ফেসবুক
ফেসবুক (ইংরেজি: Facebook) অথবা ফেইসবুক (সংক্ষেপে ফেবু নামেও পরিচিত), হল মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
ব্যবসার প্রকার | পাবলিক |
---|---|
সাইটের প্রকার | সামাজিক যোগাযোগ পরিষেবা প্রকাশক |
উপলব্ধ | ১১১ ভাষাসমূহ[১] |
ভাষার তালিকা বহুভাষিক আইরিশ, আইসল্যান্ডিয়, আফ্রিকান, আলবেনিয়, আমহারিক, আরবি, আর্মেনিয়, অসমীয়া, আজারবাইজানিয়, ইউক্রেনিয়, ইন্দোনেশিয়, উর্দু, উজবেক, ইংরেজি (ইউকে), ইংরেজি (ইউএস), ইংরেজি (উপর-নিচ), ইতালিয়, এস্পেরান্তো, এস্তোনিয়, ওড়িয়া, ওয়েলশ, কন্নড়, কাতালান, কর্সিকান, ক্রোয়েশিয়, ক্রেওল, কাজাখ, কিনারওয়ান্ডা, কোরিয়, কুর্দিশ (কুর্মানজি), কিরগিজ, খমের, গ্রিক, গুয়ারানি, গুজরাটি, গ্যালিশিয়, ঐতিহ্যবাহী চীনা (হংকং), ঐতিহ্যবাহী চীনা (তাইওয়ান), চেক, জর্জিয়, জাজা, জাপানি, জাপানি (কানসাই), জাভানি, জার্মান, ডাচ, ডাচ (বেলজিয়), ডেনিশ, তাজিক, তামাজাইট, তামিল, তাতার, তেলুগু, তুর্কি, থাই, নেপালি, নরওয়েজিয় (বোকমাল), নরওয়েজিয় (নাইনোরস্ক), পর্তুগিজ (ব্রাজিল), পর্তুগিজ (পর্তুগাল), পাঞ্জাবি, পশ্তু, পোলিয়, ফরাসি (কানাডা), ফরাসি (ফ্রান্স), ফার্সি, ফিলিপিনো, ফিনিয়, Frisian, ফেরাউনি, ফুলা, বর্মি, বসনিয়, ব্রেটন, বাস্ক, বেলারুশ, বাংলা, বুলগেরিয়, ভিয়েতনামি, ম্যাসেডোনিয়, মালাগাসি, মালে, মালায়ালম, মাল্টিজ, মারাঠি, মঙ্গোলিয়, রোমানিয়, রুশ, লাও, লাটভিয়, লিথুয়ানিয়, শোনা, সেবুয়ানো, সার্ডিনিয়, সার্বিয়, সাইলেসিয়, সরলিকৃত চীনা (চীন), সিংহলা, স্লোভাক, স্লোভেনিয়, সোমালি, সোরানি কুর্দিশ, স্পেনিয়, স্পেনিয় (স্পেন), সোয়াহিলি, সুয়েডিয়, সিরিয, হাইতিয় হাউসা, হিব্রু, হিন্দি, এবং হাঙ্গেরিয়। | |
হিসাবে প্রচারিত |
|
প্রতিষ্ঠা | ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ |
সদরদপ্তর | ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
পরিবেষ্টিত এলাকা | বিশ্বব্যাপী (অবরোধ করা দেশগুলি ব্যতীত) |
প্রতিষ্ঠাতা(গণ) | |
চেয়ারম্যান | মার্ক জাকারবার্গ |
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | মার্ক জাকারবার্গ, শেরিল স্যান্ডবার্গ |
শিল্প | ইন্টারনেট |
আয় | US$ ৭০.৬৯৭ বিলিয়ন (২০১৯) |
অপারেটিং আয় | US$ ২৩.৯৮৬ বিলিয়ন (২০১৯) |
নিট আয় | US$ ১৮.৪৮৫ বিলিয়ন (২০১৯) |
সর্বমোট সম্পত্তি | US$ ১৩৩.৩৭৬ বিলিয়ন (২০১৯) |
সামগ্রিক সমতা | US$ ১০১.০৫৪ বিলিয়ন (২০১৯) |
কর্মচারী | ৪৪,৯৪২ (৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) |
ধারক কোম্পানী | মেটা প্ল্যাটফর্মস (পূর্বে পরিচিত ছিল ফেসবুক, ইনক.) |
অধীনস্থ কোম্পানি | ইন্সটাগ্রাম ফেসবুক মেসেঞ্জার হোয়াটসঅ্যাপ ওকুলাস ভিআর |
ওয়েবসাইট | facebook.com |
অ্যালেক্সা অবস্থান | ৪ (২৩ এপ্রিল ২০২০ -এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ])[২] |
নিবন্ধন | আবশ্যক |
ব্যবহারকারী | ২.৭০ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী (৩১ জুন ২০২০ -এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ][৩] |
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
প্রোগ্রামিং ভাষা | সি++, পিএইচপি (as HHVM), ডি |
[৪][৫][৬][৭][৮] |
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ২.৯৩ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী।
ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে।বাংলাদেশ, সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জাকারবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মূলধন ২১২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে উঠেছে।[৯]
ইতিহাস
মার্ক জাকারবার্গ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষ চলাকালে, ২৮ অক্টোবর ২০০৩ এ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস। এতে তিনি হার্ভার্ডের ৯ টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়। 'হট অর নট'। এজন্য মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাক করেন। ফেসম্যাস সাইট এ মাত্র ৪ ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন।
- ২০০৪: ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইট এর কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দ্যফেসবুক.কম এর উদ্বোধন করেন। শীঘ্রই মার্ক জাকারবার্গ এর সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস ও এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট)। জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়।
- ২০০৫: আগস্টে ‘দ্য ফেসবুক ডটকম’ নাম পাল্টে কোম্পানির নাম রাখা হয় শুধু ‘ফেসবুক’। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৫৫ লাখে।
- ২০০৬: কৌশলগত কারণে আগস্টে ফেসবুকের সঙ্গে মাইক্রোসফট সম্পর্ক স্থাপন করে। সেপ্টেম্বর থেকে সর্বসাধারণের জন্য ফেসবুক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আগে শুধু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ছিলেন এর ব্যবহারকারী। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ২০ লাখে।
- ২০০৭: ফেব্রুয়ারিতে ভার্চুয়াল গিফট শপ চালু হয়। এপ্রিলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছায় দুই কোটি।
- ২০০৮: কানাডা ও ব্রিটেনের পর ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্স ও স্পেনে ফেসবুকের ব্যবহার শুরু হয়। এপ্রিলে ফেসবুক চ্যাট চালু হয়। আগস্টে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ কোটিতে।
- ২০০৯: জানুয়ারিতে ব্যবহারকারী ১৫ কোটি। ডিসেম্বরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ কোটিতে।
- ২০১০: ফেব্রুয়ারিতে যে সংখ্যা ছিল ৪০ কোটি, জুলাইয়ে সেই সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫৫ কোটিতে পৌঁছায়।
যৌথ কারবার
ব্যবস্থাপনা
২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মালিকানা নিম্নরূপঃ
- মার্ক জাকারবার্গ: ২৮%[১০]
- এক্সেল পার্টনার্স: ১০%
- মেইল.আরইউ: ১০%[১১]
- ডাস্টিন মস্কোভিটজ: ৬%
- এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন: ৫%
- শণ পার্কার: ৪%
- পিটার থিয়েল: ৩%
- গ্রেলক পার্টনার্স: ১ থেকে ২% প্রত্যেকে
- মেরিটেক ক্যাপিটাল পার্টনার্স: ১ থেকে ২% প্রত্যেকে
- মাইক্রোসফট: ১.৩%
- লি কা-শিং: ০.৮%
- ইন্টারপাবলিক গ্রুপ: ০.৫% -এর কম
- বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মচারী এবং বিভিন্ন তারকা (নাম অপ্রকাশিত): প্রত্যেকে ১% -এর কম
- বাকি ৩০% বিভিন্ন কর্মচারী ও অপ্রকাশিত তারকাদের মালিকানাধীনে রয়েছে[১২]
২০০৮ সালের মে মাসে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো পদত্যাগ করেন। প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল, এবং তিনি এই কোম্পানির আংশিক মালিকানার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।[১৩]
প্রধান পরিচালনার কর্মীবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিস কক্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট), শেরিল স্যান্ডবার্গ (প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা), মার্ক জাকারবার্গ (চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)। ২০১১ সালের এপ্রিল অনুযায়ী, ফেসবুকের প্রায় ২,০০০ জন কর্মচারী রয়েছে এবং তাদের দপ্তর রয়েছে ১৫টি দেশে।[১৪]
আয়
ফেসবুকের বেশিরভাগ আয় হয় বিজ্ঞাপন থেকে।[১৫][১৬] ফেসবুকে সাধারণত অন্যান্য প্রধান ওয়েবসাইট থেকে কম ক্লিক থ্রু রেট (সিটিআর) রয়েছে। বিজনেসউইক.কমের মতে ফেসবুকের ব্যানার বিজ্ঞাপনে পাঁচ ভাগের একভাগ ক্লিক পড়ে অন্য ওয়েবের তুলনায়,[১৭] যদিও সত্যিকার বিশেষ তুলনায় এটা অসম হতে পারে। উদাহরণসরূপ, যেখানে গুগল ব্যবহারকারী খোঁজার ফলাফলের প্রথম বিজ্ঞাপনের লিংকগুলোতে ক্লিক করে গড় হিসেবে ৮% (৮০০০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন সার্চে)[১৮] সেখানে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে গড়ে ০.০৪% (৪০০ ক্লিক প্রতি এক মিলিয়ন পাতায়)।[১৯]
সারাহ স্মিথ, যিনি ফেসবুকের অনলাইন বিক্রয় কার্যের ব্যবস্থাপক ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, প্রতিবেদন করেছিলেন যে সাইটে বিজ্ঞাপন সফলতার হার ছিল ০.০৫% থেকে ০.০৪% এবং বিজ্ঞাপন সিটিআর দুই সপ্তাহের মধ্যেই কমে যাওয়ার প্রবণতা ছিল।[২০]
ফেসবুকের কম সিটিআর হওয়ার কারণ হল তরুণ ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন বন্ধের সফটওয়্যার এবং বিজ্ঞাপন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা সেই সাথে যোগ করা যায় সাইটটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য যা ছিল শুধুমাত্র একটি সামাজিক যোগাযোগের সাইট থাকা শুধুমাত্র বিষয়বস্তু দেখার বদলে।[২১] ডিজিটাল পরামর্শ দাতা আইস্ট্রেটেজি ল্যাবের মতে ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যভাগে ১৩ থেকে ১৭ বছরের তরুণরা ফেসবুকের সামাজিক বিজ্ঞাপনের কর্মসূচিতে যাদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন মিলিয়ন।[২২]
