স্লামডগ মিলিয়নিয়ার
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার হলো ২০০৮ সালের একটি ব্রিটিশ কাহিনী-চলচ্চিত্র যার পরিচালক ড্যানি বয়েল[৫], চিত্রনাট্যকার সাইমন বোফয় এবং প্রযোজক ক্রিশ্চিয়ান কলসন। ভারতে অভিনীত এই চলচ্চিত্রের মূল ভিত্তি ভারতীয় লেখক বিকাশ স্বরূপের উপন্যাস Q & A (২০০৫)। গল্পের নায়ক জামাল মালিক, বয়স ১৮, থাকে মুম্বাইয়ের জুহু বস্তিতে।[৬] বিখ্যাত রিয়ালিটি শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে সে অংশ নেয় আর প্রত্যেকটি ধাপেই সঠিক উত্তর দেয়। এতে অন্যেরা তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলে। তখন জামাল তার পুরো জীবন-কাহিনী বর্ণনা করে এবং ব্যাখ্যা করে যে কীভাবে সে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল।
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার | |
---|---|
পরিচালক | ড্যানি বয়েল |
প্রযোজক | ক্রিশ্চিয়ান কলসন |
চিত্রনাট্যকার | সাইমন বোফয় |
উৎস | বিকাশ স্বরূপ কর্তৃক Q & A |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | এ আর রহমান |
চিত্রগ্রাহক | অ্যান্থনি ডড ম্যান্টল |
সম্পাদক | ক্রিস ডিকেনস |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাজ্যভারত[১][২][৩] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১৫ মিলিয়ন[৪] |
আয় | $৩৭৭.৯ মিলিয়ন[৪] |
স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের প্রথম প্রদর্শনী হয় টেলুরাইড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এবং পরবর্তীতে টরেন্টো চলচ্চিত্র উৎসব ও লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে।[৭] এটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি পায় ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি, মুম্বাইয়ে ২২ জানুয়ারি[৮] ও যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ জানুয়ারি।[৯]
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার বিপুল প্রশংসা কুড়ায় এর কাহিনী, সাউন্ডট্র্যাক ও পরিচালনার জন্যে। এটি ২০০৯ সালে ১০টি একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় এবং ৮টি অর্জন করে, যার মধ্যে ছিল শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য। এছাড়া এটি সাতটি বাফটা অ্যাওয়ার্ড, পাঁচটি ক্রিটিকস চয়েস পুরস্কার এবং চারটি গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করেছে।
কাহিনী
জামাল মালিক (১৮), জুহু বস্তির বাসিন্দা এক ভারতীয় মুসলিম, রিয়ালিটি শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতির প্রতিযোগী এবং গ্র্যান্ড প্রাইজ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে। কিন্তু ২০ মিলিয়ন রুপি মূল্যের শেষ প্রশ্নের পূর্বেই তাকে প্রতারক সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে, কারণ এক অশিক্ষিত সাধারণ 'স্লামডগ' বা বস্তিবাসীর পক্ষে সব উত্তর জানা অসম্ভব। তখন জামাল তার জীবনের ঘটনাগুলো বলে (ফ্ল্যাশব্যাক করে) যা তাকে এসব উত্তর যুগিয়েছে।
