আনন্দ মহিদল

আনন্দ মহিদল (থাই: พระบาทสมเด็จพระปรเมนทรมหาอานันทมหิดล; ২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ – ৯ জুন ১৯৪৬), বা অষ্টম রামা শ্যামদেশের (থাইল্যান্ডের) চক্রী রাজবংশের অষ্টম রাজা ছিলেন।[১] নয় বছর বয়সে সুইজারল্যান্ডে থাকাকালীন, মার্চ ১৯৩৫ সালে জাতীয় সমাবেশ তাকে রাজার স্বীকৃতি দেয়। তিনি ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ফিরে যান, কিন্তু ছয় মাস পরে জুন ১৯৪৬ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[২][৩] যদিও প্রথমে এটি একটি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হতো, পরে মেডিকেল পরীক্ষকগণ তার মৃত্যু হত্যার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করে এবং পরে তিনজন রাজকীয় ভৃত্যকে খুব অনিয়মিত বিচারের পর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃত্যুর রহস্যময় পরিস্থিতি অনেক বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল।[৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১]

আনন্দ মহিদল
พระบาทสมเด็จพระปรเมนทรมหาอานันทมหิดล
অষ্টম রামা
শ্যামদেশের রাজা
রাজত্ব২ মার্চ ১৯৩৫ – ৯ জুন ১৯৪৬
রাজ্যাভিষেক২ মার্চ ১৯৩৫
পূর্বসূরিপ্রজাধীপক (সপ্তম রামা)
উত্তরসূরিভূমিবল অতুল্যতেজ (নবম রামা)
রাজপ্রতিভূরাজপ্রতিভূ কাউন্সিল (১৯৩৫-১৯৪৪)
প্রিদি বনময়ং (১৯৪৪-১৯৪৫)
জন্ম(১৯২৫-০৯-২০)২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৫
হেইডেলবার্গ, ব্যাডেন প্রজাতন্ত্র, ভাইমার প্রজাতন্ত্র
মৃত্যু৯ জুন ১৯৪৬(1946-06-09) (বয়স ২০)
বোরমফিমান থ্রোন হল, গ্র্যান্ড প্যালেস, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
দাম্পত্য সঙ্গীরামভাই বার্নী সভাস্তিভাতানা
রাজবংশমহিদল (চক্রী রাজবংশ)
পিতামহিদল আদ্যুলাদেজ
মাতাশ্রীনগরীন্দ্রা, রাজকুমারীর মাতা
ধর্মবৌদ্ধ ধর্ম
স্বাক্ষরআনন্দ মহিদল স্বাক্ষর

নাম

আনন্দ মহিদল একটি থাই শব্দ। রাজা ভজিরাভুধ, তার কাকা, একতি তেলেগ্রামের মাধ্যমে ১৩ অক্টোবার ১৯২৫ সালে তাকে এই নাম দেন। তার নামের অর্থ "মহিদলের আনন্দ"(মহিদল তার পিতার নাম)। তার পূর্ণ নাম এবং শিরোনাম ছিল "মম চাও আনন্দ মাহিদল মাহিদল" (থাই: หม่อมเจ้าอานันทมหิดล มหิดล)। তার পুরো রাজকীয় নাম ছিল "ফ্রা বাট সোমদেট ফ্রা পোরামেনঠ্রা মহা আনন্দ মাহিদল ফ্রা আত্থামা রামথীবদীন্দ্র" (থাই: พระบาทสมเด็จพระปรเมนทรมหาอานันทมหิดลฯ พระอัฐมรามาธิบดินทร); বা "অষ্টম রামা"।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

যুবরাজ আনন্দ মহিদল হেইডেলবার্গ, জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংখলার যুবরাজ মহিদল আদ্যুলাদেজ (রাজা চুলালংকরনএর পুত্র) এবং মম সাঙ্গুওয়ান (শেষ শিরোনাম সোমদেজ ফেরা শ্রী নন্দিন্দর বোরমরচচননানী) এর প্রথম পুত্র ছিলেন।

তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে প্যারিস, লোজান এবং তারপর ম্যাসাচুসেট্‌সতে যান।

যুবরাজ মহিদল আদ্যুলাদেজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা শেষ করার পর ১৯২৮ সালে থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন। যুবরাজ মহিদল ১৯২৯ সালে ৩৭ বছর বয়সে মারা যান, যখন আনন্দ মহিদলের মাত্র চার বছর বয়স। তার বিধবা মাতা, তার পরিবারকে একাই গড়ে তুলেছিল।

