নেদারল্যান্ডস

ইউরোপের একটি দেশ

নেদারল্যান্ডস (ওলন্দাজ: Nederland [ˈneːdərlɑnt] ()), অনানুষ্ঠানিকভাবে হল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। দেশটিকে অনেক সময় হল্যান্ড (Holland হলান্ট্‌) নামেও ডাকা হয়, যদিও হল্যান্ড মূলত নেদারল্যান্ডসের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গরাজ্যের নাম। ক্যারিবীয় নেদারল্যান্ডসের তিনটি দ্বীপকে নিয়ে এটি নেদারল্যান্ডস রাজ্য (Koninkrijk der Nederlanden কোনিংক্রেইক্‌ ডের্‌ নেড্যর্লান্ডেন্‌) গঠন করেছে।

নেদারল্যান্ডস রাজ্য

Koninkrijk der Nederlanden
কোনিংক্রেইক্‌ ডের্‌ নেড্যর্লান্ডেন্‌
নেদারল্যান্ডসের জাতীয় পতাকা
পতাকা
নেদারল্যান্ডসের জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় সঙ্গীত: উইলহেলমাস ভ্যান নাসোউই
(জাতীয় এবং রাজকীয় সঙ্গীত)
noicon
নেদারল্যান্ডসের অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
আমস্টারডাম
সরকারি ভাষাওলন্দাজ
সরকারসংসদীয় গণতন্ত্র
সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
• রাজা
বিয়াট্রিক্স
• নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

জ্যান পিটার বলকেনডে
• আরুবার প্রধানমন্ত্রী

নেলসন ও. ওদুবার
• নেডার্ল্যান্ডস এন্টাইলসের প্রধান মন্ত্রী

এমিলি ডি জং-এলহেজ
স্বাধীন
• রোমান সম্রাজ্য থেকে স্বাধীন ও হল্যান্ড গঠন

৮৮০সাল

৫ জানুয়ারি ১৪৭৭সাল

২ আগস্ট ১৫৮১সাল

৭ জুলাই ১৮১৫ সাল
আয়তন
• মোট
৪২,৬৭৯ কিমি (১৬,৪৭৮ মা) (১৩৪)
• পানি (%)
১৮.৪১
জনসংখ্যা
• জুলাই ২০০৬ আনুমানিক
১৬,৭৮৫,০৮৮ (৫৮)
মুদ্রাইউরো3 (নেডার্ল্যান্ডস), আরুবান ফ্লোরিন (আরুবা) এবং নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিয়ান গুল্ডেন (নেদারল্যান্ডস এন্টিলস) (€ ইউরো, AWG এবং ANG)
সময় অঞ্চলইউটিসি+১ and -৪ (সিইটি এবং [[Atlantic Standard Time|এএসটি])
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+২ and -৪ (সিইএসটি এবং এএসটি)
কলিং কোড৩১, +২৯৭, +৫৯৯
ইন্টারনেট টিএলডি.nl, .aw, .an
  1. আরুবাতে পাপিয়ামেন্টো ভাষাও সরকারীস্বীকৃত। ফ্রিজল্যান্ড-এ, ফ্রিসিয়ান ভাষাও একটি সরকারী ভাষা, এবং নিম্ন স্যাক্সন এবং লিমবার্গিশ আনুষ্ঠানিকভাবে আঞ্চলিক ভাষা।
  2. হেগ হল নেদারল্যান্ডস সরকারের আসন; ওরাঞ্জেস্টাড হল আরুবা এর রাজধানী; এবং উইলেমস্টাড হল নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিস এর রাজধানী।
  3. ১৯৯৯ এর আগে (ডি জুরে; ২০০২ ডি ফ্যাক্টো): ডাচ গিল্ডার (ƒ এনএলজি)
  4. এছাড়াও .eu নেদারল্যান্ডসে, অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সাথে ভাগ করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের প্রদেশ এবং অঞ্চলসমূহ

