সেলুলোজ

সেলুলোজ উদ্ভিদের একটি প্রধান গাঠনিক পদার্থ। উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে গঠিত। অসংখ্য β-D গ্লুকোজ অণু পরস্পর β-১-৪ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সেলুলোজ তৈরি করে। উদ্ভিদের অবকাঠামো নির্মাণে সেলুলোজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদদেহে যেহেতু কোনো কঙ্কাল নেই,সেহেতু উদ্ভিদের ভার বহনের দায়িত্ব পালন করে সেলুলোজ। তুলায় সেলুলোজ এর পরিমাণ ৯৪%,লিনেনে ৯০% এবং কাঠে ৬০%। সেলুলোজ ঘন H2SO4 বা HCL বা NaOH দ্বারা হাইড্রোলাইসিস করে গ্লুকোজে পরিণত করা হয়। মানুষের পাকস্থলী বা অন্ত্রে সেলুলোজ এনজাইম না থাকায় সেলুলোজ পদার্থ হজম হয়না,তবে গরু-ছাগলে সেলুলোজ পুষ্টি হিসেবে কাজ করে। বন ও বস্ত্র শিল্পের প্রধান উপাদান সেলুলোজ,আর তাই মানব সভ্যতায় এর দান অপরিসীম। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিরাজ করে সেলুলোজ।এককথায় বলতে গেলে সেলুলোজ হলো একটি কার্বোহাইড্রেড-জাতীয় মস্ত বড়ো অণু [৩](পলিমার)।

সেলুলোজ[১]
Cellulose, a linear polymer of D-glucose units (two are shown) linked by β(1→4)-glycosidic bonds.
Three-dimensional structure of cellulose.
শনাক্তকারী
সিএইচইএমবিএল
কেমস্পাইডার
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড১০০.০২৯.৬৯২
ইসি-নম্বর
ই নম্বরE৪৬০ (ঘনতা, ...)
ইউএনআইআই
বৈশিষ্ট্য
(C
6
H
10
O
5
)
n
বর্ণwhite powder
ঘনত্ব1.5 g/cm3
গলনাঙ্ক ২৬০–২৭০ °সে; ৫০০–৫১৮ °ফা; ৫৩৩–৫৪৩ K
পানিতে দ্রাব্যতা
none
তাপ রসায়নবিদ্যা
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfHo২৯৮−963 kJ mol−1
দহনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔcHo298−2828 kJ mol−1
ঝুঁকি প্রবণতা
এনএফপিএ ৭০৪
এনএফপিএ ৭০৪ চার রঙের হীরকHealth code 1: Exposure would cause irritation but only minor residual injury. E.g., turpentineFlammability code 1: Must be pre-heated before ignition can occur. Flash point over 93 °C (200 °F). E.g., canola oilReactivity (yellow): no hazard codeSpecial hazards (white): no code
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অনাবৃতকরণ সীমা (NIOSH):
PEL (অনুমোদনযোগ্য)
TWA 15 mg/m3 (total) TWA 5 mg/m3 (resp)[২]
REL (সুপারিশকৃত)
TWA 10 mg/m3 (total) TWA 5 mg/m3 (resp)[২]
IDLH (তাৎক্ষণিক বিপদ
N.D.[২]
সম্পর্কিত যৌগ
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
☒না যাচাই করুন (এটি কি YesY☒না ?)
তথ্যছক তথ্যসূত্র

সেলুলোজ এর ধর্ম

সেলুলোজ স্বাদহীন,গন্ধহীন, সাদা ও কঠিন জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এটি পানিতে অদ্রবণীয়,অবিজারক,আণবিক ভর দুই লক্ষ থেকে কয়েক লক্ষ। এটি মিষ্টি বিবর্জিত এবং বিজারণ ক্ষমতাহীন। আয়োডিন দ্রবণ প্রয়োগে কোনো রং দেয়না। এটির ফাইবার সদৃশ ও শক্ত। এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই।

ইতিহাস

ফরাসী রসায়নবিদ অ্যানসেলেম পায়েন 1838 সালে সেলুলোজ আবিষ্কার করেছিলেন এবং বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। পায়েল রাসায়নিক সূত্রটিও নির্ধারণ করেছিলেন। 1870 সালে, প্রথম থার্মোপ্লাস্টিক পলিমার, সেলুলয়েড সেল্টোজ ব্যবহার করে হায়াট ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থা তৈরি করেছিল। সেখান থেকে, সেলুলোজ 1890 এর দশকে রেয়ন এবং 1912 সালে সেলোফেন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। হারমান স্টাউডিংগার 1920 সালে সেলুলোজের রাসায়নিক কাঠামো নির্ধারণ করেছিলেন। 1992 সালে কোবায়শি এবং শোদা কোনও জৈবিক এনজাইম ব্যবহার না করে সেলুলোজ সংশ্লেষিত করেছিলেন।

সেলুলোজ এর কাজ

উদ্ভিদের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। উদ্ভিদকে দৃঢ়তা ও সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভার বহন করে।

সেলুলোজ এর ব্যবহার

  • সেলুলোজ কাগজ ও বস্ত্রশিল্পের প্রধান উপাদান।
  • এটি নাইট্রেট বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • এটি অ্যাসিটেট ফটোগ্রাফিক ফিল্মে ব্যবহার করা হয়।
  • নির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্র নির্মাণে সেলুলোজ প্রধান উপাদান হিসেবে যান্ত্রিক সাহায্য প্রদান করে।
  • কাঠখেকো কীটপতঙ্গ এর পুষ্টিনালীতে বসবাসকারী এক ধরনের পরজীবী সেলুলোজ নামক উৎসেচক নিঃসৃত করে কাঠ হজমে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