শিক্ষা গ্রহণ

দেহ, মন এবং আত্মার সর্বোচ্চ বিকাশ সাধন হচ্ছে শিক্ষা। এবং যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিকাশ সাধন করা হয় সেটিই হচ্ছে শিক্ষা গ্রহণ

আভিধানিক অর্থে- শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে নতুন জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন অথবা উপস্থিত চিন্তাধারা পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া।[১]

মানুষ, প্রানি, এমনকি কিছু যন্ত্রও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে; এছাড়া কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম এমন প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।[২] কিছু শিক্ষা পাওয়া যায় ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই (যেমন: গরম পাত্র দ্বারা হাত পুড়ে যাওয়া), কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষা এবং দক্ষতা পুণরাবৃত্তিমুলক অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই অর্জন করা যায়। শিক্ষা গ্রহণের কারণে সংঘটিত পরিবর্তনগুলো‌ সারাজীবনের জন্য থেকে যায়, এবং এমনসব শিক্ষা যেগুলো হারিয়ে গেছে বলে মনে হয় সেগুলোকে ভুলে যাওয়া শিক্ষা থেকে পৃথক করা প্রায় অসম্ভব।[৩]

মানুষ এবং তাদের পরিবেশের পরস্পরের নিরন্তর মিথস্ক্রিয়ার ফলস্বরুপ মানুষ জন্মের পূর্বে থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ করতে থাকে। শিক্ষা গ্রহণের সাথে জড়িত স্বভাব এবং প্রক্রিয়াকে বিভিন্ন শিক্ষাগত ক্ষেত্রে যেমন- শিক্ষাবিষয়ক মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুমনোবিজ্ঞান, পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞান এবং শিক্ষাবিজ্ঞানে চর্চা করা হয়। এসব বিষয়ের উপর গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের কতকগুলো পদ্ধতি সনাক্ত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, শিক্ষা গ্রহণ হতে পারে খাপ খাওয়ানো অথবা চিরায়ত কন্ডিশনিং, সাপেক্ষ কন্ডিশনিং বা জটিল কর্মকাণ্ড হিসেবে খেলাধুলার মাধ্যমে, এটি শুধুমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণির মধ্যে দেখা যায়।[৪][৫]

প্রকারভেদ

অসহযোগী শিক্ষা গ্রহণ

সহজ ভাষায়, অসহযোগী শিক্ষা গ্রহণ বলতে "কোনো উদ্দীপক দ্বারা বাবার সাড়া জাগানোর কারণে ঐ উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেওয়ার তীব্রতায় যে আপেক্ষিক পরিবর্তন আসে সেটিকে বোঝায়। সংবেদী অভিযোজন, ক্ষত অথবা অবসাদ কোনোভাবেই অসহযোগী শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতির আওতায় পড়ে না।"[৬]

অসহযোগী শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতিকে খাপ খাওয়ানো এবং সংবেদনশীলতা এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।

খাপ খাওয়ানো

খাপ খাওয়ানো অসহযোগী শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতির একটি উদাহরণ যেটিতে উদ্দীপনার পুণরাবৃত্তির কারণে সেই উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেওয়ার প্রবণতা বা সম্ভাবনা কমে যায়। এই সাড়া দেওয়া সাধারণত অভিব্যক্তি বা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া হয়। তাই খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়া থেকে বিলোপ সাধন প্রক্রিয়াকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা উচিত, কারণ বিলোপ সাধন এক ধরনের সহযোগী প্রক্রিয়া। অপারেন্ট বিলোপ সাধন প্রক্রিয়ায়, উদাহরনস্বরুপ, প্রতিক্রিয়া হ্রাস পায় কারণ এটি আর পুরস্কারের জন্য অনুসৃত হয় না। খাপ খাইয়ে নেয়ার উদাহরণস্বরুপ আমরা পাখিদের কথা বলতে পারি- সম্প্রতি ধরা কোনো পেঁচাকে খাঁচায় বন্দি করলে প্রথমদিকে এটি একটি আসল খেচরের মতো চেঁচামেচি করবে। কিন্তু শিঘ্রই এটির প্রতিক্রিয়া কমে যাবে কারণ এটি খাপ খাইয়ে নেবে। এখন যদি আরেকটি পেঁচাকে এটির সাথে রাখা হয় বা সেটাকেই আজাদ করে আবার বন্দি করা হয় তবে সেটি আবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এটি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পাখিটি শুধুমাত্র একটি বিশেষ উদ্দীপকের(এক্ষেত্রে খাঁচা) প্রতি খাপ খাইয়ে নিয়েছে। খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াটি এমনসব উদ্দীপনার ক্ষেত্রে দ্রুত ঘটে যেগুলো উচ্চ হারে সংঘটিত হয়; নিম্ন হারে সংঘটিত উদ্দীপনার ক্ষেত্রে খাপ খাওয়ানো ধীর গতিতে হয়, দুর্বল এবং সবল উদ্দীপনার ক্ষেত্রেও যথাক্রমে একই কথাটি সত্য।[৭] খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর সকল প্রানির জন্য আবশ্যক, এমনকি অনুভূতিশীল উদ্ভিদ Mimosa pudica[৮] এবং বড় প্রটোজোয়ান Stentor coeruleus[৯] -এর জন্যও এ প্রক্রিয়া জরুরি।

