চিনান

পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের রাজধানী নগরী

চিনান (济南市) পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের রাজধানী শহর। ভৌগোলিকভাবে শহরটি চীনের জাতীয় রাজধানী বেইজিং শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে, হুয়াং হো নদীর (পীত নদীর) ঠিক দক্ষিণে, থাই পর্বতের উত্তর পাদদেশে অবস্থিত। হুয়াং হো নদীটি শানতুং পাহাড়ি অঞ্চলের উত্তরাংশে প্রধান পরিবহন পথ। চিনান নামটির অর্থ "চি নদীর দক্ষিণে"। অতীতে এখানে চি নামের একটি নদী প্রবাহিত হত। এখন সেই নদীটি হুয়াং হো নদীর গতিপথের সাথে মিলে গেছে। বৃহত্তর চিনান মহানগরীর অধীনে আটটি পৌরজেলা এবং দুইটি কাউন্টি অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে শহরটিকে চীনের একটি উপ-প্রাদেশিক শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী মূল চিনান শহরে ৪০ লক্ষ এবং বৃহত্তর চিনান মহানগরীতে ১ কোটি ১০ লক্ষ লোকের বাস।

চিনান
济南市
জেলা-স্তরের ও উপপ্রাদেশিক নগরী
ঘড়ির কাঁটার দিকে উপর থেকে: চিনানের আকাশ পটরেখা, ছুয়াংছেং চত্ত্বর , তামিং হ্রদ , চিনান অলিম্পিক ক্রীড়া কেন্দ্র এবং পাওথু প্রস্রবণ
ঘড়ির কাঁটার দিকে উপর থেকে: চিনানের আকাশ পটরেখা, ছুয়াংছেং চত্ত্বর , তামিং হ্রদ , চিনান অলিম্পিক ক্রীড়া কেন্দ্র এবং পাওথু প্রস্রবণ
ডাকনাম: প্রস্রবণের নগরী (泉城)
মানচিত্র
শানতুং প্রদেশের চিনান শহরের অবস্থান
শানতুং প্রদেশের চিনান শহরের অবস্থান
চিনান গণচীন-এ অবস্থিত
চিনান
চিনান
চীনে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩৬°৪০′ উত্তর ১১৬°৫৯′ পূর্ব / ৩৬.৬৬৭° উত্তর ১১৬.৯৮৩° পূর্ব / 36.667; 116.983
দেশ / রাষ্ট্রগণচীন
প্রদেশশানতুং
County-level divisions১২
Township divisions১৬৬
সরকার
 • দলের সচিবওয়াং চুংলিন
 • নগরপালসুং শুথাও
আয়তন
 • জেলা-স্তরের ও উপপ্রাদেশিক নগরী১০,২৪৪ বর্গকিমি (৩,৯৫৫ বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৭,১৭০.৮ বর্গকিমি (২,৭৬৮.৭ বর্গমাইল)
 • মহানগর৫৩,০০০ বর্গকিমি (২০,০০০ বর্গমাইল)
উচ্চতা(বিমানবন্দর)২৩ মিটার (৭৫ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৮)
 • জেলা-স্তরের ও উপপ্রাদেশিক নগরী৮৭,০০,০০০
 • জনঘনত্ব৮৫০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)
 • পৌর এলাকা৪৬,৯৩,৭০০
 • পৌর এলাকার জনঘনত্ব৬৫০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
 • মহানগর[১]১,১০,০০,০০০
 • মহানগর জনঘনত্ব২১০/বর্গকিমি (৫৪০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলচীন মান (ইউটিসি+8)
ডাক সঙ্কেত250000
এলাকা কোড0531
আইএসও ৩১৬৬ কোডCN-SD-01
License plate prefixesA, 鲁O, 鲁W, 鲁S
GDP (2018)CNY 886.221 billion
 - per capitaCNY 101,864.5
ওয়েবসাইটwww.jinan.gov.cn (চিনা)
শহরের বৃক্ষ: চিনা বিয়াস; শহরের ফুল: জলপদ্ম

চিনান
"Jǐnán" in Simplified (top) and Traditional (bottom) Chinese characters
সরলীকৃত চীনা 济南
ঐতিহ্যবাহী চীনা 濟南
আক্ষরিক অর্থ"South of the Ji [River]"

