সান্তোস ফুটবল ক্লাব

ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাব
(সান্তোস এফসি থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সান্তোস ফুটবল ক্লাব (পর্তুগিজ: Santos Futebol Clube, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈsɐ̃tus futʃiˈbɔw ˈklubi] (); সাধারণত সান্তোস এফসি অথবা শুধুমাত্র সান্তোস[১] নামে পরিচিত) হচ্ছে সান্তোস ভিত্তিক একটি ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ব্রাজিলের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লীগ কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ এবং সাও পাওলোর শীর্ষ স্তরের ফুটবল লীগ কাম্পেওনাতো পাউলিস্তায় প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯১২ সালের ১৪ই এপ্রিল তারিখে সান্তোস ফুটবল ক্লাব নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[২] ১৬,০৬৮ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট উরবানো কালদেইরা স্টেডিয়ামে সান্তাস্তিকো নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[৩] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ব্রাজিলীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ফের্নান্দো দিনিজ এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আন্দ্রেস রুয়েদা। ব্রাজিলীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আলিসন এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[৪]

সান্তোস
পূর্ণ নামসান্তোস ফুটবল ক্লাব
ডাকনামপেইক্সে (মাছ)
আলভিনেগ্রো (কালো-সাদা)
আলভিনেগ্রো প্রাইয়ানো (সৈকতের কালো-সাদা)
সান্তাস্তিকো
প্রতিষ্ঠিত১৪ এপ্রিল ১৯১২; ১১২ বছর আগে (1912-04-14)
মাঠউরবানো কালদেইরা স্টেডিয়াম
ধারণক্ষমতা১৬,০৬৮
সভাপতিব্রাজিল আন্দ্রেস রুয়েদা
ম্যানেজারব্রাজিল ফের্নান্দো দিনিজ
লিগকাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ
কাম্পেওনাতো পাউলিস্তা
২০২০
২০২১
সেরিয়ে আ – ৮ম
পাউলিস্তা – ১২তম
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

ঘরোয়া ফুটবলে, সান্তোস এপর্যন্ত ১৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ৮টি কাম্পেওনাতো ব্রাজিলেইরো সেরিয়ে আ, ১টি কোপা দো ব্রাজিল এবং ৫টি তোরনেইয়ো রিও – সাও পাওলো শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ৮টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ২টি আন্তঃমহাদেশীয় কাপ, ১টি আন্তঃমহাদেশীয় সুপার কাপ এবং ৩টি কোপা লিবের্তাদোরেস শিরোপা রয়েছে। নেইমার, ক্লেবের পেরেইরা, রিকার্দো ওলিভেইরা, জেয়ান মোতা এবং পারার মতো খেলোয়াড়গণ সান্তোসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ইতিহাস

২০শ শতাব্দীর শুরুতে, সান্তোস শহর ব্রাজিলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর বন্দরটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কফি রপ্তানিকারক বন্দরে পরিণত হয়, উক্ত সময়ে যা একটি প্রধান পণ্য ছিল।[৫] আয়ের প্রবাহের সাথে সাথে শহরের ধনী সমাজসেবীরা শহরটিকে খেলাধুলায় প্রতিনিধিত্ব করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শহরে একটি বন্দর হওয়ার কারণে, রোয়িংয়ের মতো জল ক্রীড়া শহরের তরুণদের মধ্যে সর্বাধিক অংশগ্রহণকারী খেলায় পরিণত হয়েছিল, তবে শহরে কাম্পেওনাতো পাউলিস্তা অথবা পাউলিস্তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী দল ছিল, আতলেতিকো ইন্তেরনাসিওনাল ক্লাব এবং আমেরিকানো স্পোর্ট ক্লাব যার মধ্যে অন্যতম। ১৯০২ সালে ইন্সতিতুতো প্রেসবিতেরিয়ানো মাকেঞ্জি-এর দ্বারা সান্তোসের মাধ্যমে ফুটবলের জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং এর ফলে শিক্ষার্থীরা উপর্যুক্ত দুটি ক্লাব তৈরি করে।[২]

