রিদম অ্যান্ড ব্লুজ
রিদম এ্যান্ড ব্লুজ (ইংরেজি: rhythm and blues) এক ধরনের আফ্রিকান আমেরিকান গানের ধারা যা ১৯৪০-এর দশকে জন্ম লাভ করে।[১] বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের জেরি ওয়েক্সলার ১৯৪৮ সালে আমেরিকায় রিদম এ্যান্ড ব্লুজ শব্দটি ব্যবহার করেন সাংগীতিক বাণিজ্যিক একটা শব্দ হিসেবে। আফ্রিকান আমেরিকানদের অভিবাসন ১৯৩০-এর দশকে শিকাগো, নিউইয়র্ক, লস এঞ্জেলেসে শহুরে সঙ্গীতের যেমন জ্যাজ সঙ্গীত, ব্লুজের একটা চাহিদা সৃস্টি করে। জ্যাজ সঙ্গীত, ব্লুজ জাতের সঙ্গীত থেকে আস্তে আস্তে সৃস্টি হয় রিদম এ্যান্ড ব্লুজ সঙ্গীত ধারার। ইলেকট্রিক গিটার ক্রমশঃ মূল বাদ্যযন্ত্র হয়ে উঠছে পিয়ানো ও স্যাক্সোফোনের সাথে সাথে।[২]
রিদম এ্যান্ড ব্লুজ | |
---|---|
শৈলীগত বূৎপত্তি | জ্যাজ সঙ্গীত ব্লুজ |
সাংস্কৃতিক বূৎপত্তি | ১৯৪০-এর দশক-১৯৫০-এর দশক,আমেরিকা |
প্রথাগত বাদ্যযন্ত্র | ড্রাম - ডাবল বেজ - স্যাক্সোফোন - পিয়ানো - ইলেকট্রিক গিটার |
অমৌলিক গঠন | ফাঙ্ক - স্কা - সোল - রক এ্যান্ড রোল |
১৯৪৮ সালে আরসিএ ভিক্টর কালোদের সংগীতকে ব্লুজ এ্যান্ড রিদম নামে বাজারজাত করেন। সেই বছরই লুইস জর্ডান ১ম পাঁচটা আর এ্যান্ড বি গানের তালিকা তৈরি করেন যেখানে দুইটা গান বুগী-উগি রিদমে করা হয়েছিল এবং ১৯৪০-এর দশকে গানগুলো বিখ্যাত হয়ে ওঠে।[৩] জর্ডানের ব্যান্ড ট্যাম্পানি ফাইভ, যা ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সেখানে তিনি ভোকাল ও স্যাক্সোফোনে ছিলেন এবং অন্যান্য মিউজিশিয়ানদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন ট্রাম্পেটে, টেনর স্যাক্সোফোনে, পিয়ানোতে, বেজে ও ড্রামসে।[৪][৫] লরেন্স কনের মতে, তাদের সঙ্গীত ছিল বুগী সময়ের জ্যাজে রঞ্জিত ব্লুজের চেয়ে দৃঢ়তাসম্পন্ন।[৬] রিদম এ্যান্ড ব্লুজ -এর দ্রুত সফলতা শুরু হয় তুত্তি ফ্রুত্তি ও লং টল স্যালি ব্যান্ডের মাধ্যমে যারা প্রভাবিত করেছিলেন জেমস ব্রাউন, এলভিস প্রেসলি এবং অতিস রেদ্দিংকে। ১৯৫৭ সালে এলভিস প্রেসলি-এর দু’টি গান আর এ্যান্ড বি গানের তালিকার ১ম পাঁচটা গানে চলে আসে। জেইলহাউজ রক এক নাম্বারে ও অল শুক আপ গানটি পাঁচ নাম্বারে চলে আসে। এমন এক সঙ্গীত ধারা যা কালোদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সেখানে অ-আফ্রিকান-আমেরিকান গায়কের গানের গ্রহণযোগ্যতা বিস্ময়কর ছিল।
তথ্যসূত্র
আরো দেখুন
- আফ্রিকান আমেরিকান গান
বহিঃসংযোগ
- www.billboard.com আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে
- findarticles.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে
- www.wfmu.org