প্রাকৃতিক প্রস্রবণ দ্বারা বিধৌত চিনান এলাকাটিতে প্রাচীনকালেই লোকবসতি স্থাপিত হয়। চিনান শহর এলাকাটিতে সম্ভবত চৌ রাজবংশের শাসনামলে খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতকের আগেই একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতকে এখানে লিশিয়া নামের একটি প্রধান শহর ছিল যা ছি রাজ্যের অংশ ছিল। এরপরে এটি ৭৫০ থেকে ৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত লু রাজ্যের অংশ ছিল। চৌ রাজবংশের শাসনামলে (১০৪৬-২৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) শহরটি উন্নতি লাভ করে এবং এটি প্রাচীন চীনের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ও ধর্মকেন্দ্রে পরিণত হয়। এরপরে খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে শহরটি সেনাপতি-শাসিত জেলা চিনানের লিছেং কাউন্টির প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত হয়। খ্রিস্টীয় ৪র্থ শতকের শুরুতে সেনাপতিশাসিত অঞ্চলটির প্রশাসনিক কেন্দ্রকে চিনান শহরের বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। খ্রিস্টীয় ৪র্থ থেকে ৭ম শতকের মধ্যে শহরের দক্ষিণের পাহাড়গুলিতে বহু বৌদ্ধ গুহা মন্দির নির্মাণ করা হয়। সুই (৫৮১-৬১৮) ও থাং (৬১৮-৯০৭) রাজবংশের শাসনামলে চিনান একটি প্রধান শহর হিসেবে বজায় থাকে; সেসময় এটিকে ছি জেলা ও চিনান সেনাপতি-শাসিত জেলা নামে ডাকা হত। ১১১৬ সালে এটি চিনান উচ্চতর জেলাতে পরিণত হয় এবং ১৯১১ সাল পর্যন্ত এই নাম বজায় থাকে। ১৩শ শতকে ইউরোপের ভেনিস শহর থেকে আগত পর্যটক মার্কো পোলো শহরটিতে ভ্রমণ করেন এবং সেটিকে তার রচনাতে ছিংলি নামে উল্লেখ করেন। মিং রাজবংশের শাসনামলে (১৩৬৮-১৬৪৪) শহরটিকে নব্যসৃষ্ট শানতুং প্রদেশের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯১১ সালে শহরটিকে পুরাতন লিছেং নামের কাউন্টিতে পরিণত করা হয়। কিন্তু ১৯২৯ সালে এটিকে আবার একটি পৌরসভা বানানো হয় এবং সেখানে প্রাচীন শহরটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়।

১৮৫২ সালে শহরের আধুনিকায়ন শুরু হয়। সেসময় হুয়াং হো নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে শহরের ঠিক উত্তর দিয়ে পুরাতন চি নদীর খাত দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। ফলে চিনান শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পথের সুবিধা ভোগ করা শুরু করে। ১৯০৪ সালে জার্মানদের নির্মিত একটি রেলপথ চিনান শহরকে ছিংতাও শহরের সাথে যুক্ত করে, ফলে শহরটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত হয়। ১৯০৬ সালের পরে শহরের আধুনিক বাণিজ্যিক এলাকাটি ও উত্তরের লিখোউ শহরতলীটি গড়ে তোলা হয়। ১৯১২ সালে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর থিয়েনচিন থেকে ফুখোউ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হয় এবং চিনান শহরটি সেই রেলপথের একটি সংযোগস্থল বা জাংশনে পরিণত হয়; ফলে শহরের আরও উন্নতি ঘটে। শহরটি চিনফু (jinpu) ও চিয়াওচি (jiaoji) রেলপথ দুইটি সংযোগস্থলে অবস্থিত। এরপরে চিনান শহরটি দ্রুত উত্তরের সমৃদ্ধ কৃষিভিত্তিক অঞ্চলের জন্য একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও পণ্যদ্রব্য মজুদের কেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে তুলা, খাদ্যশস্য, চিনাবাদাম ও তামাকের বড় বাজার ছিল। এর পাশাপাশি এখানে বস্ত্র, ময়দাপেষণ, তৈলপেষণ, কাগজ, সিমেণ্ট ও দেশলাইয়ের কারখানা গড়ে ওঠে। এর ফলশ্রুতিতে চিনান শহরটি ছিংতাও শহরের পরেই শানতুং প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হয়।

১ম বিশ্বযুদ্ধের পরে শানতুং প্রদেশে জার্মানদের বদলে জাপানিদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। সেসময় চিনান শহরে জাপানিদের একটি বেশ বড় বসতি গড়ে ওঠে। ১৯২৮ সালে জাতীয়তাবাদী দল খুওমিনথাংয়ের সেনাদের উত্তরীয় অভিযান চলাকালে জাপানি সেনাবাহিনী তাদের দেশের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য হস্তক্ষেপ করে। এই ঘটনাটি "চিনান সংঘর্ষ" নামে পরিচিত। চিনান শহরে বেশ বড় আকারের অস্ত্রাগার ছিল বলে ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে প্রায় পুরোটা সময় ধরে পরস্পর বিরোধী বাহিনীরা চিনান শহরটিকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৩৭-১৯৪৫) জাপানি সেনারা শহরটি দখল করে। ১৯৪৮ সালে চীনের সাম্যবাদীদের বাহিনী শহরটি পুনরায় দখলে নেয়। ১৯৪৯ সাল থেকে শহরটিকে দ্রুততার সাথে একটি শিল্পশহর ও অন্যতম প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে বিকাশ সাধন করা হয়। বিদ্যমান বস্ত্র ও ময়দাপেষণ কারখানাগুলির সম্প্রসারণ ঘটানো হয় এবং যন্ত্রপাতি নির্মাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প গড়ে তোলা হয়। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে চিনান একটি গুরুত্বপূর্ণ লৌহ ও ইস্পাত শিল্পকেন্দ্রে পরিণত হয়। এখানে ঢালাই না করা লোহা, ইস্পাতপিণ্ড ও নিখুঁতভাবে উৎপন্ন ইস্পাত ইত্যাদি উৎপাদন করা হত। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে চিনান সমগ্র চীনের মোটরযান শিল্পের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়; এখানে বিভিন্ন ধরনের ভারী ট্রাক ও মাটি সরানোর যন্ত্রপাতি নির্মাণ করা হত। এছাড়া চিনানে একটি বৃহৎ রাসায়নিক শিল্পও বিকাশ লাভ করে।

