মার্কিন নৌসেনাবাহিনী
মার্কিন নৌসেনাবাহিনী (ইংরেজি: United States Marine Corps); যা ইংরেজিতে ইউনাইটেড স্টেটস মেরিন কোর, সংক্ষেপে ইউএসএমসি নামে পরিচিত (ইংরেজি: USMC) হচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি শাখা। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী[১১] ও যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীকে সাহায্য করাই এ শাখার প্রধান কাজ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি সশস্ত্র পরিষেবার একটি। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বেসামরিক গঠনকাঠামো অনুসারে নৌসেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর একটি অংশ।[১২][১৩] প্রশিক্ষণ, পরিবহন ও অন্যান্য সহায়তায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রে কাজ করে। যদিও সামরিক গঠনকাঠামো অনুসারে নৌসেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পৃথক একটি শাখা।[১৪]
মার্কিন নৌসেনাবাহিনী | |
---|---|
প্রতিষ্ঠা | ১১ জুলাই ১৭৯৮ (২২৫ বছর, ৯ মাস) (বর্তমান পরিষেবা হিসাবে) ১০ নভেম্বর ১৭৭৫ |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | সামুদ্রিক স্থলবাহিনী |
ভূমিকা |
|
আকার |
|
অংশীদার | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী নৌবাহিনী বিভাগ |
সদরদপ্তর | পেন্টাগন আর্লিংটন , ভার্জিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্র |
ডাকনাম | "Jarheads", "Devil Dogs", "Teufel Hunden", "Leathernecks" |
নীতিবাক্য | Semper fidelis |
Colors | Scarlet and Gold [৬][৭] |
কুচকাত্তয়াজ | "Semper Fidelis" ⓘ |
মাস্কট | English bulldog[৮][৯] |
বার্ষিকী | 10 November |
সরঞ্জামাদি | List of U.S. Marine Corps equipment |
যুদ্ধসমূহ | See list
|
সজ্জা | |
ওয়েবসাইট | Marines.mil |
কমান্ডার | |
Commander-in-Chief | President Joe Biden |
Secretary of Defense | Lloyd Austin |
Secretary of the Navy | Thomas Harker (acting) |
Commandant | Gen David H. Berger |
Assistant Commandant | Gen Gary L. Thomas |
Sergeant Major of the Marine Corps | SMMC Troy E. Black |
প্রতীকসমূহ | |
Flag | |
Seal | |
Emblem ("Eagle, Globe, and Anchor" or "EGA")[টীকা ১] | |
Song | "The Marine's Hymn" ⓘ |
১৭৭৫ সালের ১০ নভেম্বর ফিলাডেলফিয়াতে ক্যাপ্টেন স্যামুয়েল নিকোলস নৌ পদাতিক বাহিনী হিসেবে কন্টিনেন্টাল মেরিনের দুইটি ব্যাটেলিয়ন গঠন করেন।[১৫] তখন থেকেই নৌসেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শাখা ও পররাষ্ট্র নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সকল সামরিক সংঘর্ষে এই সামরিক শাখার একটি ভূমিকা ছিলো। এছাড়াও বিশ শতকে নৌসেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা উভচরী যুদ্ধের তত্ত্ব ও প্রয়োগ প্রমাণে সমর্থ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘাঁটিগুলোতে মার্কিন নৌসেনাবাহিনীর ভূমিকা, এই বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা ও কার্যকরীতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দাখিল করে।[১৬] বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে, মার্কিন নৌসেনাবাহিনী উভচরী যুদ্ধ কৌশলের একটি দক্ষ ও প্রভাশালী প্রয়োগকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়।[১৭][১৮][১৯] কোনো আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় এর শক্তিশালী ভূমিকা রাখার ক্ষমতা এই বাহিনীকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে গুরুত্ববহ প্রভাব রাখার সুযোগ করে দেয়।[২০]
