শন মেন্ডেস
শন পিটার রাউল মেন্ডেস (জন্ম আগস্ট ৮, ১৯৯৮) হচ্ছেন একজন কানাডিয়ান গায়ক এবং গান-লেখক। ২০১৩ সালে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং এপ্লিকেশন “ভাইন” এ বিভিন্ন গানের কভার করে পোস্টিং এর মাধ্যমে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরের বছর তিনি সঙ্গীত পরিচালক এন্ড্রো গেরটলার এবং আইল্যান্ড রেকর্ড এর আর্টিস্ট ও রেপেরটরি জিগি চার্টন এর সাথে রেকর্ড করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। মেন্ডেস একটি এক্সটেন্ডেড প্লে(শন মেন্ডেস ইপি) এবং তার প্রথম স্টুডিও এ্যালবাম ‘“হ্যান্ডরিটেন”’ প্রকাশ করেন, যার একক “স্টিচেস” যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার টপ ১০ এ পৌঁছায়।
শন মেন্ডেস | |
---|---|
জন্ম | শন পিটার রাউল মেন্ডেস আগস্ট ৮, ১৯৯৮ টরোন্টো, ওন্টারিও, কানাডা |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ২০১৩- বর্তমান |
ওয়েবসাইট | shawnmendesofficial |
প্রাথমিক জীবন
শন মেন্ডেস কানাডার ওন্টারিও শহরের টরোন্টোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং শহরটির উপকণ্ঠ পিকারিং এ বড় হন। শন মেন্ডেস হচ্ছেন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট কারিন এবং টরোন্টোর বার ও রেস্টুরেন্টগুলোর খাবার সরবরাহের ব্যবসায়ী ম্যানুয়েল মেন্ডেস এর পুত্র। তার বাবা পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত যেখানে তার মা হচ্ছেন একজন ইংরেজ। সে ওন্টারিওর পিকারিং এর পাইন রাইডজ সেকেন্ডারি স্কুল এ অংশ নেয়।[১]
ক্যারিয়ার
সে ২০১৩ সালে জনপ্রিয় সামাজিক ভিডিও অ্যাপ ভাইন এ বিভিন্ন গানের কভার পোস্ট করতে থাকে এবং কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েক লক্ষ ভিউ এবং ফলোয়ার তুলে নেন।[২] বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের ছয় সেকেন্ড এর রেন্ডিটিশন এর জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।[৩] আগস্ট ২০১৪ এর মধ্যে তিনি ভাইনের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ অনুসরণকারী গায়ক। সঙ্গীত পরিচালক এন্ড্রো গেরটলার তাকে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে আবিষ্কার করেন এবং আইল্যান্ড রেকর্ড এ নিয়ে আসেন যেখানে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন[৪] এবং ২০১৪ সালের জুনে তার প্রথম একক গান “লাইফ অভ দা পার্টি” প্রকাশ করেন। তিনিই হচ্ছেন সর্বকনিষ্ঠ শিল্পী যে ১৫ বছর বয়সে বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় ২৫তম অবস্থানে প্রবেশ করেছে, জুলাই ১২, ২০১৪ সপ্তাহের শেষে ২৪তম গান হিসেবে।[৫]