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ফ্রাঙ্ক এন. মজিদ এবং সহযোগিদের প্রতিবেদনে বলা হয় ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮৮% নেমে এসেছে যা ২০১৩ সালে ছিল ৯৪% এবং ২০১২ সালে ছিল ৯৫%।[২৩]
স্টক ইতিহাস
- ডিসেম্বর ২২, ২০১৪ সর্বকালের উচ্চ সমাপ্তি $৮১.৮৯ closing high
- ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪ দিন সূচক $৮২.১৭ All-time intra-day high[FB ID: Prince Sakile]
একত্রীকরণ এবং অধিগ্রহণ
নভেম্বর ১৫, ২০১০ সালে ফেসবুক ঘোষণা করে এটি আমেরিকান ফার্ম বিউরো ফেডারেশন থেকে ডোমেইন নাম এফবি.কম কিনে নিয়েছে যার মূল্য তারা গোপন রেখেছে। ২০১১ সালের ১১ই জানুয়ারি, আমেরিকান ফার্ম বিউরো ফেডারেশন জানায় $৮.৫ মিলিয়ন ডলারে তারা ডোমেইনটি বিক্রি করে। যার ফলে এই ডোমেইন বিক্রয় ডোমেইন বিক্রির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যের বিক্রিত দশটি ডোমেইনে জায়গা করে নিয়েছে।[২৪]
অফিস
২০১১ সালের শুরুর দিকে ফেসবুক ঘোষণা করে তাদের নতুন মূল অফিস সান মাইক্রোসিস্টেমের ক্যাম্পাস ম্যানলো পার্কে সরানোর পরিকল্পনার কথা।[২৫] আমেরিকা এবং কানাডার বাইরে সকল ব্যবহারকারীর ফেসবুকের আইরিস অধীনস্থ কোম্পানি "ফেসবুক আয়ারল্যান্ড লি." সাথে চুক্তিবদ্ধ। এর ফলে যারা ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের জন্য কোন আমেরিকান কর ফেসবুককে দিতে হয় না। ফেসবুক দ্বৈত আইরিশ সমঝোতা ব্যবহার করছে যার ফলে আন্তজার্তিক আয়ের উপর তাদের ২-৩% করর্পোরেশ কর দিতে হচ্ছে।[২৬]
২০১০ সালে ফেসবুক তাদের চতুর্থ অফিস খুলে হায়দ্রাবাদে[২৭][২৮][২৯] এবং এশিয়ায় সেটিই প্রথম[৩০]। ফেসবুক ঘোষণা করে তাদের হায়দ্রাবাদ কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে বিজ্ঞাপন এবং ডেভেলপার সমর্থন দলের কাজে এবং বৃত্তাকারে ব্যবহারকারী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের বহুভাষী সমর্থন দেবে।[৩১] এর সাথে তারা গুগল, মাইক্রোসফট, ওরাকল, ডেল, আইবিএম এবং কম্পিউটার এসোসিয়েটসের সাথে যোগ দেয় যাদের ইতোমধ্যেই দোকান রয়েছে।[৩২] হায়দ্রাবাদে এটি নিবন্ধন করা হয়েছে "ফেসবুক ইন্ডিয়া অনলাইন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড" হিসেবে।[৩৩][৩৪][৩৫]
ফেসবুক জানিয়েছে তারা হায়দ্রাবাদের কেন্দ্রে কর্মী নেয়া শুরু করেছে[৩৬] যা ফেসবুকের মূল কর্মযজ্ঞে ক্যালিফোর্নিয়া, ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড) এবং অস্টিনের (টেক্সাস) পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে।
২০১১ সালের এপ্রিলে অরিগনের প্রিন্সভিলে ফেসবুক ডাটা সেন্টার স্থাপন করে যা ৩৮% কম শক্তি ব্যবহার করে তাদের আগের ডাটা সেন্টারের তুলনায়[৩৭]। ২০১২ সালের এপ্রিলে ২য় আরেকটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার ফরেস্ট সিটিতে।[৩৮]
২০১২ সালের পহেলা অক্টোবর ফেসবুকের সিইও জাকারবার্গ মস্কো ভ্রমণ করেন রাশিয়ার সামাজিক মাধ্যমের নব্যরীতি উদ্দিপনা জাগাতে এবং রাশিয়ার বাজারে ফেসবুকের অবস্থান বাড়াতে।[৩৯] রাশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী টুইটারের মাধ্যমে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রী মেদভেদেব সামাজিক মাধ্যমের আবিষ্কারকে আহবান জানিয়েছেন যেন তিনি রাশিয়ার প্রোগ্রামারদের লোভ দেখানোর পরিকল্পনা বাদ দেন এবং এখানেই একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেন। রাশিয়ায় ফেসবুকের প্রায় ৯ মিলিয়ন ব্যবহাকারি রয়েছে, যেখানে তাদের নিজস্ব ভিকে সাইটের ব্যবহারকারী আছে ৩৪ মিলিয়ন।[৪০]
- স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ পার্কে ফেসবুকের পূর্বের সদর দফতর সম্মুখ, পালো আলটোর, ক্যালিফর্নিয়া
- ম্যানলো পার্কে ফেসবুকের সদর দফতরের সম্মুখ
- ফেসবুকের সদর দফতরের অভ্যন্তরে, ২০১৪
মুক্ত উৎসে অংশগ্রহণ
ফেসবুক ফ্রি এবং মুক্ত উৎসের সফটওয়্যারের ভোক্তা এবং এর উন্নয়নে অবদানকারি। ফেসবুকের অবদানগুলোর মধ্যে আছে হিপহপ ফর পিএইচপি, ফেয়ার শিডিউলার ইন এ্যাপাচি হাডুপ, এ্যাপাচি হাইভ, এ্যাপাচি ক্যাসান্ড্রা এবং মুক্ত গণনা প্রকল্প।
ফেসবুক অন্যান্য মুক্ত প্রকল্পেও অবদান রাখে যেমন ওরাকলের মাইএসকিউএল ডাটাবেজ ইঞ্জিন।
ওয়েবসাইট
ইতিহাস