নেদারল্যান্ডস ১২টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত। দেশটির সাথে পূর্বে জার্মানি ও দক্ষিণে বেলজিয়ামের স্থলসীমান্ত আছে। দেশটি উত্তর সাগরের উপকূলে অবস্থিত; পশ্চিমে বেলজিয়ামযুক্তরাজ্যের সাথে ও পূর্বে জার্মানির সাথে দেশটির সামুদ্রিক সীমান্ত আছে।[১] নেদারল্যান্ডসের রাজধানী শহরের নাম আমস্টারডাম। এছাড়া রটারডাম, হেগ, উট্রেখট ও আইন্ডহোফেন চারটি বৃহৎ শহর।[২]

"নেদারল্যান্ডস" কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল "নিম্নভূমি"। এ নামকরণটি যথার্থ, কারণ দেশটির মাত্র ৫০% ভূখণ্ড সমুদ্রসমতলের ১ মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত।[৩] দেশটির বেশির ভাগ ভূখণ্ডই সমুদ্রসমতলের নিচে অবস্থিত, যা ভূমি পুনর্দখল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশটির বর্তমান আয়তনের প্রায় ১৭% সাগরহ্রদ থেকে পুনর্দখল করা হয়েছে, এই অঞ্চলগুলিকে স্থানীয় ওলন্দাজ ভাষায় পোল্ডার বলা হয়। নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলগুলির বেশিরভাগই সমতল ভূমি নিয়ে গঠিত যেগুলিতে খুব স্বল্পসংখ্যক উঁচু পাহাড় পাওয়া যায়। দেশের উত্তর ও পশ্চিমভাগ নিম্নভূমি, যা মূলত রাইন, মোজ ও শেল্ডে নদী তিনটির সম্মিলিত ব-দ্বীপ। জুইডারজেতে পোল্ডার আছে। উপকূলীয় এলাকাগুলি সম্পূর্ণ সাগরের নিচে এবং এগুলিকে চর ও কৃত্রিম সমুদ্রবাঁধের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে।

দেশটির জনসংখ্যা ১ কোটি ৭২.৫ লক্ষ। নেদারল্যান্ডস একটি জনঘনত্ববিশিষ্ট দেশ। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪১৫ জনের বাস। বৃহৎ জনসংখ্যাবিশিষ্ট দেশগুলির মধ্যে কেবল বাংলাদেশ, দক্ষিণ কোরিয়াতাইওয়ানের জনঘনত্ব এর চেয়ে বেশি। উচ্চ জনঘনত্বের দেশ হলেও এটির জন্মহার নিম্ন। নেদারল্যান্ডসের সিংহভাগ জনগণ ওলন্দাজ জাতিভুক্ত। ওলন্দাজ একমাত্র সরকারী ভাষা কিন্তু ইংরেজি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। খ্রিস্টধর্ম (রোমান ক্যাথলিক ও প্রতিবাদী ঘরানা) মূল ধর্ম, তবে ইসলাম বৃহত্তম সংখ্যালঘু ধর্ম।

নেদারল্যান্ডস একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। এর আইনসভাটি একটি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা। ১৮৪৮ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসে সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান; এটি বিশ্বের ৩য় প্রাচীনতম সংসদীয় সরকারব্যবস্থা। নেদারল্যান্ডসের রাজা রাষ্ট্রপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান। হেগ শহরে নেদারল্যান্ডসের দ্বিকাক্ষিক আইনসভা, মন্ত্রিসভা ও সর্বোচ্চ আদালত অবস্থিত।[৪]

