প্রাগৈতিহাসিক সঙ্গীত

প্রাগৈতিহাসিক সংগীত (প্রাক্তন আদিম সংগীত) সংগীতের ইতিহাস।সংগীতের ইতিহাসে ব্যবহৃত একটি শব্দ যা দিয়ে প্রাগৈতিহাসিক যুগ। প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতির সব ধরনের সংগীতকে বোঝানো হয়।যা পৃথিবীর ভৌগোলিক ইতিহাসের কোন এক সময়ে শুরু হয়েছিলো।প্রাগৈতিহাসিক সংগীতের পরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রাচীন সংগিত।প্রাচীন সংগীতের আবির্ভাব হয়েছিলো।বর্তমানেও বিচ্ছিন্ন ভাবে এর অস্তিত্ব রয়েছে।যদিও একে আদিম সংগীত বলা হয়,তবুও একে লোক সংগিত,স্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী সংগীত রুপে বর্তমানেও দেখা যায়।প্রাগৈতিহাসিক সংগীত নিয়ে সংগীতের অন্যান্য শাখার মতই গবেষণা করা হয়।

প্যালোলিথিলিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে পাওয়া যায় যে আদিম মানুষেরা কেটে বা খুড়ে বাদ্যযন্ত্র তৈরী করতো।প্রত্নতত্ত্ববিদপগণ এমন প্যাললিথিলিক বাশি খুজে পেয়েছেন যেগুলো হাড় কেটে বানানো হয়েছে এবং এর ছিদ্রগুলো খুড়ে বানানো হয়েছিলো।ভাল্লুকের গুহা থেকে পাওয়া ডিভি বেব বাশিটি প্রায় ৪০,০০০ বছর পুরনো।বাধ্যযন্ত্র ;যেমন সাত ছিদ্র বিশিষ্ট বাশি, এবং অসংখ্য তারের যন্ত্র,যেমন রাভানাহাথা,সিন্ধু সভ্যতা।সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে পাওয়া গিয়েছে।[১] ভারতের রয়েছে অন্যতম প্রাচীন সংগীতের ইতিহাস-ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গগীত ‘’’মার্গ’’’ এর কথা প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ বেদ।বেদে পাওয়া যায়।[২] অনুতম প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রহ পাওয়া গিয়েছিলো চীনে,যার সময়কাল ছিলো প্রায় খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৬০০০-৭০০০ হাজার সাল।

প্রাগৈতিহাসিক বাধ্যযন্ত্রের উৎস

আদিম শব্দটির সাথে ‘সংগীত’ শব্দ ব্যবহার ত্রুটিযুক্ত।এমন হতে পারে যে, আমরা যেমনটা সাব-সাহারান আফ্রিকাতে দেখতে পাই,সঙ্গগীতের ধারনাটি আমরা যেমন্টা বুঝি তার থেকে আলাদা।অনেক ভাষায় সংগীত শব্দটি নৃত্য,ধর্ম বা গষ্ঠীর সাথে সম্পর্কযুক্ত।আদিম সংগীত সৃশ্তির কারণও গবেষণার বিষয়,কারন আদিম সংগীতের শব্দের ধারণা অবশ্যই বর্তমানের থেকে কিছুটা আলাদা।কিছু কিছু সংস্কৃতিতে প্রাকৃতিক শব্দের উদাহরণ দেখা যায়।কিছু কিছু উদাহরণে এটি শামানিস্টিক বিশ্বাস ও আচারের সাথে সম্পর্কিত। [৩][৪] I এটা খেলাধুলা বা বিনোদনের উৎসও হতে পারে।[৫][৬] অথবা ব্যবহারিক কাজের জন্য,যেমন শিকারের সয়ময় প্রাণীর অনুকরনে শব্দ করা।[৫]

