পাওলো রসি

ইতালীয় ফুটবলার

পাওলো রসি (ইতালীয়: Paolo Rossi, ইতালীয় উচ্চারণ: [ˈpaːolo ˈrossi];[২][৩]; ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ – ৯ ডিসেম্বর ২০২০) একজন ইতালীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। ভক্তদের কাছে পাবলিতো এবং তোরেরো[৪][৫][৬] ডাকনামে পরিচিত রসি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় ভিচেনৎসা এবং জুভেন্টাসের হয়ে একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।

পাওলো রসি
১৯৭০-এর দশকে রসি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯৫৬-০৯-২৩)২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬
জন্ম স্থানপ্রাতো, ইতালি
মৃত্যু৯ ডিসেম্বর ২০২০(2020-12-09) (বয়স ৬৪)
মৃত্যুর স্থানসিয়েনা, ইতালি
উচ্চতা১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)[১]
মাঠে অবস্থানআক্রমণভাগের খেলোয়াড়
যুব পর্যায়
১৯৬১–১৯৬৭সান্তা লুসিয়া
১৯৬৭–১৯৬৮আম্ব্রোসিয়ানা
১৯৬৮–১৯৭২সান মিচেলে
১৯৭২–১৯৭৩জুভেন্টাস
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছরদলম্যাচ(গোল)
১৯৭৩–১৯৭৫জুভেন্টাস(০)
১৯৭৫–১৯৭৬→ কোমো (ধার)(০)
১৯৭৬–১৯৭৯ভিচেনৎসা৯৪(৬০)
১৯৭৯–১৯৮০→ পেরুজা (ধার)২৮(১৩)
১৯৮১–১৯৮৫জুভেন্টাস৮৩(২৪)
১৯৮৫–১৯৮৬এসি মিলান২০(২)
১৯৮৬–১৯৮৭এল্লাস ভেরোনা২০(৪)
মোট২৫১(১০৩)
জাতীয় দল
১৯৭৭–১৯৮৬ইতালি৪৮(২০)
অর্জন ও সম্মাননা
পুরুষদের ফুটবল
 ইতালি-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ফিফা বিশ্বকাপ
বিজয়ী১৯৮২ স্পেন
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

১৯৬১–৬২ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব সান্তা লুসিয়ার যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মারাদোনা ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে আম্ব্রোসিয়ানা, সান মিচেলে এবং জুভেন্টাসের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমে, ইতালীয় ফুটবল ক্লাব জুভেন্টাসের মূল দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন; যদিও তিনি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে একটিও লীগ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেননি, তবে তিনি সেখানে ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর তিনি ধারে কোমোয় যোগদান করেছিলেন। কোমোয় মাত্র ১ মৌসুমে ৬টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার পর, তিনি ভিচেনৎসায় যোগদান করেছিলেন; যেখানে জিওভান বাত্তিস্তা ফাব্রির অধীনে তিনি ১৯৭৬–৭৭ সেরিয়ে বি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। ভিচেনৎসার হয়ে ৩ মৌসুমে সকল প্রতিযোগিতায় ৯৪ ম্যাচে ৬০টি গোল করার পর, তিনি ধারে আরেক ইতালীয় ক্লাব পেরুজায় যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীতে, তিনি জুভেন্টাস (দ্বিতীয়বারের মতো) এবং এসি মিলানের হয়ে খেলেছিলেন। ইয়ুভেন্তুসের হয়ে দ্বিতীয়বার খেলার সময় তিনি ২টি লীগ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। সর্বশেষ ১৯৮৬–৮৭ মৌসুমে, তিনি এল্লাস ভেরোনায় যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি ১ মৌসুম অতিবাহিত করে অবসর গ্রহণ করেছেন।

১৯৭৭ সালে, রসি ইতালির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন, যেখানে তিনি সর্বমোট ৪৮ ম্যাচে ২০টি গোল করেছিলেন। তিনি ইতালির হয়ে ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৭৮, ১৯৮২ এবং ১৯৮৬) অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ব্যক্তিগতভাবে, রসি বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ১৯৮২ সালে বালোঁ দর এবং ১৯৭৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপ সিলভার বল জয় অন্যতম। এছাড়াও তিনি ফিফার প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত ফিফা ১০০ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। দলগতভাবে, ঘরোয়া ফুটবলে, রসি সর্বমোট ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ১টি ভিচেনৎসার হয়ে এবং ৬টি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, সর্বমোট ১টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন; যা হচ্ছে এনৎসো বেয়ারৎসতের অধীনে ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