জামাল স্মৃতিচারণ শুরু করে পাঁচ বছর বয়সের একটি ঘটনা থেকে- সে বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনের অটোগ্রাফ নিয়েছিল, তার ভাই সলিম সেটা বিক্রি করে। এর কিছুদিন পরে বোম্বের দাঙ্গার সময় তাদের মা মারা যান। দাঙ্গার কারণে বস্তি ছেড়ে যাবার পথে তাদের বস্তির এক মেয়ে লতিকার সাথে দেখা হয়। সলিম লতিকাকে সঙ্গে নিতে না চাইলেও জামাল বলে যে লতিকা হবে তৃতীয় মাস্কেটিয়ার, আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমার থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসের চরিত্র। বইটি তাদের স্কুলপাঠ্য হলেও নামগুলো তারা জানত না। এরপর তাদের দেখা হয় গুন্ডা মমনের সাথে, যে পথশিশুদের ধরে নিয়ে ভিক্ষা করায়। সলিম জানতে পারে যে ভিক্ষা বেশি পাবার জন্যে মমন ছেলেদের অন্ধ বানিয়ে দেয়। তখন সে জামাল ও লতিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্টেশন ছেড়ে যেতে থাকা একটা ট্রেনে উঠে পড়ে সলিম, জামালকে টেনে তুললেও ইচ্ছাকৃতভাবেই লতিকার হাত ছেড়ে দেয়। ফলে মমন আবার লতিকাকে ধরে নিয়ে যায়। পরের কয়েক বছর সলিম এবং জামাল ট্রেনের ছাদে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, জিনিসপত্র ফেরি করে, লোকের পকেট মারে, বাসন-কোসন ধোয়, তাজমহলে গিয়ে গাইড সাজে আর সেখানে জুতো চুরি করে। একসময় জামালের পীড়াপিড়িতে তারা মুম্বাইয়ে ফিরে আসে লতিকার খোঁজে, দেখতে পায় যে মমন তাকে বড় করছে দেহব্যবসায় নামানোর জন্যে। দুই ভাই লতিকাকে উদ্ধার করে আর মমনকে গুলি করে মারে। সলিম কাজ পেয়ে যায় মমনের প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী জাভেদের অধীনে। সে জামালকে বলে যে সে লতিকাকে একা পেতে চায়। জামাল এসবের বিরোধিতা করলে সে পিস্তল তোলে, তখন লতিকা জামালকে বোঝায় যে তার চলে যাওয়াই ভালো।
অনেক বছর পরে, জামাল এখন একটি ভারতীয় কল সেন্টারে পরিচারক, সেন্টারের ডাটাবেজে সলিম ও লতিকার তথ্য খুঁজে দেখে। লতিকাকে না পেলেও সলিমের খবর পায় যে সে জাভেদের বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হয়েছে। জামাল গিয়ে সলিমকে তিরস্কার করে, সলিম ক্ষমা চায় এবং তাকে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকার প্রস্তাব দেয়। জামাল কৌশলে জাভেদের বাড়িতে ঢুকে লতিকার কাছে পৌছায় আর তাকে তার ভালোবাসা নিবেদন করে কিন্তু লতিকা বলে তাকে ভুলে যেতে। জামাল বলে যায়- প্রতিদিন সে বিকেল ৫টায় ভিক্টোরিয়া স্টেশনে তার প্রতীক্ষায় থাকবে। লতিকা যাবার চেষ্টা করলেও সলিম ও জাভেদের লোকেরা তাকে ধরে ফেলে। জাভেদ মুম্বাইয়ের বাইরে গিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠে, ফলে আবার দুজনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জামাল কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে অংশ নেয়, সে জানত যে লতিকা নিয়মিত এই অনুষ্ঠান দেখে। শোতে জামাল সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয়। শেষদিকের একটি প্রশ্নে সে ৫০/৫০ লাইফলাইন ব্যবহার করে। তখন শোয়ের উপস্থাপক প্রেম কুমার ভুল উত্তরটি বলে তাকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেও জামাল অন্যটা বেছে নেয় যেটা সঠিক হয়।
পুলিশ অনুমান করে সে প্রতারণা করেছে, তাকে ধরে নিয়ে যথেষ্ট মারধোর করে। পরে জামালের "অবিশ্বাস্যভাবে সত্যি" ব্যাখ্যা শুনে ইন্সপেক্টর তাকে ছেড়ে দেন। এদিকে জাভেদের আস্তানায়, টেলিভিশনে জামালকে দেখে লতিকা, সলিম তার আগের কাজের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ লতিকাকে তার মুঠোফোন ও গাড়ির চাবি দিয়ে বলে জামালের কাছে চলে যেতে। জাভেদকে ভয় পেলেও লতিকা শেষে পালায়। আর সলিম টাকা দিয়ে একটা বাথটাব ভরে তাতে বসে থাকে জাভেদের অপেক্ষায়। শোতে জামালকে চূড়ান্ত প্রশ্ন