সম্ভাবত মানুষের গলার স্বরই প্রথম বাধ্যযন্ত্র ছিলো।কারন এটি একাই বিভিন্ন ধরনের শব্দ করতে পারে (যেমনঃ গান করা, শিষ বাজানো,গোঙ্গান,চিতিকার করা, কাশা ইত্যাদি। (সংগীত ও ভাষণ বিষয়ে ডারউইনের অরিজিন অব স্পেসিস বইটি দেখুন।)সথেকে প্রাচীন মানুষের নেন্দাথাল হাইয়য়্বদ হাড়ের বয়স প্রায় ৬০,০০০ বছর ,[৭] যা প্যালোলিথিলিক হাড়ের বাশি থেকেও ২০,০০০বছরের পুরনো,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাসস্তবে তা আর পুরনো হতে পারে। তাত্বিকভাবে প্যালোলিথিলিক যুগের আগেও সংগীতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নৃতাত্বিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকেরা মতামত দেন যে, সংগীতের (মানুষের মাঝে) শুরু হয় হোমিনিদের পাথর ব্যবহার শুরুর সময় থেকে। খাবার বানানোর সময় বীজ বা শেকর গুরো করার যে শব্দ তাই বোধহয় মানুষের বানানো প্রথম রিদম ছিলো। প্রথম দিকের রিদম তৈরীর মাধ্যম ছিলো হাতে তালি দেও্যা,পাথরে পাথর ঠোকা অথবা এমন যেকোন কিছু যা আওয়াজ করে।প্যালোলিথিলিক সামগ্রী সেগুলোকে নিঃসন্দেহে বাদ্যযন্ত্র বলা য্য যেগুলো হল বাশি এবং পাইপ; এমন প্যালোলিথিলিক বস্তু হলো ছিদ্রযুক্ত নলখাগড়ার বাশি এবং অন্যান্য বস্তু। এই বস্তু গুলোর বয়স প্যালোলিথিলিক সময়ের ,যদিও এ নিয়ে অনেক তর্ক রয়েছে[৮] এই প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলো বাধ্যযন্ত্র না বাদ্যযন্ত্র নয় এনিয়ে।সংগীতের আরেকটি উৎস হতে পারে মা ও শিশুর মুখোভঙ্গি ও শব্দের মাধ্যমে ভাব বিনিময়।এই ধরনের যোগাযোগে সংগীতের মতো মেলোডিক,রিদমিক এবং যোগাযগের উল্লেখ্য ও অর্থ সংবলিত গতিপ্রকৃতি থাকে।[৯]মিলার মনে করেন সংগীত “মিলনের সক্ষমতা” প্রদর্শন করে। মিলার মতামত দেন যে গান এবং নাচে যেহেতু শক্তি ক্ষয় হয়, তাই এগুলো মিলনের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা প্রকাশ করে।[১০] উভয় লিঙ্গের দলীয় সংগীত স্বেচ্ছা জন্মদানের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকার গানের পাখি যেমন দোয়েল এবং সাদা চড়ুই এর মাঝে দেখা যায় ,[১১][১২]

ধ্বনিপ্রত্নতত্ত্ব পদ্ধতি

ধ্বনিপ্রত্নতত্ত্ব ক্ষেত্রটি প্রাগৈতিহাসিক শব্দ, সাউন্ডস্কেপ এবং বাদ্যযন্ত্র খুজতে ধ্বনিতাত্বিক কৌশল ব্যবহার করে সমাধি কক্ষ এবং পাথরের চক্রের মতো ধ্বনিতাত্বিক আচারের সাইটগুলিতে বাজিয়ে শিলা এবং লিথোফোন এর অধ্যয়নকে করেছে ।প্রাগৈতিহাসিক সরঞ্জামগুলির অনুসন্ধান, প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটগুলি রক্ষা এবং বিশ্লেষণের জন্য এ জাতীয় কাজের মধ্যে অ্যাকোস্টিক ফিল্ড টেস্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; ফলিত প্রত্নতত্ত্বে লিথোফোন বা 'রক গংস' এর শাব্দিক পরীক্ষা এবং সাউন্ডস্কেপের পুনর্গঠন করা হয়েছে।একাডেমিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, অ্যাকোস্টিকস এবং ব্রিটিশ প্রাগৈতিহাসিক সংগীত গবেষণা নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রটি নিয়ে গবেষণা করছে।