তার গানের গুরুত্বের জন্য, মেন্ডেস অন্যান্য তরুণ শিল্পীদের সাথে “দা ম্যাগকন ট্যুর” এর সদস্য হিসাবে পরিভ্রমণ করেন।[৬][৭] প্রারম্ভিক কাজ হিসাবে ‘“ওস্টিন ম্যাহোন”’ এর সাথেও তিনি সারাদেশ পরিভ্রমণ করেন এবং জুলাইয়ে ইপি এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন।[৮] ইপি প্রকাশিত হয় এবং প্রথম সপ্তাহে ৪৮,০০০ কপি বিক্রির মাধ্যমে বিলবোর্ড ২০০ এর মধ্যে ৫ম স্থান দখল করে।[৯] ২০১৪ সালে তিনি ওয়েব-স্টার ইন মিউজিক হিসাবে “টিন চয়েস” এওয়ার্ড অর্জন করেন।[১০]
এপ্রিল ১৪, ২০১৫ এ মেন্ডেস তার পুর্নদের্ঘ্য অ্যালবাম “হ্যান্ডরিটেন” প্রকাশ করেন।[১১] যার প্রারম্ভিকেই “বিলবোর্ড ২০০” এর তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে ১১৯,০০০ কপি বিক্রির মাধ্যমে। প্রথম সপ্তাহে ১০৬,০০০ কপি বিক্রি করলেও পরের সপ্তাহে তা ৮৯% লোপ পায়।[১২] অ্যালবামটির তৃতীয় গান “স্টিচেস” “বিলবোর্ড হট ১০০” এর চতুর্থ স্থান দখল করে, যা যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম একক হিসাবে টপ ১০ এর মধ্যে জায়গা পায়[১৩] এবং পরবর্তীতে “মেইনস্ট্রিম টপ ৪০” তালিকার প্রথম স্থান দখল করে।[১৪] মেন্ডেস “বিলিভ” নামে একটি গান রেকর্ড করেন “ডিজনি চ্যানেল অরিজিনাল মুভি” এর “ডিস্কেন্ডান্টাস(২০১৫)” ছবির জন্য। তিনি টেইলর সুইফট এর ট্যুর “দা ১৯৮৯ ওয়ার্ল্ড ট্যুর” এর সময় উত্তর আমেরিকায় অংশ নেন।[১৫]
মেন্ডেস “টাইম ম্যাগাজিন” এর ২০১৪[১৬] এবং ২০১৫ সালের সবচেয়ে প্রভাবিত করা ২৫ কিশোর এর তালিকায় যুক্ত হন।[১৭]
মেন্ডেস এবং ফিফথ হারমোনি এর ক্যামিলা কাবিলোর সাথে “আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার” গান প্রকাশ করেন নভেম্বর ১৮,২০১৫ এ। পরবর্তীতে এটি “হেন্ডরিটেন রিবিজিটেড” নামের পুনঃমুদ্রনে যুক্ত করা হয়।[১৮]
শিল্পনৈপুন্য
মেন্ডেস উল্লেখ করেন যে “জন মেয়র”, “এড শিরান”, জাস্টিন টিম্বারলেক এবং “ব্রুনো মার্স” হচ্ছেন তার সঙ্গীত প্রভাবক।[১৯][২০]
ডিস্কোগ্রাফি
স্টুডিও অ্যালবাম
- হ্যান্ডরিটেন (এপ্রিল ২০১৫)
- ইল্যুমিনেট (২০১৬)
- শন মেন্ডেস (২০১৮)
পুনঃমুদ্রন
- হ্যান্ডরিটেন রিবিজিটেড(নভেম্বর ২০১৫)
এক্সটেন্ডেড প্লেইস
- শন মেন্ডেস ইপি (জুলাই ২০১৪)
একক
প্রধান শিল্পী হিসাবে
- “লাইফ অভ দা পার্টি” (২০১৪)
- “সামথিং বিগ” (২০১৪)
- “স্টিচেস”(২০১৫)
- “আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার”(ক্যামিলা কাবিলো এর সাথে)(২০১৫)
ফিচার শিল্পী হিসাবে
- “ওহ সেসিলিয়া(ব্রেকিং মাই হার্ট)” (দা ভাম্পস ফিচারিং শন মেন্ডেস” (২০১৪)