২০০৮ সালের ২০শে জুলাই ফেসবুক "ফেসবুক বেটা" সূচনা করে কিছু নির্বাচিত নেটওয়ার্কে, যা ছিল এর ব্যবহারকারী ইন্টারফেসে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। মিনি-ফিড এবং ওয়াল সুসংহত করা হয়, প্রোফাইল আলাদা ট্যাবে ভাগ করা হয় এবং সুন্দর করার একটা প্রচেষ্টা নেয়া হয়।[৪১] প্রথম অবস্থায় ব্যবহারকারীকে পুরনো এবং নতুন চেহারার মাঝে নির্বাচন করতে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সব ব্যবহারকারীকেই নতুন চেহারার ভার্সনে পরিবর্তিত করা হয় যা ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়।[৪২] ১১ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে এটি ঘোষণা করে ফেসবুক একটি অতি সাধারণ সাইনআপ বা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া পরিক্ষণ করে দেখছে।[৪৩]
ব্যবহারকারী জীবনলেখ্য (প্রোফাইল)
একক ব্যবহারকারী পাতার ফরমেটটি ২০১১ সালের শেষের দিকে পুর্নগঠন করা হয় এবং যা পরবর্তীতে হয় প্রোফাইল অথবা ব্যক্তিগত টাইমলাইন হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।[৪৪][৪৫] ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইল ছবি, চিত্র, ব্যক্তিগত আগ্রহ, যোগাযোগ ঠিকানা, জীবনের স্মরনীয় ঘটনা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন: চাকুরি তথ্য) সহকারে তৈরি করতে পারে।[৪৬] ব্যবহারকারীরা একে অন্যের সাথে উন্মুক্ত এবং গোপনীয়ভাবে যোগাযোগ করেতে পারে বার্তা ও চ্যাটের সাহায্যে। এছাড়া ওয়েব সাইট ঠিকানা, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করে নিতে পারে।[৪৭] ২০১২ সালে পিউ ইন্টারনেট এবং আমেরিকান লাইফ স্টাডি চিহ্ণিত করেন যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী হল "শক্তিশালী ব্যবহারকারী" যারা ঘনঘন লিংক, পোক, পোস্ট এবং ট্যাগিং সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেন নিজের এবং অন্যের সাথে।[৪৮]
২০০৭ সালে ফেসবুক যাত্রা করে ফেসবুক পৃষ্ঠার (যাকে ভক্তদের পাতাও ডাকা হয়) যার উদ্দেশ্য ছিল ব্যবহারকারীদের ব্যবসায় এবং কোম্পানির সাথে মিথস্ক্রিয়ায় জড়ানো যা তারা অন্য যেকোন ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের সাথে করে থাকে। ৬ই নভেম্বর ২০০৭ সালে ১০০,০০০ বেশি ফেসবুক পৃষ্ঠা তৈরি করা হয়েছিল।[৪৯]
মাইস্পেসের সাথে তুলনা
গণমাধ্যমগুলো অনেকসময় ফেসবুককে মাইস্পেসের সাথে তুলনা করে কিন্তু তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল পরিবর্তন করার স্তর।[৫০] অন্য একটি পার্থক্য হল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আসল পরিচয় চায় যা মাইস্পেসে করা হয় না।[৫১] মাইস্পেসে ব্যবহারকারী তার প্রোফাইল এইচটিএমএল এবং সিএসএসের সাহায্যে সাজাতে পারে কিন্তু ফেসবুক শুধুমাত্র লেখা ভিত্তিক।[৫২] ফেসবুকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রাখা আছে যার ফলে ব্যবহারকারীরা সেগুলোর দিয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। এতে আছে ওয়াল যাতে ব্যবহারকারী নিজে এবং তার বন্ধুরা তাতে বার্তা প্রকাশ করতে পারে যাতে ব্যবহারকারী তা দেখে।[৫৩] আছে পোক বৈশিষ্ট্য যা একজন আরেকজনের কাছে ভার্চুয়ালি পাঠাতে পারে (একটি বিজ্ঞপ্তি ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেয় যে অন্য ব্যবহারকারী তাকে পোক করেছেন)।[৫৪] ছবি আপলোড করে ব্যবহারকারী এ্যালবাম সাজাতে পারেন,[৫৫] আর স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ভাগাভাগি করে নিতে পারেন।[৫৬] গোপনীয়তার সেটিংয়ের উপর ভিত্তি করে যদি কেউ প্রোফাইল দেখতে পারে তবে সে তার ওয়ালে কি আছে তাও দেখতে পারে। জুলাই ২০০৭ সালে, ফেসবুক ওয়ালে সংযুক্তি যোগ করার সুবিধা দিয়েছে যেখানে আগে শুধু মাত্র লেখা লিখা যেত।[৫৩]
খবর/নিউজ ফিড
৬ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে খবরের বিষয়টি প্রকাশিত হয় যা প্রতিটি ব্যবহারকারীর হোমপৃষ্ঠা আসে এবং বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে যেমন প্রোফাইলে কোন পরিবর্তন, আগত কোন ইভেন্ট বা বন্ধুদের জন্মদিনের খবর ইত্যাদি।[৫৭] এটি স্প্যামারদেরসহ অন্যান্য ব্যবহাকারিদের এই বৈশিষ্ট্যটি বাজেভাবে ব্যবহারের সুবিধা করে দিয়েছে যেমন অবৈধভাবে ইভেন্ট তৈরি বা ভুয়া জন্মদিনের তথ্য দিয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করা ইত্যাদি।[৫৮] শুরুতে ফেসবুকের এই খবরের বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারকারীদের অসন্তুষ্ট করে, কিছু ব্যবহারকারী একে বিশৃঙ্খল এবং অনিচ্ছাকৃত তথ্য ভরপুর হিসেবে অভিযোগ করে, অন্যরা বুঝতে সক্ষম হয় যে এর ফলে একক কোন ব্যক্তির কর্মকাণ্ড (সম্পর্কের অবস্থার পরিবর্তন, ইভেন্ট, অন্যদের সাথে যোগাযোগ/কথা বলা) অনুসরণ অন্যদের বুঝতে পারার বিষয়টি খুবই সহজ হয়ে গেছে।[৫৯]