সংবেদনশীলতা

সংবেদনশীলতা অসহযোগী শিক্ষা গ্রহণের একটি উদাহরণ যেটিতে উদ্দীপনার পুণরাবৃত্তির ফলে প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রত্যয়ের ভিত্তি হচ্ছে একটি ধারণা। ধারণাটি কিছুটা এমন— ক্ষতিকর বা ভয়-প্রদর্শক উদ্দীপকের সংস্পর্শে আসার কারণে অপগমন বা পরিত্রাণের মতো উদ্দীপনার প্রতিবাদী অভিব্যক্তিগুলো তীব্রতর হয়ে যায়।[১০] কোনো ব্যক্তি অবিরত হাত ঘষতে থাকলে তার প্রন্তীয় স্নায়ুতে পুণরাবৃত্তিমুলক এবং শক্তিবর্ধক যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় তা এই প্রত্যয়ের একটি দৈনন্দিন উদাহরণ। কিছুক্ষণ পর এটি একটি উষ্ণ অনুভূতি সৃষ্টি করে যা অবশেষে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতিতে পরিণত হয়। প্রান্তীয় স্নায়ুর স্নায়বিক প্রতিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট এই যন্ত্রণা নির্দেশ দেয় যে উদ্দীপনাটি ক্ষতিকর। সংবেদনশীলতাকে জীবের অভিযোজী এবং অনভিযোজী শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতির মাঝামাঝি এক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সক্রিয় শিক্ষা গ্রহণ

পরীক্ষামুলক শিক্ষা গ্রহণ পড়া বা শোনার মতো নিষ্ক্রিয় শিক্ষাগ্রহণের চেয়ে অধিক কার্যকর।[১১]

সক্রিয় শিক্ষা গ্রহণ তখন ঘটে যখন ব্যক্তি তার শিক্ষা গ্রহণের অভিজ্ঞতার নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নেয়। যেহেতু তথ্যকে অনুধাবন করতে পারা শিক্ষা গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য, তাই একজন শিক্ষার্থীর তার বোধগম্য এবং অবোধগম্য বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক। এমনটা করার ফলে, তারা কোনো বিষয়ের প্রতি নিজেদের দক্ষতা পরিমাপ করতে পারে। সক্রিয় শিক্ষা গ্রহণ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের মনে সংলাপ সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করে যাতে তারা বোধশক্তিকে প্রকাশ করতে পারে। এটা এবং এরকম আরো মেটাকগনিটিভ কৌশল সময়ের সাথে একটা শিশুকে শেখানো উচিত। মেটাকগনিশন নিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, সক্রিয়ভাবে শিক্ষা গ্রহণে উচ্চমানের শিক্ষা অর্জন করা যায়।[১২] এছাড়াও শিক্ষার্থীরা শেখার প্রতি আরো বেশি আগ্রহী হয় যখন শুধু তাদের শেখার পদ্ধতিই নয় বরং শেখার বিষয়বস্তুও তারা নিজেরা নির্ধারণ করে।[১৩] সক্রিয় শিক্ষা গ্রহণ ছাত্র-কেন্দ্রীক শিক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য। অপরদিকে, নিষ্ক্রিয় শিক্ষা গ্রহণ এবং সরাসরি নির্দেশ শিক্ষক-কেন্দ্রিক শিক্ষার(বা গতানুগতিক শিক্ষা) মূল বৈশিষ্ট্য।

জটিল অভিযোজী প্রক্রিয়া হিসেবে মানুষের শিখন পদ্ধতির উপর পিটার বেলহলভেকের করা গবেষণায় জানা যায় যে একজন ব্যক্তির ধারণাই তার লং-টার্ম স্মৃতিতে নতুন জ্ঞান একত্রিত করতে তথ্য ধারণের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে; এটি নির্দেশ করে যে, শিক্ষা সহজাতভাবে এক স্বাধীন এবং সক্রিয়‌ প্রক্রিয়া।[১৪] ছাত্র-কেন্দ্রিক শিক্ষার একটি পদক্ষেপ হিসেবে, অভিযোজী স্বভাবকে উৎসাহিত করার জন্য "ক্রিয়া-চিন্তা-ক্রিয়া" এর আবর্তনশীল প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে ইউনিসিস্ট রিফ্লেকশন নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা শিক্ষার্থীর মনে অভিযোজী জ্ঞানীয় বস্তু স্থাপন করে।[১৫][১৬]

