ডিম্বাণু
ডিম্বাণু (ইংরেজি: Egg Cell অথবা Ovum) বলতে জীবের স্ত্রীজননকোষ বুঝানো হয় যা জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে থাকে।[১] ডিম্বাণু সাধারনত হ্যপ্লয়েড ক্রোমোসোম ধারণ করে থাকে। নিষিক্ত ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড যা প্রথমে জাইগোট গঠন করে যা পরবর্তিতে ভ্রূন এবং শিশু জীবে পরিনত হয়। [২]
উন্নত প্রানীতে ডিম্বাণু সাধারণত ডিম্বাশয়ে তৈরী হয়। স্তন্যপায়ী প্রানীতে ডিম্বাশয়ে অপরিণত জননকোষ থেকে উওজেনেসিস প্রক্রিয়ায় পরিণত ডিম্বাণু সৃষ্টি করে।[৩][৪]20210408_201324.jpg
মানব ডিম্বাণু
মানব দেহের সবচেয়ে বড় কোষ হল ডিম্বাণু যা অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই খালি চোখে দেখা সম্ভব। মানুষের ডিম্বাণু সাধারনত ০.১২ মিলিমিটার আকারের হয়ে থাকে।[৫] মানুষসহ অন্যান্য অমরাবতী প্রানীতে ডিম্বানুর নিষিক্তকরন প্রাণীদেহের অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। মানব ডিম্বানু শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হওয়ার পর জরায়ুতে স্থাপিত হয়। এটি বারে বারে দ্বি বিভক্ত হতে থাকে এবং একপর্যায়ে ব্লাস্টোসিস্ট গঠন করে।[৪]
উওপ্লাজম
উওপ্লাজম হল ডিম্বাণুর কুসুম, এটি একটি কোষীয় বস্তু যা কোষের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। এটি কোষের নিউক্লিয়াস যেটিকে জার্মিনাল ভেসিকল বলা হয় এবং নিউক্লিউলাস যেটিকে জার্মিনাল স্পট বলা হয়।[৬]স্তন্যপায়ী প্রানীর ডিম্বাণু অতি সামান্য পরিমানে পুষ্টিউপাদান সম্পন্ন কুসুম বহন করে যা ভ্রূণভ্রূণের প্রারম্ভিক অবস্থাতে পুষ্টির যোগান দেয়। পাখির ডিম পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ধারণ করে এবং ডিম থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসার পূর্ব পর্যন্ত পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে।[৬][৬]
মানুষের ডিম্বাণুর গঠন
পরিপক্ব মানব ডিম্বাণুকে তিনটি অংশে বিভক্ত করা যায়। যথা-
- ডিম্বাণু ঝিল্লি:
- লিপোপ্রোটিন সমৃদ্ধ আবরণী বিদ্যমান।
- জোনা পেলুসিডা নামক একটি প্রাইমারি আবরণী বিদ্যমান।
- সাইটোপ্লাজম (উওপ্লাজম):
- নিউক্লিয়াস: