উত্তর কোরিয়া–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

উত্তর কোরিয়া–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বলতে উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বোঝানো হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল বৈরীভাবাপন্ন, যার কোরিয় যুদ্ধের সময় প্রাথমিক সূত্রপাত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক কর্মসূচি- পারমাণবিক অস্ত্রের ছয়টি পরীক্ষা, দূরপাল্লায় আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন, এবং যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার এর চলমান হুমকি[১] এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং গতানুগতিক বাহিনী দ্বারা সম্পর্ককে সজ্ঞায়িত করা হয়। জর্জ ডব্লিউ. বুশ তার শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতার কারণে একে "মন্দ অক্ষের" অংশ বলে আখ্যায়িত করেন।[২][৩]

উত্তর কোরিয়া–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
মানচিত্র North Korea এবং United States অবস্থান নির্দেশ করছে

উত্তর কোরিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২০১৮ সালের জুনে উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উন (বামে) এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডানে)

সাম্প্রতিককালে, প্রথম ২০১৮ কিম-ট্রাম্প সম্মেলনের পর উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র কিছু আনুষ্ঠানিক কূটনীতি শুরু করেছে। রাষ্ট্র প্রতিনিধি বিষয় সংক্রান্ত বিষয়ে সুইডেন উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষাকারী হিসেবে কাজ করেছে।[৪][৫] কোরিয় যুদ্ধের পর থেকে দক্ষীণ কোরিয়ায় শক্ত সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখে আসছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে সমগ্র কোরিয়ার বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করে।

মার্কিন সেনাদের দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সমর্থন ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ সালে সমর্থনের হার ছিল ২৬%, আর বর্তমানে এটি তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২%-এ এসে পৌঁছেছে। ২০১৭ সাল অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জাই ইনের প্রতি একটি বড় অংশ মার্কিন নাগরিকদের ইতিবাচক দৃষ্টভঙ্গী ছিল।[৬]

২০১৫ সালে গেলাপের বৈশ্বিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধুমাত্র ৯% মার্কিন নাগরিকদের উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল, যেখানে ৮৭% মার্কিনরা নেতিবাচক দৃষ্টভঙ্গী রয়েছে।[৭] ২০১৪ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস পুল অনুসারে, মাত্র ৪% আমেরিকান উত্তর কোরিয়ার প্রভাবের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী প্রদর্শন করে, যেখানে ৯০% নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করার পর পূর্বের যেকোন সময়ের থেকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুত হারে উন্নয়ন লাভ করায় ২০১৭ সালে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় (পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে সামলানোয় ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড), ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং কোরিয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি ঐ অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরী করে।

ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা সত্ত্বেও, উত্তেজনা প্রশমিত হতে থাকে, ২০১৮ সালের ৮ই মার্চ যখন হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করে যে কিমের একটি বৈঠকের আমন্ত্রণ ট্রাম্প গ্রহণ করতে পারেন। ঐ সময় মে মাসে তাদের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল।[৮] ২০১৮ সালের ১৫ই মে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক মহড়াকে উদ্ধৃত করে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা বন্ধ করে দেয় এবং পূর্ব পরিকল্পিত যুক্তরাষ্ট্র-কোরিয়া সম্মেলন বাতিল করার হুমকি দেয়।[৯] এই বাতিল প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই স্থগিত হয় যখন কিম ট্রাম্পকে স্বভাববিরোধি এক বন্ধুসূলভ বার্তা পাঠান। ২০১৮ সালের ১২ই জুন দুই দেশের নেতা প্রথমবারের মত সিঙ্গাপুরে মিলিত হন।[১০] সম্মেলন জুড়ে একাধিক আলোচনায় একত্রিত হন এবং নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা ও স্থায়ী শান্তির জন্য যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন৷[১১] ২০১৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত উত্তর কোরিয় দূতাবাসে একটি স্বসস্ত্র কমান্ডো দল অভিযান চালায়। স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী এর দুইজন সদস্য ছিল সিআইয়ের। কিন্তু সিআইএ বক্তব্যটি নাকচ করে অভিযোগ অস্বীকার করে।[১২] উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে দ্বিতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে, কিন্তু সম্মেলনটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়।[১৩]

তুলনা

উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র
জনসংখ্যা২,৫৩,৫৪,৫০০৩২,৪৭,২০,০০০
আয়তন১,২০,৫৪০ কিমি (৪৬,৫৪০ মা)৯৮,২৬,৬৩০ কিমি (৩৭,৯৪,০৮০ মা)
জনসংখ্যার ঘনত্ব২০২/কিমি (৫২০/বর্গমাইল)৩৫/কিমি (৯১/বর্গমাইল)
রাজধানীপিয়ংইয়ংওয়াশিংটন, ডি.সি.
বৃহত্তম শহরপিয়ংইয়ং – ২৫,৮৬,৩৮৯নিউ ইয়র্ক সিটি – 8৫,৯৪,০০০
সরকারজুছি একদলীয় সর্বগ্রাসী স্বৈরতন্ত্রফেডারেল প্রেসিডেন্সিয়াল কন্সটিটিউশনাল রিপাবলিক
প্রথম নেতাকিম ইল সাংজর্জ ওয়াশিংটন
বর্তমান নেতাকিম জং উনডোনাল্ড ট্রাম্প
রাষ্ট্রীয় ভাষাকোরিয়ইংরেজি (কার্যত, যুক্তরাষ্ট্রীয় স্থরে নয়)
জিডিপি (নামমাত্র)ইউএস$ ১৫.৪ বিলিয়ন (মাথাপিছু $৬২১)ইউএস$ ১৮.৫৫২ ট্রিলিয়ন (মাথাপিছু $৫৭,২৩০)