যুবরাজ আনন্দ মহিদল সুইজারল্যান্ডে বেশির ভাগ যৌবন কাটান।

উত্তরাধিকারের পরিস্থিতি

তেরো বছরের রাজা আনন্দ (বাদিকে), এবং তার ভাই যুবরাজ ভূমিবল অতুল্যতেজ (ডানদিকে), ব্যাংকক-এ ১৯৩৮ সালে একতি মডেল ট্রেন পরিদর্শন করছে।

নতুন আপাতদৃষ্টিতে-গণতান্ত্রিক সরকারের সাথে রাজনৈতিক সংঘাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের আবনতির কারণে ১৯৩৫ সালে রাজা প্রজাধীপক (সপ্তম রামা) রাজত্ব পরিত্যাগ করেন।

১৯৩৫ সালের ২ মার্চ, যুবরাজ আনন্দ মহিদলকে জাতীয় পরিষদ এবং থাই সরকার তার কাকা রাজা প্রজাধীপকএর উত্তরাধিকারী বলে মনে করে এবং তিনি রাজবংশের অষ্টম রাজা হিসেবে নির্বাচিত হন।

রাজত্ব

নতুন রাজার মাত্র ৯ বছর বয়স ছিল এবং তারপর সুইজারল্যান্ডে অধ্যয়নরত ছিল, তাই জাতীয় পরিষদ তার প্রতিনিধিদের নিযুক্ত করে।

১৯৩৯

যুদ্ধোত্তর

রাজা আনন্দ এবং লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন, ১৯ জানুয়ারি ১৯৪৬

মৃত্যু

১৯৪৬ সালের ৯ জুন, গ্র্যান্ড প্যালেসের একটি আধুনিক আবাসিক প্রাসাদ - বোরমফিমান থ্রোন হলের শয়নকক্ষে, আনন্দ মহিদলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। মাত্র চারদিন পরে তিনি সুইজারল্যান্ডের লোজান বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে তিনি ফিরে যেতেন।

বোরমফিমান থ্রোন হল, গ্র্যান্ড প্যালেস

রাজা আনন্দকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

শিরোনাম এবং শৈলী

রাজা আনন্দ মহিদল
অষ্টম রামা

এর রীতি
উদ্ধৃতিকরণের রীতিতাঁর রাজকীয় মহিমা
কথ্যরীতিআপনার রাজকীয় মহিমা
বিকল্প রীতিজনাব
  • ২০ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ - ৭ নভেম্বর ১৯২৭: তাঁর শান্ত মহামান্য যুবরাজ আনন্দ মহিদল
  • ৮ নভেম্বর ১৯২৭ - ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৫ : মাননীয় যুবরাজ আনন্দ মহিদল
  • ২ মার্চ ১৯৩৫ - ৯ জুন ১৯৪৬: তার মহিমা রাজা আনন্দ মহিদল
চক্রী রাজবংশএর রাজারা
ফ্রা ফুটথায়তফা চুলালক
(প্রথম রামা)
ফ্রা ফুটথালেটলা নাফালাই
(দ্বিতীয় রামা)
নাংকলাও
(তৃতীয় রামা)
মংকুট
(চতুর্থ রামা)
চুলালংকরন
(পঞ্চম রামা)
ভজিরাভুধ
(ষষ্ঠ রামা)
প্রজাধীপক
(সপ্তম রামা)
আনন্দ মহিদল
(অষ্টম রামা)
ভূমিবল অতুল্যতেজ
(নবম রামা)
মহা ভজিরালঙ্কম
(দশম রামা)

পূর্বপুরুষ

আনন্দ মহিদলর পরিবার
১৬. ফ্রা ফুটথালোএটলা নাফালাই (দ্বিতীয় রামা) (=২০.)
৮. মংকুট (চতুর্থ রামা) (=১০.)
১৭. Sri Suriyendra (=২১.)
৪. চুলালংকরন (পঞ্চম রামা)
১৮. Prince Sririwongse, the Prince Matayapitaksa
৯. Debsirindra
১৯. Noi Siriwongse Na Ayudhaya
২. মহিদল আদ্যুলাদেজ
২০. ফ্রা ফুটথালোএটলা নাফালাই (দ্বিতীয় রামা) (=১৬.)
১০. মংকুট (চতুর্থ রামা) (=৮.)
২১. Sri Suriyendra (=১৭.)
৫. Savang Vadhana
২২. Lord Asasamdeang (Tang Sucharitakul)
১১. Piam Sucharitakul
২৩. Dame Sucharitthamrong (Nag Sucharitakul)
১. আনন্দ মহিদল (অষ্টম রামা)
১২. ছুঁম ছুকরামুল
৬. ছুঁ ছুকরামুল
৩. সংওয়ান তালাপাত
৭. খাম ছুকরামুল
১৫. ফা

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