শিল্পকারখানা ছাড়াও চিনান বর্তমানে শানতুং প্রদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র। এখানে কৃষি, চিকিৎসা ও প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় ছাড়াও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এদের মধ্যে ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত শানতুং বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। শহরের মুসলমান অধ্য্যুষিত এলাকাতে ১২৯৫ সালে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদ আছে, যার নাম চিনানের বৃহৎ দক্ষিণী মসজিদ। আধুনিক শানতুং জাদুঘরে প্রদেশটির বহু ঐতিহাসিক নিদর্শনের বিশাল সংগ্রহ আছে, যাতে নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি থেকে শুরু করে মিং রাজবংশের শাসনামলের বিভিন্ন নিদর্শনের দেখা মেলে।

এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক (১৪৪টির মত) খনিজ পানির উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। এজন্য চিনানকে অনেক সময় "প্রস্রবণের শহর" নামে ডাকা হয়। অনেক চীনা পর্যটক প্রস্রবণগুলির স্বচ্ছ পানির কাছে তীরে চীনা বিয়াস গাছের ছায়ায় বসে নিরিবিলিতে চা খেতে পছন্দ করে। এদের মধ্যে উদ্যানে ঘেরা পাওথু প্রস্রবণ ও পাইমাই প্রস্রবণ দুইটি সবচেয়ে বিখ্যাত। বেশিরভাগ প্রস্রবণ উত্তরে প্রবাহিত হয়ে শহরের কেন্দ্রে মিলিত হয়ে একটি সুদৃশ্য হ্রদ গঠন করেছে, যার নাম তামিং হ্রদ।

হ্রদটি চিনান শহরের সাংস্কৃতিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হ্রদে ভূনকশাকৃত দ্বীপ এবং হ্রদের তীরে মন্দির ও ছোট ছোট বাড়ি আছে। এই হ্রদের উপরে বা হ্রদসংলগ্ন নাগরিক উদ্যানে বহু স্থানীয় লোকাকৃত্যমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেক পর্যটক মোটরচালিত বিলাসবহুল নৌকাতে করে হ্রদটি ভ্রমণ করে থাকে। চিনানের লোকেরা জলপদ্ম খুব পছন্দ করে। প্রতি বছর জুলাই মাসে তামিং হ্রদে জলপদ্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে সারা হ্রদ জুড়ে বিভিন্ন আকৃতি ও বর্ণের বহু বিচিত্র প্রকারের জলপদ্ম ছড়িয়ে রাখা হয়।

এছাড়া এখানে ঐতিহাসিক অনেক স্থান আছে। চীনের সবচেয়ে পবিত্র পর্বতগুলির একটি, যার নাম থাই শান, শহরের কাছেই অবস্থিত। থাই শান পর্বতকে ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো (জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা) বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়। এটি সমগ্র চীনের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলির একটি। এছাড়া চিনান শহরের কাছে হাজার বুদ্ধের খাড়া পর্বতগাত্র, চার দুয়ারী প্যাগোডা এবং বুদ্ধের মন্দিরের উপত্যকা এই শহরের কাছে অবস্থিত। চিনান শহরের রন্ধনশৈলী চীনের আটটি প্রধান রন্ধনশৈলীর একটি হিসেবে স্বীকৃত। জ্বলন্ত কয়লায় সেঁকা মাংসের কাবাব, মচমচে ও মিষ্টি ভাজা পিঠা উল্লেখযোগ্য। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রচুর সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়।

চিনান শহরকেন্দ্র থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ইয়াওছিয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি অবস্থিত। বিমানবন্দরটি মহাসড়কের মাধ্যমে শহরকেন্দ্রের সাথে যুক্ত। চীনের অনেক বড় শহরগুলির দিকে অভ্যন্তরীণ উড্ডয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থল যেমন ওসাকা, সিউল, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের সাথে আকাশপথে পরিবহনের ব্যবস্থা আছে এখানে।[২]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