধ্য ০.৯ মিটার এর গভীরতা থাকে। এছাড়া অসংখ্য ছোট ছোট পরিচালনাসাধ্য  নদীপথ আছে যাতে লম্বা লেজের নৌকা, ভেলা চলাচল করে।

নদী ও খাল এর পরিবহন

রাতচাবুরি প্রদেশের দাম্নিওন সাদুক ভাসমান বাজার

বাংককে চাও ফারিয়া নদী একটি বড় যোগাযোগ মাধ্যম, যাতে ফেরি, ওয়াটার ট্যাক্সি (চাও ফারিয়া এক্সপ্রেস বোট) এনং লম্বা লেজের নৌকা চলাচল করে। যাত্রীদের জন্য লোকাল, এক্সপ্রেস, সেমি এক্সপ্রেস সুবিধা সম্পন্ন বাহন আছে, এলোমেলো পথের কারণে এগুলি সাধারানত বাসের থেকে লম্বা দূরত্বের হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে খলং সাএন সাএব নামে যে নৌকা সেবা আছে সেটি সুলভ মুল্ল্যে কেন্দ্রীও ব্যাংককে দ্রুতগতির সেবা দিয়ে থাকে।

ফেরি

থাইল্যান্ডের মুল ভূখণ্ডের ও শতাধিক দ্বীপএর মধ্যে ফেরী চলাচল করে, এছারাও পরিচালনাসাধ্য নদী যেমন চাও ফারিয়া ওঃ মাই খং (মেকং) নদিতেও ফেরী চলাচল করে। এখানে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফেরী আছে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে হুয়া হুন এর যুগ্ম সচিব এগুলি মৌসুম ভিত্তিক পর্যটকদের অভাবের কারণে বন্ধ করে দেয়, যা পুনরায় মৌসুম ফিরে এলে চালু করা হবে, যেটি ২.৫ ঘণ্টার যাত্রা করে এবং যার মুল্ল্য ১২৫০ ভাট, এটি মুলত একটি ক্যাটারম্যান সার্ভিস যার সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৩৪০ জন।

সমুদ্র পরিবহন

থাইল্যান্ডে গালফ অফ থাইল্যান্ড ওঃ আন্দামান সি হচ্ছে সমুদ্র পরিবহনের মধ্যে জনপ্রিয়, এছাড়া অন্যান্য সেবা সমুহ নিচে দেওয়া হলঃ

  • ·        ট্রাট - কো চাং নৌকা সেবা
  • ·        সুরাট থানি- কো সামুই নৌকা সেবা
  • ·        ফুকেট - ফি ফি দ্বীপ নৌকা সেবা
  • ·        ফুকেট – আও নাং নৌকা সেবা
  • ·        বাং ফু – হুয়া হিন- প্রানবুরি নৌকা সেবা
  • ·        বাং ফু – পাত্তায়া নৌকা সেবা
  • ·        পাত্তায়া – হুয়া হিন – প্রানবুরি নৌকা সেবা

সমুদ্রবন্দর ও পোতাশ্রয়

থাইল্যান্ডের কিছু বহুল পরিচিত সমুদ্রবন্দর ও পোতাশ্রয় এর নাম নিম্নে দেওয়া হল;

সামুদ্রিক ব্যাবসায়ীদের বহর

২০১০ সালের পর্যন্ত থাইল্যান্ডের সামুদ্রিক ব্যাবসায়ীদের বহরে ৩৬৩ টি জাহাজ(১০০০ জি,টি বা বেশি), যা সর্বমোট ১,৮৩৪,৮০৯ জি,টি/ ২,৯৪৯,৫৫৮ টনের ডেড ওয়েট (ডি,ডব্লিউ,টি), এছাড়া ৩১ টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৯৯ টি কার্গো জাহাজ, ২৮ টি রাসায়নিক ট্যাংকার, ১৮ টি মালবাহী জাহাজ, ৩৬ টি গ্যাস জাহাজ, ১ টি যাত্রীবাহী জাহাজ, ১০ টি জাত্রি/মাল বাহী জাহাজ, ১১৪ টি পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার,  ২৪ টি হিমাগার মালবাহী জাহাজ, ১ টি রোল অন/অফ ও একটি অন্য যাত্রীবাহী জাহাজ আছে।

পাইপলাইন

গ্যাস এর বাল্ক পরিবহন এর জন্য পাইপলাইন ব্যবহার করা হয় যা প্রায় ১৮৮৯ কি,মি পর্যন্ত দীর্ঘ, তরল পেট্রোলিয়াম এর বেলায় ৮৫ কি,মি এবং প্রস্তুতকৃত দ্রব্যের বেলায় ১০৯৯ কি,মি দীর্ঘ একটি পাইপলাইন ব্যবহার করা হয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