২০১২ রহস্য

২০০৬ এর রহস্য এক সারি পরলোকতাত্ত্বিক বিশ্বাসের ধারণ অনুসারে ২১শে ডিসেম্বর ২০১২ সালে আকস্মিকভাবে পরিবর্তন বা রূপান্তরিক ঘটনা ঘটবে।[১][২][৩][৪][৫][৬] এই তারিখটি একটি মেসোআমেরিকান দীর্ঘ গণনার পঞ্জিকা যা ৫১২৫ বছরের দীর্ঘ চক্রের শেষ তারিখ হিসাবে গণ্য হয়।[৭] বিভিন্ন জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত সারিবদ্ধকরণ এবং সংখ্যাতত্ত্বিক সূত্রে এই তারিখ প্রস্তাবিত করা হয়েছে, যদিও মূলধারার পাণ্ডিত্য কাছে কোনটি গ্রহণ করা হয়নি।

নতুন যুগ এই ক্রান্তিকালের ব্যাখ্যা হল এই যে, তারিখটি একটি সময়ের শুরু নির্দেশ করে যা পৃথিবী এবং এখানকার অধিবাসীদের একটি ইতিবাচক শারীরিক বা আধ্যাত্মিক রূপান্তরের সহ্য করবে, এবং এই ২১শে ডিসেম্বর ২০১২ সাল হবে একটি নতুন যুগের প্রারম্ভ চিহ্ন।[৮] অন্যান্যরা ধারণা করে যে, তারিখটি পৃথিবীর অবসান বা অনুরূপ একটি বিপর্যয়কারী ঘটনা চিহ্নিত করে। পৃথিবীর অবসান জন্য প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত পরবর্তী সোলার ম্যাক্সিমাম আগমনসহ, ছায়াপথের কেন্দ্রে পৃথিবী এবং ব্লাক হোলের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া[৯] বা "নিবিরু" নামে একটি গ্রহ সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ অন্তর্ভুক্ত।

২১শে ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে সম্পর্কে ইন্টারনেট, বই এবং টিভির প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে যে এই তারিখে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটবে অথবা কোন বড় ধরনের বিপর্যয় হবে বলে মনে করছে। এই গুলো মায়া বর্ষপঞ্জিকার একটি চক্র (b'ak'tun) প্রান্তের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, যদিও প্রাচীন অন্যান্য সভ্যতাগুলোর কাছে থেকেও এই ধরনের ধারণা পাওয়া গিয়েছে। এই ধারনাটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় সমর্থন করেন না; ভূপদার্থবিদরাও, জ্যোতির্বিজ্ঞানী[১০]

মায়া বর্ষপঞ্জিকা

অন্যান্য মেসোআমেরিকান সংস্কৃতি লোকদের মত মায়ারাও সময় পরিমান করার জন্য তিন বর্ষপঞ্জিকা বিশিষ্ট্য একটি বর্ষপঞ্জিকা ব্যবহার করতো। দিনগুলোকে ২৬০ দিন পর্যায়কাল বিশিষ্ট্য একটি ধর্মীয় প্রথার বর্ষপঞ্জিকা দ্বারা সাজানো হয়েছিল যাকে "Tzolk'in" বলা হতো, একে ১৩ দিনের সময় পর্যায়কালে বিভাক্ত করা হয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রথা উদ্দ্যেশ্যের জন্য ব্যবহার করা হতো। ৩৬০ দিনের একটি সৌর বছর ছিল যাকে "Haab" বলা হতো, একে ১৮ মাস বিভাক্ত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক মাস ২০ দিন পর্যায়কাল বিশিষ্ট্য।[১১]

মায়ারা বছর গণনা করতো না, ১৮,৯৮০ দিনের (~ ৫২ বছর) চক্রকে স্থান দেওয়ার জন্য উভয় বর্ষপঞ্জিকার তারিখ তাদের মাঝে সংযুক্ত করা হয়েছে, ফলে মোট ৫২ চক্রে রূপান্তরিত হয়েছে। অন্য অতিরিক্ত একটি বর্ষপঞ্জিকা, তথাকথিত লং গুনতি গণনা করতো, অন্যদিকে, মায়ান পুরাণতত্ত্ব অনুসারে বিশ্ব সৃষ্টির তারিখ থেকেই সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে (১১ই আগস্ট ৩১১৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিকাতে)। এই বর্ষপঞ্জিকা পূর্ববর্তীর বর্ষপঞ্জিকার মত নয়, অগ্রগতিমূলক ছিল এবং সময়কে ভাগ করা হয়েছে চক্রতে, ১৪৪,০০০ দিনের সময়কালের আবর্তকে (b'ak'tun) না। ২০শে ডিসেম্বর ২০১২ ১৩তম b'ak'tun (১২ ১৯ ১৯ ১৭ ১৯ বর্ষপঞ্জিকার আসল স্বরলিপি) শেষ হবে এবং পরবর্তী দিন হতে ১৪তম b'ak'tun (১৩.০.০.০.০) শুরু হবে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