নোট
২০০৬ সালের আগস্টের ২২ তারিখ ফেসবুক নোট চালু করা হয়, যা মূলত একটি ব্লগিং বৈশিষ্ট্যের ধারক। এটিতে ট্যাগ এবং ছবি যোগ করা যায়। ব্যবহাকারিরা পরবর্তীতে তাদের জাংগা (Xanga), লাইভজার্নাল, ব্লগার এবং অন্যান্য ব্লগিং সেবা থেকে ব্লগ আমদানি করতে পারার সুবিধা যোগ হয়।
চ্যাট
২০০৮ সালের ৭ই এপ্রিলের সপ্তাহে কমেট ভিত্তিক[৬০] তাৎক্ষনিক বার্তা আদান প্রদান এ্যাপ্লিকেশ চালু করে যা চ্যাট নামে পরিচিত বিভিন্ন নেটওয়ার্কে।[৬১] এটি ব্যবহাকারিদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ দেয় আর এটির ডেস্কটপ ভিত্তিক তাৎক্ষনিক বার্তার এ্যাপ্লিকেশনের সাথে মিল রয়েছে।
উপহার
২০০৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ফেসবুক উপহার সেবাটি চালু করে। যাতে ব্যবহারকারী বিভিন্ন উপহার তাদের বন্ধুদের পাঠাতে পারে। প্রতিটি এক ডলার করে দাম এবং এর সাথে প্রেরকের নিজস্ব বার্তা জুড়ে দেওয়া যায়।[৬২][৬৩]
বাজার/মার্কেটপ্লেস
২০০৭ সালের ১৪ই মে ফেসবুক তাদের বাজার বা মার্কেটপ্লেস চালু করে। এতে ব্যবহারকারীরা ফ্রি শ্রেণীবিনস্ত বিজ্ঞাপন দিতে পারে।[৬৪] মার্কেটপ্লেসটিকে ক্রেইগলিস্টের সাথে তুলনা করে সিনেট.কম এবং দুটোর তুলনা হিসেবে দেখায় যে মার্কেটপ্লেসে ব্যবহারকারীরা একই নেটওয়ার্কে থাকলে বিজ্ঞাপন দেখবে আর ক্রেইগলিস্টে যেকেউ এটি দেখতে পারবে।[৬৫]
বার্তা
একটি নতুন বার্তার পথ যার নাম প্রজেক্ট টাইটান চালু করা হয় ১৫ই নভেম্বর ২০১০ সালে। কয়েকটি প্রকাশনা এটিকে জিমেইল হত্যাকারি হিসেবে অভিহিক করে, এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ব্যবহারকারীরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে ফেসবুক দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে (যার মধ্যে আছে বিশেষ ইমেইল ব্যবস্থা, লেখ্য বার্তা অথবা ফেসবুক ওয়েবসাইট বা মোবাইল এ্যাপ দিয়ে)। যে পদ্ধতিই হোক না কেন তা ইনবক্সে একটি একক সূত্র বা থ্রেড হয়ে জমা হয়। অন্যান্য ফেসবুক বৈশিষ্ট্যের মত ব্যবহারকারী এখানেও কার থেকে বার্তা গ্রহণ করবে তা ঠিক করে দিতে পারে তা হতে পারে শুধু বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু অথবা যে কেউ।[৬৬][৬৭] ইমেইল সেবাটি ২০১৪ সালে কম ব্যবহারের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।[৬৮]
ফেসবুক ওয়েবসাইট ছাড়াও বার্তাগুলো মোবাইল এ্যাপ থেকে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য ফেসবুকের একান্ত একটি এ্যাপ রয়েছে যা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার নামে পরিচিত।[৬৯]
ভয়েস কল
২০১১ সালে এপ্রিল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাইভ ভয়েস কল করতে পারেন ফেসবুক চ্যাট দিয়ে, যা দিয়ে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীরা একে অন্যের সাথে চ্যাট করতে পারেন। এই বৈশিষ্ট্য টি-মোবাইলের নতুন ববস্লেড সেবার আওতায় ফ্রি ব্যবহার করা যায় যার ফলে ব্যবহারকারীরা ভয়েস চ্যাট করতে পারে এবং ভয়েস বার্তা রেখে দিতে পারে।[৭০]
ভিডিও কল
২০১১ সালের ৬ই জুলাই ফেসবুকের ভিডিও কল সেবা চালু করা হয় স্কাইপকে তাদের প্রযুক্তি অংশীদার করে। এতে স্কাইপ রেস্ট এপিআই ব্যবহার করে এক-থেকে-এক ব্যবস্থায় কল করা যায়।
ভিডিও দেখা
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুক ঘোষণা করে তারা প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ভিডিও দেখার সুবিধা প্রদান করছে এবং ব্যবহারকারী, পাতা, এবং জনপ্রতিনিধিদের যে সব ভিডিও উন্মুক্ত সেগুলোর গণনা দেখাবে সবাইকে দেখার সুবিধা যোগ করবে। কোন ব্যবহারকারী একটি ভিডিও দেখার পর আরেকটি বাড়তি ভিডিও দেখার সুপারিশ করার বিষয়টি ফেসবুক নিশ্চিত করে। ৬৫ ভাগ ফেসবুকের ভিডিও দেখা হয় ফেসবুক মোবাইল থেকে যার ব্যবহারকারী দিন দিন বাড়ছে এবং ভিডিও দেখার হার ৫০ ভাগে এসে যায় মে থেকে জুলাই মাসে যখন আইসবাকেট চ্যালেঞ্জের হিড়িক পড়ে ফেসবুকে।[৭১]
অনুসরণ