ইতিহাস

যদিও স্নায়ুযুদ্ধের রাজনীতির ফলে দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা রয়েছে, কিন্তু এর পূর্বেও কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত ও বিদ্বেষ ছিল। ১৯ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে কোরিয়া পশ্চিমা বাণিজ্যের জন্য এর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ১৮৬৬ সালে জেনারেল শেরম্যানের ঘটনায়, কোরিয় বাহিনী বাণিজ্য চুক্তির জন্য পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌকা আক্রমণ করে এবং এর সকল সদস্যদের হত্যা করে, যখন তারা কোরিয় বাহিনীর নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে এবং উভয়পক্ষ থেকে গুলি ছোড়া হয়। এর প্রতিশোধ গ্রহণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়া হামলা করে।

অবশেষে ১৮৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করে। রুশ-জাপানী যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যখন শান্তি আলোচনায় বসে ১৯০৫ সালে তখন এই সম্পর্ক আবারও তিক্ত হয়ে ওঠে। কোরিয়াকে জাপানের প্রভাব বলয়ের অংশ হিসেবে গ্রহণ করতে জাপান যুক্তরাষ্ট্রকে রাজি করায়, এবং পাঁচ বছর পর জাপান যখন কোরিয়াকে এতে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র তখন কোন প্রতিবাদ জানায়নি। কোরিয়া উডরো উইলসনের বৈঠকে ভার্সাই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের স্বার্থ সমর্থনের ব্যর্থ আবেদন জানায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পূর্ববর্তী (১৯৪৫–১৯৪৮)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ কোরিয়াকে অস্থায়ী পরিমাপ মনে করে ৩৮ তম সমান্তরাল উত্তর অনুযায়ী ভাগ করে। যদিও তাদের পুণর্মিলকে ব্যহত করে কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙ্গে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের সময়, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাকার সম্পর্ক উত্তরের সোভিয়েত সামরিক সরকার কর্তৃক পরিচালিত হত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সোভিয়েত চাপের প্রতি উত্তর কোরিয়ার মাথানত এবং দূর্বল প্রতিপক্ষ জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের ব্যাপক বিরোধিতার ফলে, উত্তর কোরিয়রা মধ্য এসময় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করতে থাকে এবং তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরী হতে থাকে। যদিও বহু মার্কিন মন্ত্রী ও মিশনারি এই সময়ে সক্রিয় ছিলেন।

স্নায়ুযুদ্ধ

কোরিয় যুদ্ধ পরবর্তী (১৯৪৮–১৯৫০)

১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কিম ইল-সাং কোরিয়াকে গণতান্ত্রীক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ঘোষণা করেন। তিনি শীঘ্রই সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি পান, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্র কখনওই ডিপিআরকে-কে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করেনি। কিম ইল-সাঙের আমেরিকাবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গী আমেরিকাকে প্রায়ই পুঁজিবাদী ও জাপানের সাম্রাজ্যবাদী উত্তরসূরী হিসেবে প্রতিপন্ন করত, যে দৃষ্টিভঙ্গী দেশটি আজও পোষণ করে। ১৯৫০ সালের ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ১৯১৭ সালের শত্রু দেশের সাথে বাণিজ্য আইনের আওতায় ডিপিআরকের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে,[১৪] যা ২০০৮ সাল পর্যন্ত বহাল ছিল।[১৫]

কোরিয় যুদ্ধ (১৯৫০-৫৩)

১৯৫০ সালে কোরিয় যুদ্ধের সময় সিউলের শহরতলিতে মার্কিন এম২৬ পার্শিং ট্যাংক এবং উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবন্দী।
অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৫০

ইনচোনে নামার পর দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র/জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া দখলের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়। আরওকে বাহিনীর সহায়তায়, জেনারেল ডহলাস ম্যাকআর্থারের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পরাজয়ের সূচনালগ্নে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হয়। ম্যাক আর্থার কোরিয় জেনারেলদের, বিশেষ করে কিম ইল-সাঙকে খোজার পরিকল্পনা করেন এবং তাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে শনাক্ত করেন।

কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পদাতিক বাহিনীর প্রতি জনগণের সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। ১৯৫০ সালের জুনে ৭৮% আমেরিকান জানায় তারা সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে তারা ট্রুম্যানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, এবং ১৫% জনগণ এর বিরোধীতা করেন। কিন্তু ১৯৫১ সালের জানুয়ারিতে যুদ্ধের প্রতি জনগণের সমর্থন ৩৮%-এ নেমে আসে।[১৬]

কোরিয় যুদ্ধ পরবর্তী

১৯৬৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ইউএসএস পুয়েবলো সদস্যের মুক্তি
১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্টে কুঠার হত্যাকান্ঠ
২০০৭ সালে সার্জেন্ট চার্লস রবার্ট জেনকিনস

১৯৬০-এর শুরুর দিকে বেশকিছু মার্কিম সৈন্য উত্তর কোরিয়ার পক্ষাবলম্বন করেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র চার্লস জেনকিনস যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন এবং সামরিক আদালতে বিচারে মেরুকরণ ও উত্তর কোরিয় বাহিনীরকে সাহায্যের দায়ে অভিযুক্ত হন। জেরি ওয়েইন প্যারিশ, ল্যারি এ্যালেন অ্যাবসায়ার এবং জেমস জোসেফ ড্রেসনক উত্তর কোরিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