নেদারল্যান্ডসে একটি মিশ্র অর্থনীতি, নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থার অর্থনীতি বিদ্যমান, যার সিংহভাগ আর্থিক সেবা, হালকা ও ভারী শিল্প এবং বাণিজ্যের উপর ভিত্তি করে গঠিত। দেশটির মুদ্রা ইউরো। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচক অনুসারে দেশটি ১৭৭টি দেশের মধ্যে ১৭তম স্থান অধিকার করেছে।[৫] আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী এটি বিশ্বের ১৩তম সর্বোচ্চ মাথাপিছু স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনধারী (ক্রয়ক্ষমতা সাম্যের বিচারে) দেশ। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব সুখ প্রতিবেদনে দেশটির বিশ্বের ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ সুখী দেশের মর্যাদা দেওয়া হয়, যা দেশটির জীবনযাত্রার উচ্চমানের প্রতিফলন। [৬] ২০১৮ সালের ওইসিডি প্রকাশিত উন্নততর জীবন সূচক অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস কাজ-জীবন ভারসাম্যের বিচারে বিশ্বের ১ম স্থান অধিকারী রাষ্ট্র।[৭] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে নেদারল্যান্ডস বিশ্বের ২য় বৃহত্তম কৃষি ও খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারক রাষ্ট্র[৮][৯] মাটির উর্বরতা, মৃদ্য জলবায়ু এবং অত্যন্ত উন্নত নিবিড় কৃষিপদ্ধতির কারণে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। রটারডাম বন্দরটি ইউরোপের বৃহত্তম এবং এশিয়ার বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর[১০]

নেদারল্যান্ডস একটি উদার জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র যেখানে সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে বা অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা এবং পরিবহন অবকাঠামো ব্যবহারের সুবিধাসহ আরও বহু ধরনের সামাজিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে গণনা করা মানব উন্নয়ন সূচকের তালিকায় এটি অস্ট্রেলিয়া সাথে যৌথভাবে ৩য় সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে। উদারপন্থী দেশটিতে পতিতাবৃত্তি, গর্ভপাত ও [[যন্ত্রণাহীন স্বেচ্ছামৃত্যু]] আইনসম্মত কর্মকাণ্ড। একই সাথে দেশটির ওষুধ ও মাদক নীতিও অনেক উদার। ১৮৭০ সালে দেশটি মৃত্যুদণ্ড বেআইনি ঘোষণা করে এবং ১৯১৭ সালে নারীদের ভোটদানের ক্ষমতা প্রদান করে। ২০০১ সালে বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে এটি সমকামীদের বিবাহ আইনসিদ্ধ করে।

নেদারল্যান্ডস ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোজোন, জি১০, নেটো, ওইসিডি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্রগুলির একটি। এছাড়া এটি শেঙেন এলাকা ও ত্রিপাক্ষিক বেনেলাক্স ইউনিয়নের অংশ। দেশটিতে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপরাধ অনুসরণ সংস্থা, জাতিসংঘ আটক ইউনিট অবস্থিত। "সীমান্তহীন সংবাদ প্রতিবেদক" সংস্থার প্রকাশিত সংবাদপত্র স্বাধীনতা সূচকে দেশটি বিশ্বে ২য় স্থান অধিকার করেছে। [১১]