করা হয় থ্রি মাস্কেটিয়ার্সে তৃতীয় মাস্কেটিয়ারের নাম কী, জামাল এটা জানত না। তাই সে "ফোন-এ-ফ্রেন্ড" লাইফলাইনে সলিমকে কল করে। ফোন ধরে লতিকা, উত্তর সে না জানলেও বলে যে সে এখন নিরাপদে আছে। নিশ্চিন্ত হয়ে জামাল বেছে নেয় সঠিক উত্তর আরামিস, এবং জিতে নেয় গ্র্যান্ড প্রাইজ। শো দেখতে থাকা জাভেদ বুঝে যায় সলিম তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তখন সে দলবল নিয়ে দরজা ভেঙে বাথরুমে ঢুকতেই সলিম তাকে গুলি করে। পরে সলিমও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢলে পড়ে, আল্লাহু আকবর উচ্চারণ করে। জামাল ও লতিকা রেলস্টেশনে একত্রিত হয়, চুমু খায় আর "জয় হো" গানের সাথে তাদের দুর্দান্ত নাচে সমাপ্তি টানা হয়।
শ্রেষ্ঠাংশে
- দেব প্যাটেল - জামাল মালিক, মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া একটি ছেলে যে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে উঠেছে।
- আয়ুষ মহেশ খেদকার - শিশু জামাল
- তনয় ছেদা - তরুণ জামাল
- ফ্রিদা পিন্টো - লতিকা, জামাল যাকে ভালোবাসে।
- রুবিনা আলী - শিশু লতিকা
- তন্বী গণেশ লঙ্কার - তরুণী লতিকা
- মধুর মিত্তাল - সলিম কে. মালিক, জামালের বড়ভাই
- আজহারউদ্দিন মোহাম্মদ ইসমাইল - শিশু সলিম
- আশুতোষ লোবো গাজিওয়ালা - তরুণ সলিম
- অনিল কাপুর - প্রেম কুমার, রিয়েলিটি শোর উপস্থাপক। প্রথমদিকে বয়েল এই চরিত্রে শাহরুখ খানকে অভিনয় করাতে চেয়েছিলেন।[১০]
- ইরফান খান - পুলিশ ইন্সপেক্টর
- সৌরভ শুক্ল - পুলিশ কন্সটেবল শ্রীনিবাস
- মহেশ মাঞ্জরেকর - জাভেদ খান, ক্রাইম বস
- অঙ্কুর বিকাল - মমন
- রাজেন্দ্রনাথ জুতশী - কৌন বনেগা ক্রোড়পতির প্রযোজক
- সঞ্চিতা চৌধুরি - জামালের মা
- মিয়া ড্রেক ইন্ডারবেতজেন - অ্যাডেল, আমেরিকান পর্যটক
- সিদ্ধেশ পাতিল - অন্ধ ভিক্ষুক
- আরফি লাম্বা - বার্ডি
- শ্রুতি শেঠ - কণ্ঠস্বর প্রশিক্ষক
মুক্তি
৮১তম একাডেমি পুরস্কার পাবার পর চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপি বক্স অফিসের শীর্ষে উঠে যায় (উত্তর আমেরিকা বাদে) এবং অস্কারের পরের সপ্তাহেই ৩৪টি মার্কেট হতে $১৬ মিলিয়ন আয় করে।[১১] সারা বিশ্বে এপর্যন্ত এটি $৩৭৭ মিলিয়ন আয় করেছে,[৪] যা ফক্স সার্চলাইট পিকচার্সের সর্বাধিক-আয়-করা চলচ্চিত্র।
প্রতিক্রিয়া
একাডেমি পুরস্কার অর্জন | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
1. শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, ক্রিশ্চিয়ান কলসন | |||||||
2. শ্রেষ্ঠ পরিচালক, ড্যানি বয়েল | |||||||
3. শ্রেষ্ঠ অভিযোজিত চিত্রনাট্য, সাইমন বোফয় | |||||||
4. শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফি, অ্যান্থনি ডড ম্যান্টল | |||||||
5. শ্রেষ্ঠ মৌলিক স্বরলিপি, এ আর রহমান, | |||||||
6. শ্রেষ্ঠ মৌলিক সঙ্গীত – "জয় হো", সুরকার এ আর রহমান, গীতিকার গুলজার | |||||||
7. শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সম্পাদনা, ক্রিস ডিকেনস | |||||||
8. শ্রেষ্ঠ শব্দ সংযোগ, রিসল পুকাটি, রিচার্ড প্রাইক, এবং ইয়ান ট্যাপ | |||||||
বাফটা পুরস্কার অর্জন | |||||||
1. সেরা চলচ্চিত্র, ক্রিশ্চিয়ান কলসন | |||||||
2. সেরা পরিচালক, ড্যানি বয়েল | |||||||
3. সেরা অভিযোজিত চিত্রনাট্য, সাইমন বোফয় | |||||||
4. সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, অ্যান্থনি ডড ম্যান্টল | |||||||
5. সেরা চলচ্চিত্র সঙ্গীত, এ আর রহমান | |||||||