মার্কিন নৌসেনাবাহিনী কার্যরত মেরিনের সংখ্যা প্রায় ১৮০,৯৫৮ (২০২০ সাল পর্যন্ত),[২১] এছাড়াও আরো প্রায় ৩৮,৫০০ সংরক্ষিত মেরিন সেনা রয়েছে।[৩]এটি যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে সর্বকনিষ্ঠ বাহিনী। যদিও যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড সবচেয়ে ছোট, যার সদস্য সংখ্যার নৌসেনাবাহিনী পাঁচ ভাগের এক ভাগ, কিন্তু এটি সশস্ত্র বাহিনীর আওতাধীন নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আওতাধীন। তদুপরি এই নৌসেনাবাহিনীর কলেবর বিশ্বের অনেক সশস্ত্র বাহিনীর চেয়ে বৃহৎ। উদাহরণস্বরূপ এটি সম্পূর্ণ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর চেয়েও বড়।[২২][২৩]
নৌসেনাবাহিনীর ব্যয় নির্বাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাজেটের প্রায় ৬ শতাংশ ব্যয় হয়। মার্কিন যে-কোনো চাকুরীর তুলনা একজন মেরিন সেনার পেছনে ২০,০০০ মার্কিন ডলার কম ব্যয় হয়। এই সম্পূর্ণ বাহিনীটি বড় ধরনের যুদ্ধক্ষেত্র ও সহযোগী যুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার উপযোগী।[২৪] অর্থাৎ, মেরিন সেনারা থ্রি ব্লক ওয়ারের পুরোটাতেই কাজে লাগতে সমর্
অভিযান
ঐতিহাসিক অভিযান
নৌবাহিনীর সমুদ্রগামী যুদ্ধযানগুলোর একটি পদাতিক বাহিনী হিসেবে নৌসেনাবাহিনীর সৃষ্টি। বিস্তৃত ও বড়সড় আক্রমণের সময় জাহাজ ও এর ক্রুদের নিরাপত্তা প্রদান করাই ছিলো এর মূল দায়িত্ব। এছাড়া জাহাজের কর্মকর্তাদের বিদ্রোহ থেকে বিরত রাখতেও এর ভূমিকা ছিলো। পরবর্তীতে মেরিনদের থাকার জায়গায়ও জাহাজের মধ্যে স্থান পায়। কন্টিনেন্টাল মেরিনরাও জলে ও স্থলে উভয় স্থানেই অভিযান পরিচালনা করতো। আমেরিকার বিপ্লবের সময় প্রথম এ ধরনের উভচরী অভিযান পরিচালিত হয়। মেরিনরা তখন এক অভিযানে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের নিউ প্রভিডেন্সে অবস্থিত ব্রিটিশ নৌবাহিনীর বন্দর ও অস্ত্রাগার দখল করে। তখন থেকেই নৌসেনাবাহিনীর কার্যসীমা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বর্ধিত হয়। যেহেতু প্রকৃত নৌ অভিযানের প্রয়োজনীয়তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে, এবং নৌযুদ্ধ আরো বেশি পেশাদার ও আধুনিক হয়ে উঠতে থাকে, তাই কোররা আস্তে আস্তে উপকূলভিত্তিক অভিযান গুলোতে জোর দিতে থাকে। এগুলো পূর্বে ছিলো নৌবাহিনীর দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান।
ব্যবহৃত সরঞ্জাম
পদাতিক যুদ্ধাস্ত্র
মার্কিন নৌসেনাবাহিনীর ব্যবহৃত মূল যুদ্ধাস্ত্র হচ্ছে এম১৬ সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল। বেশিরভাগ মেরিন সেনাই এই সিরিজের এম১৬এ২ ও এম১৬এ৪ মডেলের সার্ভিস রাইফেল ব্যবহার করেন। এছাড়া এম৪ কারবাইন নামে এম১৬ সিরিজের একটি বিশেষ সংস্করণও ব্যবহৃত হয়। এই বাহিনীর ব্যবহৃত সবচেয়ে প্রচলিত সাইড আর্ম (কোমরে যে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়, যেমন: পিস্তল) হিসেবে ব্যবহৃত হয় এম৯ পিস্তল। এছাড়া ভারী গুলি বর্ষণের জন্য এম২৪৯ এসএডব্লিউ ও এম২৪০জি মডেলের মেশিন গান ব্যবহৃত হয়। অনিয়মিত আক্রমণের ক্ষেত্রে কম্পানিগুলোতে ব্যবহৃত হয় এম২০৩ গ্রেনেড লঞ্চার, ৬০ মিলিমিটার ক্যালিবার বিশিষ্ট এম২২৪ মর্টার, এবং ব্যাটালিয়নগুলোতে ৮১ মিলিমিটারের এম২৫২ মর্টার।
ভূমিতে চলনক্ষম সাজোয়া যান
মার্কিন সেনাবাহিনীর মতোই ভূমিতে মেরিন সেনাদের ব্যবহৃত সাজোয়া যানগুলোর মধ্যে আছে হাই মোবিলিটি মাল্টিপারপাস হুইলড ভেহিকল (সংক্ষেপে, হামভি) ও এম১এ১ আব্রামস ট্যাংক। তদুপরি, ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজনে এই বাহিনী বিশেষ কিছু সাজোয়া যান ব্যবহার করে। এর মধ্যে আছে এলএভি-২৫ আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার। অনেকটা সেনাবাহিনীর ব্যবহার্য স্ট্রাইকার সাজোয়া যানের মতো। এ ধরনের যান যুদ্ধের ময়দানে কৌশলগত বহনযোগ্যতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।[২৫] নৌসেনাবাহিনীর উভচরী সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় এএভি-৭এ১ অ্যাম্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট ভেহিকল। এটি হচ্ছে একপ্রকারে ট্র্যাকড (চেইন ট্র্যাকযুক্ত) এপিসি, যা জল ও স্থল উভয় পরিবেশে চলতে সক্ষম। এটি একই সাথে দ্রুত গতির ও ভারী অস্ত্রসস্ত্র বহনে সক্ষম।[২৬]
