মাহশা আমিনী প্রতিবাদ

পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানে চলমান বিক্ষোভ এবং ধারাবাহি

ইরানের হিজাব বিরোধী বিক্ষোভ, ২০২২ হলো চলমান বিক্ষোভ ও নাগরিক অবাধ্যতার একটি অংশ যা মাহশা আমিনী (ফার্সি: مهسا امینی) বা যিনা আমিনী (ফার্সি: ژینا امینی, কুর্দি: ژینا ئەمینی, Zhina Amini),[৫] এর মৃত্যুর পর ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ শুরু হয়েছিল, যিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যান। ইরানের ইসলামি "নৈতিকতা পুলিশ" নামে পরিচিত গাইডেন্স প্যাট্রোল তাঁকে মারধর করে এবং একটি "অপূর্ণাঙ্গ পর্দা (হিজাব)" সম্পর্কিত একটি পোশাক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে।[৬] কুর্দিস্তান প্রদেশের সাক্কেজ, সানন্দাজ, দিভান্দার্‌রেহ, বানেহ ও বিজার শহরে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পরে ইরানের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ আন্দোলনগুলো একদিন পর দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং তেহরান, হামাদান, কেরমানশাহ, মাশহাদ, সবজেভার, আমোল, বাবোল, এসফাহন, কেরমান, শিরাজ, তাবরিজ, রাশৎ, সারি, কারাজ, চালুস, নওশহর, টোনেকাবন, আরাক, ইলাম, কিশ দ্বীপ প্রভৃতি শহর অন্যান্য অনেক শহরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।[৭][৮]

মাহশা আমিনী প্রতিবাদ
২০২১–২০২২ ইরানি আন্দোলন, ইরানি গণতন্ত্র আন্দোলন, বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে ইরানীয় প্রতিবাদ এবং মাহশা আমিনীর মৃত্যু-এর অংশ
তারিখ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ – বর্তমান
অবস্থান
কারণ
লক্ষ্যসমূহ
  • ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের পতন
  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
  • নাগরিক আইনের বাধ্যতামূলক প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাহার
  • নৈতিকতা পুলিশ নিষিদ্ধকরণ
  • ইরানের নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমন
  • মাহশা আমিনীর মৃত্যুর সঙ্গে অভিযুক্তদের বিচার
প্রক্রিয়াসমূহবিক্ষোভ, সমাবেশ, দাঙ্গা, পথ অবরোধ, ব্যারিকেড এবং প্রকাশ্যে হিজাব আইন অবাধ্যকরণ
অবস্থাচলমান
নাগরিক সংঘাতের দলসমূহ
ইরানি বিক্ষোভকারী

ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র

  • ফারাজা
  • আরতেশ
  • আইআরজিসি
  • বাসিজ
  • গোপন ছদ্মবেশী
  • বিক্ষোভ দমন পুলিশ
নেতৃত্ব দানকারীগণ
অকেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব
ইরান আলি খামেনেই
ইরান ইব্রাহিম রাইসি
ইরান আহমেদ ভাহিদি
ইরান আলি শামখানি
হোসেইন আশতারি
ক্ষয়ক্ষতি
নিহত৫০+[২][৩][৪]
আহত৭৩৩+[১]

২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ (2022-09-22)-এর হিসাব অনুযায়ী, কমপক্ষে পঞ্চাশ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে, ১,৫০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি সংঘটিত ২০১৯-২০২০ বিক্ষোভের পর থেকে এটি ইরানের সবচেয়ে মারাত্মক বিক্ষোভ।[২]

বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ইরান সরকার শুধু বিক্ষোভ দমনই করেনি বরং বিক্ষোভকারীদের সংঘবদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করতে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলিতে অ্যাক্সেস এবং সীমিত ইন্টারনেট অ্যাক্সেসিবিলিটি অবরুদ্ধ করে দিয়েছে। এটি ২০১৯ সালের পর ইরানে সবচেয়ে গুরুতর ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা, যখন ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।[৯]

প্রেক্ষাপট

ইরানে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল। মাহশা আমিনী ছিলেন ২২ বছর বয়সী কুর্দি-ইরানি তরুণী, যাঁকে "অপূর্ণাঙ্গ হিজাব" পরিধানের জন্যে ১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে গাইডেন্স প্যাট্রোল গ্রেপ্তার করেছিল। অভিযোগ করা হয়, প্যাট্রোল কর্তৃক মারধর করায় মাথার খুলিতে আঘাতের কারণে তিনি ব্রেন ডেড হয়ে পড়েছিলেন। দুই দিন পরে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। তাঁর জানাজার পর ইরানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে তেহরানে দেশব্যাপী একটি ধর্মঘট ডাকা হয়। ইরানি কুর্দিস্তান দল এবং কুর্দিস্তানের নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মীরা সোমবার একটি সাধারণ ধর্মঘট দিবস ঘোষণা করেছে।[১০][১১][১২]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