Some leafleting of North Korea was resumed after the heavy leafleting that took place in the Korean War, such Operation Jilli from 1964 to 1968. One leaflet was on one side a good reproduction of a North Korean one won note, about six weeks' pay for an ordinary North Korean soldier, and on the other a safe conduct pass for defection to the south. The rationale was to allow soldiers to easily hide the pass, but the quality was sufficient for it to gain some use as a fraudulent banknote in North Korea.[১৭]

১৯৬৮ সালের ২৩ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুপ্তচর জাহাজকে আটক করা হয়। এই ঘটনাটি পুয়েবলো ঘটনা নামে পরিচিত। ১৯৬৯ সালের ২৫ এপ্রিল, উত্তর কোরিয়া জাপান সাগরে ইসি-১২১ বর্ষন করলে ৩১ মার্কিন নাবিক নিহত হন।

১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট, মার্কিনদের প্রাত্যহিক গাছ পরিষ্কারের সময় উত্তর কোরিয়া সেনারা কোরিয়ার বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে ক্যাপ্টেন আর্থার বোনিফাস এবং লেফটেনেন্ট মার্ক ব্যারেটকে কুঠার দ্বারা হত্যা করে৷ শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর সম্মেলনে উত্তর কোরিয় নেতা কিম ইল সাঙের ছেলে কিম জং ইল ঘটনাটিকে আমেরিকার আগ্রাসন ও ওই এলাকাকে আমেরিকা থেকে রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেন।[১৮] ফোর্ড প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় যে ক্ষমতা প্রদর্শন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এর ফলে উত্তর কোরিয় সরকার পিছু হটে এবং গাছ কাটা চালিয়ে যেতে দেয়, পরে অভূতপূর্বভাবে ক্ষমা চেয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়।[১৯]

কোরিয় সামরিক চুক্তি ছাড়া এসময় উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামান্য সম্পর্ক অথবা কোন সম্পর্কই ছিল না।[২০]

স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী (১৯৯১–বর্তমান)

বিল ক্লিনটনের সময় উত্তর কোরিয়া নীতি

২০০০ সালে কিম জং ইলের ব্যক্তিগত সহকারী কিম ওকে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম কোহেনের সাথে

১৯৯৪ সালে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি অনুসারে পারমাণবিক অস্ত্র অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকে উত্তর কোরিয়া বাঁধা প্রদান করে। বিল ক্লিনটন প্রশাসন মনে করেছিল উত্তর কোরিয়রা দুইটি আণবিক বোমা তৈরীর জন্য একটি চুল্লি থেকে প্লুটোনিয়াম প্রক্রিয়াজাতকরণ করছে।[২১]

ক্লিনটন বলেন যে, "যুদ্ধের ঝুঁকি সত্ত্বেও আমি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীতে নিরস্ত্র করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম।"[২১] ক্লিনটন প্রশাসনের আমলের প্রকাশিত নথি অনুযায়ী ১৯৯৪ সালের পারমাণবিক সংকটের সময় তারা সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিল।[২২]

পেন্টাগনের সাবেক এক কর্মকর্তার কথা অনুযায়ী, ক্লিনটন প্রাশাসন ইয়ংবিয়ুনে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক চুল্লিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।[২৩]

১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরপ উত্তর কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওএইচ-৫৮ কাইওয়া হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়। এতে একজন পাইলট নিহত হন এবং অন্যজনকে ১৩ দিনের জন্য আটক রাখা হয়।[২৪]

জর্জ ডব্লিউ. বুশের সময় উত্তর কোরিয়া নীতি

২০০২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে স্পেনীয় বাহিনী ইয়েমেনগামী স্কাড মিসাইল বহনকারী উত্তর কোরিয়ার একটি জাহাজ আটক করে। দুই দিন পর ইয়েমেনে এর যাত্রা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র জাহাজটিকে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনা উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তোলে। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে "জলদস্যুতা" আখ্যা দেয়।

২০০৫ সালের সেপ্টম্বরে দুই দেশের মধ্যে ঐ মাসের ১৯ তারিখের চুক্তির পরপরই যুক্তরাষ্ট্র দাবী করে উত্তর কোরিয়া মার্কিন ডলার জাল করছে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যায়। প্রত্যেক বছর যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে যে উত্তর কোরিয়া $১৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের নোট জাল করেছে,[২৫] এবং ম্যাকাওয়ের ব্যাংকগুলোসহ অন্যান্য জায়গায় উত্তর কোরিয়ার ব্যবসায়ের কাজে নোটগুলো ব্যবহার করেছে।[২৬][২৭] ২০০৭ সালে আর্নস্ট এবং ইয়ং-এর একটি নিরীক্ষায় ব্যাংকগুলোতে এই জাল নোটগুলো ব্যবহারের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।[২৮]

উত্তর কোরিয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রোপাগান্ডা পোস্টার

বুশ প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটন টাইমসের সভাপতি ডং মুন জু বেশকিছু অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালান।[২৯]

স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে অগ্রসর

২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, দুই কোরিয়া, জাপান, চীন, এবং রাশিয়ার মধ্য অনুষ্ঠিত ছয় পক্ষের আলোচনায় কোরিয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি ছিল পিয়ংইয়ং-এর সাথে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বভাবিকিকরণের দিক একটি পদক্ষেপ, কোরিয় অস্ত্রচুক্তির পরিবর্তে শান্তিচুক্তি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা।[৩০]