২০১১ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ব্যবহারকারী পাতায় "সাবস্ক্রাইব" বোতাম যোগ করে যা অন্য ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রাইব করা ব্যবহারকারীর উন্মুক্ত পোস্টগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়।[৭২] এর সাথে ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচিতি যাচাইয়ের সুবিধা যোগ করে বিশেষ বিশেষ একাউন্টের ক্ষেত্রে। টুইটারের মত যাচাইকৃত পাতাগুলো কোন বিশেষ যাচাইয়ের তকমা রাখে না, কিন্তু সাবস্ক্রিপশনের সুপারিশে অধিক অগ্রাধিকার দেয়।[৭৩]
২০১২ সালের ডিসম্বরে ফেসবুক ঘোষণা করে ব্যবহারকারীদের দ্বিধার কথা মাথায় রেখে তারা সাবস্ক্রাইব বোতামকে "ফলো" বোতামে প্রতিস্থাপন করে যার ফলে অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্কের সাথে এতেও মিল থাকে।[৭৪]
গোপনীয়তা
এফটিসি নিষ্পত্তি
২০১১ সালের ২৯শে নভেম্বর, ফেসবুক ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনের অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য রাজি হয়। অভিযোগটি ছিল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।[৭৫]
প্রযুক্তিগত রূপ
২০১৪ সালের ২০শে মার্চ ফেসবুক ঘোষণা করে একটি নতুন মুক্তি উৎসের প্রোগ্রামিং ভাষা "হ্যাকের" কথা। জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করার আগে ফেসবুকের একটি বড় অংশ এই নতুন ভাষা দ্বারা পরিক্ষন এবং একই সাথে চালানো হচ্ছিল।[৭৬]
ফেসবুক মোমেন্টাম প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের বার্তা ব্যবস্থার জন্য যা দির ইমেইল তার ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিদিন পাঠায়।[৭৭]
পছন্দ বোতাম
সামাজিক নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য হল লাইক বোতামটি যার দ্বারা ব্যবহারকারীরা তাদের সাধুবাদ জানায় স্ট্যাটাস আপডেটে, কমেন্টে, ছবিতে এবং বিজ্ঞাপনে। এটি একই সাথে ফেসবুক প্লাটফর্মের একটি সামাজিক প্লাগইন, যা শুরু করা হয় ২১শে এপ্রিল ২০১০ সালে।[৭৮][৭৯] যার ফলে অংশগ্রহণকারি ইন্টারনেট ওয়েবসাইটগুলোকে একই রকম লাইক বোতাম প্রদর্শন করার সক্ষমতা দেয়।
ফেসবুক বাগ বাউন্টি কর্মসূচি
২৯শে জুলাই ২০১১ সালে ফেসবুক তাদের বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম ঘোষণা করে যাতে নিরাপত্তা গবেষকদের সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার দেয়া হবে ফেসবুকের কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি বের করতে পারলে। ফেসবুক হোয়াইটহ্যাট পাতায় বলা আছে: "যদি তুমি তোমার প্রতিবেদনের জন্য যথার্থ সময় দিতে পার বিষয়টি জন সম্মুখে প্রকাশের পূর্বে এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাল চেষ্টা চালাও গোপনীয়তা ভঙ্গ এড়াতে, ডাটা ধ্বংস এবং তোমার গবেষণার সময় আমাদের সেবাতে বাধা বা মর্যাদাহানি না কর, আমরা তোমার বিরুদ্ধে কোন মামলা করব না বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব না তোমাকে তদন্ত না করতে" [৮০][৮১]
বিশ্বব্যাপি অভ্যর্থনা
কমস্কোরের মতে, মাসিক অনন্য ভিজিটরের ভিত্তিতে ফেসবুক প্রধান সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট এবং তার ফলে এটি মাইস্পেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ২০০৮ সালে এপ্রিলে।[৮২] কমস্কোর আরো বলে, ফেসবুক ১৩০ মিলিয়ন অনন্য ভিজিটরকে আকর্ষিত করেছে মে ২০১০ সালে যা ৮.৬ মিলিয়ন লোকের সমাগম।[৮৩] এ্যলেক্সার মতে, ওয়েবসাইটটির পদমর্যাদা ৬০তম থেকে ৭মে এসেছে সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে সেপ্টেম্বর ২০০৮ সালের মধ্যে এবং বর্তমানে ২য়।[৮৪] কোয়ান্টকাস্ট ফেসবুককে ২য় পদসারির সাইট বলেছে আমেরিকায়[৮৫] এবং কমপিট.কম একে ২য় স্থানে রেখেছে আমেরিকায়।[৮৬] এটি আপলোডের জন্যও জনপ্রিয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন আপলোডের ক্রমবর্ধমান হিসাবে।[৮৭]
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, দেশভিত্তিক বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ফেসবুকে ছিল:[৮৮]
- আমেরিকায় ১৬৮.৮ মিলিয়ন সদস্য
- ব্রাজিলে ৬৪.৬ মিলিয়ন সদস্য
- ভারতে ৬২.৬ মিলিয়ন সদস্য
- ইন্দোনেশিয়ায় ৫১.৪ মিলিয়ন সদস্য
- মেক্সিকোতে ৪০.২ মিলিয়ন সদস্য
সমালোচনা এবং বিতর্ক
সরকার কর্তৃক বন্ধ হওয়া