6. সেরা সম্পাদনা, ক্রিস ডিকেনস | |||||||
7. সেরা শব্দ, গ্লীন ফ্রিম্যান্টল, রিসল পুকাটি, রিচার্ড প্রাইক, টম সয়্যারস এবং ইয়ান ট্যাপ | |||||||
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন | |||||||
1. সেরা কাহিনী-চলচ্চিত্র | |||||||
2. সেরা পরিচালক, ড্যানি বয়েল | |||||||
3. সেরা চিত্রনাট্য, সাইমন বোফয় | |||||||
4. সেরা মৌলিক স্বরলিপি, এ আর রহমান | |||||||
গোয়া পুরস্কার (স্পেন) | |||||||
1. শ্রেষ্ঠ ইউরোপীয় চলচ্চিত্র |
সম্মাননা
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার সমালোচকদের উচ্চ প্রশংসা পায় এবং অনেক সংবাদপত্রে সেরা দশের তালিকায় জায়গা করে নেয়।[১২] ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্রটি ১০টি মনোনয়নের মধ্যে ৮টি একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক সহ।[১৩] এটি ৮টি অস্কার জেতা অষ্টম চলচ্চিত্র[১৪] এবং একাধিক মনোনয়ন নিয়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অস্কারজয়ী এগারোতম চলচ্চিত্র।[১৫] একই সময় শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ভারত উপস্থাপিত তারে জামিন পার চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হলেও ভারতীয় গণমাধ্যম সেটিকে স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের সাথে তুলনা করে থাকে।[১৬][১৭][১৮][১৯]
চলচ্চিত্রটি ১১টি বাফটা পুরস্কার মনোনয়নে ৭টি জিতে নিয়েছে, বিশেষত সেরা চলচ্চিত্র। এর ঝুলিতে আরো আছে ৪টি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং ৬টি মনোনয়নে ৫টি ক্রিটিকস চয়েস পুরস্কার।
চলচ্চিত্রের বহুপ্রশংসিত শিরোনামটিও মনোনয়ন পায়, মর্যাদাপূর্ণ রুশে সোহো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের "প্রচারণা নকশা পুরস্কার" (Broadcast Design Award) বিভাগে। এটি প্রতিদ্বন্দিতা করে বিবিসির ক্রীড়ানুষ্ঠান ম্যাচ অফ দ্য ডে ইউরো ২০০৮ এবং এরকম অন্যান্য শিরোনামের সঙ্গে।
ভারতের বাইরে প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব দরবারে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার প্রায় সার্বজনীন প্রশংসা অর্জন করে। ২০১৫-র ২৫ এপ্রিল রটেন টম্যাটোস চলচ্চিত্রটিকে ২৬৭টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৯২% রেটিং দেয়, গড় স্কোর ৮.৪/১০।[২০] মেটাক্রিটিক মূলধারার সমালোচকদের ৩৬টি পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে স্কোর দিয়েছে ৮৬/১০০।[২১] মুভি সিটি নিউজের তথ্যানুযায়ী, চলচ্চিত্রটি ১২৩টি ভিন্ন ভিন্ন "সেরা দশ" তালিকায় উঠে এসেছে যা ২০০৮ সালের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে চতুর্থ।[২২]
শিকাগো সান-টাইমসের রজার ইবার্ট চলচ্চিত্রটিকে ৪/৪ তারকা দেন এবং বলেন যে, এটি "একটি শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনাময় গল্প, মর্মন্তদ এবং সুখপ্রদ।"[২৩] ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জো মর্গেনস্টার্ন স্লামডগ মিলিয়নিয়ারকে বলেছেন "পৃথিবীর প্রথম বিশ্বায়িত মাস্টারপিস।"[২৪]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (ইংরেজি)
- অলমুভিতে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (ইংরেজি)
- আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট ক্যাটালগে Slumdog Millionaire
- রটেন টম্যাটোসে স্লামডগ মিলিয়নিয়ার (ইংরেজি)