প্রচুর পরিমাণে তেল সহায়তার পরিবর্তে উত্তর কোরিয়া ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে রাজী হয়। যুক্তরাষ্ট্রও উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনায় বসতে এবং উত্তর কোরিয়াকে এর সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজী হয়।[৩১][৩২][৩৩] যুক্তরাষ্ট্রের প্রধন আলোচনাকারী ক্রিস্টোফার আর হিল জানান উত্তর কোরিয়া তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে। ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ ছয় ধপা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

২০০৮ সালের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়। উত্তর কোরিয়া তাদের পারনবিক কর্মসূচি নিয়ে ষাট পৃষ্ঠার একটি বিবৃতি প্রকাশ করলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বুশ উত্তর কোরিয়া সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর স্বল্প সময় পর উত্তর কোরিয়া এর পারমাণবিক কর্মসূচীর প্রতীক মনে করা ইয়ংবায়ুন পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংস করার একটি আনুষ্ঠানিক ভিডিও প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানায়।

The United States public has historically favored diplomatic approaches over military ones in regards to North Korea. Framing of the North Korean conflict is what is widely believed to have led to such widespread support for a diplomatic approach among the American people.[৩৪]

মোঘাদিসু সংঘাত

যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয় জলদস্যুদের থেকে দাই হং ড্যান সদস্যদের উদ্ধার করে
মোগাধিসু সংঘাত
মূল যুদ্ধ: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ
তারিখ৪ঠা নভেম্বর, ২০০৭
অবস্থান
মোগাধিসুর সমুদ্রতীরের বাইরে, সোমালিয়া
ফলাফলমার্কিন–উত্তর কোরিয়দের বিজয়
সদস্য উদ্ধার
বিবাদমান পক্ষ
 যুক্তরাষ্ট্র
 উত্তর কোরিয়া
সোমালিয় জলদস্যু

২০০৭ সালের নভেম্বরে, উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক জাহাজ দাই হং ড্যান মোগাধিসুর উপকূল থেকে দূরে জলদস্যূ দ্বারা আক্রান্ত হয়, যাদের জাহাজটিকে এর গন্তব্য থেকে দূরে নিয়ে যায়।[৩৫] যুক্তরাষ্ট্রে নৌজাহাজ ঐ এলাকায় টহল দিচ্ছিল। ২২ জন উত্তর কোরিয় নাবিক ৮ জন সোমালি জলদস্যূর সাথে হাতে হাতে লাড়াই করে।[৩৬] ইউএসএস জেমস ই. উইলিয়ামস জাহাজ এবং একটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে জাহাজটিকে মুক্ত করা হয়, এবং মার্কিন নাবিকদের উত্তর কোরিয় নাবিক ও জলদস্যূদের চিকিৎসা প্রদানের অনুমতি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার আর. হিল ইতিবাচক মন্তব্য করেন,[৩৭] পাশাপাশি উত্তর কোরিয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশংসায় প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।[৩৮] এই ঘটনাটি ঘটেছিল বুশ প্রশাসনের সাথে হওয়া ১৩ ফেব্রুয়ারির চুক্তি উত্তর কোরিয়া যখন বাস্তবায়ন করতে চলেছিল।[৩৯]

নিউ ইয়র্ক ফিলারমনিকের ভ্রমণ

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক ফিলারমনিক অর্কেস্ট্রা উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করে। তাদের কর্নসাটটি উত্তর কোরিয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল।[৪০]

উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন সাংবাদিকদের সাজা

২০০৯ সালের ১৭ই মার্চ উত্তর কোরিয়ায় দুই মার্কিন সাংবাদিক গ্রেফতার হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত রূপ লাভ করে। কারেন্ট টিভির দুই সাংবাদিক ইয়ুনা লি এবং লরা লিং নারী পাচার বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরীর সময় উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে চীন সীমান্তে গ্রেফতার হয়। উত্তর কোরিয়া দুই সাংবাদিকের বিচার করে অভিযুক্ত হিসেবে ১২ বছর স্বশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। যুক্তরাষ্ট্র একে "লোক দেখানো বিচার" বলে এর সমালোচনা করে।

অবশেষে এই বিষয়ের তিক্ততার অবসান ঘটে যখন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন ৪ঠা আগস্ট পিয়ংইয়ং পৌছান, যাকে তিনি দুই মার্কিন সাংবাদিকের মুক্তির জন্য "কেবলমাত্র একটি গোপন অভিযান" বলে আখ্যা দেন। তার ভাষ্য মতে, তিনি উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং ইলকে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, কিন্তু হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব রবার্ট গিবস এই দাবী অস্বীকার করেন। উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক বিষয়ক নানা দিক নিয়ে ক্লিনটনের সাথে কিম জং ইলের আলোচনা হয়। ৫ই আগস্ট কিম জং ইল আনুষ্ঠানিকভাবে দুই সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চান, যারা ক্লিনটনের সাথে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে আসেন। ক্লিনটনের এই অঘোষিত ভ্রমণ ২০০ সালের পর উত্তর কোরিয়ায় প্রথম কোন ক্ষমতাধর মার্কিন ব্যক্তির ভ্রমণ ছিল।

আরওকেএস চিওনানডুবি

২০১০ সালের ২৪ মে কথিত উত্তর কোরিয়ার টর্পেডো দ্বারা দক্ষীণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডোবার ঘটনায় সামরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নেয়।[৪১]