সহযোগী শিক্ষা গ্রহণ

সহযোগী শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যাতে কোনো ব্যক্তি বা প্রাণি দুইটি উদ্দীপনা অথবা ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক অনুধাবন করতে শেখে।[১৭] চিরায়ত কন্ডিশনিং-তে আগে থেকে নিরপেক্ষ উদ্দীপককে অপর একটি উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী উদ্দীপকের সাথে বারবার প্রয়োগ করা হয় যতক্ষণ না ঐ নিরপেক্ষ উদ্দীপকটি নিজে থেকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে। সাপেক্ষ কনডিশনিং-তে কোনো উদ্দীপকের উপস্থিতিতে যখন কোনো আচরণকে বলবৎ করা হয় বা, তার জন্য শাস্তি দেওয়া হয় তখন পরবর্তীতে সেই উদ্দীপকের উপস্থিতিতে‌ সেই আচরণ ঘটার সম্ভাবনা যথাক্রমে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।

সাপেক্ষ কন্ডিশনিং

সাপেক্ষ কন্ডিশনিং-তে প্রদত্ত আচরণ করার পর উৎসাহ (পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে) বা শাস্তি দেওয়ার ফলে সেই আচরণের পুণরাবৃত্তি বা রুপ বা উভয়ই পরিবর্তিত হয়। সেই আচরণ ঘটার সময়ে উপস্থিত উদ্দীপনাটি আচরণের এই অদলবদল নিয়ন্ত্রণ করে।

চিরায়ত কন্ডিশনিং

চিরায়ত কন্ডিশনিং এ একটি স্বতন্ত্র উদ্দীপককে (যেটি অব্যর্থভাবে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে) অপর একটি নিরপেক্ষ উদ্দীপকের (যেটি সাধারণত কোনো উদ্দীপনা সৃষ্টি করে না) সাথে বারবার প্রয়োগ করা হয়। এই আবেশ করার ফলে স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ (এখন সাপেক্ষ) উদ্দীপকের কারণে উক্ত উদ্দীপনাটি সৃষ্টি হয়। আবিষ্ট উদ্দীপকের কারণে সৃষ্ট এই উদ্দীপনাকে আবিষ্ট উদ্দীপনা বলে। এই প্রক্রিয়ার চিরায়ত উদাহরণ হচ্ছে ইভান পাভলভ এবং তার কুকুরগুলো।[১০] পাভলভ তার কুকুরগুলোকে মাংসচূর্ণ খেতে দিলে স্বাভাবিক কারণেই কুকুরগুলোর মুখ থেকে লালাক্ষরণ হলো। এখানে মাংসচূর্ণ হলো স্বতন্ত্র উদ্দীপক এবং লালাক্ষরণ হচ্ছে স্বতন্ত্র উদ্দীপনা। পাভলভ খাবার দেওয়ার ঠিক পূর্বমুহূর্তে ঘণ্টা বাজান। প্রথমবার ঘণ্টা বাজালে তথা নিরপেক্ষ উদ্দীপকের প্রয়োগে কুকুরগুলোর লালাক্ষরণ হলো না, কিন্তু কিছুক্ষণ পর মাংস খাওয়ার সময় তারা লালাক্ষরণ করলো। এমনভাবে বেশ কয়েকবার ঘণ্টা এবং মাংস একসাথে দেওয়ার ফলে কুকুরটি শিখে ফেললো যে ঘণ্টাধ্বনিটি মাংস আসার কথা নির্দেশ করে, এবং কুকুরগুলো ঘণ্টার ধ্বনি শুনে লালাক্ষরণ করতে শুরু করলো। একবার এটা ঘটার পর ঘণ্টাটি হয়ে গেল সাপেক্ষ উদ্দীপক এবং লালাক্ষরণ হয়ে গেল সাপেক্ষ উদ্দীপনা। চিরায়ত কন্ডিশনিং অনেকগুলো প্রজাতিতে প্রদর্শিত হয়েছে। যেমন মৌমাছির তুণ্ড বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ার দৃষ্টান্ত।[১৮] এটি সম্প্রতি বাগানের মটর উদ্ভিদেও প্রদর্শিত হয়েছে। [১৯]

