নেপিডো

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের (বার্মা) রাজধানী নগরী

নেপিডো আনুষ্ঠানিকভাবে রোমানীকরণ নে পাই তাও (বর্মী: နေပြည်တော်; উচ্চারিত: [nèpjìdɔ̀] আক্ষ. অনু. Royal Capital), মিয়ানমারের রাজধানী ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর। শহরটি নেপিডো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত।[৩] ২১শ শতকের শুরুর দিকে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সমভূমি অঞ্চলে দেশের নতুন প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে শহরটিকে প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ করা হয়।

নেপিডো
နေပြည်တော်
এনপিটি
রাজধানী
নে পাই তাও
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: উপ্পাতাসান্তি প্যাগোডা, ওয়াটার ফাউন্টেন গার্ডেন, মিনিস্ট্রি জোন, জেমস মিউজিয়াম, ইউনিয়ন পার্লামেন্ট
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: উপ্পাতাসান্তি প্যাগোডা, ওয়াটার ফাউন্টেন গার্ডেন, মিনিস্ট্রি জোন, জেমস মিউজিয়াম, ইউনিয়ন পার্লামেন্ট
নেপিডোর পতাকা
পতাকা
নেপিডো মিয়ানমার-এ অবস্থিত
নেপিডো
নেপিডো
নেপিডো এশিয়া-এ অবস্থিত
নেপিডো
নেপিডো
মিয়ানমারের নেপিডোর অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ১৯°৪৫′ উত্তর ৯৬°৬′ পূর্ব / ১৯.৭৫০° উত্তর ৯৬.১০০° পূর্ব / 19.750; 96.100
দেশ মিয়ানমার
অঞ্চলনেপিডো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল [১]
উপজেলা৮টি শহরতলী
স্থাপন২০০৫
অন্তর্ভুক্তি২০০৮
আয়তন
 • মোট২,৭২৩.৭১ বর্গমাইল (৭,০৫৪.৩৭ বর্গকিমি)
উচ্চতা৩৭৭ ফুট (১১৫ মিটার)
সময় অঞ্চলএমএসটি (ইউটিসি+০৬:৩০)
এলাকা কোড+৯৫-৬৭

ইতিহাস

২০০২ সালে পিনমানা শহরের কাছে, দেশের প্রাক্তন রাজধানী রেঙ্গুন বা ইয়াঙ্গুন থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে নেপিডো শহরের নির্মাণকাজ শুরু হয়।[৪] মিয়ানমার সরকার ২০০৫ সালে প্রথমে পিনমানা শহরে, পরে নেপিডো শহরে তার প্রধান কার্যালয়গুলি সরিয়ে নেয়। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে নেপিডোকে মিয়ানমারের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হয়। শুরুর দিকে নেপিডোতে শুধু কিছু সরকারী ভবন, বিলাসবহুল হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও একটি বিমানবন্দর ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। এখানে মূলত সরকারী কর্মচারীরা বাস করতেন। তাদের পরিবার অবশ্য রেঙ্গুনেই বাস করত, কেননা নেপিডোতে বিপণী বিতান, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য সেবা তেমন সুলভ ছিল না। তবে শহরে সার্বক্ষণিক অব্যাহতভাবে বিদ্যুৎসেবা পাওয়া যায়, যা মিয়ানমারের অন্য শহরের জন্য বিরল। নেপিডোর বিমানবন্দরটি মূলত সামরিক বাহিনীদের সদস্যদের পরিবহনের কাজেই ব্যবহৃত হয়। শহরটি রেঙ্গুন থেকে সড়কপথে ও রেলপথে (পিনমানা হয়ে) সংযুক্ত। ২০১২ সালে শহরটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়।[৪]

নেপিডো শহরটি সম্পূর্ণরূপে পূর্বপরিকল্পিত একটি শহর, অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা ও ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া শহর দুইটির মত। এটি নেপিডো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Naypyidaw Union Territory) নামক একটি স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগে অবস্থিত।[১] এখানে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বাস। প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীটি বিশাল, এমনকি আকারে এটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরেরও চার গুণ বড়, কিন্তু এর জনঘনত্ব খুবই কম (প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ১৩১ জন)।[৫]

নগর পরিষেবা

নেপিডোতে অবস্থিত সাফারি পার্ক

নেপিডোতে মিয়ানমারের সরকারের কার্যালয়সমূহ, আইনসভা, সর্বোচ্চ আদালত, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ, মিয়ানমারের মন্ত্রীসভার সরকারী বাসভবন, মিমিয়ানমারের মন্ত্রণালয়সমূহের সদর দফতর ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। উপ্পাসান্তি প্যাগোডা বা শান্তি প্যাগোডা শহরটির একটি দর্শনীয় স্থান।

পরিবহন

নেপিডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শহরের প্রধান বিমানবন্দর।

টীকা

তথ্যসূত্র

নেপিডো
পূর্বসূরী
ইয়াঙ্গুন
মিয়ানমারের রাজধানী
৬ জানুয়ারি ২০০৫ – বর্তমান
উত্তরসূরী
🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