২০১০ সালের ২৮ মে, প্রাতিষ্ঠানিক (উত্তর) কোরিয় কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থা দাবী করে যে, "চিওনান ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।" এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে এবং বারাক ওবামা প্রশাসনকে "এশিয়া-প্রশান্ত সাগরীয় এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরী, বৃহৎ শক্তিগুলো নিয়ে এই এলাকায় অপ্রতিরোধ্য হওয়ার" জন্য দায়ী করে। প্রতিবেদনটি "নিজে সংযত হওয়া, ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক হওয়ার" ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গীত করে।[৪২]

২০১০ সালের জুলাইয়ে, ডিপিআরকে সরকার জাহাজডুবী বিষয়ক পূর্বপরিকল্পিত পানমুনযম আলোচনা অসীম সময়ের জন্য স্থগিত করে দেয়।[৪৩] বৈঠকটি ছিল ভবিষ্যতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতিস্বরূপ।[৪৩]

Relations following Kim Jong-il's death

Just over two years later on March 16, 2012, North Korea announced it would launch its Kwangmyŏngsŏng-3 satellite to mark the 100th anniversary of the late Kim Il-sung's birthday. This announcement triggered American anxiety as satellite launches are technologically contiguous with missile launches.[৪৪] This tampered with Kim Jong-un's earlier optimistic overtures and generated speculation on the issues confronting the new and young leader back in North Korea.[৪৫] The United States also suspended food aid to North Korea in retaliation for the missile plans.[৪৬]

Daniel Russel, Special Assistant to the President and Senior Director of Asia, and Sydney Seiler flew to Pyongyang from Guam in August 2012 and stayed there for two days.[৪৭] A South Korean diplomatic source said "apparently President Barack Obama, who was then bidding for a second term in office, secretly sent the officials to North Korea to minimize disruptions to the U.S. presidential election."[৪৭] Other analysts say, "Nobody can rule out that such direct dialogue between Washington and Pyongyang will continue in the future."[৪৭]

However, on December 11, 2012, North Korea successfully launched a missile in contrast to its failure in March. The United States strongly condemned the action as it is widely believed that North Korea are developing long range ballistic missiles that would reach the west coast of the US.

On March 29, 2013, Kim Jong-un threatened the United States by "declaring that rockets were ready to be fired at American bases in the Pacific."[৪৮] The declaration was in response to two B2 stealth bombers that flew over the Korean peninsula on the day before.[৪৯] After Jong-un's declaration, the Pentagon called for an advanced missile defense system to the western Pacific on April 3. United States Secretary of Defense, Chuck Hagel, said that North Korea posed "a real and clear danger" to not only the United States, but Japan and South Korea as well. The deployment of the battery to the US territory of Guam is the biggest demonstration yet that Washington regards the confrontation with North Korea as more worrying than similar crises of the past few years. It also suggested they are preparing for long standoff.[৫০] While visiting Seoul, South Korea on April 12, 2013, United States Secretary of State, John Kerry, said "North Korea will not be accepted as a nuclear power",[৫১] and that a missile launch by North Korea would be a "huge mistake".[৫২] On April 18, 2013, North Korea issued conditions for which any talks would take place with Washington D.C. or Seoul.[৫৩] They included lifting United Nations sanctions and an end to United States-South Korean Military exercises.[৫৪]

In March 2016, over 315,000 South Korean and U.S. soldiers participated in the largest military drills ever staged on the Korean Peninsula.[৫৫][৫৬]

On April 26, 2013, North Korea said it had arrested a U.S. citizen for committing an unspecified crime against the country.[৫৭] U.S. officials said that person was Kenneth Bae. On May 2, 2013, Bae was convicted of "hostile acts" and sentenced to 15 years of hard labor.[৫৮] The U.S. has called for his release but North Korea has rejected any possibility of allowing prominent Americans to visit the country to request his release.[৫৯] Dennis Rodman, who had previously visited North Korea and become friends with Kim Jong-un, tweeted a plea for Bae's release.[৬০] Rodman has since said he will visit North Korea again in August and attempt to free Bae.[৬১] On May 2, 2014, Pyongyang's Korean Central News Agency (KCNA) released an article composed of four essays written by North Korean citizens. The content of the article carried heavy criticism and racist remarks towards U.S. President Barack Obama.[৬২]

Two American citizens were detained in North Korea in June 2014, accused of "hostile acts".[৬৩] On July 28, 2014, the United States House of Representatives voted to pass the North Korea Sanctions Enforcement Act of 2013 (H.R. 1771; 113th Congress), but it was never passed by the Senate.[৬৪] On August 20, 2014, during annual U.S.-South Korea military drills, a spokesman for the North Korean government referred to U.S. Secretary of State John Kerry as a "wolf donning the mask of sheep", the latest in an exchange of taunts between U.S., South Korean and North Korean government officials. In January 2015, U.S. President Barack Obama indicated that he believed that over time the North Korean government will collapse.[৬৫] On July 28, 2016, a North Korean top diplomat for U.S. affairs claimed that the United States crossed the "red line" for putting leader Kim Jong-un on its list of sanctioned individuals, which was perceived by officials as the United States declaring war.[৬৬]

