ধাতু
ইলেকট্রন ধাতু বলতে সে সকল মৌলিক পদার্থ-কে বোঝায় যা খুব দ্রুত আয়ন সৃষ্টি করে এবং ধাতব বন্ধন গঠণ করে। ধাতু সমূহ শুধু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়ন তৈরি করতে পারে। কেননা সাধারণত ধাতু সমূহের শেষ কক্ষপথে একটি, দুইটি কিংবা তিনটি ইলেকট্রন বিদ্যমান। ধাতু সমূহের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সাধারণত বড় হয় । তাই শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস হতে দূরে অবস্থান করে। ফলে এসব ইলেকট্রনের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষন কম হয়। এজন্য ধাতু সমূহ খুব সহজেই এসব ইলেকট্রন ত্যাগ করতে পারে। এভাবে ধাতু সমূহ ধনাত্মক চার্জ যুক্ত আয়ন বা ক্যাটায়ন তৈরি করে। ধাতু সমূহ আয়নিক বন্ধন ও ধাতব বন্ধন গঠন করে।
সংকর ধাতু
সংকর ধাতু হল দুই বা ততোধিক উপাদানের মিশ্রণ, যার মূল উপাদান হল ধাতু। বেশিরভাগ বিশুদ্ধ ধাতু নরম, ভঙ্গুর বা ব্যবহারিক কাজের জন্য রাসায়নিকভাবে প্রতিক্রিয়াশীল। সংকর ধাতু গঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল ধাতুটিকে কম ভঙ্গুর ও শক্ত ও ক্ষয় প্রতিরোধক, বা আরও রঙিন বা ঔজ্জ্বল্য ফুটিয়ে তোলা। বর্তমানে ব্যবহৃত সকল সংকর ধাতুর মধ্যে লোহার সংকরের (ইস্পাত, স্টেইনলেস স্টিল, সংকর ইস্পাত) পরিমাণ ও বাণিজ্যিক মান উভয় দিক থেকেই বেশি।
শ্রেণী
মৌলিক ধাতু
রসায়নে মৌলিক ধাতু বলতে সেসব ধাতুকে বোঝায় যা সহজে জারিত বা ভাঙ্গা যায় এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে ধাতব ক্লোরাইড ও হাইড্রোজেন গঠন করতে পারে। উদাহরণ - লোহা, নিকেল, তামা ও দস্তা।
মূল্যবান ধাতু
মূল্যবান ধাতু হল বিরল ধাতব রাসায়নিক উপাদান, যার উচ্চ আর্থিক মূল্য রয়েছে।[১] মূল্যবান ধাতু সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোনা , রূপা , লিথিয়াম ইত্যাদি।
ভারী ধাতু
ভারী ধাতু হল তুলনামূলকভাবে গাঢ় ধাতু।[২] আরও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু কোনটাই সার্বজনীনভাবে গৃহীত হয় নি।