টম আর্মিটেজ
টমাস আর্মিটেজ (ইংরেজি: Thomas Armitage; জন্ম: ২৫ এপ্রিল, ১৮৪৮ - মৃত্যু: ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯২২) ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ডের ওয়াকলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টমাস আর্মিটেজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়াকলি, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৫ এপ্রিল ১৮৪৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯২২ পুলম্যান, শিকাগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১) | ১৫ মার্চ ১৮৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৪ এপ্রিল ১৮৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭২ – ১৮৭৮ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার। অক্ষরক্রমিক অবস্থায় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম ক্যাপধারী হবার বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন টম আর্মিটেজ।[২] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতে পারতেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৮৭২ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দলের প্রতিপক্ষ ছিল নটিংহ্যামশায়ার। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে মাঠে নামেন তিনি। তবে খেলায় ব্যাটহাতে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হন। ০ ও ১ রানের পাশাপাশি আট ওভার বোলিং করে ০/১৯ লাভ করেন। কোন ক্যাচও নিতে পারেননি ঐ খেলায়। ১৮৭৪ সালে পরবর্তী খেলায় অংশ নেন তিনি। ইংল্যান্ড ইউনাইটেড সাউথ একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলাটিতেও পুনরায় ব্যর্থ হন তিনি।
কাউন্টি ক্রিকেট
১৮৭৫ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন তিনি। নয় খেলায় ৭.৫৯ গড়ে ২২ উইকেট তুলে নেন। তন্মধ্যে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৭/২৭ পান।
নিজের প্রথম চারটি অর্ধ-শতকের সন্ধান পান। সারের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৬৮ রান।
১৮৭৬ সালে ১২ খেলায় অংশগ্রহণ করেন ও ৪৫ উইকেট দখল করেন। আন্ডারআর্ম বোলিং করে সারের বিপক্ষে ১৩/৪৬ পান। মিডলসেক্সের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।
ইতিহাসের প্রথম টেস্ট
১৮৭৭ মৌসুমের শীতকালে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনীত হন আর্মিটেজ। ১৮৭৭-এর বসন্তে মেলবোর্নে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বপ্রথম দুই টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। অক্ষরক্রমিক কারণে ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে টেস্ট ক্যাপের জন্য তার নাম সর্বাগ্রে থাকে। তবে তিনি আহামরি কিছু দেখাতে পারেননি। মাত্র ১২ বল বোলিং করেন ও তিন ইনিংসে তিনি মাত্র ৩৩ রান তুলেন। এরপর তিনি আর কখনো ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলার সুযোগ পাননি।
এরপর ইয়র্কশায়ারের পক্ষে আরও কয়েকবছর খেলেন। ১৮৭৭ সালে কিছুটা সফলতা লাভ করেন। ৪২ উইকেট পান তিনি। তবে ১৮৭৮ সালে সুবিধা করতে পারেননি। ১৮৭৯ সালে মাত্র একটি খেলায় অংশ নেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন
ইংল্যান্ড ইউনাইটেড নর্থের সদস্যরূপে লন্ডন ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলেন। এরপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
সাত বছর পর সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্লেয়ার্সের সদস্যরূপে ফিলাডেলফিয়া জেন্টলম্যানের বিপক্ষে অংশ নিয়ে ৫৮ রানসহ ২/২৫ পান।
ব্যক্তিগত জীবন
২১ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর পুলম্যান এলাকায় ৭৪ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।
নিজনাম টম নামে আর্মিটেজের এক নাতি ছিল। ঐ টম পেশাদার ফুটবলার হিসেবে শেফিল্ড ওয়েনসডে এফ.সি.র পক্ষে খেলতো। ১৯২৩-এর নববর্ষের প্রাক্কালে কয়েকদিন পূর্বে পিচে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আরেক নাতি লেন আর্মিটেজ পেশাদার ফুটবলার ছিলেন।[৩]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টম আর্মিটেজ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টম আর্মিটেজ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)