ব্রান্ডেনবুর্গ

ব্রান্ডেনবুর্গ (জার্মান: Brandenburg, ; পোলীয়: Brandenburgia) জার্মানির ১৬টি রাজ্যের অন্যতম। এই রাজ্যের রাজধানী পোট্সডাম। ব্রান্ডেনবুর্গ জার্মানি পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি ১৯৯০ সালে পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানি একত্রীকরণের দ্বারা দ্বিতীয়বারের মত রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। ব্রান্ডেনবুর্গের গা ঘেষে জার্মানির রাজধানী ও অন্যতম রাজ্য বার্লিন অবস্থিত। ব্রান্ডেনবুর্গের উদ্ভব ঘটে মধ্যযুগে। পরবর্তিতে এটি প্রুশিয়ার রাজধানী হয়।

ব্রান্ডেনবুর্গ
জার্মানির রাজ্য
ব্রান্ডেনবুর্গের পতাকা
পতাকা
ব্রান্ডেনবুর্গের প্রতীক
প্রতীক
স্থানাঙ্ক: ৫২°২১′৪৩″ উত্তর ১৩°০′২৯″ পূর্ব / ৫২.৩৬১৯৪° উত্তর ১৩.০০৮০৬° পূর্ব / 52.36194; 13.00806
দেশ জার্মানি
রাজধানীপোট্‌সডাম
সরকার
 • Minister-PresidentDietmar Woidke (SPD)
 • শাসক দলসমূহSPD / Left
 • বুনডেসরাটে ভোট4 (of 69)
আয়তন
 • মোট২৯,৪৭৮.৬৩ বর্গকিমি (১১,৩৮১.৭৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2012-12-31)[১]
 • মোট২৪,৪৯,৫১১
 • জনঘনত্ব৮৩/বর্গকিমি (২২০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইডিটি (ইউটিসি+২)
আইএসও ৩১৬৬ কোডDE-BB
যানবাহন নিবন্ধনformerly: BP (1945–1947), SB (1948–1953)[২]
জিডিপি/নামমাত্র€ 48 বিলিয়ন (২০০৫) [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাদাম অঞ্চলDE4
ওয়েবসাইটbrandenburg.de

ইতিহাস

মধ্যযুগের শেষের দিকে এবং আধুনিক সভ্যতার শুরুতে ব্রান্ডেনবুর্গ পুণ্য রোমান সারমাজ্যের এবং প্রুশিয়ার অন্যতম রাজ্য ছিল। ১৪১৫ সাল থেকে হোহেনজুলার্ন এর শাসক ছিলেন। ব্রান্ডেনবুর্গেই ভবিষ্যৎ জার্মানির রাজধানী বার্লিন অবস্থিত ছিল। ১৬১৮ সালে ব্রান্ডেনবুর্গ মার্গাভ্রিয়েট এবং প্রুশিয়া ডুচি সমন্বয়ে ব্রান্ডেনবুর্গ-প্রুশিয়া গঠিত হয়। ১৭০১ সালে ব্রান্ডেনবুর্গ-প্রুশিয়াকে উন্নীত করে কিংডম অফ প্রুশিয়া বা প্রুশিয়া রাজ্য গঠন করা হয়।

১৫৩৯ সালে ব্রান্ডেনবুর্গ প্রোটেসট্যান্ট সংস্কারের কারণে প্রোটেসট্যান্টিজম ভাবাপন্ন রাজ্যে পরিণত হয়। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে এলবে, হ্যাফেল এবং স্প্রি নদী দিয়ে এসব অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ঘটে। হোহেনজুলার্নরা এসময় রিনেল্যান্ড, ভেস্টফালিয়া ইত্যাদি অধিকারের মাধ্যমে তাদের রাজ্য বিস্তৃত করে। ফলে ব্রান্ডেনবুর্গ-প্রুশিয়া নামের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠিত হয়। স্বতন্ত্র দেশ হলেও ব্রান্ডেনবুর্গ-প্রুশিয়া ত্রিশ বছরের যুদ্ধে নিজেকে শত্রুর সাথে মোকাবেলা করার মত শক্তিশালী ছিল না।ত্রিশ বছরের যুদ্ধের শেষে ব্রান্ডেনবুর্গের শাসকগণ রাজ্যের সীমানা অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে। সেইসাথে তাদের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এদের মধ্যে ফ্রেডরিখ উইলিয়াম তাঁর একান্ত চেষ্টায় এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি রাজ্য প্রাসাদকে পোটসডামে স্থানান্তর করেন।

১৯৫২ সালে পূর্ব জার্মান সরকার ব্রান্ডেনবুর্গকে ডিসট্রিক্টে ভাগ করে। ব্র্যেন্ডেনবুর্গের বেশির ভাগ অংশ পোটসডাম, ফ্রাঙ্কফুর্ট বা কোটবুস-এ পড়ে। কিন্তু ব্রান্ডেনবুর্গের সাবেক প্রদেশগুলো শ্ভেরিন, নয়ব্রান্ডেনবুর্গ এবং মেগডিবুর্গে পড়ে। পূর্ব জার্মানি জ্বালানির উৎস হিসেবে লিগনাইটের উপর নির্ভর করত। এই লিগনাইটের অনেক খনি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব ব্রান্ডেনবুর্গে। তাই বার্লিনকে ঘিরে ব্রান্ডেনবুর্গের এই অংশে গড়ে উঠা শিল্পাঞ্চল ছিল পূর্ব জার্মানির অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। অপরদিকে ব্রান্ডেনবুর্গের গ্রামাঞ্চল শিল্প-কারখানা তেমন গড়ে উঠেনি, এই জায়গাগুলো প্রধানত কৃষিনির্ভর।

ধর্ম

ব্রান্ডেনবুর্গের ১৭.১% মানুষ জার্মানির এভ্যাঞ্জেলিকাল চার্চ অনুসরণ করে। ৩.১% মানুষ রোমান ক্যাথলিক।[৩] অবশিষত ৭৯.৮% মানুষের মধ্যে অধিকাংশ খ্রিস্টান ব্যতীত অন্যান্য ধর্ম পালন করে বা কোন ধর্মেই বিশ্বাসী না। বার্লিন বা জার্মানির অন্যান্য জায়গার তুলনায় এখানে মুসলমান অধিবাসীড় সংখ্যা কম।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