জন ই. ওয়াকার

ব্রিটিশ রসায়নবিদ

স্যার জন আর্নেস্ট ওয়াকার এফআরএস FMedSci [৩] (জন্ম ৭ জানুয়ারী ১৯৪১) একজন ব্রিটিশ রসায়নবিদ যিনি ১৯৯৭ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান। [৪] ২০১৫-এর হিসাব অনুযায়ী ওয়াকার কেমব্রিজের এমআরসি মাইটোকন্ড্রিয়াল বায়োলজি ইউনিটের এমেরিটাস ডিরেক্টর ও অধ্যাপক এবং সিডনি সাসেক্স কলেজ, কেমব্রিজের একজন ফেলো।[৫][৬][৭][৮]

স্যার জন ওয়াকার
২০১৮ সালে ওয়াকার
জন্ম
জন আর্নেস্ট ওয়াকার

(1941-01-07) ৭ জানুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৮৩)[১]
হ্যালিফ্যাক্স, ওয়েস্ট রাইডিং অফ ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড
মাতৃশিক্ষায়তনUniversity of Oxford (BA, DPhil)
দাম্পত্য সঙ্গীক্রিস্টিনা ওয়েস্টকট (বি. ১৯৬৩)
সন্তান
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
অভিসন্দর্ভের শিরোনামStudies on naturally occurring peptides (১৯৭০)
ডক্টরাল উপদেষ্টাএডওয়ার্ড আব্রাহাম[২]
ওয়েবসাইটwww.mrc-mbu.cam.ac.uk/people/john-walker

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

ওয়াকার হ্যালিফ্যাক্স, ইয়র্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন; তিনি থমাস আর্নেস্ট ওয়াকার (একজন স্টোনমেসন) এবং এলসি লটন (একজন সৌখিন সঙ্গীতজ্ঞ)-এর পুত্র। তিনি তার দুই ছোট বোন (জুডিথ এবং জেন) এর সাথে একটি গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছিলেন এবং রাস্ট্রিক গ্রামার স্কুলে ভর্তি হন। স্কুলের শেষ তিন বছরে, তিনি একজন সক্রিয় ক্রীড়াবিদ ও শারীরিক বিজ্ঞান এবং গণিতে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি অক্সফোর্ডের সেন্ট ক্যাথরিন কলেজ থেকে রসায়নে ৩য় শ্রেণী নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৯] ওয়াকার ১৯৬৫ সালে অক্সফোর্ডে এডওয়ার্ড আব্রাহামের সাথে পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের অধ্যয়ন শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে ডক্টর অফ ফিলোসফি ডিগ্রি লাভ করেন।[৯] এই সময়ে, তিনি আণবিক জীববিজ্ঞানের বিকাশে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

কর্মজীবন এবং গবেষণা

১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, ওয়াকার উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৯৭১ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কর্মশালায় ফ্রেড স্যাঙ্গারের [১০] সাথে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এর পরে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের ল্যাবরেটরি অফ মলিকুলার বায়োলজিতে কাজ করার আমন্ত্রণ আসে তাঁর, যা একটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ হয়ে ওঠে। অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে ছিলেন ফ্রান্সিস ক্রিক, যিনি ডিএনএর আণবিক গঠন আবিষ্কারের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। প্রথমে, তিনি প্রোটিনের ক্রম বিশ্লেষণ করেন এবং তারপর মাইটোকন্ড্রিয়াতে পরিবর্তিত জেনেটিক কোডের বিস্তারিত উদ্ঘাটন করেন। ১৯৭৮ সালে, তিনি মেমব্রেন প্রোটিনে প্রোটিন রাসায়নিক পদ্ধতি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এইভাবে, ওয়াকার মাইটোকন্ড্রিয়াল মেমব্রেনে প্রোটিনের সাবইউনিট গঠন এবং মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোমের ডিএনএ ক্রমকে চিহ্নিত করে।

তাঁর এটিপিএচ-এর ক্রিস্টালোগ্রাফিকগত উল্লেখযোগ্য পাঠ ছিলো, এটিপি সিন্থেসের অঞ্চল বিভক্তিকরণ (ক্রিস্টালোগ্রাফার এন্ড্রু ল্যাসলির সাথে যৌথভাবে কাজটি সমাপ্ত করেন), বোভাইন হার্ট মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে তিন ধরণের তিনটি আকার কেন্দ্রিয় বৃন্তের সাথে অসামঞ্জস্য অবস্থান। এই কাঠামোটি বাউন্ডিং চেঞ্জ মেকানিজম এবং এটিপি সিন্থেস (এবং সংশ্লিষ্ট এনজাইম)-এর জন্য রোটারি ক্যাটালাইসিসকে সমর্থণ করে, যা ছিলো পল বয়ের প্রস্তাবিত ক্যাটালিটিক ম্যাকানিজমের অন্যতম একটি। এই কাজটি ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়, যা ১৯৯৭ সালে ওয়াকারকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। এই কাঠামোর পর থেকে, ওয়াকার এবং তার সহকর্মীরা মাইটোকন্ড্রিয়াল এটিপি সিন্থেসের পিডিবিতে বেশিরভাগ ক্রিস্টাল স্ট্রাকচার তৈরি করেছেন, যার মধ্যে ট্রানজিশন স্টেট স্ট্রাকচার এবং বাউন্ড ইনহিবিটর ও অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রোটিন রয়েছে।

শিক্ষাদান এবং পরামর্শদান

অনেক ছাত্র এবং পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো যারা জন ওয়াকারের সাথে অধ্যয়ন করেছে, তারা স্বাধীন গবেষণায় নিযুক্ত রয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে, লিওনিড সাজানভ, পোস্টডক্টরাল ফেলো (আইএসটিএ) এবং ড্যানিয়েলা স্টক, পোস্টডক্টরাল ফেলো (সিডনি)।

পুরস্কার ও সম্মাননা

ওয়াকার ১৯৮৪ সালে EMBO সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আমেরিকান রসায়নবিদ পল ডি. বয়ারের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান, তাঁদের “ইল্যুসিডেশন অফ দ্যা এনজাইমেটিক ম্যাকানিজম আন্ডারলাইং দ্যা সিনথেসিস অফ অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট”-এর জন্য।

তারা ডেনমার্কের রসায়নবিদ জেনস সি. স্কাউ- এর সাথে যৌথভাবে পুরস্কার পান। স্যার জন ১৯৯৯ সালে আণবিক জীববিজ্ঞানে অবদানের জন্য নাইট উপাধি লাভ করেন। তিনি ক্যাম্পেইং ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। [১১] ১৯৯৫ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটির (এফআরএস) ফেলো নির্বাচিত হন। [৩] ওয়াকার ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর একজন বিদেশী সহযোগী এবং সেন্ট ক্যাথরিন কলেজ, অক্সফোর্ডের একজন অনারারি ফেলো। [১২] তিনি ১৯৯৯ সালে রয়্যাল নেদারল্যান্ডস একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স-এর একজন বিদেশী সদস্য হন। [১৩] ২০১২ সালে তিনি কোপলি পদক লাভ করেন। [৩]

ব্যক্তিগত জীবন

ওয়াকার ১৯৬৩ সালে ক্রিস্টিনা ওয়েস্টকটকে বিয়ে করেন এবং তাঁর দুটি কন্যা রয়েছে।

তথ্যসূত্র


বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