প্রাচীনকালে নেদারল্যান্ডসে কেল্টীয় ও জার্মানীয় গোত্রের লোকেরা বাস করত। রোমানরা অঞ্চলটি বিজয় করার পর এখানে শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে। খ্রিস্টীয় ৩য় শতকে পুনর্জাগরিত জার্মান গোত্রদের আক্রমণে ও সমুদ্রের করালগ্রাসে রোমানদের শক্তি হ্রাস পায়। শেষ পর্যন্ত ৫ম শতকে এক জার্মানীয় আক্রমণ রোমান শক্তির অবসান ঘটায়। প্রথমে মেরোভিঙ্গীয় ও পরে ৭ম শতকে কারোলিঙ্গীয় রাজবংশ এখানে শাসন করে এবং শেষোক্ত রাজারা দেশটির জনগণকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। ৮১৪ সালে রাজা শার্লমাইন বা মহান চার্লসের মৃত্যুর পরে এটি মধ্যযুগীয় লোথারিঙিয়া রাজ্যের অন্তর্গত হয়। এখানে রাজকীয় গির্জা নামের একটি ধর্মনিরপেক্ষ গির্জার অনুসারী সম্প্রদায় গড়ে ওঠে, যারা পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য অধীনস্থ ছিল না। ১২শ শতকের শুরু থকে সমুদ্রবাঁধ বা ডাইক নির্মাণ শুরু হয়ে এবং বড় আকারে সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধারকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসময় ফ্লান্ডার্স অঞ্চলটি বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র হিসেবে বিকাশ লাভ করে। ১৪শ শতকের শেষভাবে বুর্গোইনের ডিউকেরা এবং তার পরে ১৬শ শতকের শুরুতে স্পেনের হাবসবুর্গ রাজবংশ দেশটি শাসন করেন। মৎস্যশিকার ও জাহাজনির্মাণে ওলন্দাজদের জুড়ি ছিল না। ১৭শ শতকে ওলন্দাজ জাতি অসাধারণ সমৃদ্ধি অর্জন করে। ইয়ান ফান আইক, কেম্পিসের টমাস এবং দেসিদেরিউস এরাসমুসের মত বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের জন্ম হয় এবং ক্যালভিনবাদ ও অ্যানাবাপ্টিস্টবাদের মত মতবাদগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৫৮১ সালে ক্যালভিনবাদীদের নেতৃত্বে উত্তরের ৭টি প্রদেশ স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৬৪৮ সালে ত্রিশ বছরের যুদ্ধ শেষে স্পেন ওলন্দাজদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। ১৭শ শতকে ওলন্দাজ সভ্যতার স্বর্ণযুগে স্পিনোজার বেনেডিক্ট এবং রনে দেকার্ত বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা উপভোগ করেনে এবং চিত্রশিল্পী রেমব্রান্ট ও ইয়োহানেস ফারমিয়ার তাদের সর্বোৎকৃষ্ট চিত্রকর্মগুলি এসময় সৃষ্টি করেন। ওলন্দাজ পূর্ব ভারত কোম্পানি এশিয়াতে উপনিবেশ স্থাপন করে এবং দেশের জীবনযাত্রার মান উঁচু হতে থাকে। ১৮শ শতকে ওলন্দাজদের সামুদ্রিক শক্তি হ্রাস পায়। ফরাসি বৈপ্লবিক যুদ্ধগুলির সময় ফরাসিরা অঞ্চলটি বিজয় করে। ১৮০৬ সালে নেপোলিয়নের অধীনে এটি হল্যান্ড রাজ্য নামে পরিচিত হয়। ১ম বিশ্বযুদ্ধে এটি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করলেও জার্মানি অঞ্চলটি দখল করে। যুদ্ধের পরে ১৯৪৯ সালে দেশটি নেদারল্যান্ডস ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ (বর্তমান ইন্দোনেশিয়া) এবং ১৯৬২ সালে নেদারল্যান্ডস নতুন গিনির (বর্তমান ইরিয়ান জায়া) উপর কর্তৃত্ব হারায়। ১৯৪৯ সালে দেশটি নেটোতে যোগদান করে। ২১শ শতকের শুরুতে এসে দেশটি অভিবাসনজনিত সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

বামে ডাচ আর্কিটেকচারের কারাম্বি ঐতিহাসিক পার্ক মিল ও ঘরগুলি দেখুন

রাজনীতি

১৮১৫ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত। ১৮৪৮ সাল থেকে সংসদীয় গনতন্ত্র চালু রয়েছে। ২০১০ সালে ইকোনমিষ্ট পত্রিকা নেদারল্যান্ডসকে দশম শক্তিশালী গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। নেদারল্যান্ড্‌সের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং একটি বিকেন্দ্রীকৃত ঐক্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোতে পরিচালিত হয়। নেদারল্যান্ডসকে একটি consociational রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা যায়। ওলন্দাজ রাজনীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুসমূহের উপর ব্যাপক ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।

২০০৬ সালের ওলন্দাজ সংসদ নির্বাচনে সোশালিস্ট পার্টি বা Socialistische Partij বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

