ফ্র্যাংক লয়েড রাইট

মার্কিন স্থপতি

ফ্র্যাংক লয়েড রাইট (Frank Lloyd Wright) (৮ই জুন, ১৮৬৭ – ৯ই এপ্রিল, ১৯৫৯) ছিলেন একজন আমেরিকান স্থপতি, ইন্টেরিওর ডিজাইনার, লেখক এবং শিক্ষক। তিনি ১,০০০ এরও বেশি স্ট্রাকচার ডিজাইন করেছেন এবং ৫৩২ টি তার তত্ত্বাবধানে শেষ হয়েছে। রাইট এমন ধরনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে বিশ্বাস করতেন যা মানুষ ও তার চারপাশের পরিবেশের সাথে মেলবন্ধনে থাকবে, এই দর্শনকে তিনি বলতেন “অরগানিক আর্কিটেকচার” বা “জৈব স্থাপত্যশিল্প”। এই দর্শনের সবচেয়ে সেরা উদাহরণ হচ্ছে ফলিংওয়াটার (১৯৩৫) যাকে আমেরিকার স্থাপত্যবিদ্যার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে ধরা হয়। রাইট স্থাপত্যশিল্পের প্রেইরি স্কুল আন্দোলনের একজন অগ্রদূত ছিলেন। তিনি আমেরিকার শহুরে বসবাসের জন্য অনন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, যা ইউসোনিয়ান হোম নামে সমধিক পরিচিত।

ফ্র্যাংক লয়েড রাইট
জন্ম
ফ্র্যাংক লিনকন রাইট

(১৮৬৭-০৬-০৮)৮ জুন ১৮৬৭
রিচল্যান্ড সেন্টার, উইসকনসিন
মৃত্যুএপ্রিল ৯, ১৯৫৯(1959-04-09) (বয়স ৯১)
জাতীয়তাআমেরিকান
মাতৃশিক্ষায়তনইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন, ম্যাডিসন
ভবনসমুহ
  • ফলিংওয়াটার
  • সলোমন আর গগেনহাইম মিউজিয়াম
  • জনসন ওয়াক্স হেডকোয়াটার্স
  • তালিসিন
  • তালিসিন ওয়েস্ট
  • রবি হাউস
  • ইম্পেরিয়াল হোটেল,টোকিও
  • ডারউইন ডি মার্টিন হাউস
  • ইউনিটি টেম্পল
  • এনিস হাউস
  • লারকিন এডমিনিস্ট্রেশন বিল্ডিঙ্গি
  • ডোনা থমাস হাউস
  • মারিন কাউন্টি সিভিক সেন্টার
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসমূহইউসোনিয়ান হাউস
ব্রোডেকার সিটি

তিনি বিভিন্ন ধরনের ভবনের মৌলিক ও উদ্ভাবনীমূলক নকশা প্রণয়ন করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে অফিস, চার্চ, বিদ্যালয়, স্কাইস্ক্র্যাপার, হোটেল এবং মিউজিয়াম। তিনি তার ভবনগুলোর আসবাবপত্রস্টেইনড গ্লাসের মত অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোরও ডিজাইন করেছিলেন। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ২০ টিরও বেশি, এর পাশাপাশি লিখেছেন অসংখ্য নিবন্ধ। তিনি ইউরোপ ও আমেরিকায় লেকচারার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার বর্ণীল ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে প্রায়ই পত্রপত্রিকায় খবর হত, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ১৯১৪ সালে তার স্টুডিও তালিসিনে আগুন ও খুনের ঘটনা। তিনি তার জীবদ্দশায় সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে আমেরিকান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেকচার তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি হিসেবে স্বীকৃতি জানায়।

ফ্র্যাংক লয়েড রাইট

প্রথম জীবন

ফ্র্যাংক লয়েড রাইট জন্মেছিলেন উইস্কন্সিন এর রীচল্যান্ড সেন্টার এ। তার পিতা ছিলেন উইলিয়াম ক্যারী রাইট এবং মাতা আন্না লয়েড জোনস। তার আসল নাম ছিল ফ্র্যাংক লিঙ্কন রাইট, পরে এটি পরিবর্তিত হয় যখন তার পিতা মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। রাইটের বারো বছর বয়সে তার পরিবার উইস্কন্সিনের ম্যাডিসনে বসবাস শুরু করে। এখানে তিনি ম্যাডিসন হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। গ্রীষ্মের ছুটিগুলো তিনি কাটাতেন তার মামা জেমস লয়েড জোনস এর খামারে কাজ করে। এ সময়কার অভিজ্ঞতাই তার মাঝে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধার সঞ্চার করে, যা পরবর্তীকালের কাজসমূহে খুঁজে পাওয়া যায়।

১৮৮৫ সালে রাইট ইউনিভার্সিটি অফ উইস্কিন্সনে পুরকৌশল বিদ্যার দুটি সেমিস্টার সম্পন্ন করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি শিকাগোতে চলে যান।
শিকাগোতে তিনি বিখ্যাত স্থপতি জোসেফ ল্যীমান সীল্‌সবির অধীনে কাজ করা শুরু করেন। কিন্তু কাজের ধরন মনঃপূত না হওয়ায় এক বছরের মাঝেই এ কাজ ছেড়ে দিয়ে তিনি অ্যাডলার ও লুইস সুলিভান এর ফার্মে কাজ করা শুরু করেন। সুলিভান বিশ্বাস করতেন আমেরিকান স্থাপত্য হওয়া উচিত আমেরিকানদের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে , ইউরোপীয়ান স্থাপত্যের ধারা অনুকরণে নয়। তার এ বিশ্বাস পরবর্তীকালে রাইটের উপর গভীর প্রভাব রেখেছিল।
সুলিভান এর মতবাদ ছিলো 'ব্যবহারের উদ্দেশ্য হতেই আকারের সৃষ্টি' (Form Follows Function)। রাইট তার এই মতবাদকেই আরেকটু পরিবর্তন করে বিশ্বাস করতেন, ভবনের উদ্দেশ্য ও আকার দুটোরই সৃষ্টি একসাথেই, অর্থাৎ দুটোই আসলে এক (Form and Function are One)।

১৮৯৩ সালে তিনি সুলিভানের ফার্মে তার কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটে। এ সময় শিকাগোতে রাইট তার নিজস্ব ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন, ১৮৯৮ তে স্থান পরিবর্তন করে তিনি ওকপার্কে চলে যান।

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