হাসান ইবনে হাসান
হাসান ইবনে হাসান (আরবি: ٱلْحَسَن ٱبْن ٱلْحَسَن), হাসান মুসান্না (আরবি: ٱلْحَسَن ٱلْمُثَنَّىٰ, অনুবাদ 'al-Hasan the Second') নামে অধিক পরচিত,[১][২] মুহাম্মাদের প্রপৌত্র ছিলেন।
হাসান ইবনে হাসান ইবনে আলী ٱلْحَسَن ٱبْن ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ | |
---|---|
জন্ম | ৩৭ হিজরী / ৬৬১ খ্রি. |
মৃত্যু | ৯৭ হি. / ৭১৫ (বয়স ৫৩–৫৪) |
দাম্পত্য সঙ্গী | |
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
প্রাথমিক জীবন
তার পিতা ছিলেন হাসান ইবনে আলী।[৩][৪] তার মাতা ছিলেন খাওলাহ বিনতে মানযুর ইবনে জাবান ইবনে সাইয়ার ফাযারি।[৫] হাসান মুসান্না কারবালার ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। আহমাদ ইবনে ইব্রাহিম হাসানী, আবু মিখনাফ থেকে উদ্ধৃত একটি রেওয়ায়েতে বলেন যে, তখন তার বয়স ছিল উনিশ বা বিশ।[৬]
আশুরার দিনে তিনি হোসাইনের পাশে সাহসিকতার সাথে লড়াই করেন এবং আহত ও বন্দী হন। তার মামা আসমা বিন খারিজাহ ফাযারি তাকে রক্ষা করেন। তিনি কুফায় অসুস্থতার দিনগুলো পার করেন; এবং সুস্থ হয়ে তিনি মদিনায় ফিরে আসেন।[৭]
হাসান মুসান্নাকে তার চাচা হোসাইন ইবনে আলী বিয়ে করার জন্য নিজের দুই কন্যা সুকাইনা ও ফাতিমাকে বেছে নেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। হাসান অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের ছিলেন। তিনি ফাতিমাকে বেছে নিয়েছিলেন, কারণ তার সাথে তার দাদী ফাতিমাতুজ জাহরার অনেক মিল ছিল।[৮]
সন্তানাদি
সাইয়েদ ইবনে তাউস হাসান বিন হাসানসহ ইমাম হাসানের আরো কিছু সন্তানের যোগ্যতা ও আভিজাত্য সম্পর্কে লিখেন যে, এরা এমন লোক যাদের মর্যাদা ও যোগ্যতা সকল মুসলমান স্বীকার করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
হাসান এবং হোসাইনের বংশধরের তালিকা সম্পর্কে আলী রেজা থেকে বর্ণিত একটি বর্ণনার অংশ অনুসারে অনুমান করা হয় যে, হাসান মুসান্নার অনেক সন্তান ছিল। ইমাম হাসানের বংশধর তার এবং তার আরেক ভাই যায়েদের মাধ্যমে অব্যাহত ছিল। এই রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে: "হাসান বিন আলীর বংশধর তার দুই পুত্র জায়েদ এবং হাসানের মাধ্যমে অব্যাহত ছিল। যায়েদের একটি পুত্র ছিল যার নাম ছিল হাসান । এছাড়াও, হাসান মুসান্নার আবদুল্লাহ কামিল, ইব্রাহিম গামর এবং ফাতিমা বিনতে হোসাইন থেকে হাসান মুসাল্লাস নামে পুত্রসন্তান ছিল। আর উম্মে ওয়ালাদ থেকে জাফর ও দাউদ; রামলা বিনতে সাঈদ বিন যায়িদ থেকে মুহাম্মদ; যিনি হাসানের তৃতীয় প্রজন্মকে অব্যাহত রেখেছেন।" [৯]