নেদারল্যান্ডস বারটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। এদেরকে প্রভিয়েন্স বলা হয়। প্রত্যেকটি প্রভিয়েন্স একজন গর্ভনর দ্বারা শাসিত, যাকে কমিশনার অব দ্য কুইন বা কমিস্যারিস ভ্যান দ্য কোনিগিন বলা হয়। শুধু মাত্র লিমবার্গ প্রভিয়েন্সের প্রধানকে গর্ভনর বলা হয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিউনিসিপালিটিসে বিভক্ত। ২০১০ সালের হিসেবে ৪৩০টি প্রভিয়েন্স আছে।

প্রদেশমূলধনবৃহত্তম শহরমোট এলাকা

(কিমি 2 )

ভূমি এলাকা

(কিমি 2 )

জনসংখ্যা

(2023)

ঘনত্ব

(/কিমি 2 )

ড্রেনথেঅ্যাসেনএমেন2,6802,633502,051191
ফ্লেভোল্যান্ডলেলিস্টাডআলমেরে2,4131,412444,701315
ফ্রিজল্যান্ডলিউওয়ার্ডেন৫,৭৪৯৩,৩৩৬659,551198
গেলডারল্যান্ডআর্নহেমনিজমেগেন৫,১৩৬4,9642,133,708430
গ্রোনিংজেনগ্রোনিংজেন2,960২,৩২৪596,075256
লিম্বুর্গমাস্ট্রিক্ট2,2102,1471,128,367526
উত্তর ব্রাবন্টs-Hertogenboschআইন্ডহোভেন৫,০৮২4,9052,626,210535
উত্তর হল্যান্ডহারলেমআমস্টারডাম4,0922,6652,952,6221,108
ওভারিজসেলZwolleএনশেডে৩,৪২১3,3191,184,333357
দক্ষিণ হল্যান্ডহেগরটার্ডাম৩,৪১৯2,7003,804,9061,409
উট্রেখ্টইউট্রেখ্ট‌1,4491,4851,387,643934
জিল্যান্ডমিডেলবার্গ2,9341,782391,124219
মূল ভূখণ্ড৪১,৫৪৫33,67117,811,291529

জনসংখ্যা

২০০৯ সালের সরকারি হিসেবে নেদারল্যান্ডসের জনসংখ্যা ১,৬৪,৯১,৮৫২ জন। নেদারল্যান্ডস ইউরোপের ১১তম বৃহৎ জনসংখ্যা সমৃদ্ধ ও পৃথিবীতে ৬১ তম দেশ। ২০০৮ সালের হিসেবে নেদারল্যান্ডসের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৪৩৬%।

পরিবহন

বিমান পরিবহন

আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিপহোল , আমস্টারডামের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিমে, নেদারল্যান্ডসের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং যাত্রী সংখ্যায় ইউরোপের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর । স্কিফোল হল কেএলএমএর প্রধান কেন্দ্র , দেশের পতাকাবাহী এবং বিশ্বের প্রাচীনতম বিমান সংস্থা।  2016 সালে, রয়্যাল শিফোল গ্রুপ বিমানবন্দরগুলি 70 মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করেছিল।  সমস্ত বিমান ট্র্যাফিক আন্তর্জাতিক এবং শিফোল বিমানবন্দর বিশ্বব্যাপী 300 টিরও বেশি গন্তব্যের সাথে সংযুক্ত, অন্য যেকোনো ইউরোপীয় বিমানবন্দরের চেয়ে বেশি।  264  বিমানবন্দরটি একটি প্রধান মালবাহী হাবও, যা 2020 সালে 1.44 মিলিয়ন টন কার্গো প্রক্রিয়াকরণ করে । নেদারল্যান্ডসের ক্যারিবিয়ান অংশের জন্য বিমান পরিবহন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সমস্ত দ্বীপের নিজস্ব বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে সাবার বিশ্বের সবচেয়ে ছোট রানওয়ে রয়েছে ।

ভারতীয় উপমহাদেশে একমাত্র দিল্লি , মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ আছে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