ফেসবুক অনেক দেশেই বারেবারে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বন্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে আছে চীন[৮৯], ইরান[৯০], উজবেকিস্থান[৯১], পাকিস্তান[৯২], সিরিয়া[৯৩][৯৪], বাংলাদেশ[৯৫], ভিয়েতনাম[৯৬] এবং উত্তর কোরিয়া[৯৭]। উদাহরণসরূপ এটি পৃথিবীর অনেক দেশেই ধর্মীয় বৈষম্য ও ইসলাম বিরোধী কর্মের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অনেক জায়গায় অফিসের কর্মীদের কর্ম সময়ে ফেসবুক ব্যবহার না করার জন্য বন্ধ করা হয়েছিল।[৯৮] ফেসবুকে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাও একটি সমস্যা হয়ে দেখা দেয় এবং তার নিরাপত্তাও বিভিন্ন সময় আপোস-মীমাংসা হয়। ফেসবুক একটি মামলা লড়ে সোর্স কোড এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মামলায়।[৯৯] ২০১১ সালের মে মাসে সাংবাদিক এবং ব্লগারদের কাছে ইমেইল পাঠানো হয় গুগলের গোপনীয়তার নীতির অভিযোগ নিয়ে। যদিও শেষে দেখা যায় যে, গুগল প্রতিরোধকল্পে পিআর খ্যাত বারসন-মারসটেলার এটি করে এবং অর্থদাতা ছিল ফেসবুক যা সিএনএন সহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে সমালোচিত হয়।[১০০] ফেসবুক কুর্দিস্থানের রাজধানী আরবিলে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় নিরাপত্তা জনিত কারণে।[১০১]
ইভেন্টে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়
২০১১ সালে জার্মানির কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের ইভেন্ট বৈশিষ্ট্যটি বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করে। এই সিদ্ধান্তের জন্য অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যাতে আসলে দাওয়াত না দেয়া সত্বেও মানুষ চলে এসেছে ইভেন্টে এমন ঘটনা দায়ী।[১০২][১০৩] একটি ঘটনায় দেখা যায় প্রায় ১৬০০ অতিথি একটি হামবার্গে মেয়ের ১৬তম জন্মদিনে উপস্থিত হয়েছেন কারণ মেয়েটি তার জন্মদিনের ইভেন্টটিকে ফেসবুকে অসাবধানতা বশত পাবলিক বা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় একশরও বেশি পুলিশকে নামাতে হয়েছিল ভিড় সামলাতে। এতে একজন পুলিশ অফিসার আহত এবং এগার অংশগ্রহণকারি আটক করা হয়েছিল বিভিন্ন কারণে।[১০৪] এমন অন্য একটি ঘটনায় দেখা যায়, ৪১ তরুনকে আটক করা হয়েছে এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।[১০৫]
ব্রিটিশ অফিসে কর্মীদের ফেসবুক ব্যবহারে বাধা
২০০৭ সালে প্রতিবেদনে বলা হয় ৪৩% ব্রিটিশ অফিস কর্মী কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয় কারণ দেখানো হয় কর্মীদের উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং ব্যবসায়িক গোপনীয়তা ফাঁস।[১০৬]
একাউন্ট হ্যাক
২০১১ সালের নভেম্বরে, ভারতের ব্যাঙ্গালোরের অনেকগুলো ফেসবুক ব্যবহারকারী জানায় যে তাদের একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে এবং তাদের প্রোফাইল ছবি অশ্লীল ছবি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিড অশ্লীল, হিংস্র ও যৌনতা ভিত্তিক বিষয়বস্তু দ্বারা স্প্যাম প্লাবিত হয় এবং প্রতিবেদনে বলা হয় ২০০,০০০ বেশি একাউন্ট এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেসবুক এই প্রতিবেদনকে অসত্য বলে বর্ণনা করে এবং ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ বিষয়টি পরিদর্শন করে মন্তব্য করেন যে হয়ত এটি ফেসবুকের প্রতিযোগীদের কোন গুজব হতে পারে।[১০৭][১০৮] ৫ মার্চ ২০২৪ ফেসবুক একাউন্ট সার্ভার সমস্যায় কোটি গ্রাহকের একাউন্ট হ্যাক হওয়ার রব ওঠে।
তথ্য চুরি
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় পাঁচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করা হয়। হামলাকারীরা ফেসবুকের "ভিউ এজ" ফিচারটি ব্যবহার করে হামলা করে। এই তথ্য চুরির পর ফেসবুকের শেয়ার ৩ শতাংশ কমে যায়।[১০৯]
প্রভাব
ফেসবুক ইর্ষা
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ফেসবুকের কারণে আত্ম-সম্মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যা ইর্ষার জন্ম দেয় যেমন অবকাশ এবং ছুটির দিনের ছবি কথা। অন্যান্য ইর্ষার কারণগুলোর মধ্যে আছে বন্ধু বান্ধবের পারিবারিক সুখী এবং কারো দৈহিক সোন্দর্যের ছবি। এধরনের ইর্ষান্বিত অনুভূতি মানুষকে তাদের জীবনে একা এবং অতৃপ্ত করে দেয়। জার্মান দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে তিন জনের মধ্যে একজন ফেসবুক চালানোর পর নিজেদের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এবং অন্য একটি গবেষণা যা উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়েছিল, উঠে আসে যে, ফেসবুকে সময় কাটানোর বাড়ানোর পর তারা তাদের জীবন সম্পর্কে নিকৃষ্ট অনুভূতি হয়েছিল।[১১০][১১১][১১২]
নির্বান্ধব করার মানসিক প্রভাব