তবে, আতলেতিকো ইন্তেরনাসিওনাল ১৯১০ সালে বিলুপ্ত হয় এবং আমেরিকানো ১৯১১ সালে সাও পাওলোর লীগে স্থানান্তরিত হয়। এই ঘটনার ফলে শহরের শিক্ষার্থীরা অসন্তুষ্ট হওয়ায়, একটি ফুটবল দল তৈরির লক্ষ্যে কনকর্ডিয়া ক্লাবের সদর দপ্তরে (রোজারিও রাস্তা নং ১৮-এ অবস্থিত, পুরানো বেকারি এবং সুইজারল্যান্ড কনফেকশনারির উপরে, বর্তমানে আভেনিদা জোয়াও পেসোয়া) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।[২] ১৪ ঘন্টা ধরে চলা এই সভায় নেতৃত্ব দেন শহরের তিন জন খেলোয়াড়: রায়মুন্দো মার্কেস ফ্রান্সিস্কো, মারিও ফেরাজ দে কাম্পোস এবং আর্গেমিরো দে সুজা জুনিয়র।[২] এই সভায় ক্লাবকে কি নাম দেওয়া উচিত তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। বেশ কয়েকটি পরামর্শ উঠে এসেছিল: যার মধ্যে আফ্রিকা ফুটবল ক্লাব, ব্রাজিল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং কনকর্ডিয়া ফুটবল ক্লাব অন্যতম। কিন্তু অংশগ্রহণকারীরা সর্বসম্মতভাবে এদমুন্দো জোর্জে দে আরাউজোর প্রস্তাব সান্তোস ফুট-বল ক্লাব নামটি অনুমোদন করে।[২] এইভাবে, ক্লাবটি আরএমএস টাইটানিক আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১২ সালের ১৪ই এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। সাধারণভাবে বলা হয়, "এক দৈত্য সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এবং একই দিনে আরেকটির জন্ম হয়েছিল"। ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন সিজিনো পাতুস্কা (যিনি আতলেতিকো ইন্তেরনাসিওনাল প্রতিষ্ঠায় অংশ নিয়েছিলেন এবং আমেরিকানোর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন)।

বর্তমান দল

২৩ জুন ২০২১ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[৬]

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নংঅবস্থানখেলোয়াড়
গো ভ্লাদিমির
লুইজ ফেলিপে
ফেলিপে জোনাতান
আলিসন (অধিনায়ক)
কার্লোস সানচেজ
জবসন
কাইয়ো জোর্জে
১১ মারিনিয়ো
১২ রানিয়েল
১৩ মাদসন
১৪ লুয়ান পেরেস
১৫ ইভোনেই
১৭ ভিনিসিউস বালিয়েইরো
১৯ ব্রুনো মার্কেস
২০ গাব্রিয়েল পিরানি
২১ পারা (সহ-অধিনায়ক)
২২ দানিলো বোজা (মিরাসোল হতে ধারে)
২৩ মার্কোস গিয়ের্মে (ইন্তেনাসিওনাল হতে ধারে)
২৪ কেভিন মালতুস
নংঅবস্থানখেলোয়াড়
২৫ ভিনিসিউস জানোসেলো (ফেরোভিয়ারিয়া হতে ধারে)
২৬ রবসন রেইস
২৭ আঙ্গেলো গাব্রিয়েল
২৮ কাইকি ফের্নান্দেস
২৯ কামাচো
৩০ লুকাস ব্রাগা
৩১গো জন ভিক্তর
৩৪গো জোয়াও পাওলো
৩৬ মার্কোস লেওনার্দো
৩৭ লুকাস কুরেন্সো
৩৮ সান্দ্রি
৪০ আন্দেরসন সেয়ারা
৪১ জেয়ান মোতা
৪২ মোরায়েস (গোইয়ানিয়েন্সে হতে ধারে)
৪৩ রেনিয়ের
৪৪ আলেক্স
৪৯ লুকাস ভেনুতো
৫০গো পাওলো মাজোতি

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