আফ্রিকা

মিশর

প্রাগৈতিহাসিক মিশর এ, সঙ্গীত এবং জপ সাধারণত যাদুবিদ্যা এবংধর্মীয় আচারে ব্যবহৃত হত। প্রাচীন মিশরীয়রা বাদুর দেবীকে সঙ্গীত আবিষ্কারের সাথে কৃতিত্ব দিয়েছিল। বাদুড়ের গোষ্ঠীটি শেষ পর্যন্ত হাথোর এর সাথে একত্রিত হয়েছিল কারণ উভয়কেই গরু হিসাবে দেখানো হয়েছিল। বিশ্বাস করা হয় হাথোরের সংগীত বিশ্বকে সভ্য করার করার জন্য ওসিরিস ব্যবহার করেছেন। সিংহদেবী বাস্তেট কেও সংগীতের দেবী হিসাবে বিবেচনা করা হত। এই সময়ের মধ্যে ছন্দগুলি অবিচ্ছিন্ন ছিল এবং ছন্দ তৈরি করতে সঙ্গীত পরিবেশন করা হতো। ছোট ছোট শঙ্খ বাশি হিসাবে ব্যবহৃত হত।[১৩](pp26–30).মিশরীয় ইতিহাসের রাজবংশ পূর্ব সময়ে, মজাদার গানগুলি মিশরীয় ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছিল এবং তার সাথে ক্লিপারস বা একটি বাঁশির ব্যবহার ছিল। কিছু ক্ষেত্রে বাস্তুগত প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, মিশরবিদরা মত দিয়েছেন যে পুরনো রাজ্য আমলের কিছু নির্দিষ্ট যন্ত্রের বিকাশ যেমন বাঁশি, এই সময়ে হয়েছিল ।[১৩](pp33–34)

এশিয়া

চীন

১৮৮৬ সালে, বেশ কয়েকটি গুডি (আক্ষরিক অর্থে "হাড়ের বাঁশি") চীনের হেনান প্রদেশ এর জিয়াহু থেকে পাওয়া গিয়েছিলো। এগুলোর বয়স খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ সালের দিকের। বাশিগুলির প্রত্যেকটির ৬ থেকে ৯ টি ছিদ্র আছে এবং সারস।লাল-মুকুটযুক্ত সারস পাখির ফাঁপা হাড় থেকে তৈরি করা হয়েছিল। আবিষ্কারের সময়, একটি বাজানোর মতো অবস্থায় ছিলো। হাড়ের বাঁশিটি দিয়ে শিয়া ঝি এর পাঁচ- বা সাত স্বরগ্রাম এবং প্রাচীন চীনা সংগীত ব্যবস্থার চিং শ্যাং এর ছয় নোট স্বরগ্রাম উভয়ই বাজানো যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ভারত

ভারতের বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সংগীত ঐতিহ্য রয়েছে — ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত ( মার্গ) এর উল্লেখ হিন্দু প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ বেদ।বেদে পাওয়া যায়।[২] সাত ছিদ্রযুক্ত বাঁশি এবং বিভিন্ন ধরনের তারবাদ্যযন্ত্র (রাবণহাথা) এর মতো সরঞ্জামাদি, সিন্ধু সভ্যতা।সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতত্ত্বিক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।[১]

অস্ট্রেলিয়া

সিডনি তে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল মেরিটাইম যাদুঘরে আদিবাসী গান এবং নৃত্যে প্রদর্শন

অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী এবং টরেস প্রণালী দ্বীপপুঞ্জের সংগীত এর মধ্যে  রয়েছে আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডারস এর সংগীত।এই সংগীত সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং তাদের পৃথক ও সম্মিলিত ইতিহাসে সহস্রাব্দের বেশি সময় ধরে আজ অবধি এই আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়ে আসছে এবং ৪০,০০০ বছর ধরে টিকে রয়েছে।[১৪][১৫][১৬][১৭] ঐতিহ্যবাহী ফর্মগুলির মধ্যে পারফরম্যান্সের অনেকগুলি দিক এবং বাদ্যযন্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান গোষ্ঠী মধ্যে অনন্য; বাদ্যযন্ত্রের ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলো  অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ জুড়ে এবং এর বাইরেও বিস্তৃত। টরেস স্ট্রেইট দ্বীপপুঞ্জের সংস্কৃতি নিউ গিনি সংলগ্ন অংশগুলির সাথে তাদের সংগীত সম্পর্কিত। সংগীত আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের সাংস্কৃতি রক্ষণাবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।[১৮]

ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র

ডিডগেরিদো

২০০৯ সালে ফ্রেমন্তল বাজারে ডিডগাড়িদো বাজাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

এ ডিডগেরিদো হল এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র যা পশ্চিমা সংগীততত্ত্বদের মতে, অ্যারোফোন বিভাগেভুক্ত এবং এটি প্রাচীনতম যন্ত্রগুলির মধ্যে একটি। এটিতে একটি দীর্ঘ নল থাকে, আঙুলের গর্ত ছাড়াই, যার মধ্যে বাদক ফুঁক দেয়। এটি কখনও কখনও মোমযুক্ত মুখের সাথে লাগানো হয়। ডিডগারিডোগুলি প্রথাগতভাবে ইউক্যালিপটাস দিয়ে তৈরি, তবে পিভিসি পাইপ এর মতো সমসাময়িক উপকরণগুলিও ব্যবহৃত হয়l ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে এটি শুধুমাত্র পুরুষদের দ্বারা বাজানো হয়, সাধারণত আনুষ্ঠানিক বা বিনোদনমূলক গাওয়ার সঙ্গী হিসাবে বা কদাচিৎ একক উপকরণ হিসাবে। দক্ষ বাদকগণ অবিচ্ছিন্ন শব্দ অর্জনের জন্য ছন্দবোধ্য শ্বাস প্রশ্বাসের কৌশলটি ব্যবহার করে এবং একাধিক সুরেলা অনুরণন প্ররোচিত করার জন্য কৌশল ব্যবহার করে। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে এই যন্ত্রটি সারা দেশে বিস্তৃত ছিল না - এটি কেবল উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা ব্যবহৃত হত।

ক্লাপস্টিক

ক্লিপস্টিক হল এক প্রকারের বাদ্যযন্ত্র যা পশ্চিমা সংগীততত্ত্ব অনুসারে টক্কর শ্রেণিতে পড়ে। ড্রামস্টিক্স এর বিপরীতে, যা সাধারণত ড্রাম আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, ক্লিপস্টিকগুলি একটি লাঠি আরেকটির উপর আঘাত করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। এগুলি সাপ, টিকটিকি, পাখি এবং আরও অনেক কিছুর চিত্র সংবলিত ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে।

গাম পাতা

খালি হাতে খড়ক জাতীয় বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বুল রোয়ার

বুলরোয়ারে থাকে একটি ভারি এয়ারফয়েল (একটি চারকোনা কাঠের টুকরো যা প্রায় ১৫ সেমি (৬ ইঞ্চি) লম্বা এবং প্রায় ১.২৫ সেমি ( ০.৫ ইঞ্চি) থেকে ৫ সেমি (২ ইঞ্চি) চওড়া যা একটি তারের সাথে লাগানো থাকে)। সাধারণত কাঠের স্লেটটি প্রান্তের চারদিকে ছাঁটাই করা হয় এবং কাঠের স্ল্যাটের দৈর্ঘ্য বরাবর সার্ভিসগুলি নিদৃষ্ট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর নির্ভর করে ব্যবহৃত হতে পারে আবার নাও ব্যবহৃত হতে পারে।

তারটিতে সামান্য প্যাচ দেওয়া হয় এবং রোয়ারটিকে পরে অনুভূমিক সমতল বা একটি উল্লম্ব সমতলের ছোট বৃত্তে দুলানো হয়। রোয়ারের অ্যারোডাইনামিক্স এর ফলে ঘূর্ণন অবিরত হয় এবং এটি তার অক্ষের দিকে ঘুরতে থাকবে। কর্ডটি সম্পূর্ণরূপে প্রথম একদিকে চালিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে অন্যদিকে চালিত হয়।

এটি চরিত্রগত ভাবে গর্জন করে চলে কম্পন সব্দ এর অক্ষের সাথে গর্জন করতে করতে আবর্তন করে এবং বুলোয়ারকে ঘুরানোর জন্য একটি ছোট বা দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের কর্ড ব্যবহৃত হবে কিনা তা ঠিক করে। এর সার্কিটের বিস্তৃতি এবং এটি প্রদত্ত গতি পরিবর্তন করে এবং যে তলে বুলোয়ারকে অনুভূমিক থেকে উল্লম্ব বা বিপরীত দিকে ঘূর্ণিত করা হয়েছে, তার দ্বারা উৎপাদিত শব্দটির সংশোধন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, এভাবে তথ্যের কোডিংকে সম্ভব করে তোলে।

