কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া যে গতিতে সংঘটিত হয়, অর্থাৎ একক সময়ে যে পরিমাণ বিক্রয়ক উৎপাদে পরিণত হয় তাকে বিক্রিয়ার হার বা বিক্রিয়ার গতি বলা হয়।এর একক মোল-লিটার-১সময়-১ বা mol-L-1s-1।বিক্রিয়ার হারকে প্রতি একক সময়ে একটি উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি এবং প্রতি একক সময়ে একটি বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা হ্রাসের সমানুপাতিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।[১] বিক্রিয়ার হার নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশে লোহার উপর জারণের দ্বারা মরিচা পড়া একটি ধীরগতির বিক্রিয়া যা অনেক বছর সময় নিতে পারে, পক্ষান্তরে আগুনে সেলুলোজের দহনও একটি বিক্রিয়া যা সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশ পরিমাণ সময়ে সংঘটিত হতে পারে। বেশিরভাগ বিক্রিয়ার ক্ষেত্রেই, বিক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিক্রিয়ার হার হ্রাস পায়। সময়ের সাথে ঘনমাত্রার পরিবর্তন পরিমাপ করে একটি বিক্রিয়ার হার নির্ণয় করা যেতে পারে।
রাসায়নিক গতিবিদ্যা হলো ভৌত রসায়নের একটি অংশ যেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারের পরিমাপ ও পূর্বানুমান নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্ভাব্য বিক্রিয়ার ক্রিয়াকৌশল বা ধাপগুলো সম্পর্কে ধারণা পেতে বিক্রিয়ার হারের উপাত্তগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় এখানে সেও আলোচনাও করা হয়।[২]রসায়ন প্রকৌশল[৩][৪][৫][৬], উৎসেচক তত্ত্ব এবং পরিবেশ প্রকৌশলের[৭][৮][৯] মতো বহু শাখাতে রাসায়নিক গতিবিদ্যার ধারণার প্রয়োগ করা হয়।
এখানে ছোট হাতের অক্ষর (a, b, p, এবং q ) স্টোইকিমেট্রিক সহগের প্রতিনিধিত্ব করছে, পক্ষান্তরে বড় হাতের অক্ষর বিক্রিয়ক (A এবং B) আর উৎপাদের (P এবং Q) প্রতিনিধিত্ব করছে।
যেখানে r হল বিক্রিয়ার হার ও [X] হল গাঢ়ত্ব X (= A, B, P বা Q)