ট্রাম্প প্রশাসন

২০১৭ সালে ট্রাম্প উত্তর কোরিয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর বিরুদ্বে সামরিক পদক্ষেপের বিষয়টি তুললে দুই দেশের মধ্য উত্তেজনা বাড়তে থাকে।[৬৭] ২০১৭ সালের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে, আন্তর্জাতি সংবাদমাধ্যমগুলো[৬৭][৬৮][৬৯] ভ্রান্তভাবে প্রচার করে যে, " হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগনের" মধ্য "যোগাযোগের" বিভ্রান্তিতে ইউএসএস 'কার্ল ভিনসন' উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে জাপান সাগরে যাত্রা শুরু করেছে।[৭০] ১৭ই এপ্রিল জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত কোরিয় উপদ্বীপকে "বিশ্বের সবচেয়ে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ন" এলাকায়" পরিণত করার জন্য যুক্তষ্ট্রকে দায়ী করেন এবং যদি উত্তর কোরিয়াকে বাধ্য করা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য তাদের প্রস্তুতির কথা জনান।[৭১] ট্রাম্প কিমকে ছোট রকেট মানব ও একটি অসুস্থ কুকুর ছানা বলে আখ্যা দেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত হুমকির পরিণতি হবে "এমন আগুন ও উন্মত্ততা, যা বিশ্ব আগে কখনও দেখেনি"। একই সময় ট্রাম্প কিম প্রশাসনের সাথে কূটনীতিকে " সময়ের অপচয়" বলে আখ্যা দেন।[৭২] বাস্তবিকভাবে ১৮ই এপ্রিল কার্ল ভিনসন কোরিয়া থেকে ৩,৫০০ মাইল দূরে যৌথ রয়্যাল অস্ট্রলিয়ান নেভি সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।[৭০][৭৩][৭৪] কার্ল ভিনসন ২০১৫ সালে দক্ষিণ চীন সাগর এবং পুনরায় ২০১৭ সালের রুটিন টহলে ছিল।[৭৫] ২০১৭ সালে এপ্রিলের শেষভাগে, ট্রাম্প বলেন, "উত্তর কোরিয়ার সাথে আমরা মার্কিনদের ব্যাপক সংঘাতে জড়ানোর একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে"।[৭৬] ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন একটি "ভৌগোলিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা" জারি করেন, যার মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের জন্য উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।[৭৭] ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এই নিষেধাজ্ঞা ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়।[৭৮]

২০১৭ সালে মার্কিন নাগরিক আটক

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি চিওনাম স্মৃতিসৌধে উত্তর কোরিয় পক্ষত্যাগী ও ফ্রেড ওয়ার্মবায়ারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স

টনি কিম এছাড়া উত্তর কোরিয় ভাষায় স্যাং ডাক নামে পরিচিত এক মাার্কিন নাগরিক উত্তর কোরিয়া ত্যাগের অভিযোগে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়।[৭৯] ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এক মার্কিন ছাত্র ওটো ওয়ার্মবায়ার হোটেল থকে একটি প্রচারণা ব্যানার চুরির অভিযোগে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়। সে একটি মার্কিন দলের সাথে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করছিল, যাদের সকলেই কোন বিপত্তি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছিল, যেখানে তাকে নিরাপত্তরা কর্মীরা তল্লাশি ও আটক করে। ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায় ওটো হোটেলের একটি নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করছে এবং দেয়াল থেকে পোস্টার ছিড়ে নিজের ব্যাগে রাখছে। সে দাবী করে যে, তার চার্চ থেকে উত্তর কোরিয়া থেকে কিছু নিয়ে আসার আদেশ পেয়েই সে এমনটি করেছে। ২০১৬ সালের মার্চে তাকে ১৫ বছরের স্বশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।[৮০] কিন্তু ২০১৭ সালের জুনে কোমার মত এক সন্দেহজনক অবস্থায় উত্তর কোরিয়া তাকে মুক্তি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে আনার কয়েকদিন পর সে মারা যায়।[৮১] উত্তর কোরিয়া দাবী করে ওটোর মৃত্যুর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। চীনের যেই ভ্রমণ কোম্পানীটি ওটোকে উত্তর কোরিয়া নিয়ে গিয়েছিল তারা ঘোষণা করে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তারা আর কোন কোন মার্কিন নাগরিককে ভ্রমণে নেবে না।[৮২]ওয়ার্মবায়ারের মৃত্যুর পর ৪৯% আমেরিকান প্রশাসনিক পদক্ষেপ চেয়েছিল এবং ৩৫% এর বিপক্ষে ছিল। যারা প্রশাসনিক পদক্ষেপ চেয়েছিল তাদের মধ্যে জনপ্রিয় প্রতিক্রিয়া ছিল উত্তর কোরিয়ার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা, এবং দ্বিতীয় জনপ্রিয় প্রতিক্রিয়া ছিল দুই দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারী। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ছিল সবচেয়ে কম জনপ্রিয় প্রতিক্রিয়া।[৮৩]

Nuclear Intelligence Report

In August 2017, the Washington Post reported on a confidential assessment carried out by the U.S. Defense Intelligence Agency which suggested that North Korea had successfully developed nuclear warheads for missiles within reach of the US mainland.[৮৪] Reacting to the report President Trump stated that future threats would be "met with fire and fury and frankly power, the likes of which this world has never seen before." In response North Korea announced that it was examining an operational plan to strike areas around the U.S. territory of Guam in the Pacific, including the Andersen Air Force Base.[৮৫] Officials stated that Joseph Y. Yun, the US envoy for North Korea policy, and Pak Song-il, a senior North Korean diplomat at the country's UN mission, were making regular contact during this dispute, through a conduit of communication they called the New York channel.[৮৬]