শব্দটির নিম্ন-ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানটি অত্যন্ত দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করে, নিস্তব্ধ রাতে অনেক মাইল জুড়ে স্পষ্টভাবে এর আওয়াজ শোনা যায়।

বিভিন্ন সংস্কৃতি নূন্যতম ১৯,০০০ বছর ধরে বাদ্যযন্ত্র, আচার এবং ধর্মীয় উপকরণ এবং দীর্ঘ-পরিসরের যোগাযোগের যন্ত্র হিসাবে বুলরোয়ারদের ব্যবহার করেছে।

ইউরোপ

জার্মানি

২০০৮ সালে, প্রত্নতাত্ত্বিকেরা উলম, জার্মানি এর নিকটে হোহেল ফেলস গুহায় একটি হাড়ের বাঁশি আবিষ্কার করেছিলেন।[১৯][২০] পাঁচছিদ্রযুক্ত বাঁশিটির ভি-আকৃতির মুখপত্র রয়েছে এবং এটি শকুনের পাখার হাড় থেকে তৈরি। গবেষণার সাথে জড়িত গবেষকরা ২০০৯ সালের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গবেষণাগুলি নেচার জার্নালে প্রকাশ করেন। এটি এই অঞ্চলে পাওয়া বেশ কয়েকটি অনুরূপ যন্ত্রের মধ্যে একটি, যা কমপক্ষে ৩৫,০০০ বছর পুরনো, এটি ইতিহাসে কোনও বাদ্যযন্ত্রের প্রাচীনতম নিশ্চিত হওয়া সন্ধানের একটি ।[২১] হোহেল ফেলসের বাঁশিটি পাওয়া গেছে হোহেল ফেলসের ভেনাস (প্রাচীনতম পরিচিত মানব খোদাই) থেকে কিছুটা দূরে।[২২] আবিষ্কারের ঘোষণার সময়, বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে "আধুনিক মানুষ যখন ইউরোপকে উপনিবেশ করেছিল এটি তখনকার একটি সু-প্রতিষ্ঠিত সংগীত ঐতিহ্যের উপস্থিতি নির্দেশ করে।“[২৩] বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন যে বাঁশি আবিষ্কারটি প্রথম মানুষের ঠিকে থাকা বুঝতে সাহায্য করতে পারে, যখন নেদারল্যান্ডসে বিলুপ্ত হয়েছিল।[২১]

গ্রিস

একটি জীড়া বাঁশি বাদক (অগ্রভাগ) এবং একটি বীণবাদক (পটভূমি) এর সাইক্ল্যাডিক মূর্তি

১৯ শতকে একক সমাধিতে কেরোস (Κέρος) দ্বীপে নিওলিথিক সংস্কৃতির শেষ ভাগের প্রথম দিকের সাইক্ল্যাডিক সংস্কৃতি নামের দুটি মার্বেলের মূর্তি  (২৯০০-২০০০ খ্রিস্টপূর্ব) একসাথে আবিষ্কার করা হয়েছিল । তারা স্থায়ী ডাবল বাঁশি বাদক এবং একজন বসে থাকা শিল্পির ত্রিভুজাকার আকৃতির বীণ বাজানো চিত্রিত করে। বীণাবাদক আনুমানিক ২৩ সেমি (৯ ইঞ্চি)  এবং খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০-২৫০০ বছর পুরনো। বিনাবাদক তীব্র অনুভূতি প্রকাশ করছে এবং মাথাটি আলোর দিকে কাত করে রয়েছে। এগুলি থেকে আরও অনেক ব্যক্তিত্বের পরিচয় জানা যায় না; সম্ভবত তারা অশুভ আত্মার হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহৃত হত বা তাদের ধর্মীয় তাত্পর্য ছিল বা খেলনা বা শিল্প হিসাবে পরিবেশন করা হয়েছিল পৌরাণিক কাহিনী থেকে।

