পাহাড়ি বাজ
পাহাড়ি বাজ (ইংরেজি: Mountain Hawk-eagle)(Nisaetus nipalensis[১]) এক ধরনের শিকারী পাখি। এটা ঈগলের মতোই দেখতে হয়। পাহাড়ি বাজ দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা থেকে চীন, তাইওয়ান, জাপান পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়। নিসেটাস গণের (আগে এই পাখিটিকে স্পিজেটাস গণের ধরা হতো) এই পাহাড়ি বাজ ঈগলজাতীয় পাখি। অন্যান্য ঈগলের মতো এসসিপিট্রাইডি পরিবারভুক্ত।
পাহাড়ি বাজ | |
---|---|
পাহাড়ি বাজ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পাখি |
বর্গ: | অ্যাকিপিত্রিফমস |
পরিবার: | এসসিপিট্রাইডি |
গণ: | নিসায়তুস |
প্রজাতি: | এন, নিপালেন্সিস |
দ্বিপদী নাম | |
নিসায়তুস নিপালেন্সিস হজসন, ১৮৩৬ | |
প্রতিশব্দ | |
স্পিযাতুস নিপালেন্সিস |
গঠন
পাখিটি ঠোঁটের ডগা থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত ৭০ থেকে ৭২ সেন্টিমিটার, পাখা ৪২ সেন্টিমিটার ও ঠোঁট ৪ সেন্টিমিটার লম্বা। এদের ঠোঁট অপেক্ষাকৃত ছোট তবে একটু ছড়ানো, গোড়া থেকে বাঁকানো, নাকের ছিদ্র গোলাকার, পাখা ছোট গোলাকৃতির, লেজ অধিকাংশ ঈগলের তুলনায় লম্বা। এদের পা লম্বা, পালক জড়ানো; পায়ের আঙুল ছোট কিন্তু শক্তিশালী, নখ লম্বা ও বাঁকানো।
মধ্যম আকারের ঈগলটি বাদামি রঙের, পেটের দিকটা হালকা বাদামি রঙের, তলার দিকে লেজে পাখায় কালো পালকে দাগানো। বুক, পেট ও পাখার ওপরের অংশে কালো পালকের প্রচুর ছোপ রয়েছে। স্ত্রী-পুরুষ একই রকম দেখতে, তবে উঠতি বয়সীদের মাথা সাদাটে। মাথায় ঝুঁটি আছে।
বাসস্থান
পাহাড়ি বাজ পুরোপুরি পর্বতসংকুল জঙ্গলের বাসিন্দা। ডালপালা জোগাড় করে গাছে বাসা বাঁধে। সাধারণত একটি ডিম পাড়ে। এরা বেজি, ইঁদুর, খরগোশসহ নানা স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপজাতীয় প্রাণী শিকার করে খায়। পাহাড়ি বাজের এই প্রজাতিটির আগের ইংরেজি নাম ছিল হজসন’স হক-ঈগল। এটি পাকিস্তান, ভারত ও চীনে দেখতে পাওয়া যায়। এদের দুটি উপপ্রজাতির একটির (Nisaetus kelarti) শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ ভারতে দেখা মেলে। দ্বিতীয় উপপ্রজাতিটি (Nesaetus orientalis) জাপানে দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার পাহাড়ি জঙ্গলে পাহাড়ি বাজ দেখতে পাওয়া যায়।