ম্যাকিন্টশ
অ্যাপল ম্যাকিন্টশ, সংক্ষেপে ম্যাক, একটি বিখ্যাত কম্পিউটার সিরিজ। যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ক এবং কম্পিউটার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল কম্পিউটার এ ধরনের কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসে। আই বি এম প্রস্তুতকৃত কম্পিউটারের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আবির্ভাব। অ্যাপল প্রথম গ্রাফিক্স আইকন সংবলিত অপারেটিং সিসটেম উপহার দেয়। এটি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্রান্ড কম্পিউটার তৈরি করে যাচ্ছে, এর কোন ক্লোন হয় না।
ম্যাকিন্টশ | |
---|---|
হিসাবেও পরিচিত | ম্যাক |
উন্নয়নকারী | অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড |
প্রস্তুতকারক | অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড |
ধরন | ব্যক্তিগত কম্পিউটার |
মুক্তির তারিখ | ২৪ জানুয়ারি ১৯৮৪ |
অপারেটিং সিস্টেম | ম্যাকিন্টশ অপারেটিং সিস্টেম (ক্ল্যাসিকাল ম্যাক ওএস · ম্যাক ওএস) |
ওয়েবসাইট | apple |
ম্যাকিনটোশ(যা ১৯৯৮ সাল হতে বাজারে ম্যাক নামে পরিচিত হয়ে আসছে) হল অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড উদ্ভাবিত একটি পার্সোন্যাল কম্পিউটারের সিরিজ। মূলত আমেরিকার স্টিভ জবস ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের উদ্ভাবক। ১৯৮৪ সালের ১০ জানুয়ারী বিশ্ববাসী তার মাধ্যমে সত্যিকারের ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের সাথে পরিচিত হয়। এটি ছিল ইন্টিগ্রাল গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ও মাউস ব্যবহৃত কোম্পানীর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকৃত পার্সোন্যাল কম্পিউটার। প্রথম মডেলটির নামকরণ পরবর্তীতে ম্যাকিনটোশ ১২৮কে করা হয়।
নামকরণ
ম্যাকিনটোশ প্রজেক্টটি মূলত ১৯৭৯ সালে অ্যাপলের একজন কর্মী জেফ রাসকিন এর হাত ধরে শুরু হয়, যিনি সাধারণভাবে স্বল্প মূল্যে এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি কম্পিউটারের কথা ভেবেছিলেন। তিনি কম্পিউটারটির নামকরণ তার প্রিয় জাতের আপেল ম্যাকিনটোশ এর নামে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একই নামে পূর্বের একটি অডিও ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার প্রতিষ্ঠান বর্তমান ছিল।[১] সে কারণে ম্যাকিনটোশ নামকরণ নিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় একটি আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবে পরবর্তীতে বানানটি সামান্য পরিবর্তন করে এ সমস্যার সমাধান করা হয়। [২][৩]
ইতিহাস
লিসা
ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের প্রথম মডেলটির নাম ছিল লিসা। ১৯৮৩ সালে অ্যাপল কোম্পানী এই মডেলটির উদ্ভাবন করে ।প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময়ের গবেষণা ও পরিশ্রমের ফসল এই ‘লিসা’। প্রজেক্টটিতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি ডলার। স্টিভ জবস তার প্রিয় মেয়ে লিসার নামানুসারে এই মডেলটির নাম রাখেন লিসা ।
অন্যান্য মডেল
লিসার পরবর্তী সময়ে অ্যাপল কোম্পানী বিভিন্ন সময়ে তাদের অন্যান্য মডেল যেমন- ম্যাকিনটোশ এক্সএল, ম্যাকিনটোশ ১২৮কে, ম্যাকিনটোশ ৫১২কে, ম্যাকিনটোশ প্লাস, ম্যাকিনটোশ পোর্টেবল, পাওয়ারবুক, আইম্যাক জি৪, ম্যাকবুক, ম্যাকবুক এয়ার ইত্যাদি বাজারে নিয়ে আসে। [৪][৫][৬]
বর্তমানে সময়ের আইম্যাক
পূর্বের মডেলগুলো থেকে চিকন এবং বড় এ সময়ের আধুনিক আইম্যাকে রয়েছে স্লিম স্ক্রিন, আলাদা কিবোর্ড এবং মাউস। সর্বশেষ ২৭ ইঞ্চির আইম্যাকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইনটেল প্রসেসর এবং ফিউশন ড্রাইভ ডেটা স্টোরেজ।