পর্যবেক্ষণীয় শিক্ষা গ্রহণ

পর্যবেক্ষণীয় শিক্ষা হচ্ছে সেই শিক্ষা যেটি অপরের আচরণ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। এটি এক ধরনের সামাজিক শিক্ষা যা বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। মানুষকে এরকম শিক্ষা গ্রহণের জন্য বেশি কিছু করতে হয় না, কিন্তু তার পরিবর্তে আমাদের আশেপাশে বাবা-মা, সহদর, বন্ধুবান্ধব এবং শিক্ষক প্রয়োজন।

মনকে প্রভাবিত করা

মনকে প্রভাবিত করা এক ধরনের শিক্ষা যেটি জীবনের একটি বিশেষ অংশে ঘটে থাকে, এটি দ্রুত এবং আচরণের প্রভাব থেকে স্বতন্ত্র একটি প্রক্রিয়া। সন্তানের ক্ষেত্রে মনকে প্রভাবিত করা এমনভাবে ঘটে যে অল্পবয়স্ক প্রাণি বিশেষ করে পাখিগুলো কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সাথে এমন বন্ধন তৈরি করে এবং প্রতিক্রিয়া দেখায় যেন সেটি তার মা হয়। ১৯৩৫ সালে একজন অস্ট্রিয়ান প্রাণিবিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে কিছু পাখি একটা বস্তুর সাথে বন্ধন সৃষ্টি করে এবং তাকে অনুসরণ করে যদি বস্তুটি শব্দ করে।

খেলাধুলা

খেলা সাধারণত নিজের মধ্যে অন্তহীন এক আচরণ নির্দেশ করে, কিন্তু ভবিষ্যতে একই রকম পরিস্থিতিতে কর্মদক্ষতার উন্নতি ঘটায়। এই আচরণ মানুষসহ আরো অনেক ভার্টিব্র্যাটদের মধ্যে লক্ষ করা যায়, কিন্তু এদের অধিকাংশ স্তন্যপায়ী এবং পাখি

সংস্কৃত সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ

প্রাসঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণ

বহুমাধ্যম শিক্ষা গ্রহণ

বহুমাধ্যম শিক্ষা গ্রহণে তথ্য সংগ্রহের জন্য মানুষের দৃষ্টি এবং শ্রুতি উভয় ইন্দ্রিয় ব্যবহৃত হয়। এই প্রকারের শিক্ষা গ্রহণ ডুয়াল কোডিং থিওরির(Paivio 1971) উপর নির্ভরশীল।

ই-লার্ণিং এবং উদ্দীপ্ত শিক্ষা গ্রহণ

মুখস্থ শিক্ষা গ্রহণ

অর্থবহ শিক্ষা গ্রহণ

ব্যক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ

ব্যক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে সেই শিক্ষা যাতে একজন তার নিত্যদিনের বিভিন্ন পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা থেকে শেখে। (যেমন, রাস্তায় চলার সময় আমরা সামনের দিকে দেখে চলি কারণ আমরা শিখেছি যে এমনটি না করলে আসমরা বিপদে পড়তে পারি)। এটা হচ্ছে জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ, মা-বাবার সাথে খাবার খাওয়া, খেলা, আবিষ্কার ইত্যাদি করার সময়।

প্রমাণ-নির্ভর শিক্ষাগ্রহণ

প্রমাণ-নির্ভর শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার জন্য পরিকল্পিত বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের ব্যবহার। স্থানান্তর পুণরাবৃত্তির মতো তথ্য-নির্ভর শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের হার বৃদ্ধি করতে পারে।[২০]

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ

অবিরাম সক্রিয় পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চিত্র, en:University of Bologna, ইতালী।

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা হলো সেই শিক্ষা যেখানে শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে, অনেকটা স্কুল-কলেজের শিক্ষার মতো। এটি একটি সংঘবদ্ধভাবে পরিচালিত পদ্ধতি। শিক্ষা গ্রহণের আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে বা প্রশিক্ষণে শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট থাকে।[২১]

অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ

অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা। উদাহরণস্বরুপ, বিভিন্ন ক্লাব, (আন্তর্জাতিক) যুবসংস্থা কিংবা কর্মশালায় একই রকম আগ্রহের ব্যক্তিদের সাথে দৃষ্টভঙ্গি আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার অংশ।

অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ এবং মিলিত পন্থা

স্পর্শিনী শিক্ষা গ্রহণ

মত বিনিময় শিক্ষা গ্রহণ

মত বিনিময় শিক্ষা গ্রহণ হচ্ছে মত আদান প্রদানের মাধ্যমে শেখার পদ্ধতি।

আনুষঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণ

ক্ষেত্র

বিনিময়

শিক্ষাকে প্রভাবিত করার প্রভাবক

বহিস্থ প্রভাবক

অন্তস্থ প্রভাবক

প্রাণির বিবর্তনে

উদ্ভিদে

যন্ত্রের শিক্ষা গ্রহণ

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