প্রমোশনাল সিংগেল
- “এ লিটল টু মাচ” (২০১৫)
- “নেভার বি এলোন” (২০১৫)
- “কিড ইন লাভ” (২০১৫)
- “বিলিভ” (২০১৫)
ভিডিওগ্রাফি
মিউজিক ভিডিওস
নাম | বছর | শিল্পী | পরিচালক |
---|---|---|---|
প্রধান শিল্পী হিসাবে | |||
"সামথিং বিগ" | ২০১৪ | শন মেন্ডেস | জন জন অগুস্তাবো |
"এ লিটল টু মাচ" | ২০১৫ | ব্লারি এলেস্তাদ | |
"নেভার বি এলোন" | জন জন অগুস্তাবো | ||
"লাইফ অভ দা পার্টি" | |||
"আফটারটেস্ট" | |||
"স্টিচেস" | জে মার্টিন | ||
"বিলিভ" | জাস্টিন ফ্রাঙ্কিস | ||
"আই নো হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার" | শন ম্যান্ডেস ও ক্যামিলা কাবিলো | রায়ান পালোটা | |
ফিচার শিল্পী হিসাবে | |||
"ওহ সেসিলিয়া(ব্রেকিং মাই হার্ট)" | ২০১৪ | দা ভ্যাম্পস ফিচারিং শন মেন্ডেস | ফ্রাঙ্ক বরিন |
পরিভ্রমণ
- প্রারম্ভিক কাজ
- ২০১৪: লাইভ অন ট্যুর (অস্টিন মাহন) (উত্তর আমেরিকা)
- ২০১৪: জিঙ্গেল বল ট্যুর
- ২০১৫: দা ১৯৮৯ ওয়ার্ল্ড ট্যুর (টেইলর সুইফট) (উত্তর আমেরিকা)
- হেডলাইনিং
- ২০১৪-২০১৫: শন ফার্স্ট হেডলাইনিং
পদক ও মনোনয়ন
বছর | সিরিমনি | এওয়ার্ড | মনোনয়ন | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
2014 | টিন চয়েস এওয়ার্ড | চয়েস ভাইনার | শন মেন্ডেস | মনোনীত |
চয়েস ওয়েব স্টারঃপুরুষ | ||||
চয়েস ওয়েব স্টারঃ সংগীত | জয়ী | |||
২০১৫ | জুনো এওয়ার্ড | ব্রেকথ্রু আর্টিস্ট অভ দা ইয়ার | মনোনীত | |
আইহার্ট রেডিও মিউজিক এওয়ার্ড | বেস্ট ফ্যান আর্মি | "মেন্ডেস আর্মি" | ||
কানাডিয়ান রেডিও মিউজিক এওয়ার্ড | বেস্ট নিউ গ্রুপ অভ সোলো আর্টিস্টঃসিএইচআর | "লাইফ অভ দা পার্টি" | ||
শর্টি এওয়ার্ড | ভাইন মিউজিসিয়ান | শন মেন্ডেস | জয়ী | |
রেডিও ডিজনি মিউজিক এওয়ার্ড | বেস্ট নিউ আর্টিস্ট | rowspan="2" মনোনীত | ||
মুচ মিউজিক ভিডিও এওয়ার্ড | বেস্ট পপ ভিডিও | "সামথিং বিগ" | ||
ফ্যান ফেইভ ভিডিও | জয়ী | |||
ফ্যান ফেইভ আর্টিস্ট ওর গ্রুপ | শন মেন্ডেস | মনোনীত | ||
মোস্ট বাজওর্থি কানাডিয়ান | ||||
টিন চয়েস এওয়ার্ড | চয়েস ওয়েভ স্টারঃ সংগীত | জয়ী | ||
চয়েস মেইল আর্টিস্ট | মনোনীত | |||
চয়েস সামার মিউজিক স্টারঃ পুরুষ | ||||
চয়েস সংঃ মেইল আর্টিস্ট | "স্টিচেস" | |||
চয়েস মিউজিকঃ টিভি অর মুভি সং | "ডেসেন্ডেন্টস(২০১৫)" থেকে বিলিভ | |||
স্ট্রিমি এওয়ার্ড | ব্রেকথ্রু আর্টিস্ট | শন মেন্ডেস | জয়ী | |
এমটিভি ইউরোপ মিউজিক এওয়ার্ড | বেস্ট নিউ | |||
বেস্ট পোস | ||||
বেস্ট কানাডিয়ান এক্ট | মনোনীত | |||
২০১৬ | পিপল চয়েস এওয়ার্ড | ফেবারিট ব্রেকথ্রু আর্টিস্ট | পেন্ডিং |