প্রিন্সেস শার্লট অব ওয়েলস
প্রিন্সেস শার্লট অফ ক্যামব্রিজ (শার্লট এলিজাবেথ ডায়না; জন্ম ২ মে ২০১৫) তিনি প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ, এবং ক্যাথরিন, ডাচেস অফ কেমব্রিজ এর কনিষ্ঠতম এবং একমাত্র কন্যা। তিনি ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী, পৈতৃক পিতামহ, তার বাবা, এবং তার বড় ভাই এর পর চতুর্থ উত্তরাধিকারী।
প্রিন্সেস শার্লট | |||||
---|---|---|---|---|---|
জন্ম | সেন্ট মেরিস হসপিটাল, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ২ মে ২০১৫||||
| |||||
রাজবংশ | উইন্ডসোর | ||||
পিতা | প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ | ||||
মাতা | ক্যাথরিন, ডাচেস অফ কেমব্রিজ |
জীবনী
২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, লন্ডনে অবস্থিত ক্লারেন্স হাউজ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, নৃপতি উইলিয়াম এবং ক্যামব্রিজ এর উপাধিধারিণী ক্যাথরিন তাদের দ্বিতীয় সন্তানের আশা করছেন।[১] এর পরের মাসে, লন্ডনে অবস্থিত কেনসিংটন প্যালেস থেকে ঘোষণা করা হয় যে, শিশুটি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।[২][৩]
২০১৫ সালের ২রা মে এর রাত ৮:৩০ মিনিট সময়ে, ক্যাথরিন, ডাচেস অব কেমব্রিজ লন্ডনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে উপাধিধারিণী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, যেটি তার স্বামী এবং তাদের প্রথম সন্তানেরও জন্ম স্থান।[৪][৫][৬][৭] ক্যামব্রিজ এর নৃপতি, প্রিন্স উইলিয়াম জন্মের সময়কালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেন্ট মেরি হাসপাতালে ক্যাথরিন ডাচেস, সন্ধা ৬টা সময় থেকে প্রসববেদনায় ভুগছিলেন। দাই আরোরা আহমেদ এবং জ্যাকিউই ডাঙ্কলি-বেন্ট এর সাহায্যে শিশুটির স্বাভাবিকভাবে প্রসব করানো হয়,[৮] সাথে ছিলেন এলেন ফার্থিং,
যিনি নৃপতির দাদি রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর সার্জন-স্ত্রীরোগবিশারদ; গাই থোর্পে-বিস্টোন, যিনি একজন উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন গর্ভাবস্থার বিশেষজ্ঞ এবং রাজ পরিবারের সার্জন-স্ত্রীরোগবিশারদ; সুনিত গোদামব্লে, যিনি হাসপাতালের পরামর্শদাতা নির্দেশনাবিদ; এবং হুউ থমাস, যিনি রানীর চিকিৎসক। ফার্থিং, থোর্পে-বিস্টোন, এবং গোদামব্লে ২০১৩ সালে প্রিন্স উইলিয়াম এবং ক্যাথরিন ডাচেসের প্রথম সন্তান প্রিন্স জর্জ এর জন্মের সময়েও উপস্থিত ছিলেন।[৯] শিশুটিকে প্রথম হাসপাতালের বাহিরে তার পিতা-মাতার সাথে তার জন্মের মাত্র ১০ মাসেরও কম সময় পরে জনসম্মুখে আনা হয়।[১০]
পরের দিন সন্ধ্যা বেলায়, বিভিন্ন স্থাপনা সমূহে রাজকুমারীর জন্মের প্রতীক হিসেবে গোলাপী রঙে আলোকিত করা হয়, স্থাপনা সমূহের মধ্যে লন্ডনে অবস্থিত টাওয়ার ব্রিজ, লন্ডনের লামবেথ পৌরসভায় অবস্থিত লন্ডন আই, এবং ট্রাফালগার স্কয়ার চত্বর এর ঘরনা সমূহে এবং কানাডার অন্টারিও রাজ্যের পাশে অবস্থিত কানাডার রাজধানী অটোয়া'র পিস টাওয়ার অন্যতম ছিল।[১১][১২] ৪ই মে, লন্ডনে অবস্থিত হাইডি পার্ক এবং টাওয়ার অব লন্ডন এ বন্দুক স্যালুট বা শুভেচ্ছা গোলাবর্ষন করা হয়।[১৩] ঐদিনের পরের ভাগে, তার নাম শার্লট এলিজাবেথ ডায়না বলে ঘোষণা করা হয়।[১৪]
২০১৫ সালের ৫ই জুলাই মাসে, ইংল্যান্ডের স্যান্ডরিংহাম নামক গ্রামে অবস্থিত সেন্ট মেরি ম্যাগডালেনে চার্চ এ আর্চবিশপ অব ক্যান্টিবুরি বা ঊর্ধ্বতন খ্রিস্টীয় ধর্মাধ্যক্ষ রাজকুমারী শার্লটকে খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত করেন। তার ধর্ম পিতা-মাতা'রা হলেন দ্য হন। ল্যুরা ফেলোয়েস, পিন্স উইলিয়ামের মামাতো ভাই-বোন; এডাম মিডলটন, উপাধীধিরিনীর চাচাতো ভাই-বোন; এবং পরিবারের বন্ধুরা: থমাস ভন স্ট্রাওবেনজে, জেমস মেয়াডে এবং সোফি কার্টার। [১৫]
২০১৬ সালের ১লা মে, রাজ পরিবার শার্লটের প্রথম জন্মদিনের আগে তার একটি ছবি প্রকাশ করে। [১৬][১৭][১৮] একাধিক খুচরা বিক্রতা, বিশেষ করে খাতের বিক্রেতারা তাদের পন্যে ছবি গুলো ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে আশা করেছিল। [১৯] ২রা মে শার্লটের এক বছর পূর্ণ হয়, ৬৪টি দেশ থেকে আগত তার জন্য উপহার সামগ্রী গ্রহণ করা হয়, যেগুলোর মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেন এর দেয়া ড্যানিশ কবি হান্স ক্রিস্টিয়ান এন্ডারসন'র রূপকথা'র কাহিনী মূলক শিশুদের গল্প গল্পের বই,[২০] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় নীলকান্তমণির জুয়েলারী ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান "ন্যাচারল সেফাইরি কম্পানী অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস" থেকে আগত ৩০,০০০ পাউন্ড দামের জেমস পাথর এ- খচিত (নীল, প্লাটিনাম, অথবা অন্য ধাতু দিয়ে স্বর্ণের একটি রূপালী রঙের খাদে তৈরী) টয় র্যাটল (বাচ্চাদের খেলনা) অন্যতম ছিল। [২১]
২০১৭ সালের ২০শে মে, তার খালা পিপ্পা মিডলটন, এবং জেমস ম্যাথ্যিউস এর বিয়েতে তাকে কনের সহচরী হতে দেখা গিয়েছিল। [২২]
আরও দেখুন
- ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিভিন্ন প্রজন্ম
- ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বংশগতি