মনোবিজ্ঞানি সুজান ক্রাস হুইটব্রানের মতে[১১৩] যদিও ফেসবুকে বন্ধু করার ব্যপারটিই প্রবল, তবু্ও সেখানে কাউকে আনফ্রেন্ড বা নিবান্ধব করা বা ফিরিয়ে দেয়ার খারাপ প্রভাব রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন নিবান্ধব করা লোকটি ফেসবুকের বিচ্ছেদের শিকার।[১১৩] অন্য দিকে আনফ্রেন্ড করে দেওয়া কদাচিৎ পাস্পরিক সিদ্ধান্তে হয় এবং প্রায়শই দেখা যায় যাকে আনফ্রেন্ড করা হয়েছে তিনি তা জানেন না।[১১৩]
সর্বাধিক জনপ্রিয় পাতা
জুলাই ২০১৪ সালে সাকিরা প্রথম প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হন যার পাতা ১০০ মিলিয়ন লাইক পার করে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যার লাইক ১০০ মিলিয়নে পৌ্ছায়। এরপরই আছেন্ রিহানা (৯৮ মিলিয়ন) এবং এমিনেম (৮৯ মিলিয়ন)।[১১৪][১১৫] মার্ক জাকারবার্গ অভিনন্দনসূচক বার্তা রাখেন তাদের ওয়ালে।[১১৬]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
- আমেরিকান লেখক বেন মাজরিচ ২০০৯ সালের জুলাইয়ে একটি বই প্রকাশ করেন জাকারবার্গ এবং ফেসবুকের প্রতিষ্ঠা নিয়ে, বইটির নাম দ্য এক্সিডেন্টাল বিলিয়নিয়ারস: দ্য ফাউন্ডিং অব ফেসবুক, এ টেল অব সেক্স, মানি, জিনিয়াস, এন্ড বিট্রেয়াল।[১১৭]
- দ্য সোস্যাল নেটওয়ার্ক একটি নাট্য চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ২০১০ সালের পহেলা অক্টোবরে, পরিচালক ছিলেন ডেভিড ফিঞ্চার।[১১৮] এটি বেন মাজরিচের বইয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। জাকারবার্গ দাবি করেন দ্য সোস্যাল নেটওয়ার্ক ঠিক ভাবে উপস্থাপিত হয়নি।[১১৯]
- এভরিবডি ড্র মোহাম্মদ ডে বির্তকের হেতু ধরে এবং পাকিস্তানে ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করার ফলে একটি ইসলামিক ভার্সনের ওয়েবসাইট তৈরী করা হয় যার নাম মিলাতফেসবুক।[১২০]
- ২০১০ সালের এপ্রিলে তৈরি করা আমেরিকান হাস্যরসাত্মক কার্টুন সাউথ পার্কের "ইউ হেভ জিরো ফ্রেন্ডস" একটি পর্ব যা ফেসবুক নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক রূপে উপস্থাপ করা হয়।[১২১]
- ২০০৮ সালে ইংল্যান্ড ব্রাডফোর্ডের আইভি বিন, ১০২ বছর বয়সে ফেসবুকে যোগ দেন। এভাবে তিনি ফেসবুকের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পান।[১২২] জুলাই ২০১০ সালে তার মৃত্যুর সময় তার বন্ধুর সংখ্যা ছিল ৪৯৬২ জন এবং টুইটারে তার অনুসরণকারী ছিল ৫৬০০০ জন।[১২৩]
- ২০১১ সালের ১৬ই মে ইসরাইলের এক দম্পতি ফেসবুকের "লাইক" বৈশিষ্ট্যের অনুকরণে তাদের মেয়ের নাম রাখেন।[১২৪][১২৫]
প্রতিযোগী
ফেসবুকের প্রধান প্রতিযোগীর মধ্যে আছে চীনে কিউজোন এবং রেনরেন; ব্রাজিলে অরকুট (২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধের আগ পর্যন্ত); দক্ষিণ কোরিয়ায় সাইওয়ার্ল্ড; রাশিয়া, বেলারুস, কাজাকস্থান, কিরগিস্থান, মালডোবা, ইউক্রেন, উজবেকিস্থানে ভিকে এবং অডনক্লাসনিকি; ড্রাগিয়েম.এলভি লাটভিয়ায়; ইরানে ক্লুব; ভিয়েতনামে জিং এবং জাপানে মিক্সি।[১২৬]
আরও দেখুন
- ফেস২ফেস
- ফেসবুক বাস্তব-নাম নীতি বিতর্ক
- সামাজিক যোগাযোগ সাইটসমূহের তালিকা
- হোয়াটসএ্যাপ
তথ্যসূত্র
অধিকতর পড়ুন
- Arrington, Michael (এপ্রিল ২৫, ২০১২)। "The Age Of Facebook"। TechCrunch।
- Kirkpatrick, David, "Why Facebook matters: It's not just for arranging dates. And it's not just another social network. Facebook offers sophisticated tools for maintaining social relationships", Fortune, October 6, 2006
- Lee, Newton (২০১৪)। Facebook Nation: Total Information Awareness (2nd Edition)। Springer Science+Business Media। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৯৩৯-১৭৩৯-৬.
- Miller, Daniel, Tales from Facebook, Polity 2011, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৪৫৬-৫২০৯-২
- Schroeder, Stan (ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১)। "Facebook Privacy: 10 Settings Every User Needs to Know"। Mashable। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
- ফেসবুকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
- ফেসবুকের অফিশিয়াল ফেসবুক পৃষ্ঠা
- Facebook-তে ব্ল্যাকবেরি বিশ্ব
- গুগল প্লে স্টোরে Facebook
- Facebook collected news and commentary at The New York Times
- ফেসবুক দ্যা গার্ডিয়ান-এর সংবাদ ও ধারাভাষ্যের সংগ্রহশালা।
- Facebook collected news and commentary at The Daily Telegraph (London)