যয়নব বিনতে আবি সালামা

যয়নব বিনতে আবি সালামা (আরবি: زینب بنت ابی سلمة) মুহাম্মদের স্ত্রী উম্মে সালামার আগের সংসারের সন্তান ছিলেন। তিনি ফকীহ ও মুহাদ্দিস ছিলেন। [১]

যয়নব
(আরবি):زینب بنت ابی سلمة
জন্ম
যয়নব বিনতে আবি সালামা

আবিসিনিয়া, আকসুম সাম্রাজ্য
(বর্তমান ইথিউপিয়া)
মৃত্যু৭৩বা ৭৪হিজরী/৬৯৪খ্রিস্টাব্দ
মদিনা
সমাধিজান্নাতুল বাকি, মদিনা
অন্যান্য নামবাররাহ
দাম্পত্য সঙ্গীআবদুল্লাহ ইবনে জামআ ইবনে আসওয়াদ আল-আসাদী
পিতা-মাতাআবি সালামাহ ইবনে আব্দুল আসাদ,
উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়া
আত্মীয়উমর ইবনে আবি সালামা (ভাই)
উরওয়া ইবনে যুবায়ের (দুধ ভাই)

নাম এবং বংশ

তার পূর্ব নাম ছিল বাররাহ। মুহাম্মদ তার নাম পাল্টে যয়নব রাখেন। তিনি মাখযুম গোত্রের ছিলেন। [২]

বংশ নিম্নরূপ: যয়নব বিনতে আবী সালামাহ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আসাদ ইবনে হিলাল ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে মাখজুম। [৩]

জন্ম

তিনি উম্মে সালমার গর্ভ থেকে (বর্তমান ইথিওপিয়া) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কিছু সময় পরে তিনি মদীনায় হিজরত করে চলে আসেন। আসমা বিনতে আবি বকর তাকে বুকের দুধ পান করান।

শিক্ষা

তিনি নবী করীম, নিজের মা, যয়নব বিনতে জাহাশ,উম্মে হাবিবা, আয়েশাসহ অনেকের কাছ থেকে দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করেন।

জীবনযাপনের অবস্থা

৪র্থ হিজরিতে যয়নবের বাবা আবু সালামার মৃত্যুবরণ হলে উম্মে সালামাহ মুহাম্মদের সাথে বিবাহ চুক্তিতে এসেছিলেন। তখন যয়নব শিশু ছিল। তিনি তাঁর মার সাথে মুহাম্মাদ এর কাছে এসেছিলেন। নবী মুহাম্মাদ তাকে ভালবাসতেন। যখন পায়ে হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি মুহাম্মদ এর কাছে আসতেন। তিনি যখন গোসল করতেন, তখন নবী তাঁর মুখে পানি ছিটিয়ে দিতেন। বলা হয়ে থাকে যে, এটি তার জন্য আশীর্বাদ ছিল। তার মুখের উজ্জ্বলতা বুড়ো বয়স পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল।[৪]

মুহাদ্দিস ও ফকীহ

তিনি অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন। নবী করীম(সা.), উম্মাহাতুল মু’মেনীনদের কাছ হাদীস শুনে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে তা বর্ণনা করেন।

ইবনে আব্দুর বার বলেন,“তিনি তার সময়ে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী ছিলেন।” [৫]

আবু রাফে’ বলেন,“আমি যখন মদিনার কোন মহিলা ফকীহের নাম বলতাম, তখন যয়নব বিনতে আবি সালামাহর নাম বলতাম।”[৩]

হাদীস বর্ণনা

তার কাছ থেকে অনেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আলী ইবেন হুসাইন, কাসেম ইবনে মুহা্ম্মদ,আবু কলাবাহ আল জারমী, কালীব ইবেন ওয়ায়েল, মুহাম্মদ ইবনে আমর ইবনে আতা, উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আতা, ইরাক ইবনে মালিকসহ অনেকেই।

বিবাহ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনে জামআ ইবনে আসওয়াদ আল-আসাদীকে বিয়ে করেছিলেন। তার দুটি পুত্রসন্তান ছিল। যার একজনের নাম ছিল আবু উবায়দাহ। ৬৩ হিজরীতে হাররাহ যুদ্ধে উভয়জন শহীদ হয়ে ছিলেন।[৫]

মৃত্যু

ছেলেদের মৃত্যুর পরে তিনি কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন এবং ৭৪ হিজরি মুতাবেক ৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এটি ছিল তারিকের শাসনের সময়। ইবনে উমর তার জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন। জান্নাতুল বাকীতে তিনি তাকে দাফন করা হয়।[৬]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