ইয়োহান ভোল্ফগাং ডোবেরেইনার
ইয়োহান ভোল্ফগাং ডোবেরেইনার (১৩ ডিসেম্বর, ১৭৮০ – ২৪ মার্চ, ১৮৪৯) হলেন একজন জার্মান রসায়নবিদ, যিনি তাঁর পর্যায় সারণির ত্রয়ী সূত্র প্রদান এবং সর্বপ্রথম লাইটার (যা ডোবেরেইন'স ল্যাম্প নামে পরিচিত) আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। [১] তিনি ইউনিভার্সিটি অব জেনা-তে রসায়ন এবং ফার্মাসির অধ্যাপক ছিলেন।
ইয়োহান ভোল্ফগাং ডোবেরেইনার | |
---|---|
জন্ম | Hof, Principality of Bayreuth | ১৩ ডিসেম্বর ১৭৮০
মৃত্যু | ২৪ মার্চ ১৮৪৯ | (বয়স ৬৮)
জাতীয়তা | জার্মান |
পরিচিতির কারণ | Döbereiner's triads Döbereiner's lamp |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইউনিভার্সিটি অব জেনা |
জীবনী এবং কর্ম
একজন কোচম্যানের পুত্র হওয়ায় তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার খুব বেশি সুযোগ ছিল না। তাই তিনি একটি ঔষধ প্রস্তুতকেন্দ্রে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন। তিনি গভীর ভাবে ফার্মাসি ও বিজ্ঞান পড়তে থাকেন এবং নিয়মিত বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতায় যোগ দিতেন।অবশেষে, কঠোর প্রচেষ্টার পর ১৮১০ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি অব জেনাতে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তবুও স্ট্রাসবুর্গে তিনি রসায়ন অধ্যয়ন করেন।
১৮২৯ সালে প্রকাশিত কার্যক্রমে,[২] তিনি কয়েকটি নির্বাচিত গ্রুপের রাসায়নিক মৌলের (মৌলিক পদার্থ) বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একধরনের প্রবণতা সম্পর্কে রিপোর্ট করেছিলেন। তিনি দেখতে পান তিনটি করে মৌল প্রায় কাছাকাছি ধর্ম প্রদর্শন করে। এদেরকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজালে দ্বিতীয় মৌলের ভর প্রথম ও তৃতীয় মৌলের গড় ভরের কাছাকাছি। উদাহরণস্বরূপ, ক্লোরিন, ব্রোমিন এবং আয়োডিনের গড় পারমাণবিক ভর ব্রোমিনের পারমাণবিক ভরের কাছাকাছি। তিনি লিথিয়াম সোডিয়াম ও পটাশিয়াম; ক্যালসিয়াম, স্ট্রনশিয়াম ও বেরিয়াম এবং সালফার, সেলেনিয়াম, টেলুরিয়ামের মধ্যেও একই ধরনের ধর্মের সন্ধান পান। তদুপরি, এই মৌল গুলোর ঘনত্বও একই ধারা অনুসরণ করে।এই মৌলগুলো "ডোবেরেইনারের ত্রয়ী" নামে পরিচিতি লাভ করে। [৩][৪]
এছাড়াও ডোবেরেইনার ফারফিউরাল আবিষ্কার,[৫] প্লাটিনামকে অনুঘটক হিসাবে ব্যবহার, এবং ডোবেরেইনারের ল্যাম্প নামে পরিচিত একটি লাইটার আবিষ্কার করার জন্য রসায়ন জগতে অমর হয়ে আছেন। ১৮২৮ সালের মধ্যেই শ্লাইজে জার্মান নির্মাতা গটফ্রাইড পিগলার কয়েক হাজার লাইটার উৎপাদন করেন।
বিখ্যাত জার্মান লেখক গ্যোটে ডোবেরেইনারের বন্ধু ছিলেন।তিনি নিয়মিত ডোবেরেইনারের সাপ্তাহিক বক্তৃতায় যোগ দিতেন। এছাড়াও তিনি তার ১৮০৯ সালে লেখা বিখ্যাত উপন্যাসিকা ইলেক্টিক অ্যাফিনিটিস-এর ভিত্তি হিসাবে ডোবেরেইনারের রাসায়নিক সংযুক্তি সম্পর্কিত তত্ত্বগুলো ব্যবহার করেছিলেন।
কর্ম
- Deutsches Apothekerbuch . Vol. 1-3 . Balz, Stuttgart 1842-1848 Digital edition by the University and State Library Düsseldorf
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
- Collins, P. M. D. (১৯৮৬)। "The Pivotal Role of Platinum in the Discovery of Catalysis" (পিডিএফ)। Platinum Metals Review। 30 (3): 141–146। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- Hoffmann, Roald (জুলাই–আগস্ট ১৯৯৮)। "Döbereiner's Lighter"। American Scientist। 86 (4): 326। ডিওআই:10.1511/1998.4.326। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- Hoffmann, Roald (১৯৯৮)। "Döbereiner's Lighter"। American Scientist। 86 (4): 326। ডিওআই:10.1511/1998.4.326। মার্চ ২৪, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Kauffman, George B. (১৯৯৯)। "Johann Wolfgang Döbereiner's Feuerzeug"। Platinum Metals Review। 43 (3)।
- Kaufmann, George (১৯৯৯)। "From Triads to Catalysis: Johann Wolfgang Döbereiner (1780–1849) on the 150th Anniversary of His Death"। The Chemical Educator। 4 (5): 186–197। ডিওআই:10.1007/s00897990326a।
- McDonald, Donald (১৯৬৫)। "Johann Wolfgang Döbereiner" (পিডিএফ)। Platinum Metals Review। 9 (4): 136–139। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- Prandtl, Wilhelm (১৯৫০)। "Johann Wolfgang Dobereiner, Goethe's Chemical Adviser"। Journal of Chemical Education। 27 (4): 176–181। ডিওআই:10.1021/ed027p176। বিবকোড:1950JChEd..27..176P।
- Kimberley A. McGrath, Bridget Travers. 1999. World of Scientific Discovery. Gale Research.