খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান
শেখ খলিফা বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান (আরবি: خليفة بن زايد بن سلطان آل نهيان ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ – ১৩ মে ২০২২) ছিলেন একাধারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি বা রইস, আবুধাবির আমীর এবং রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান।[১] একজন প্রখ্যাত দানবীর খলিফা বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান নিজের সম্পদ হতে দুঃস্থ্যদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক ব্যয় করেছেন।[২]
খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান | |
---|---|
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩ নভেম্বর ২০০৪ – ১৩ মে ২০২২ | |
প্রধানমন্ত্রী | মাকতুম বিন রশিদ আল মাকতুম মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম |
পূর্বসূরী | মাকতুম বিন রশিদ আল মাকতুম |
আবুধাবির আমির | |
কাজের মেয়াদ ২ নভেম্বর ২০০৪ – ১৩ মে ২০২২ | |
পূর্বসূরী | জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আল আইন, ট্রুশিয়াল রাষ্ট্র (বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাত) | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮
মৃত্যু | ১৩ মে ২০২২ | (বয়স ৭৩)
দাম্পত্য সঙ্গী | শামসা বিনতে সুহাইল আল মাযরুয়ী |
সন্তান | সুলতান ও মুহাম্মদ সহ মোট ৮ জন |
পিতামাতা | জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান (পিতা) হাসসা বিনতে মুহাম্মদ আল নাহিয়ান (মাতা) |
ধর্ম | ইসলাম |
তিনি দুবাইয়ের আমীর পদে আসীন হন ২০০৪ সালে। অতপর, তার পিতা জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যু হলে তিনি এ সংযুক্ত রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে যুবরাজ থাকাকালে তার পিতা অসুস্থ্যতার কারণে ১৯৯০ সালের শেষ দিক হতেও তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আবুধাবী ইনভেষ্টমেন্ট অথরিটিরও চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বের নিয়োজিত রয়েছেন যা ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ততোধিক সমূল্যের সম্পদের ব্যবস্থাপনা করে থাকে। ধারণা করা হয় যে, অত্র আল নাহিয়ান পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন
খলিফা ১৯৪৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রের (বর্তমান আবুধাবির) আল আইন শহরের কস্র আল-মুওয়াইজি'তে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ও হাসসা বিনতে মুহাম্মদ আল নাহিয়ানের বড় ছেলে।[৪][৫] তিনি রয়্যাল মিলিটারি অ্যাকাডেমি স্যান্ডার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।[৬]
মৃত্যু
শেখ খলিফা ২০২২ সালের ১৩ মে, ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৭] তার মৃত্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ দিনের সাধারণ ছুটি সহ মোট ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়, যাতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।[৮]
আমিরাতের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু রাষ্ট্রে শোক পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জর্ডান[৯] ও কুয়েত[১০] ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাহরাইন,[১১] লেবানন,[১২] ওমান,[১৩] মৌরিতানিয়া,[১৪] কাতার[১৫] ও পাকিস্তানে[১৬] ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ[১৭] ও ভারতে[১৮] পালিত হচ্ছে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
সম্মাননা
- ব্রাজিল: কলার অব দ্য অর্ডার অব সাউদার্ন ক্রস (১২ নভেম্বর ২০২১)[১৯]
- স্পেন:
- যুক্তরাজ্য:
- সম্মানসূচক নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য মোস্ট অনারেবল অর্ডার অব দ্য বাথ (২৫ নভেম্বর ২০১০)[২২]
- সম্মানসূচক নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য মোস্ট ডিস্টিঙ্গুইশড অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জ
- নেদারল্যান্ডস: নাইট গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য অর্ডার অব দ্য নেদারল্যান্ডস লায়ন (৮ জানুয়ারি ২০১২)[২৩]
- দক্ষিণ কোরিয়া: গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংওয়া (২১ নভেম্বর ২০১২)[২৪]
- ইউক্রেন: অর্ডার অব প্রিন্স ইয়ারোস্লভ দ্য ওয়াইজ ১ম শ্রেণি (২৬ নভেম্বর ২০১২)[২৫]