Trump and UN member states on North Korea's threats

On August 8, 2017, President Trump suggested that the United States was prepared to inflict "fire and fury" against North Korea if they failed to cease nuclear testing and threats.[৮৭] In response, North Korea issued a series of threats against the U.S. territory of Guam as well as allies such as Japan and South Korea. Two missiles were flown over Japanese territory and a nuclear test was conducted.[৮৮]

In a speech to the United Nations General Assembly in September 2017, Trump threatened to "totally destroy" North Korea if the United States were "forced to defend itself or its allies"; he repeated his recent nickname for Kim Jong-un as "Rocket Man".[৮৯] In response North Korean leader Kim Jong-un called the speech "unprecedented rude nonsense" and "mentally deranged behaviour".[৯০]

On September 23, 2017, the U.S. Military flew B-1B bombers from Guam, along with F-15C Eagle fighter escorts from Okinawa, Japan flew in international airspace over waters east of North Korea. Unlike on previous missions, the U.S. aircraft were not accompanied by South Korean or Japanese planes. Afterward North Korea said a missile strike against the U.S. is "inevitable all the more".[৯১]

On September 30, 2017, U.S. Secretary of State Rex Tillerson said the U.S. and North Korea were in "direct contact", and "probing" the possibility of talks.[৯২]

On October 9, 2017, US Air Force B-1 bombers carried out mock missile launches off both coasts of South Korea. Two bombers operating out of Andersen Air Force Base in Guam carried out the drills along with fighter jets from the South Korean and Japan militaries. This was the first nighttime B-1 bomber exercise between the three allies.[৯৩]

On November 28, 2017 North Korea fired an intercontinental ballistic missile and it was the first such launch from the rogue regime in more than two months. The missile, believed to be an ICBM by the U.S. Military, was launched from Sain Ni, North Korea and flew roughly 620 miles before landing in the Sea of Japan.[৯৪]

২০১৮ সিঙ্গাপুর সম্মেলন

২০১৮ সালের ৮ই মার্চ, ট্রাম্পের সাথে একটি বৈঠকের পর উত্তর কোরিয় কূটনীতিক চাং ইউই-ইয়ং জানান যে, কিম জং উন ট্রাম্পের সাথে দেখা করার "আগ্রহ" প্রকাশ করেছেন, এবং মে মাসের আগে বৈঠকের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।[৯৫] এই পদক্ষেপটিকে দক্ষিণ কোরিয় নেতা মুন জাই ইন "অলৌকিক" বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকের তারিখ ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে নির্ধারণ করা হয়,[৯৬] যদিও দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার পর কিম জং উন বৈঠকে না বসার হুমকি দেন,[৯৭] এবং ২৪ মে ট্রাম্প সম্মেলনটি বাতিল করেন[৯৮] ২০১৮ সালের ১লা জুন, হোয়াইট হাউজে উত্তর কোরিয় প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন সম্মেলনটি সিঙ্গাপুরে ১২ই জুন অনুষ্ঠিত হবে।[৯৯] ১২ই জুন ট্রাম্প কিমের সাথে দেখা করেন। বৈঠকের সময় উত্তর ও দক্ষীণ কোরিয়ার মধ্যে ২০১৭ পানমুনজম ঘোষণা অনুযায়ী সমগ্র কোরিয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[১০০] চুক্তিটিতে পিওডব্লিও/এমবইএসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকের মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধিপূর্ণ সম্পর্কের ঘোষণা করা হয়।[১০১] ট্রাম্প ঘোষণা করেন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ হবে।[১০২]

পিওডব্লিও/এমআইএ অবশিষ্ট

কোরিয় যুদ্ধের সময় কয়েক হাজার মার্কিন সৈন্য নিখোঁজ হয়। ১৯৯০ ও ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর কোরিয়া ৩৪০ জন সৈন্যকে ফেরত দেয়, কিন্তু ৭,৭০০ দেখ তখনও অবশিষ্ট থেকে যায়।[১০৩] ২০১৮ সালের ১২ই জুন উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পিওডব্লিও/এমআইএ অবশিষ্ট ফেরত আনার জন্য একটি অস্পষ্ট চুক্তি হয়। একমাস পরে উত্তর কোরিয়া ৫৫ বাক্স দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দেয়।[১০৪] দেহাবশেষের মধ্যে অধিকাংশই ছিল হাঁড়ের টুকরা[১০৫] এবং তাদের সাথে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির সামরিক শনাক্তকরণ ট্যাগ ছিল,[১০৬] তাই দেহাবশেষগুলোকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

Aftermath

US Secretary of State Mike Pompeo shakes hands with North Korean Minister of Foreign Affairs Ri Yong Ho in August 2018

North Korea's state media declared a new era of peace following the summit.[১০৭] Reports emerged on June 23 that North Korea was removing anti-US propaganda. According to Rowan Beard of Young Pioneer Tours; “All the anti-American posters I usually see around Kim Il-sung Square and at shops, they’ve all just gone. In five years working in North Korea, I’ve never seen them completely disappear before.”[১০৮]

On June 24, Trump stated that North Korea still posed an 'extraordinary threat' to the US and maintained sanctions on the country despite declaring them no longer a threat the day following the summit.[১০৯][১১০]

Secretary of State Mike Pompeo's first visit to North Korea in July 2018 invoked disgruntled remarks from Pyongyang that the Trump Administration was using "unilateral and gangster-like demand for denuclearization".[১১১] Pompeo maintained that the July talks were "productive". However, the UN's nuclear agency (IAEA) has since stated North Korea is continuing with their nuclear program, and Trump announced the cancellation of Secretary of State Pompeo's scheduled visit in August 2018 to North Korea due to insufficient progress in the dismantling of North Korea's nuclear weapons program.[১১২]

Interactions between the Washington and Pyongyang continue to fluctuate following the September 2018 United Nations General Assembly. In his speech, President Trump commended Kim Jong-Un for ceasing nuclear testing, dismantling several military facilities, releasing American hostages, and returning POW/MIA remains. Trump reaffirmed that sanctions will continue to be held on North Korea until denuclearization occurs.[১১৩]

স্পেনে উত্তর কোরিয় দূতাবাসে হামলা

২০১৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩ টার কাছাকাছি সময় আসল অথবা নকল অস্ত্রধারী ১০ জনের একটি দল স্পেনের মাদ্রিদে কোরিয় দূতাবাসে প্রবেশ করে। তারা সেখানে উপস্থিত ৮ জন কর্মকর্তাকে জড়ো করে, তাদের বাঁধে ও মুখ ঢেকে ফেলে এবং তাদের কয়েকজনকে মারধর করে৷ এছাড়া তারা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। তারা মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ড্রাইভ নিয়ে যায়৷ এই হামলা স্পেনীয় পুলিশ দূতাবাসে প্রবেশ ও হামলাকারীরা দূতাবাসের দুইটি গাড়ীতে করে পালিয়ে যাওয়ার আগে দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। ১৩ই মার্চ স্পেনীয় পুলিশ ও গোয়ান্দারা দাবী করে হামলকারীদের মধ্যে দুইজন সিআইএ সদস্য ছিল। কিন্তু সিআইএ এর সাথে কোন সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।[১২]

২০১৯ হ্যানয় সম্মেলন

২০১৯ উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র হ্যানয় সম্মেলনে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে কোরিয়ার সর্ব্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই নেতা ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু সম্মেলনটি কোন চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই শেষ হয়। উত্তর কোরিয়া সোহাই উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরীর কার্যক্রম পুনরায় চালু করে।[১১৪]

এটি ছিল উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। বৈঠকটির বিষয়ে পূর্ববর্তী সেপ্টেম্বর থেকে পরিকল্পনা শুরু করা হয়,[১১৫][১১৬] এবং এর স্থান ও তারিখ ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়।[১১৭]

সম্মেলনটির পর ট্রাম্প বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার জেলে উয়ার্মবিয়ার'স ওটোকে নির্যাতনের বিষয়ে জানেন না। ট্রাম্প বলেন নির্যাতনে কিমের কোন স্বার্থ নেই।[১১৮]

তৃতীয় সম্মেলনের পরিকল্পনা ও পত্র বিনিময়

২০১৯ সালের ২৬ জুন, ঘোষণা করা হয় যে, তৃতীয় উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।[১১৯] এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ট্রাম্প টুইট করেন যে তৃতীয় সম্মেলন হলে ভালো হয়।[১২০] ২০১৯ সালের ১২ই জুন,[১২১] ট্রাম্প জানান যে তিনি কিম জং উনের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, যাকে তিনি সুন্দর বলে আখ্যায়িত করেন।[১২১][১২২] কিমের পাঠানো আরও একটি চিঠিকে তিনি "সুন্দর" বলেন।[১২২] ২০১৯ সালের ২২শে জুন,[১২৩] কোরিয় সরকার কর্তৃক তারিখবিহীন একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায় কিম ট্রাম্পের পাঠানো একটি চিঠি পড়ছেন।[১২২] চিঠিটিকে কিম "চমৎকার" বলে উল্লেখ করেন এবং ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের "সর্ব্বোচ্চ নেতা" বলে আখ্যা দেন।[১২২] যদিও পরে কিম পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোন আলোচনার কথা অস্বীকার করেন এবং উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাথে সম্পর্ক বৈরীই থেকে যায়।[১২৪]

২০১৯ ডিএমজেড সম্মেলন

ট্রাম্প (বামে), কিম (মাঝে), এবং মুন (ডানে) বেসামরিক এলাকায়

২০১৯ সালের ৩০ জুন মুন জাই ইন ও ট্রাম্প ডিএমজেডে কিমের সাথে দেখা করেন এবং সামান্য সময়ের জন্য সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে ডিএমজেডের উত্তর কোরিয় অংশে প্রবেশ করেন, যা তাকে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করা প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি করে।[১২৫] সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার ও বিল ক্লিনটন দায়িত্ব ছাড়ার পর উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন।[১২৬] উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের পর কিম ট্রাম্পকে ইংরেজিতে বলেন, "আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগলো", "আমি কখনও আপনার সাথে এই জায়গায় সাক্ষাৎ করার আশা করিনি" এবং "আপনিই হলেন সীমান্ত অতিক্রম করা প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি"।[১২৭] এরপর তারা হাত মেলান।[১২৭] উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে তারা উভয়েই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বড় সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন।[১২৭] বৈঠকের সময় ট্রাম্প কিমকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান, যদিও পরে জানানো হয় এটা সম্ভবত খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব হবেনা।[১২৮]

আরও জানা যায় ট্রাম্পের কন্যা ইভানকা এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার সম্মেলনটির সময় কিমের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে মার্কিন কূটনৈতিকদের নেতৃত্ব দিতে উত্তর কোরিয়া সফর করেন।[১২৯][১৩০] কিমের সাথে ইভানকার বৈঠকের দৃশ্য উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।[১৩১] ইভানকা উত্তর কোরিয়ায় তার ভ্রমনকে "পরাবাস্তব" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[১৩২]

তথ্যসূত্র‌

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