আয়ারল্যান্ড

অরিগানসিয়ান শকুনের হাড় থেকে তৈরি বাঁশি, গিসেন্ক্ল্লাস্টার (সোয়াবিয়া), যা প্রায় ৩৫,০০ বছরের পুরনো

প্রাচীনতম কাঠের পাইপগুলি (২১৬৭ ± ৩০ খ্রিস্টাপূর্ব্দের)  উইকলো, আয়ারল্যান্ড, ২০০৩ সালের শীতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। একটি কাঠের সজ্জিত গর্তের মধ্যে ছয় বাঁশির একটি সংগ্রহ রয়েছে,৩০ এবং ৫০ সেমি (১২ এবং ২০ ইঞ্চি) যার এক প্রান্তে দীর্ঘ, তবে কোনও আঙুলের ছিদ্র ছাড়াই। হয়তো আগে এগুলোকে এক সাথে আটকানো যেত।[২৪]

স্লোভেনিয়া

আবিষ্কৃত প্রাচীনতম বাঁশি সম্ভবত তথাকথিত ডিজে বাবে বাঁশি যা ১৯৯৫ সালে সেরকনো পাহাড়, স্লোভেনিয়া তে পাওয়া যায়, যদিও এটি বিতর্কিত।[২৫] উল্লেখিত একটি কিশোর গুহা ভাল্লুক এর ফেমার এর খণ্ড থেকে বানানো এবং এটি প্রায় ৪৩,০০০ বছরে পুরনো।[২৬][২৭] তবে এটি আসলেই কোনও বাদ্যযন্ত্র নাকি মাংসপেশী চিবানো হাড় তা চলমান বিতর্কের বিষয়।[২৫] ২০১২ সালে কিছু কিছু বাঁশি, যা কয়েক বছর আগে জিয়েনক্লুস্টারল গুহা থেকে আবিষ্কার করা হয়েছিল, একটি নতুন উচ্চ-রেজোলিউশন কার্বন-ডেটিং পরীক্ষা পেয়েছে, যার বয়স ৪২,০০০ থেকে ৪৩,০০০ বছর পর্যন্ত খতে পারে।[২৮]

আমেরিকা

কানাডা

কয়েক হাজার বছর ধরে, কানাডায় বিভিন্ন সংস্কৃতির আদিবাসী জনগণ বিভিন্ন এবং বেশ কয়েকটি বড় ভাষা গোষ্ঠীকরণ বাস করে আসছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটির নিজস্ব অনন্য সংগীত ঐতিহ্য ছিল (এবং রয়েছে)। জপ - গানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, এরা অনেক অভিনয়কারী বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে। [২৯] তারা ইউরোপীয়রা দেশত্যাগের মাধ্যমে আমেরিকা আসার আগে হাজার হাজার বছর ধরে তাদের যন্ত্র তৈরিতে হাতে থাকা উপকরণগুলি ব্যবহার করত।[৩০] তারা লাউ এবং পশুর শিংগুলিকে ঝুনঝুনিতে পরিণত করে যাতে খোদাই করা হয় এবং সুন্দরভাবে আঁকা নকশা আঁকা হয়।[৩১] বনভূমিতে  তারা শিং এবং কাঠ খোদাই করে বার্চবার্ক এর সাথে ড্রামস্টিক্স তৈরি করেছিল।[৩০]  ড্রামস সাধারণত খোদাই করা কাঠ এবং প্রাণী চামড়া দিয়ে তৈরি হত।[৩২] এই বাদ্যযন্ত্রগুলি গান এবং নাচের পটভূমি তৈরি করতো।[৩২]

আরও দেখুন

  • প্রাচীন সংগীত
  • আচরণগত আধুনিকতা
  • সংগীতের জ্ঞান ভিত্তিক স্নায়ুবিজ্ঞান
  • সংগীতের বিবর্তন
  • সংগীত প্রত্নতত্ত্বের আন্তর্জাতিক গবেষক দল
  • ভাষার উদ্ভব
  • ধর্মের উদ্ভব
  • প্রাগৈতিহাসিক শিল্প
  • শব্দ প্রতীক

তথ্যসূত্র

দ্রষ্টব্য

আরো পড়ুন

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