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
- Ballendorf, Dirk Anthony (১৯৯৭)। Pete Ellis: an amphibious warfare prophet, 1880–1923। Annapolis, Md.: Naval Institute Press।
- Chenoweth, USMCR (Ret.), Colonel H. Avery (২০০৫)। Semper fi: The Definitive Illustrated History of the U.S. Marines। New York: Main Street। আইএসবিএন 1-4027-3099-3। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Ellsworth, Harry Allanson (১৯৩৪)। One Hundred Eighty Landings of United States Marines 1800–1934। Washington, D.C.: History and Museums Division, HQ, USMC।
- Estes, Kenneth W. (২০০০)। The Marine Officer's Guide, 6th Edition। Naval Institute Press। আইএসবিএন 1-55750-567-5।
- Fehrenbach, T.R. (১৯৯৪)। This Kind of War: The Classic Korean War History। Brassey's। আইএসবিএন 1-57488-259-7।
- Foster, Douglas (২০০৬)। Braving the Fear: The True Story of Rowdy US Marines in the Gulf War। Frederick, Md.: PA। আইএসবিএন 1-4137-9902-7। ২০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Freedman, David H. (২০০০)। Corps Business: The 30 Management Principles of the U.S. Marines। New York: Collins।
- Krulak, Victor H. (১৯৮৪)। First To Fight: An Inside View of the U.S. Marine Corps । Annapolis, Maryland: Naval Institute Press। আইএসবিএন 0-87021-785-2।
- Lawliss, Chuck (১৯৮৮)। The Marine Book: A Portrait of America's Military Elite। New York: Thames and Hudson।
- Lind, William S. (১৯৮৫)। Maneuver Warfare Handbook। Boulder, Colorado: Westview Press। আইএসবিএন 0-86531-862-X। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - Martinez, Marco (২০০৭)। Hard Corps: From Gangster to Marine Hero। New York: Crown Forum। আইএসবিএন 978-0-307-38304-4।
- Millet, Alan R. (১৯৯১)। Semper Fidelis: The History of the United States Marine Corps। New York: Macmillan।
- Moskin, J. Robert (১৯৮৭)। The U.S. Marine Corps Story। New York: McGraw-Hill।
- Ricks, Thomas E. (১৯৯৭)। Making the Corps। New York, NY: Scribner। আইএসবিএন 1-4165-4450-X।
- Simmons, Edwin H. (২০০৩)। The United States Marines: A History, Fourth Edition। Annapolis, Maryland: Naval Institute Press। আইএসবিএন 1-59114-790-5।
- Warren, James A. (২০০৫)। American Spartans: The U.S. Marines: A Combat History From Iwo Jima to Iraq । New York: Free Press, Simon & Schuster। আইএসবিএন 0-684-87284-6।
- West, Bing (২০০৩)। The March Up: Taking Baghdad with the 1st Marine Division । New York: Bantam Books। আইএসবিএন 0-553-80376-X। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - West, Bing (২০০৫)। No True Glory: A Frontline Account of the Battle for Fallujah। New York: Bantam Dell। আইএসবিএন 978-0-533-90402-7
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। অজানা প্যারামিটার|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- প্রাতিষ্ঠানিক রিক্রুটমেন্ট ওয়েবসাইট
- প্রাতিষ্ঠানিক রিক্রুটমেন্ট ভিডিও
- মার্কিন নৌসেনাবাহিনী — মাইস্পেস
- একুশ শতকের সমুদ্র শক্তির একটি সহযোগিতামূলক কৌশল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে
- নৌসেনাবাহিনী হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ মে ২০০৬ তারিখে
- মেরিনদের জন্য একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক অভিধান
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "টীকা" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="টীকা"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি