ভারত–যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
যুক্তরাজ্য | ভারত |
---|---|
কূটনৈতিক মিশন | |
যুক্তরাজ্যের হাই কমিশন, নতুন দিল্লি | ভারতের হাই কমিশন, লন্ডন |
দূত | |
ভারতে ব্রিটিশ হাই কমিশনার ফিলিপ রবার্ট বার্টন | যুক্তরাজ্যে ভারতীয় হাই কমিশনার গৈত্রী ইসর কুমার |
ভারত–যুক্তরাজ্য সম্পর্ক ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বোঝায়, যা ভারতীয়–ব্রিটিশ সম্পর্ক বা ইন্দো-ব্রিটিশ সম্পর্ক হিসাবেও পরিচিত। লন্ডনে ভারতের একটি হাই কমিশন এবং বার্মিংহাম ও এডিনবার্গে দুটি কনস্যুলেট রয়েছে।[১] নতুন দিল্লিতে যুক্তরাজ্যের একটি হাই কমিশন এবং কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর ও হায়দরাবাদে মোট পাঁচটি উপ হাই কমিশন রয়েছে।[২] উভয় রাষ্ট্রই কমনওয়েলথ অফ নেশনস-এর পূর্ণ সদস্য।
যুক্তরাজ্যে ভারতীয়দের জনসংখ্যা ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি। যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ২০১০ সালে ভারতীয়–ব্রিটিশ সম্পর্ককে "নতুন বিশেষ সম্পর্ক" হিসাবে বর্ণনা করেন।[৩][৪]
টিউডর ইংল্যান্ড ও মুঘল ভারতের মধ্যে ১৬০০ সালে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন সম্রাট আকবরের মুঘল দরবারে প্রথম এলিজাবেথ কর্তৃক মূল্যবান উপহার প্রেরণের মধ্যমে নবগঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি রাজকীয় সনদ লাভ করে। ১৭০৭ সালে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে, বিশ্বের জিডিপির ২৫ শতাংশ অংশীদারিত্বের সাথে ভারত শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারক বা উৎপাদক ছিল। ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার সময় বিশ্বের জিডিপিতে ভারতের অংশীদারতা ছিল ৪% এর কাছাকাছি। আঠারো শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে আরও বেশি প্রভাব অর্জন করতে শুরু করে। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধ বাংলা বিজয়ের দিকে পরিচালিত করে এবং ১৮৫৭ সালে ভারতীয় রাজ্যের সাথে বিভিন্ন চুক্তি ও যুদ্ধের পরে (যেমন টিপু সুলতানের সাথে অ্যাংলো-মাইসোর যুদ্ধ, অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধ ও অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধ) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পরে, যেখানে ভারতীয় সিপাহীরা তাদের ব্রিটিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, পরের বছর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্পদ এত বিশাল হয়ে উঠল যে ব্রিটিশ সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত এশিয়া জুড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের মূল ঘাঁটি হিসাবে কাজ করেছিল এবং সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপনিবেশ ও আয়ের প্রধান উৎস হিসাবে থাকে স্বাধীনতা পর্যন্ত। ১৮৭৬ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাট হন। একটি ছোট ব্যবসায়ের ঘাঁটি থেকেই ভারত ব্রিটিশ মুকুটের রত্নে পরিণত হয়েছিল।
| ||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||
|