ফুরুস
ফুরুস[১] (বৈজ্ঞানিক নাম: Leptosia nina (Fabricius)) এক প্রজাতির ছোট আকারের প্রজাপতি, যাদের মুল শরীর আর ডানা রেশমি সাদা বর্ণের এবং তার ওপর কালো ফুটকি যুক্ত। এরা ‘পিয়েরিডি’ পরিবার এবং 'পিয়েরিনি' উপগোত্রের সদস্য।[২]
ফুরুস (Psyche) | |
---|---|
ফুরুস (Psyche) ডানা বন্ধ অবস্থায় | |
ডানা খোলা অবস্থায় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Lepidoptera |
পরিবার: | Pieridae |
গণ: | Leptosia |
প্রজাতি: | L. nina |
দ্বিপদী নাম | |
Leptosia nina (Fabricius, 1793) | |
প্রতিশব্দ | |
|
আকার
প্রসারিত অবস্থায় ফুরুসের ডানার আকার ২০-৫০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।
উপপ্রজাতি
- Leptosia nina aebutia Fruhstorfer, 1910 (Tanahdjampea, Kalao)
- Leptosia nina chlorographa Hübner, [1813] (জাভা)
- Leptosia nina comma Fruhstorfer, 1903 (Timor to Tanimbar)
- Leptosia nina dione (Wallace, 1867) (southern Sulawesi)
- Leptosia nina fumigata Fruhstorfer, 1903 (লম্বক, সুম্বাওয়া,ফ্লোরেস,সলর)
- Leptosia nina georgi Fruhstorfer (নর্দান ফিলিপিন)
- Leptosia nina malayana Fruhstorfer, 1910 (Peninsular Malaya, Singapore, সুমাত্রা, Borneo, বাংকা, বিলিটন)
- Leptosia nina nicobarica (Doherty, 1886) (নিকোবর)
- Leptosia nina nina (ভারত, Ceylon to ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, Langkawi, আন্দামান)
- Leptosia nina niobe (Wallace, 1866) (তাইওয়ান)
- Leptosia nina terentia Fruhstorfer (সাউর্দান ফিলিপিনস)[৩]
ভারতে প্রাপ্ত ফুরুস এর উপপ্রজাতি হল- [৪]
- Leptosia nina nina Fabricius, 1793 – Oriental Psyche
- Leptosia nina nicobarica Doherty, 1886 – Nicobar Psyche
বিস্তার
আন্দামান সহ ভারতের প্রায় সর্বত্র ফুরুসের দেখা মেলে। মূলতঃ অনুচ্চ হিমালয়ের সন্নিহিত অঞ্চলে এদের দেখা যায়। এছাড়া নেপাল, শ্রীলঙ্কা , মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং চীন দেশে এদের দেখা পাওয়া যায়।
বর্ণনা
ফুরুসের শরীর এবং ডানার ওপর-পিঠ সাদা রঙের। সামনের ডানায় একটা মাঝারি মাপের কালো ছোপ দেখা যায়। ডানার শীর্ষে এবং প্রান্ত বরাবর অসমান প্রস্থের কালো পাড় দেখা যায়। ডানার নিচের পিঠ ধূলটে সাদা বর্ণের এবং এতে হালকা হলদে ঘেঁসা খয়েরী রঙ দেখা যায়।
আচরণ
এই প্রজাতির জঙ্গল খুব প্রিয় । এরা ওড়ে থেমে থেমে অর্থাৎ ওড়ার ধরনটা দূর্বল প্রকৃতির।[৫] মাটি থেকে দেড়-দু ফুট উচ্চতার মধ্যে ঘোরাফেরা করে, মাটির কাছাকাছি ছোট ছোট ফুল বা ঘাসের ওপর এদের দেখা যায়। মাটির কাছাকাছি কোন শুকনো ছোট ডালে বসতে ভালোবাসে। বিশ্রামরত অবস্থায়, এদের সামনের ডানা দুটি ভাঁজ হয়ে পিছনের ডানার তলায় অবস্থান করে। পিছনের ডানার তলদেশে অসংখ্য সূক্ষ্ম সবজেটে রেখা বর্তমান যেগুলি একে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশ এর মধ্যে কেমোফ্লেজ করতে সাহায্য করে।[৬]
বৈশিষ্ট্য
ডিম
ফুরুসের ডিম সাদা বর্ণের হয়। দেখতে অনেকটা পলির মতো লম্বাটে ধরনের।
শূককীট
এদের শূককীটগুলি গাঢ় সবুজ বর্ণের হয়। পিঠের ওপর লম্বালম্বি ভাবে আরও গাঢ় সবুজ রঙের দাগ থাকে। শ্বাস ছিদ্র বরাবর একটা সাদা রেখা দেখা যায় এবং তার ওপর একটি অস্পষ্ট কালচে রেখা থাকে।
আহার্য উদ্ভিদ
এই শূককীট Capparis zeylanica, Cleome viscosa[৭] Capparis spinosa এবং বরুণ Crateva religiosa এদের পাতার রসালো অংশ আহার করে।
মূককীট
মূককীটগুলি সাধারণত সবুজ বর্ণের হয়, মাঝে মাঝে বাদামী বর্ণেরও হয়। তার ঊপর কালচে খয়েরী ফোঁটা দেখা যায়। এরা জন্মায় মাটির কাছাকাছি, ঘন ডালপালার ভেতর। পাতার নিচের পিঠে অথবা সরু গাছের ডালে এদের দেখা যায়।
জীবনচক্রের চিত্রশালা
- স্ত্রী এবং পুরুষ ফুরুস সঙ্গমরত অবস্থায়
- ।ডিম
- মূককীট