নিল্স র্যুবের্গ ফিনসেন
নিল্স র্যুবের্গ ফিনসেন (ফ্যারো: Niels Ryberg Finsen; ১৫ ডিসেম্বর ১৮৬০ - ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯০৪) ছিলেন একজন আইসল্যান্ডীয় বংশোদ্ভূত ফারো চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী। তিনি লুপাস ভালগারিস রোগের চিকিৎসায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯০৩ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১]
নিল্স র্যুবের্গ ফিনসেন | |
---|---|
Niels Ryberg Finsen | |
জন্ম | টোরশাভন, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ | ১৫ ডিসেম্বর ১৮৬০
মৃত্যু | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ | (বয়স ৪৩)
মাতৃশিক্ষায়তন | কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ফটোথেরাপি |
পুরস্কার | চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯০৩) |
প্রারম্ভিক জীবন
ফিনসেন ১৮৬০ সালের ১৫ই ডিসেম্বর ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের তর্শাভনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হানেস ফিনসেন আইসল্যান্ডীয় পরিবারের বংশধর এবং মাতা ইয়োজান ফ্রোমানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আইসল্যান্ডে। ফিনসেন তার পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।[২]
ফিনসেন তর্শাভনে তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ১৮৭৪ সালে তাকে ডেনীয় বোর্ডিং স্কুল হেরলুফশোমে পাঠানো হয়। সেখানে তার বড় ভাই ওলাফও পড়াশোনা করতেন। কিন্তু সেখানে তার থাকতে অসুবিধা হচ্ছিল এবং তার স্কুলের প্রধানের বক্তব্য ছিল নিলস ভালো ছেলে কিন্তু তার দক্ষতা ও উদ্যম কম। খারাপ ফলাফল ও ডেনীয় ভাষায় অসুবিধা কারণে তাকে ১৮৭৬ সালে আইসল্যান্ডে পাঠানো হয় এবং তিনি তার পিতার পুরনো স্কুল ল্যার্দি স্কোলিনে ভর্তি হন। ২১ বছর বয়সে তিনি একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।[৩]
নোবেল পুরস্কার
ব্যক্তিজীবন ও মৃত্যু
ফিনসেন ১৮৯২ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ইঙ্গেবোর্গ বালস্লেভের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ফিনসেনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তার হৃদরোগ জনিত উপসর্গ দেখা দেয় এবং অ্যাসাইটিস ও সাধারণ দুর্বলতায় ভুগছিলেন। এই রোগ তাকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে দেয়। তিনি হুইলচেয়ার বসেই তার কার্যক্রম চালিয়ে যান। ১৯০৪ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর তিনি কোপেনহেগেনে মৃত্যুবরণ করেন।